কাজের সন্ধানে ভারতের দিল্লিতে গিয়ে ফিরে আসার সময় বিএসএফের হাতে আটক ২৪ জন বাংলাদেশী নারী-পুরুষ ও শিশুকে ফেরত এনে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। গতকাল শুক্রবার রাত ১টা ৩০ মিনিটে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার বালাতাড়ী সীমান্তের ৯৩২ নম্বর সীমানা পিলারের পাশে বিজিবি এবং বিএসএফের মধ্যে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। পতাকা বৈঠকে বিএসএফের পক্ষে ভারতীয় ০৩ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের এসি এসএইচএল সিমতি এবং বিজিবির পক্ষে লালমনিরহাট ১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের উপ-অধিনায়ক মেজর হাসনাইন নেতৃত্ব দেন। এছাড়াও পতাকা বৈঠকের সময় নাওডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাছেন আলী, খলিশাকোঠাল ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আব্দুল আলিম, বালাতাড়ি ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মহির উদ্দিন এবং বালারহাট বিজিবি ক্যাম্পের কমান্ডার নায়েক সুবেদার সাইদুর রহমানসহ বিজিবির ১০ সদস্য ও বিএসএফের ১০ সদস্য উপস্থিত ছিলেন। ঘণ্টাব্যাপী ওই বৈঠক শেষে বিএসএফ আটক বাংলাদেশী ২৪ জন নারী-পুরুষ ও শিশুদেরকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করে। পরে বিজিবি তাদেরকে ক্যাম্পে নিয়ে এসে পরিবারের নিকট ফেরত দেয়।
বিজিবি সূত্র জানায়, লালমনিরহাট ১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধীনস্থ বালারহাট বিওপির প্রতিপক্ষ ভারতীয় ৩ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের অধীন করলা ক্যাম্পে ভারতে অভিবাসনরত কিছু নাগরিককে বাংলাদেশে পুশইন করার জন্য জড়ো করা হয়েছে মর্মে লালমনিরহাট ১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মেহেদী ইমাম, পিএসসি জানতে পারেন। তখন অবৈধভাবে কোন নাগরিককে বাংলাদেশে পুশইন না করার জন্য প্রতিপক্ষ বিএসএফকে কঠোর বার্তা পাঠানো হয়। বার্তায় বিএসএফকে আরও জানানো হয় যে, প্রকৃত অর্থে বাংলাদেশী নাগরিক হলে তাদের সঠিক পরিচয় নিশ্চিত সাপেক্ষে প্রচলিত নিয়মানুযায়ী তাদেরেকে গ্রহণ করা হবে। কিন্তু কোন অবস্থাতেই বাংলাদেশী নয় এমন কোন ব্যক্তিকে বাংলাদেশের ভূখ-ে ঢুকতে দেওয়া হবে না। এর প্রেক্ষিতে বিএসএফ প্রাথমিকভাবে ২৪ জনের মধ্যে পুরুষ ৮ জন, শিশু ৮ জন এবং নারী ৮ জনের নামের তালিকা লালমনিরহাট ১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নে প্রদান করে। উক্ত তালিকা যাচাই-বাছাই করে পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে তাদেরকে গ্রহণ করা হয়। পরবর্তীতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধির মাধ্যমে তাদেরকে পরিবারের কাছে তুলে দেওয়া হয়। ভারত থেকে ফেরত আসা ওই ২৪ জন হলেন- কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার দাসিয়ার ছড়া সমন্বয়টারী গ্রামের জসিম উদ্দিনের ছেলে তাজুল ইসলাম (২৫), তার স্ত্রী আম্বিয়া বেগম (১৯), মেয়ে তাসলিমা (৭), মা তানেকা বেগম (৪৬) ও বোন তাহেরা খাতুন (৭), দাসিয়ার ছড়া কামালপুর গ্রামের আছর আলীর ছেলে মানব আলী (২৩), তার স্ত্রী রুমি বেগম (২০), একই গ্রামের নজির হোসেনের ছেলে আব্দুল কাদের (৩১), তার স্ত্রী সাথী বেগম (২৮), ছেলে শহিদুল (৯) ও মেয়ে কাজলী (২), উপজেলার আরাজী নেওয়াশী গ্রামের কাজী উদ্দিনের ছেলে জায়দুল হক (৫৫), তার স্ত্রী আনজুমা বেগম (৪৩), ছেলে আশিক বাবু (১৪), মেয়ে জান্নাতি খাতুন (১৯), জামাতা রবিউল (২২) ও ১০ মাস বয়সী নাতি জুনায়েদ, উপজেলার ভাঙ্গামোড় বটতলা গ্রামের নজির হোসেনের ছেলে হাসেন আলী (৩৫), তার স্ত্রী আলমিনা বেগম (২৯), মেয়ে হাছিনা (১৩), ছেলে আরিফ (৪) ও আরমান (২) এবং জেলার নাগেশ্বরী উপজেলার গোপালপুর গ্রামের আব্দুস ছালাম (৫০)।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে লালমনিরহাট ১৫ বিজিবি ব্যাটলিয়নের উপ-অধিনায়ক মেজর হাসনাইন বলেন, যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ২৪ বাংলাদেশী নারী, পুরুষ ও শিশুকে ফেরত আনা হয়েছে। স্থানীয় জনগণ এবং জনপ্রতিনিধিদের সহায়তায় তাদেরকে স্ব স্ব পরিবারের সদস্যদের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।
