alt

সারাদেশ

শেরপুরে ঐতিহ্যবাহী ‘জামাইবরণ’ কেল্লাপোশীর মেলা শুরু

প্রতিনিধি, শেরপুর (বগুড়া) : শনিবার, ২৪ মে ২০২৫

কেউ বলে ‘কেল্লাপোশী’ মেলা, আবার কেউ বলে ‘জামাইবরণ’ মেলা। যে যেই নামেই ডাকুক, সবাই এই বিষয়ে একমত যে, এই মেলাই ‘মেলার রাজা’। বলবে না কেন, স্থানীয় ও আশপাশের মানুষ তো বটেই, বহু দূর থেকেও অনেকে ছুটে আসেন এই মেলায়। এই মেলা নিয়ে স্থানীয় পর্যায়ে প্রচলিত আছে হাজারটা গল্প।

‘মেলার রাজা’ খ্যাত এই মেলা শুরু হচ্ছে রোববার থেকে। প্রায় ৫০০ বছর ধরে বগুড়ার শেরপুরে কেল্লাপোশী নামক স্থানে এ মেলা বসছে। মাঝে একটু ছন্দপতন হয়েছিল করোনার কারণে। এবার আবার জমজমাট। এমনিতে প্রতি বছর জ্যৈষ্ঠ মাসের দ্বিতীয় রোববার এ মেলা বসে। চলে টানা তিন দিন। কিন্তু এর ব্যাপ্তি এতটাই যে, এর আয়োজন চলতে থাকে সপ্তাহের বেশি সময় ধরে। আর মানুষের মধ্যে মেলা-মেলা ভাবটির উদয় হয় তারও আগে। জ্যৈষ্ঠের আগমনধ্বনী থেকেই এর জন্য অপেক্ষার শুরু।

