alt

সারাদেশ

তালতলীতে লবণাক্ত জমিতে সবজি চাষ করে স্বাবলম্বী দুই শতাধিক চাষি

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক, বরগুনা : শনিবার, ২৪ মে ২০২৫

লবণাক্ত জমিতে সবজি চাষ করে ভাগ্য ফিরেছে বরগুনার তালতলী উপজেলার সওদাগর পাড়া নামক একটি গ্রামের প্রায় দুই শতাধিক চাষির। এক যুগ পূর্বেও লবণাক্ততার কারণে ধান চাষ করতে না পেরে ফেলে রাখা জমিতে বছরজুড়ে এখন বিভিন্ন ধরনের সবজি ফলাচ্ছেন তারা। এতে প্রতি বছর শুধু তালতলীর ওই একটি গ্রাম থেকে প্রায় ৭ কোটি টাকার উৎপাদিত বিভিন্ন সবজি বিক্রি হয় দেশের বিভিন্ন এলাকায়। বাণিজ্যিকভিত্তিতে এমন সবজি চাষে কৃষকের ভাগ্য পরিবর্তন হওয়ায় বর্তমানে ওই গ্রামটি পরিচিতি পেয়েছে ‘সবজি গ্রাম’ নামে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এক সময় তালতলী উপজেলার বড়বগী ইউনিয়নের সওদাগর পাড়া গ্রামের চাষিরা শুধু ধান চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। তবে জমিতে অধিক পরিমাণ লবণ থাকায় ধানের উৎপাদন ভালো না হওয়ায় লোকসানের মুখে পড়তে হতো এ এলাকার অধিকাংশ চাষিদের। ফলে জীবিকার তাগিদ ও আর্থিক স্বচ্ছলতা ফেরাতে বিকল্প উপায় খুঁজতে শুরু করেন তারা। পরবর্তী সময়ে প্রায় এক যুগ আগে শাহাদাত মাতুব্বর নামে এক স্থানীয় চাষি তার জমিতে বিশেষ পরিচর্যায় বিভিন্ন সবজির চাষ শুরু করেন। পরে বিকল্প হিসেবে সবজি চাষে শাহাদাতের সফলতা দেখে আস্তে আস্তে গ্রামের অধিকাংশ চাষিরাই সবজি চাষ করতে থাকেন। বর্তমানে গ্রামটির সাড়ে ৬০০ হেক্টরেরও বেশি জমিতে বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ করেন স্থানীয় চাষিরা। এতে একদিকে চাষিদের অর্থনৈতিক জীবন মানের উন্নয়ন ঘটেছে। অপরদিকে এলাকার বেকার থাকা অনেকেরই জীবিকা নির্বাহের জন্য কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়েছে।

সরেজমিনে তালতলীর সওদাগার পাড়ার সবজি গ্রাম ঘুরে দেখা যায়, বর্তমানে শীত মৌসুমে চাষিদের বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে রয়েছে শিম গাছ। বেড কেটে মাটি উঁচু করে মাচা পদ্ধতিতে বিশেষ পরিচর্যায় লাগানো প্রতিটি গাছেই ঝুলছে প্রচুর পরিমাণ ফুল ও শিম। চাষিদের পাশাপাশি এলাকার অনেক বেকার নারী-পুরুষ দৈনিক পারিশ্রমিকের ভিত্তিতে খেত থেকে শিম তোলার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। প্রতিদিন শিম তোলার পর বস্তায় ভরে স্থানীয় পাইকারদের মাধ্যমে তা বিক্রির উদ্দেশ্যে পৌঁছে যায় বরগুনাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায়।

