মাত্র ১২ মিনিট অপারেশেন চালিয়ে একটি সোনার দোকানের শোরুম থেকে কোটি টাকার সোনা ও রুপাসহ লোহার সিন্দুক নিয়ে পালিয়েছে দুবৃত্তরা। বাজারের দুই নৈশ প্রহরীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
কুষ্টিয়ার খোকসা পৌর বাজারের প্রধান সড়কে বৃহস্পতিবার দিনগত রাত সাড়ে ৪ টায় প্রাইভেট কারে আসার দুর্বৃত্তরা একটি জুয়েলার্সের শোরুমে হানা দেয়। মাত্র ১২ মিনিট দশ সেকেন্ড অপারেশন চালিয়ে তারা সোনা ও রুপা রাখার লোহার প্রধান সিন্দুকটি নিয়ে যায়। গত শুক্রবার দুপুরে ব্যবসায়ী মাসুম বিল্লা শো-রুম খুলতে এসে দোকানের একটি সাটারের সবকটি তালা খোলা অবস্থায় দেখতে পান। এ ব্যাপারে তিনি থানা পুলিশ ও জুয়েলার্স মালিক সমিতিকে জানিয়েছেন।
ভুক্তভোগী স্বর্ণ ব্যবসায়ী মাসুম বিল্লা জানান, প্রতি শুক্রবার দুপুর পর তিনি দোকান খোলেন। আজ একই নিয়মে দোকান খুলতে এসে দেখেন তার একটি সাটারের সবকটি তালা খোলা। দোকানের ভিতরে ঢুকে দেখেন তার প্রায় ৪ মন ওজনের লোহার প্রধান সিন্দুকটি নিয়ে গেছে। আগের রাতে সাড়ে ৯ টার তিনি দোকান বন্ধ করেন। তিনি দাবি করেন, লোহার সিন্দুকটিতে বিভিন্ন কাস্টমারের (খরিদ্দারের) প্রায় ৪৫-৫০ ভরি সোনা, প্রায় ৩০০ ভরি রুপা, ৩০ হাজার নগদ টাকা রাখা ছিলো। তিনি জানান ক্ষয় ক্ষতি কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে।
বাজারের ব্যবসায়ীদের সিসি টিভির ফুটেজ পর্যালচনা করে দেখা যায়, রাত ৪টা ত্রিশ মিনিটের সময় সিলভার কালারের একটি প্রাইভেটকার স্কুল মার্কেটের বাংলাদেশ জুয়েলার্সের শো রুমের সামনে পার্কিং করে। এ সময় সাটার খোলার শব্দ হয়। মসজিদে ফজরের আজান হচ্ছিল। পথচারীরা স্বাভাবিক চলাফেরা শুরু করছিল। ঠিক ১২ মিনিট পর প্রাইভেট কারটি যে দিক থেকে এসেছিল সেই দিকে ফিরে যায়। এ থেকে ধারণা করা হচ্ছে প্রাইভেট কারে আসা দুর্বৃত্তরাই শো রুমটিতে হানা দিয়েছিল।
স্বর্ণ ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক নিরোদ কুমার রায় বলেন, থানা থেকে সামান্য দূরে স্বর্ণের দোকান থেকে দুর্বৃত্তরা সিন্দুক লুটে নিয়ে যাওয়ার পর সাধারণ ব্যবসায়ীরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তারা অপরাধিদের আটক ও লুটে নেওয়া মালামাল ফেরতের দাবি করেন। সন্ধ্যায় ঘটনা স্থলে উপস্থিত থানা পুলিশের এএসআই দিবাকর জানান, থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নির্দেশে তিনি নৈশ প্রহরীদের নিয়ে যাচ্ছেন।
খোকসা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ মঈনুল ইসলাম রাত সাড়ে ৮টায় বলেন, এ ঘটনায় এজাহার লেখা চলছে। মামলা হবে। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শনিবার, ২৪ মে ২০২৫