কথিত আছে ১৫৫৬ সাল থেকে কেল্লাপোশীতে এ মেলা হয়ে আসছে। এর সঙ্গে বাংলা সাহিত্যের কিংবদন্তি গাজী পীরের কিচ্ছার ঐতিহ্য জড়িত। ‘গাজী পীর’ ঐতিহাসিকভাবে প্রমাণিত না হলেও বাংলার পুথি ও পটে রয়েছে এর সরব উপস্থিতি। বিচিত্র সব বর্ণনা পাওয়া যায় সেখানে। গাজী পির নিয়ে স্থানীয় কিচ্ছা অনুযায়ী, বৈরাগনগরের বাদশা সেকেন্দারের ছেলে ছিলেন গাজী মিয়া। আর কালু মিয়া ছিলেন তাঁর দত্তক পুত্র। গাজী মিয়া দেখতে খুবই সুদর্শন ছিলেন। তাঁরা দুই ভাই রাজ্যের মায়া ত্যাগ করে ফকির-সন্ন্যাসীর বেশ ধারণ করে ঘুরতে ঘুরতে ব্রাহ্মণনগরে আসেন। ব্রাহ্মণ রাজা মুকুটের ছিল সাত পুত্র ও এক কন্যা চম্পাবতী। বাংলা সাহিত্যে যা ‘সাত ভাই চম্পা’ নামে পরিচিত। চম্পাবতী গাজীকে দেখে মুগ্ধ হয়ে প্রণয়ে জড়িয়ে পড়েন। কালু মিয়া বিষয়টি জানতে পেরে গাজীর বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে মুকুট রাজার কাছে যান। মুকুট রাজা ছিলেন যবনদ্বেষী ব্রাহ্মণ। কালু ঘটক হিসেবে রাজা মুকুট রায়ের দরবারে গিয়ে গাজীর সঙ্গে চম্পাবতীর বিয়ের কথা উত্থাপন করলে কালু বন্দী হন। ফলে গাজীর সঙ্গে যুদ্ধ বাধে মুকুট রাজার। মুকুট রাজার কাছ থেকে ভাই কালু মিয়াকে উদ্ধারের জন্য গাজী মিয়া কেল্লাপোশী নামক স্থানে একটি দুর্গ নির্মাণ করেন। যুদ্ধে রাজা মুকুটের পরাজয় ঘটে। গাজী ও চম্পাবতী পরিণয়ে আবদ্ধ হন। কথিত আছে, গাজী ও চম্পাবতীর এই পরিণয় হয়েছিল জ্যৈষ্ঠের দ্বিতীয় রোববার। ওই সময় গাজীর বিয়ে উপলক্ষে কেল্লাপোশী দুর্গে নিশান উড়িয়ে তিন দিনব্যাপী আনন্দ উৎসব চলে এবং সেখানে মাজার গড়ে তোলা হয়। তখন থেকেই চলে আসছে এ মেলা। এই মেলা নিয়ে স্থানীয় পর্যায়ে থাকে নানা আয়োজন। এরই একটি হচ্ছে মাদার খেলা। মেলা শুরুর সপ্তাহখানেক আগ থেকে গ্রামে গ্রামে চলে এই মাদার খেলা। একটি বড় বাঁশকে লাল কাপড়ে মুড়িয়ে ও নানা রঙে সাজিয়ে সেটির বিভিন্ন স্থানে চুল লাগিয়ে ১৫-২০ জনের একটি দল বেরিয়ে পড়ে। ঢাক-ঢোল, গান-বাজনার নানা সরঞ্জাম আর লাঠি নিয়ে তারা গ্রামগঞ্জ থেকে শুরু করে শহরের পাড়া-মহল্লাতেও খেলা দেখায়। মেলা শুরুর আগপর্যন্ত চলে ওই মাদার খেলা। জ্যৈষ্ঠের দ্বিতীয় রোববার দলটি মেলা এলাকায় থাকা মাজার প্রাঙ্গণে গিয়ে এ খেলা শেষ করে। মেলায় সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলে কেনাকাটার ধুম। বহু দূর থেকে আগত বিক্রেতারা এখানে দোকান সাজিয়ে বসেন। এ মেলাকে ঘিরে আশপাশের গ্রামগুলোতে শুরু হয়েছে রকমারি আয়োজন। নতুন-পুরোনো বলে কথা নেই। মেলা উপলক্ষে সবাই নিজ নিজ আত্মীয়স্বজনকে দাওয়াত করে বাড়িতে আনেন। বিশেষ করে নতুন জামাই-বউকে নিয়ে সবাই আনন্দে মেতে ওঠেন। শ্বশুরবাড়ির পক্ষ থেকে জামাইবাবুকে মোটা অঙ্কের সেলামিও দেওয়া হয়। সেই সেলামি আর নিজের গচ্ছিত টাকা দিয়ে জামাইবাবুরা মেলা থেকে খাসি কিনে শ্বশুরবাড়িতে আনেন। এমনকি বড় বড় মাটির পাতিল ভর্তি করে মিষ্টান্ন, বড় মাছ, মহিষের মাংস, রকমারি খেলনা ও কিনে আনেন তারা। এ মেলার প্রধান আকর্ষণ হলো বিভিন্ন ধরনের কাঠের আসবাবপত্র, মিষ্টি ফলমূল, নানা জাতের বড় মাছ, কুটির শিল্পসামগ্রী, মহিষ ও খাসির মাংস এবং রকমারি মসলা। প্রতিবছর মেলায় আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় বিশেষ পুলিশি টহলের ব্যবস্থা করে প্রশাসন। এ প্রসঙ্গে শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বলেন, ‘মেলায় কোনো অশ্লীল যাত্রা, জুয়া বা বিচিত্রা অনুষ্ঠান চলবে না। যেহেতু মেলাতে বিপুলসংখ্যক মানুষের উপস্থিতি ঘটে, তাই সেখানকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।’