পরিবারের ভরণপোষণের ব্যয় মেটাতে এক সময় হিমসিম খেতেন মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন নামে স্থানীয় এক চাষী। তিনি বলেন, সে আগে নদীতে মাছ ধরার কাজ করতেন। এলাকায় বিভিন্ন চাষীদের সফলতা দেখে প্রথমে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা দিয়ে একটি জমি বায়না করেন। পরে আরও ২ লাখ টাকা খরচ করে মাটি কেটে সবজি চাষ শুরু করেন তিনি। বর্তমানে সবজি চাষে সে লাভের টাকায় কয়েকটি গরু কিনেছেন, জায়গা জমি কিনেছেন এবং ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়া করাচ্ছেন।

গ্রামের আরেক সবজি চাষি মো. আব্দুল মান্নান ফকির বলেন, তাদের এলাকায় প্রথমে তিনজন চাষি সবজি চাষ শুরু করেন। তাদের সফলতা দেখে পার্শ্ববর্তী গ্রামের অনেকেই সবজি চাষে যুক্ত হয়। এ বছর তার একটি সবজি ক্ষেত থেকে প্রায় ৭ লাখ টাকার বিভিন্ন সবজি বিক্রি হবে।

দশ বছর ধরে স্বামীর সঙ্গে সবজি চাষে সমানভাবে কাজ করছেন নুরজাহান বেগম। তিনি বলেন, আগে ধান চাষ করতে তারা। তবে ধান চাষে আমাদের তেমন কোনো লাভ হয়নি। গ্রামের একজনকে আমরা সবজি চাষ করতে দেখে আগ্রহী হয়ে ৫০ হাজার টাকায় জমি ক্রয় করে সবজি চাষ শুরু করেন। এ বছর এক মৌসুমে আমাদের সবজি ক্ষেত থেকে প্রায় তিন লাখ টাকার করলা ও শসা বিক্রি করেছেন তারা। এখন ক্ষেতে শিম গাছ রয়েছে, প্রতিদিন বিকেলে পাইকাররা তোলা শিম দেশের বিভিন্ন এলাকায় নিয়ে গিয়ে বিক্রি করেন।

সওদাগর পাড়া গ্রামের চাষিদের ভাগ্য পরিবর্তনের পথপ্রদর্শক কৃষি উদ্দোক্তা শাহাদাত মাতুব্বর বলেন, তাদের গ্রামে বর্তমানে প্রায় ২২০ জন কমার্শিয়াল সবজি চাষি রয়েছেন। এছাড়া তাদের অধীনে প্রতিদিন দুই থেকে তিনজন লোক বিভিন্ন সবজি খেতে কাজ করেন। এলাকায় এখন প্রায় ৬৫০ হেক্টর জমিতে শিম গাছ রয়েছে। আর এ শিম তোলার কাজে স্থানীয় লোকজন ছাড়াও পার্শ্ববর্তী ইউনিয়নের মা-বোনসহ অনেক বেকার তরুণরা কাজ করছেন। দৈনিক ৩০০ টাকা বেতনসহ তাদের খাওয়ার ব্যবস্থাও করা হচ্ছে। বছরে দুইটি মৌসুমে আমাদের এই একটি গ্রাম থেকে বরগুনাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় প্রায় ৬ থেকে ৭ কোটি টাকার বিভিন্ন ধরনের সবজি বিক্রি করা হয়।

বরগুনা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক (উদ্যান) কৃষিবিদ সি.এম রেজাউল করিম বলেন, তালতলী উপজেলার সওদাগর পাড়া নামক গ্রামটি এখন সবজি গ্রামে পরিণত হয়েছে। ওই গ্রামের জমি লবণাক্ত থাকায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পরামর্শে মাটি কেটে উঁচু করে সবজি চাষ শুরু করেন চাষিরা। বর্তমানে তালতলীর ওই একটি গ্রাম থেকে দেশের বিভিন্ন এলাকায় বছরে কয়েক কোটি টাকার সবজি সরবরাহ করা হয়। তাদের সফলতা দেখে পার্শ্ববর্তী এলাকাসহ বরগুনার বিভিন্ন এলাকার চাষিরা এখন সবজি চাষে আগ্রহী হচ্ছেন।