শনিবার, ২৪ মে ২০২৫
কাজের সন্ধানে ভারতের দিল্লিতে গিয়ে ফিরে আসার সময় বিএসএফের হাতে আটক ২৪ জন বাংলাদেশী নারী-পুরুষ ও শিশুকে ফেরত এনে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। গতকাল শুক্রবার রাত ১টা ৩০ মিনিটে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার বালাতাড়ী সীমান্তের ৯৩২ নম্বর সীমানা পিলারের পাশে বিজিবি এবং বিএসএফের মধ্যে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। পতাকা বৈঠকে বিএসএফের পক্ষে ভারতীয় ০৩ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের এসি এসএইচএল সিমতি এবং বিজিবির পক্ষে লালমনিরহাট ১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের উপ-অধিনায়ক মেজর হাসনাইন নেতৃত্ব দেন। এছাড়াও পতাকা বৈঠকের সময় নাওডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাছেন আলী, খলিশাকোঠাল ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আব্দুল আলিম, বালাতাড়ি ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মহির উদ্দিন এবং বালারহাট বিজিবি ক্যাম্পের কমান্ডার নায়েক সুবেদার সাইদুর রহমানসহ বিজিবির ১০ সদস্য ও বিএসএফের ১০ সদস্য উপস্থিত ছিলেন। ঘণ্টাব্যাপী ওই বৈঠক শেষে বিএসএফ আটক বাংলাদেশী ২৪ জন নারী-পুরুষ ও শিশুদেরকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করে। পরে বিজিবি তাদেরকে ক্যাম্পে নিয়ে এসে পরিবারের নিকট ফেরত দেয়।
বিজিবি সূত্র জানায়, লালমনিরহাট ১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধীনস্থ বালারহাট বিওপির প্রতিপক্ষ ভারতীয় ৩ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের অধীন করলা ক্যাম্পে ভারতে অভিবাসনরত কিছু নাগরিককে বাংলাদেশে পুশইন করার জন্য জড়ো করা হয়েছে মর্মে লালমনিরহাট ১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মেহেদী ইমাম, পিএসসি জানতে পারেন। তখন অবৈধভাবে কোন নাগরিককে বাংলাদেশে পুশইন না করার জন্য প্রতিপক্ষ বিএসএফকে কঠোর বার্তা পাঠানো হয়। বার্তায় বিএসএফকে আরও জানানো হয় যে, প্রকৃত অর্থে বাংলাদেশী নাগরিক হলে তাদের সঠিক পরিচয় নিশ্চিত সাপেক্ষে প্রচলিত নিয়মানুযায়ী তাদেরেকে গ্রহণ করা হবে। কিন্তু কোন অবস্থাতেই বাংলাদেশী নয় এমন কোন ব্যক্তিকে বাংলাদেশের ভূখ-ে ঢুকতে দেওয়া হবে না। এর প্রেক্ষিতে বিএসএফ প্রাথমিকভাবে ২৪ জনের মধ্যে পুরুষ ৮ জন, শিশু ৮ জন এবং নারী ৮ জনের নামের তালিকা লালমনিরহাট ১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নে প্রদান করে। উক্ত তালিকা যাচাই-বাছাই করে পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে তাদেরকে গ্রহণ করা হয়। পরবর্তীতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধির মাধ্যমে তাদেরকে পরিবারের কাছে তুলে দেওয়া হয়। ভারত থেকে ফেরত আসা ওই ২৪ জন হলেন- কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার দাসিয়ার ছড়া সমন্বয়টারী গ্রামের জসিম উদ্দিনের ছেলে তাজুল ইসলাম (২৫), তার স্ত্রী আম্বিয়া বেগম (১৯), মেয়ে তাসলিমা (৭), মা তানেকা বেগম (৪৬) ও বোন তাহেরা খাতুন (৭), দাসিয়ার ছড়া কামালপুর গ্রামের আছর আলীর ছেলে মানব আলী (২৩), তার স্ত্রী রুমি বেগম (২০), একই গ্রামের নজির হোসেনের ছেলে আব্দুল কাদের (৩১), তার স্ত্রী সাথী বেগম (২৮), ছেলে শহিদুল (৯) ও মেয়ে কাজলী (২), উপজেলার আরাজী নেওয়াশী গ্রামের কাজী উদ্দিনের ছেলে জায়দুল হক (৫৫), তার স্ত্রী আনজুমা বেগম (৪৩), ছেলে আশিক বাবু (১৪), মেয়ে জান্নাতি খাতুন (১৯), জামাতা রবিউল (২২) ও ১০ মাস বয়সী নাতি জুনায়েদ, উপজেলার ভাঙ্গামোড় বটতলা গ্রামের নজির হোসেনের ছেলে হাসেন আলী (৩৫), তার স্ত্রী আলমিনা বেগম (২৯), মেয়ে হাছিনা (১৩), ছেলে আরিফ (৪) ও আরমান (২) এবং জেলার নাগেশ্বরী উপজেলার গোপালপুর গ্রামের আব্দুস ছালাম (৫০)।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে লালমনিরহাট ১৫ বিজিবি ব্যাটলিয়নের উপ-অধিনায়ক মেজর হাসনাইন বলেন, যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ২৪ বাংলাদেশী নারী, পুরুষ ও শিশুকে ফেরত আনা হয়েছে। স্থানীয় জনগণ এবং জনপ্রতিনিধিদের সহায়তায় তাদেরকে স্ব স্ব পরিবারের সদস্যদের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।