নারায়ণগঞ্জে পুরনো দ্বন্দ্বের জেরে কিশোর খুন, গ্রেপ্তার ৪

ছবি

বেতাগী কালীবাড়িতে মধ্যরাতের জমজমাট কলার হাট

লালমোহনে প্রাকৃতিক উপায়ে লালিত হচ্ছে কোরবানির গরু

৭৪ হাজার গ্রাহক বিদ্যুৎ পায় ৮ মেগাওয়াট, ভোগান্তি চরমে

তালতলীতে লবণাক্ত জমিতে সবজি চাষ করে স্বাবলম্বী দুই শতাধিক চাষি

সৈকতে ভেসে আসা ডলফিন সমুদ্রে অবমুক্ত

ছবি

চরফ্যাশনে সাড়ে ২২ হাজার চাহিদার বিপরীতে প্রস্তুত ২৫ হাজার কোরবানির পশু

ছবি

দামুড়হুদার হাট-বাজার রসাল তাল শাঁসে সয়লাব

ছবি

কৃষকদের জিএপি সার্টিফিকেশন প্রশিক্ষণ

বাগেরহাটে এনসিপির কমিটি না করেই চলে গেলেন কেন্দ্রীয় যুগ্ম মুখ্য সংগঠক

আত্রাইয়ে দুই আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেপ্তার

ব্যবসায়ীর ঘরে চুরি, টাকা-স্বর্ণালংকার লুট

রেলওয়ে কারখানায় ঈদযাত্রায় মেরামত হচ্ছে ১৪০ কোচ, হস্তান্তর ১০০ কোচ

৭ হাজার ইয়াবাসহ ৩ যুবক আটক

বিদেশি পিস্তল ও গুলিসহ হত্যামামলার প্রধান আসামি গ্রেপ্তার

ফুলবাড়ী সীমান্তে ভারতে আটক ২৪ বাংলাদেশিকে বিজিবির কাছে হস্তান্তর

নিখোঁজের ১০ দিন পর গলিত মরদেহ উদ্ধার

বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে দিনমজুরের মৃত্যু

ছবি

দমদম গ্রামীণ সড়কে চরম দুর্ভোগে হাজারো মানুষ

টুঙ্গিপাড়ায় ২৭ মামলার দুই আসামি গ্রেপ্তার

ছবি

শখের বসে করা মিশ্র ফল চাষ ও নার্সারি এখন আয়ের উৎস

বন্ধ হয়নি দলিল লেখক সমিতির চাঁদাবাজি, বছরে কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ

ভৈরবে ট্রাকচাপায় নিহত ২, আহত ১০

ছবি

রূপগঞ্জে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুতের দাবিতে মানববন্ধন

ভূরুঙ্গামারীতে হাসপাতালে পাওয়া গেল অজ্ঞাত শিশুর অভিভাবক

ছবি

ভৈরবে মার্কেটে ভয়াবহ আগুন ৪০ দোকান পুড়ে ছাই

কটিয়াদীতে ভিজিএফের চাল বিতরণ

অপহরণের ১২ দিনেও উদ্ধার হয়নি স্কুলছাত্রী

ছবি

খোলা মাঠে চলছে পাঠদান দেড় বছরের ভবন নির্মাণের কাজ শেষ হয়নি ৫ বছরেও

ছবি

তাঁতের লুঙ্গি-গামছা দেশের গণ্ডি পেরিয়ে যাচ্ছে বিদেশে

শ্রীমঙ্গল সরকারি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে শিক্ষক-সংকটে পাঠদান ব্যাহত

চট্টগ্রাম বন্দর ইজারা ও মানবিক করিডর দেয়া সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে চাঁদপুরে প্রতিবাদ সভা

ছবি

মোরেলগঞ্জে সংস্কারের ২ বছরের মাথায় কাঠের পুল ভেঙে খালে

হবিগঞ্জে নিখোঁজের ১০ দিন পর এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার

ছবি

দুমকির জনগুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটি বেহাল

পল্লী চিকিৎসকের ছুরিকাঘাতে কিশোরের মৃত্যু

tab

সারাদেশ

শেরপুরে ঐতিহ্যবাহী ‘জামাইবরণ’ কেল্লাপোশীর মেলা শুরু

প্রতিনিধি, শেরপুর (বগুড়া)

শনিবার, ২৪ মে ২০২৫

কেউ বলে ‘কেল্লাপোশী’ মেলা, আবার কেউ বলে ‘জামাইবরণ’ মেলা। যে যেই নামেই ডাকুক, সবাই এই বিষয়ে একমত যে, এই মেলাই ‘মেলার রাজা’। বলবে না কেন, স্থানীয় ও আশপাশের মানুষ তো বটেই, বহু দূর থেকেও অনেকে ছুটে আসেন এই মেলায়। এই মেলা নিয়ে স্থানীয় পর্যায়ে প্রচলিত আছে হাজারটা গল্প।

‘মেলার রাজা’ খ্যাত এই মেলা শুরু হচ্ছে রোববার থেকে। প্রায় ৫০০ বছর ধরে বগুড়ার শেরপুরে কেল্লাপোশী নামক স্থানে এ মেলা বসছে। মাঝে একটু ছন্দপতন হয়েছিল করোনার কারণে। এবার আবার জমজমাট। এমনিতে প্রতি বছর জ্যৈষ্ঠ মাসের দ্বিতীয় রোববার এ মেলা বসে। চলে টানা তিন দিন। কিন্তু এর ব্যাপ্তি এতটাই যে, এর আয়োজন চলতে থাকে সপ্তাহের বেশি সময় ধরে। আর মানুষের মধ্যে মেলা-মেলা ভাবটির উদয় হয় তারও আগে। জ্যৈষ্ঠের আগমনধ্বনী থেকেই এর জন্য অপেক্ষার শুরু।