নারায়ণগঞ্জে পুরনো দ্বন্দ্বের জেরে কিশোর খুন, গ্রেপ্তার ৪

ছবি

বেতাগী কালীবাড়িতে মধ্যরাতের জমজমাট কলার হাট

লালমোহনে প্রাকৃতিক উপায়ে লালিত হচ্ছে কোরবানির গরু

৭৪ হাজার গ্রাহক বিদ্যুৎ পায় ৮ মেগাওয়াট, ভোগান্তি চরমে

সৈকতে ভেসে আসা ডলফিন সমুদ্রে অবমুক্ত

শেরপুরে ঐতিহ্যবাহী ‘জামাইবরণ’ কেল্লাপোশীর মেলা শুরু

ছবি

চরফ্যাশনে সাড়ে ২২ হাজার চাহিদার বিপরীতে প্রস্তুত ২৫ হাজার কোরবানির পশু

ছবি

দামুড়হুদার হাট-বাজার রসাল তাল শাঁসে সয়লাব

ছবি

কৃষকদের জিএপি সার্টিফিকেশন প্রশিক্ষণ

বাগেরহাটে এনসিপির কমিটি না করেই চলে গেলেন কেন্দ্রীয় যুগ্ম মুখ্য সংগঠক

আত্রাইয়ে দুই আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেপ্তার

ব্যবসায়ীর ঘরে চুরি, টাকা-স্বর্ণালংকার লুট

রেলওয়ে কারখানায় ঈদযাত্রায় মেরামত হচ্ছে ১৪০ কোচ, হস্তান্তর ১০০ কোচ

৭ হাজার ইয়াবাসহ ৩ যুবক আটক

বিদেশি পিস্তল ও গুলিসহ হত্যামামলার প্রধান আসামি গ্রেপ্তার

ফুলবাড়ী সীমান্তে ভারতে আটক ২৪ বাংলাদেশিকে বিজিবির কাছে হস্তান্তর

নিখোঁজের ১০ দিন পর গলিত মরদেহ উদ্ধার

বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে দিনমজুরের মৃত্যু

ছবি

দমদম গ্রামীণ সড়কে চরম দুর্ভোগে হাজারো মানুষ

টুঙ্গিপাড়ায় ২৭ মামলার দুই আসামি গ্রেপ্তার

ছবি

শখের বসে করা মিশ্র ফল চাষ ও নার্সারি এখন আয়ের উৎস

বন্ধ হয়নি দলিল লেখক সমিতির চাঁদাবাজি, বছরে কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ

ভৈরবে ট্রাকচাপায় নিহত ২, আহত ১০

ছবি

রূপগঞ্জে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুতের দাবিতে মানববন্ধন

ভূরুঙ্গামারীতে হাসপাতালে পাওয়া গেল অজ্ঞাত শিশুর অভিভাবক

ছবি

ভৈরবে মার্কেটে ভয়াবহ আগুন ৪০ দোকান পুড়ে ছাই

কটিয়াদীতে ভিজিএফের চাল বিতরণ

অপহরণের ১২ দিনেও উদ্ধার হয়নি স্কুলছাত্রী

ছবি

খোলা মাঠে চলছে পাঠদান দেড় বছরের ভবন নির্মাণের কাজ শেষ হয়নি ৫ বছরেও

ছবি

তাঁতের লুঙ্গি-গামছা দেশের গণ্ডি পেরিয়ে যাচ্ছে বিদেশে

শ্রীমঙ্গল সরকারি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে শিক্ষক-সংকটে পাঠদান ব্যাহত

চট্টগ্রাম বন্দর ইজারা ও মানবিক করিডর দেয়া সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে চাঁদপুরে প্রতিবাদ সভা

ছবি

মোরেলগঞ্জে সংস্কারের ২ বছরের মাথায় কাঠের পুল ভেঙে খালে

হবিগঞ্জে নিখোঁজের ১০ দিন পর এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার

ছবি

দুমকির জনগুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটি বেহাল

পল্লী চিকিৎসকের ছুরিকাঘাতে কিশোরের মৃত্যু

tab

সারাদেশ

তালতলীতে লবণাক্ত জমিতে সবজি চাষ করে স্বাবলম্বী দুই শতাধিক চাষি

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক, বরগুনা

শনিবার, ২৪ মে ২০২৫

লবণাক্ত জমিতে সবজি চাষ করে ভাগ্য ফিরেছে বরগুনার তালতলী উপজেলার সওদাগর পাড়া নামক একটি গ্রামের প্রায় দুই শতাধিক চাষির। এক যুগ পূর্বেও লবণাক্ততার কারণে ধান চাষ করতে না পেরে ফেলে রাখা জমিতে বছরজুড়ে এখন বিভিন্ন ধরনের সবজি ফলাচ্ছেন তারা। এতে প্রতি বছর শুধু তালতলীর ওই একটি গ্রাম থেকে প্রায় ৭ কোটি টাকার উৎপাদিত বিভিন্ন সবজি বিক্রি হয় দেশের বিভিন্ন এলাকায়। বাণিজ্যিকভিত্তিতে এমন সবজি চাষে কৃষকের ভাগ্য পরিবর্তন হওয়ায় বর্তমানে ওই গ্রামটি পরিচিতি পেয়েছে ‘সবজি গ্রাম’ নামে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এক সময় তালতলী উপজেলার বড়বগী ইউনিয়নের সওদাগর পাড়া গ্রামের চাষিরা শুধু ধান চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। তবে জমিতে অধিক পরিমাণ লবণ থাকায় ধানের উৎপাদন ভালো না হওয়ায় লোকসানের মুখে পড়তে হতো এ এলাকার অধিকাংশ চাষিদের। ফলে জীবিকার তাগিদ ও আর্থিক স্বচ্ছলতা ফেরাতে বিকল্প উপায় খুঁজতে শুরু করেন তারা। পরবর্তী সময়ে প্রায় এক যুগ আগে শাহাদাত মাতুব্বর নামে এক স্থানীয় চাষি তার জমিতে বিশেষ পরিচর্যায় বিভিন্ন সবজির চাষ শুরু করেন। পরে বিকল্প হিসেবে সবজি চাষে শাহাদাতের সফলতা দেখে আস্তে আস্তে গ্রামের অধিকাংশ চাষিরাই সবজি চাষ করতে থাকেন। বর্তমানে গ্রামটির সাড়ে ৬০০ হেক্টরেরও বেশি জমিতে বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ করেন স্থানীয় চাষিরা। এতে একদিকে চাষিদের অর্থনৈতিক জীবন মানের উন্নয়ন ঘটেছে। অপরদিকে এলাকার বেকার থাকা অনেকেরই জীবিকা নির্বাহের জন্য কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়েছে।

সরেজমিনে তালতলীর সওদাগার পাড়ার সবজি গ্রাম ঘুরে দেখা যায়, বর্তমানে শীত মৌসুমে চাষিদের বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে রয়েছে শিম গাছ। বেড কেটে মাটি উঁচু করে মাচা পদ্ধতিতে বিশেষ পরিচর্যায় লাগানো প্রতিটি গাছেই ঝুলছে প্রচুর পরিমাণ ফুল ও শিম। চাষিদের পাশাপাশি এলাকার অনেক বেকার নারী-পুরুষ দৈনিক পারিশ্রমিকের ভিত্তিতে খেত থেকে শিম তোলার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। প্রতিদিন শিম তোলার পর বস্তায় ভরে স্থানীয় পাইকারদের মাধ্যমে তা বিক্রির উদ্দেশ্যে পৌঁছে যায় বরগুনাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায়।

