বদলগাছী (নওগাঁ ) : সরকারি স্কুলের ফ্যান ছেড়ে দিয়ে এভাবেই শুকানো হচ্ছে ধান -সংবাদ
নওগাঁর বদলগাছীতে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনের দুটি কক্ষে ফ্যান চালিয়ে ধান শুকানো অভিযোগ উঠেছে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও তার ভাই একাব্বর রহমানের বিরুদ্ধে। গত মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার মিঠাপুর ইউপির খোকশাবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবনের দুটি কক্ষে এমন ঘটনা ঘটেছে।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয়ের কক্ষে ধান শুকানোর সত্যতা পাওয়া গেছে। সম্প্রতি খোকশাবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবন তৈরির পর পুরাতন ভবন বেশ কয়েক মাস ধরে বন্ধ রয়েছে। আর এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের সহায়তায় পরিবারের সদস্যরা নিজেদের ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করছে বিদ্যালয়ের কক্ষগুলো। ওই ভবনের শ্রেণীকক্ষের চেয়ার-টেবিল সরিয়ে ফ্যান চালু করে ধান শুকানো হচ্ছে।
স্থানীয় সুমন, ইউসুফ সহ একাধিক ব্যক্তি জানান, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক তোজাম্মেলের কাছ থেকে চাবি নিয়ে বিদ্যালয়ের পুরাতন ভবনের কক্ষে তার ভাই রহিমপুর স্কুলের শিক্ষক একাব্বর রহমানসহ স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি ধান শুকাচ্ছেন। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নিজেও বিদ্যালয়ের এই কক্ষগুলোতে ধান শুকানোসহ তার ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করেন। কয়েকদিন থেকে এ কাজ করছেন তিনি।
এ ছাড়া স্থানীয়রা বিদ্যলয়ের নানা অনিয়মের জন্য ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এভাবে সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিদ্যুৎ অপচয় করে ফ্যান চালিয়ে ধান শুকানোর বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। বিদ্যালয়ের নতুন ভবন থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়েছেন বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত একাব্বর ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি না হলেও ধান শুকানোর বিষয়টি তিনি স্বীকার করেছেন। একাব্বর হোসেন পার্শ্ববর্তী এলাকার রহিমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
খোকশাবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক তোজাম্মেল হোসেনের সঙ্গে মুটোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ধান শুকানোর জন্য আমার স্ত্রীর কাছ থেকে একজন চাবি নিয়ে গিয়ে এই কাজ করেছে। আমি এই বিষয়টি জানার পর স্ত্রীকে শাসিয়েছি। ফ্যান চালিয়ে ধান শুকানোর বিষয়ে জানতে চাইলে কৌশলে বিষয়টি এড়িয়ে যান তিনি।
ঘটনার বিষয়টি খোঁজ খবর নিয়ে সত্যতা মিললে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন বদলগাছী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আমিরুল ইসলাম।
বদলগাছী (নওগাঁ ) : সরকারি স্কুলের ফ্যান ছেড়ে দিয়ে এভাবেই শুকানো হচ্ছে ধান -সংবাদ
শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫
নওগাঁর বদলগাছীতে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনের দুটি কক্ষে ফ্যান চালিয়ে ধান শুকানো অভিযোগ উঠেছে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও তার ভাই একাব্বর রহমানের বিরুদ্ধে। গত মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার মিঠাপুর ইউপির খোকশাবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবনের দুটি কক্ষে এমন ঘটনা ঘটেছে।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয়ের কক্ষে ধান শুকানোর সত্যতা পাওয়া গেছে। সম্প্রতি খোকশাবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবন তৈরির পর পুরাতন ভবন বেশ কয়েক মাস ধরে বন্ধ রয়েছে। আর এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের সহায়তায় পরিবারের সদস্যরা নিজেদের ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করছে বিদ্যালয়ের কক্ষগুলো। ওই ভবনের শ্রেণীকক্ষের চেয়ার-টেবিল সরিয়ে ফ্যান চালু করে ধান শুকানো হচ্ছে।
স্থানীয় সুমন, ইউসুফ সহ একাধিক ব্যক্তি জানান, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক তোজাম্মেলের কাছ থেকে চাবি নিয়ে বিদ্যালয়ের পুরাতন ভবনের কক্ষে তার ভাই রহিমপুর স্কুলের শিক্ষক একাব্বর রহমানসহ স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি ধান শুকাচ্ছেন। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নিজেও বিদ্যালয়ের এই কক্ষগুলোতে ধান শুকানোসহ তার ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করেন। কয়েকদিন থেকে এ কাজ করছেন তিনি।
এ ছাড়া স্থানীয়রা বিদ্যলয়ের নানা অনিয়মের জন্য ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এভাবে সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিদ্যুৎ অপচয় করে ফ্যান চালিয়ে ধান শুকানোর বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। বিদ্যালয়ের নতুন ভবন থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়েছেন বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত একাব্বর ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি না হলেও ধান শুকানোর বিষয়টি তিনি স্বীকার করেছেন। একাব্বর হোসেন পার্শ্ববর্তী এলাকার রহিমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
খোকশাবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক তোজাম্মেল হোসেনের সঙ্গে মুটোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ধান শুকানোর জন্য আমার স্ত্রীর কাছ থেকে একজন চাবি নিয়ে গিয়ে এই কাজ করেছে। আমি এই বিষয়টি জানার পর স্ত্রীকে শাসিয়েছি। ফ্যান চালিয়ে ধান শুকানোর বিষয়ে জানতে চাইলে কৌশলে বিষয়টি এড়িয়ে যান তিনি।
ঘটনার বিষয়টি খোঁজ খবর নিয়ে সত্যতা মিললে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন বদলগাছী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আমিরুল ইসলাম।