হিলি (দিনাজপুর) : লাম্পি স্কিন রোগে আক্রান্ত গরু -সংবাদ
উত্তরের জেলা দিনাজপুরের হিলিতে গরুর খামারে ছড়িয়ে পরেছে লাম্পি রোগের প্রাদুর্ভাব। গত দুই মাস ধরে উপজেলার বিভিন্ন খামারে আক্রান্ত হচ্ছে গবাদি পশু। ভুক্তভুগিরা বলছেন, গরুর শরীরে হঠাৎ করে দেখা দেয় গুটি সেই সঙ্গে ফুলে উঠে গলা ও পা আর ক্ষতস্থান থেকে খসে পড়ে মাংস। তেমন কোনো প্রতিষেধক না থাকায় গত দেড় মাসে আক্রান্ত হয়েছে পাঁচ থেকে সাতশটি গরু। এ ছাড়া মারা গেছে অন্ততো পঁচিশ থেকে ত্রিশটি গরু। কোরবানি ঈদের আগে এ রোগের আক্রমনে ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কায় ছোট বড় খামারিরা।
হাকিমপুরের বোয়ালদাড় ইউনিয়নের বানিয়াল গ্রামের খামারি কামরুজ্জামান বলেন, সামনে কোরবানি ঈদ, এই ঈদকে কেন্দ্র করে আমাদের অনেক স্বপ্ন থাকে কিন্তু গরুর এই লাম্পি রোগের জন্য বর্তমানে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত। হিলি পৌরসভার মুহাড়া পাড়া এলাকার খামারি মোস্তাকিন হোসেন বলেন, কোরবানির জন্য গরু প্রস্তুত করছিলাম হঠাৎ করে আমার একটি গরুর লাম্পি রোগ দেখা দেয়। এরপর আমি প্রাণিসম্পদ হাসপাতালে যোগাযোগ করে গরুর চিকিৎসা করাই, ভ্যাকসিন দিই তবুও গরুটিকে আমি বাঁচাতে পারিনি। হিলি মাঠপাড়া এলাকার খামারী রনি শেখ বলেন, ডাক্তার আসে চিকিৎসা দেয় কিন্তু কাজ হয় না।
হাকিমপুর প্রাণিসম্পদ অফিসের কাগজে কলমে লাম্পি রোগে মারা যাওয়া গরুর সংখ্যা মাত্র দুইটি আর আক্রান্তের সংখ্যা দেড়শ।
তবে সংক্রমণ রোধে গোয়াল ঘরে মশা মাছি নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি আক্রান্ত গরু আলাদা রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন কর্মকর্তারা। উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা শফিউল ইসলাম বলেন, গত তিনমাস আমরা ব্যাপক আকারে উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় উঠান বৈঠক, লিফলেট বিতরণসহ নানা ভাবে মানুষকে সচেতন করে আসছি ও প্রয়োজনীয় ভ্যাকসিন বিতরণ করেছি।
যারা তাদের গরুকে ভ্যাকসিন দেয়নি তাদের গরুই এরোগে আক্রান্ত হয়েছে বেশি। আসন্ন কোরবানি ঈদে এবার হিলিতে প্রস্তুত করা হয়েছে ষোল হাজার গবাদিপশু।
হিলি (দিনাজপুর) : লাম্পি স্কিন রোগে আক্রান্ত গরু -সংবাদ
শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫
উত্তরের জেলা দিনাজপুরের হিলিতে গরুর খামারে ছড়িয়ে পরেছে লাম্পি রোগের প্রাদুর্ভাব। গত দুই মাস ধরে উপজেলার বিভিন্ন খামারে আক্রান্ত হচ্ছে গবাদি পশু। ভুক্তভুগিরা বলছেন, গরুর শরীরে হঠাৎ করে দেখা দেয় গুটি সেই সঙ্গে ফুলে উঠে গলা ও পা আর ক্ষতস্থান থেকে খসে পড়ে মাংস। তেমন কোনো প্রতিষেধক না থাকায় গত দেড় মাসে আক্রান্ত হয়েছে পাঁচ থেকে সাতশটি গরু। এ ছাড়া মারা গেছে অন্ততো পঁচিশ থেকে ত্রিশটি গরু। কোরবানি ঈদের আগে এ রোগের আক্রমনে ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কায় ছোট বড় খামারিরা।
হাকিমপুরের বোয়ালদাড় ইউনিয়নের বানিয়াল গ্রামের খামারি কামরুজ্জামান বলেন, সামনে কোরবানি ঈদ, এই ঈদকে কেন্দ্র করে আমাদের অনেক স্বপ্ন থাকে কিন্তু গরুর এই লাম্পি রোগের জন্য বর্তমানে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত। হিলি পৌরসভার মুহাড়া পাড়া এলাকার খামারি মোস্তাকিন হোসেন বলেন, কোরবানির জন্য গরু প্রস্তুত করছিলাম হঠাৎ করে আমার একটি গরুর লাম্পি রোগ দেখা দেয়। এরপর আমি প্রাণিসম্পদ হাসপাতালে যোগাযোগ করে গরুর চিকিৎসা করাই, ভ্যাকসিন দিই তবুও গরুটিকে আমি বাঁচাতে পারিনি। হিলি মাঠপাড়া এলাকার খামারী রনি শেখ বলেন, ডাক্তার আসে চিকিৎসা দেয় কিন্তু কাজ হয় না।
হাকিমপুর প্রাণিসম্পদ অফিসের কাগজে কলমে লাম্পি রোগে মারা যাওয়া গরুর সংখ্যা মাত্র দুইটি আর আক্রান্তের সংখ্যা দেড়শ।
তবে সংক্রমণ রোধে গোয়াল ঘরে মশা মাছি নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি আক্রান্ত গরু আলাদা রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন কর্মকর্তারা। উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা শফিউল ইসলাম বলেন, গত তিনমাস আমরা ব্যাপক আকারে উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় উঠান বৈঠক, লিফলেট বিতরণসহ নানা ভাবে মানুষকে সচেতন করে আসছি ও প্রয়োজনীয় ভ্যাকসিন বিতরণ করেছি।
যারা তাদের গরুকে ভ্যাকসিন দেয়নি তাদের গরুই এরোগে আক্রান্ত হয়েছে বেশি। আসন্ন কোরবানি ঈদে এবার হিলিতে প্রস্তুত করা হয়েছে ষোল হাজার গবাদিপশু।