কথিত আছে ১৫৫৬ সাল থেকে কেল্লাপোশীতে এ মেলা হয়ে আসছে। এর সঙ্গে বাংলা সাহিত্যের কিংবদন্তি গাজী পীরের কিচ্ছার ঐতিহ্য জড়িত। ‘গাজী পীর’ ঐতিহাসিকভাবে প্রমাণিত না হলেও বাংলার পুথি ও পটে রয়েছে এর সরব উপস্থিতি। বিচিত্র সব বর্ণনা পাওয়া যায় সেখানে। গাজী পির নিয়ে স্থানীয় কিচ্ছা অনুযায়ী, বৈরাগনগরের বাদশা সেকেন্দারের ছেলে ছিলেন গাজী মিয়া। আর কালু মিয়া ছিলেন তাঁর দত্তক পুত্র। গাজী মিয়া দেখতে খুবই সুদর্শন ছিলেন। তাঁরা দুই ভাই রাজ্যের মায়া ত্যাগ করে ফকির-সন্ন্যাসীর বেশ ধারণ করে ঘুরতে ঘুরতে ব্রাহ্মণনগরে আসেন। ব্রাহ্মণ রাজা মুকুটের ছিল সাত পুত্র ও এক কন্যা চম্পাবতী। বাংলা সাহিত্যে যা ‘সাত ভাই চম্পা’ নামে পরিচিত। চম্পাবতী গাজীকে দেখে মুগ্ধ হয়ে প্রণয়ে জড়িয়ে পড়েন। কালু মিয়া বিষয়টি জানতে পেরে গাজীর বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে মুকুট রাজার কাছে যান। মুকুট রাজা ছিলেন যবনদ্বেষী ব্রাহ্মণ। কালু ঘটক হিসেবে রাজা মুকুট রায়ের দরবারে গিয়ে গাজীর সঙ্গে চম্পাবতীর বিয়ের কথা উত্থাপন করলে কালু বন্দী হন। ফলে গাজীর সঙ্গে যুদ্ধ বাধে মুকুট রাজার। মুকুট রাজার কাছ থেকে ভাই কালু মিয়াকে উদ্ধারের জন্য গাজী মিয়া কেল্লাপোশী নামক স্থানে একটি দুর্গ নির্মাণ করেন। যুদ্ধে রাজা মুকুটের পরাজয় ঘটে। গাজী ও চম্পাবতী পরিণয়ে আবদ্ধ হন। কথিত আছে, গাজী ও চম্পাবতীর এই পরিণয় হয়েছিল জ্যৈষ্ঠের দ্বিতীয় রোববার। ওই সময় গাজীর বিয়ে উপলক্ষে কেল্লাপোশী দুর্গে নিশান উড়িয়ে তিন দিনব্যাপী আনন্দ উৎসব চলে এবং সেখানে মাজার গড়ে তোলা হয়। তখন থেকেই চলে আসছে এ মেলা। এই মেলা নিয়ে স্থানীয় পর্যায়ে থাকে নানা আয়োজন। এরই একটি হচ্ছে মাদার খেলা। মেলা শুরুর সপ্তাহখানেক আগ থেকে গ্রামে গ্রামে চলে এই মাদার খেলা। একটি বড় বাঁশকে লাল কাপড়ে মুড়িয়ে ও নানা রঙে সাজিয়ে সেটির বিভিন্ন স্থানে চুল লাগিয়ে ১৫-২০ জনের একটি দল বেরিয়ে পড়ে। ঢাক-ঢোল, গান-বাজনার নানা সরঞ্জাম আর লাঠি নিয়ে তারা গ্রামগঞ্জ থেকে শুরু করে শহরের পাড়া-মহল্লাতেও খেলা দেখায়। মেলা শুরুর আগপর্যন্ত চলে ওই মাদার খেলা। জ্যৈষ্ঠের দ্বিতীয় রোববার দলটি মেলা এলাকায় থাকা মাজার প্রাঙ্গণে গিয়ে এ খেলা শেষ করে। মেলায় সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলে কেনাকাটার ধুম। বহু দূর থেকে আগত বিক্রেতারা এখানে দোকান সাজিয়ে বসেন। এ মেলাকে ঘিরে আশপাশের গ্রামগুলোতে শুরু হয়েছে রকমারি আয়োজন। নতুন-পুরোনো বলে কথা নেই। মেলা উপলক্ষে সবাই নিজ নিজ আত্মীয়স্বজনকে দাওয়াত করে বাড়িতে আনেন। বিশেষ করে নতুন জামাই-বউকে নিয়ে সবাই আনন্দে মেতে ওঠেন। শ্বশুরবাড়ির পক্ষ থেকে জামাইবাবুকে মোটা অঙ্কের সেলামিও দেওয়া হয়। সেই সেলামি আর নিজের গচ্ছিত টাকা দিয়ে জামাইবাবুরা মেলা থেকে খাসি কিনে শ্বশুরবাড়িতে আনেন। এমনকি বড় বড় মাটির পাতিল ভর্তি করে মিষ্টান্ন, বড় মাছ, মহিষের মাংস, রকমারি খেলনা ও কিনে আনেন তারা। এ মেলার প্রধান আকর্ষণ হলো বিভিন্ন ধরনের কাঠের আসবাবপত্র, মিষ্টি ফলমূল, নানা জাতের বড় মাছ, কুটির শিল্পসামগ্রী, মহিষ ও খাসির মাংস এবং রকমারি মসলা। প্রতিবছর মেলায় আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় বিশেষ পুলিশি টহলের ব্যবস্থা করে প্রশাসন। এ প্রসঙ্গে শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বলেন, ‘মেলায় কোনো অশ্লীল যাত্রা, জুয়া বা বিচিত্রা অনুষ্ঠান চলবে না। যেহেতু মেলাতে বিপুলসংখ্যক মানুষের উপস্থিতি ঘটে, তাই সেখানকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।’

back to top