মাত্র ১২ মিনিট অপারেশেন চালিয়ে একটি সোনার দোকানের শোরুম থেকে কোটি টাকার সোনা ও রুপাসহ লোহার সিন্দুক নিয়ে পালিয়েছে দুবৃত্তরা। বাজারের দুই নৈশ প্রহরীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
কুষ্টিয়ার খোকসা পৌর বাজারের প্রধান সড়কে বৃহস্পতিবার দিনগত রাত সাড়ে ৪ টায় প্রাইভেট কারে আসার দুর্বৃত্তরা একটি জুয়েলার্সের শোরুমে হানা দেয়। মাত্র ১২ মিনিট দশ সেকেন্ড অপারেশন চালিয়ে তারা সোনা ও রুপা রাখার লোহার প্রধান সিন্দুকটি নিয়ে যায়। গত শুক্রবার দুপুরে ব্যবসায়ী মাসুম বিল্লা শো-রুম খুলতে এসে দোকানের একটি সাটারের সবকটি তালা খোলা অবস্থায় দেখতে পান। এ ব্যাপারে তিনি থানা পুলিশ ও জুয়েলার্স মালিক সমিতিকে জানিয়েছেন।
ভুক্তভোগী স্বর্ণ ব্যবসায়ী মাসুম বিল্লা জানান, প্রতি শুক্রবার দুপুর পর তিনি দোকান খোলেন। আজ একই নিয়মে দোকান খুলতে এসে দেখেন তার একটি সাটারের সবকটি তালা খোলা। দোকানের ভিতরে ঢুকে দেখেন তার প্রায় ৪ মন ওজনের লোহার প্রধান সিন্দুকটি নিয়ে গেছে। আগের রাতে সাড়ে ৯ টার তিনি দোকান বন্ধ করেন। তিনি দাবি করেন, লোহার সিন্দুকটিতে বিভিন্ন কাস্টমারের (খরিদ্দারের) প্রায় ৪৫-৫০ ভরি সোনা, প্রায় ৩০০ ভরি রুপা, ৩০ হাজার নগদ টাকা রাখা ছিলো। তিনি জানান ক্ষয় ক্ষতি কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে।
বাজারের ব্যবসায়ীদের সিসি টিভির ফুটেজ পর্যালচনা করে দেখা যায়, রাত ৪টা ত্রিশ মিনিটের সময় সিলভার কালারের একটি প্রাইভেটকার স্কুল মার্কেটের বাংলাদেশ জুয়েলার্সের শো রুমের সামনে পার্কিং করে। এ সময় সাটার খোলার শব্দ হয়। মসজিদে ফজরের আজান হচ্ছিল। পথচারীরা স্বাভাবিক চলাফেরা শুরু করছিল। ঠিক ১২ মিনিট পর প্রাইভেট কারটি যে দিক থেকে এসেছিল সেই দিকে ফিরে যায়। এ থেকে ধারণা করা হচ্ছে প্রাইভেট কারে আসা দুর্বৃত্তরাই শো রুমটিতে হানা দিয়েছিল।
স্বর্ণ ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক নিরোদ কুমার রায় বলেন, থানা থেকে সামান্য দূরে স্বর্ণের দোকান থেকে দুর্বৃত্তরা সিন্দুক লুটে নিয়ে যাওয়ার পর সাধারণ ব্যবসায়ীরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তারা অপরাধিদের আটক ও লুটে নেওয়া মালামাল ফেরতের দাবি করেন। সন্ধ্যায় ঘটনা স্থলে উপস্থিত থানা পুলিশের এএসআই দিবাকর জানান, থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নির্দেশে তিনি নৈশ প্রহরীদের নিয়ে যাচ্ছেন।
খোকসা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ মঈনুল ইসলাম রাত সাড়ে ৮টায় বলেন, এ ঘটনায় এজাহার লেখা চলছে। মামলা হবে। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।