পরিবারের ভরণপোষণের ব্যয় মেটাতে এক সময় হিমসিম খেতেন মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন নামে স্থানীয় এক চাষী। তিনি বলেন, সে আগে নদীতে মাছ ধরার কাজ করতেন। এলাকায় বিভিন্ন চাষীদের সফলতা দেখে প্রথমে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা দিয়ে একটি জমি বায়না করেন। পরে আরও ২ লাখ টাকা খরচ করে মাটি কেটে সবজি চাষ শুরু করেন তিনি। বর্তমানে সবজি চাষে সে লাভের টাকায় কয়েকটি গরু কিনেছেন, জায়গা জমি কিনেছেন এবং ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়া করাচ্ছেন।

গ্রামের আরেক সবজি চাষি মো. আব্দুল মান্নান ফকির বলেন, তাদের এলাকায় প্রথমে তিনজন চাষি সবজি চাষ শুরু করেন। তাদের সফলতা দেখে পার্শ্ববর্তী গ্রামের অনেকেই সবজি চাষে যুক্ত হয়। এ বছর তার একটি সবজি ক্ষেত থেকে প্রায় ৭ লাখ টাকার বিভিন্ন সবজি বিক্রি হবে।

দশ বছর ধরে স্বামীর সঙ্গে সবজি চাষে সমানভাবে কাজ করছেন নুরজাহান বেগম। তিনি বলেন, আগে ধান চাষ করতে তারা। তবে ধান চাষে আমাদের তেমন কোনো লাভ হয়নি। গ্রামের একজনকে আমরা সবজি চাষ করতে দেখে আগ্রহী হয়ে ৫০ হাজার টাকায় জমি ক্রয় করে সবজি চাষ শুরু করেন। এ বছর এক মৌসুমে আমাদের সবজি ক্ষেত থেকে প্রায় তিন লাখ টাকার করলা ও শসা বিক্রি করেছেন তারা। এখন ক্ষেতে শিম গাছ রয়েছে, প্রতিদিন বিকেলে পাইকাররা তোলা শিম দেশের বিভিন্ন এলাকায় নিয়ে গিয়ে বিক্রি করেন।

সওদাগর পাড়া গ্রামের চাষিদের ভাগ্য পরিবর্তনের পথপ্রদর্শক কৃষি উদ্দোক্তা শাহাদাত মাতুব্বর বলেন, তাদের গ্রামে বর্তমানে প্রায় ২২০ জন কমার্শিয়াল সবজি চাষি রয়েছেন। এছাড়া তাদের অধীনে প্রতিদিন দুই থেকে তিনজন লোক বিভিন্ন সবজি খেতে কাজ করেন। এলাকায় এখন প্রায় ৬৫০ হেক্টর জমিতে শিম গাছ রয়েছে। আর এ শিম তোলার কাজে স্থানীয় লোকজন ছাড়াও পার্শ্ববর্তী ইউনিয়নের মা-বোনসহ অনেক বেকার তরুণরা কাজ করছেন। দৈনিক ৩০০ টাকা বেতনসহ তাদের খাওয়ার ব্যবস্থাও করা হচ্ছে। বছরে দুইটি মৌসুমে আমাদের এই একটি গ্রাম থেকে বরগুনাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় প্রায় ৬ থেকে ৭ কোটি টাকার বিভিন্ন ধরনের সবজি বিক্রি করা হয়।

বরগুনা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক (উদ্যান) কৃষিবিদ সি.এম রেজাউল করিম বলেন, তালতলী উপজেলার সওদাগর পাড়া নামক গ্রামটি এখন সবজি গ্রামে পরিণত হয়েছে। ওই গ্রামের জমি লবণাক্ত থাকায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পরামর্শে মাটি কেটে উঁচু করে সবজি চাষ শুরু করেন চাষিরা। বর্তমানে তালতলীর ওই একটি গ্রাম থেকে দেশের বিভিন্ন এলাকায় বছরে কয়েক কোটি টাকার সবজি সরবরাহ করা হয়। তাদের সফলতা দেখে পার্শ্ববর্তী এলাকাসহ বরগুনার বিভিন্ন এলাকার চাষিরা এখন সবজি চাষে আগ্রহী হচ্ছেন।

back to top