ঘনঘন লোডশেডিংয়ের কারণে চরম ভোগান্তির শিকার হয়ে আসছে বকশীগঞ্জ অঞ্চলের ৭৪ হাজার ৭শ পল্লী বিদ্যুৎ গ্রাহক। এ অঞ্চলে গ্রাহকের চাহিদা ২৪ মেঘাওয়াট। গড়ে প্রতিদিন সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ প্রায় ৮ মেঘাওয়াট। কোন কোন দিন মেঘাওয়াটেও নেমে আসে। এ সমস্যা সমাধানে একটি গ্রিড সাবস্টেশন নির্মাণের দাবি করে আসছে প্রায় ৫ লাখ মানুষ। কিন্তু দীর্ঘ দিনেও দাবি পুরণ হয়নি।
জানা যায়, জামালপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির বকশীগঞ্জ উপজেলায় একটি সাপ্লাই সাবস্টেশন কেন্দ্র রয়েছে। সাপ্লাই সাবস্টেমন কেন্দ্রটি শেরপুর জেলার গাজীর খামার গ্রিড সাবস্টেশন কেন্দ্র থেকে নিয়ন্ত্রণ হয়ে থাকে। বকশীগঞ্জ সাপ্লাই সাব-স্টেশন কেন্দ্রের অধীনে মোট আবাসিক বিদ্যুৎ গ্রাহক ৭৩ হাজার। সেচ- গ্রাহক ১ হাজার ৭শ। মোট ৭৪ হাজার ৭শ বিদ্যুৎ গ্রাহকের প্রতিদিন বিদ্যুৎতের চাহিদা কমপক্ষে ২৪ মেঘাওয়াট। কিন্তু চাহিদার বিপরীতে বিদ্যুৎ পাওয়া যায় সর্বোচ্চ ৮ মেঘাওয়াট। এর মধ্যে কোন কোন দিন মেঘাওয়াট পর্যন্ত নেমে আসে। পল্লী বিদ্যুতের দেয় তথ্য মতে প্রতিদিন বিদ্যুৎ ঘাটতি ১৬ মেঘা ওয়াট থেকে ১৮ মেঘাওয়াট। ফলে লোডশেডিং চলে মহোৎসবে। মাতাতিরিক্ত লোডশেডিংয়ের কারণে গ্রাহরা চরম ভোগান্তির শিকার হয়ে আসছে। সেচ ও শিল্প গ্রাহকরা ক্ষয়ক্ষতির শিকার হচ্ছে বেশি। ফলে অনেক ক্ষুদ্র শিল্পপ্রতিষ্ঠান মুখ থুবড়ে পড়েছে।
এব্যাপারে শিল্প বিদ্যুৎ গ্রাহক এমদাদুল হক এমদাদ জানান, চাহিদা মাফিক বিদ্যুৎ পেলে এই এলাকায় আরও ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠার প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে। অনেক উদ্যোক্তা বাড়বে। কিন্তু লোডশেডিংয়ের কারণে মানুষ উৎসাহিত হচ্ছেনা।
এ ব্যাপারে বকশীগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডিজিএম আকবর হোসেন মিয়া জানান, গ্রিড সাবস্টেশন না থাকায় বকশীগঞ্জ অঞ্চলের গ্রাহকরা জাতীয় গ্রীডের সুবিধা থেকে বঞ্চিত। গ্রীড সাবস্টেশন নির্মাণ হলে এ অঞ্চলের গ্রাহকরা জাতীয় গ্রীডের সুবিধা পাবে। লোড লোডশেডিংও কম হবে। কারিগরী সমস্যার কথা তুলে ধরে তিনি জানান, শেরপুর গ্রিড সাবস্টেশন থেকে বকশীগঞ্জ সাপ্লাই সাবস্টেশনের দূরত্ব ৪০ কিলোমিটারÑ যা খুবই ঝুকিঁপূর্ণ। গ্রিড সাবস্টেশন নির্মাণ হলে গ্রাহকদের অনেক সমস্যার সুন্দর সমাধান হবে।
শনিবার, ২৪ মে ২০২৫
ঘনঘন লোডশেডিংয়ের কারণে চরম ভোগান্তির শিকার হয়ে আসছে বকশীগঞ্জ অঞ্চলের ৭৪ হাজার ৭শ পল্লী বিদ্যুৎ গ্রাহক। এ অঞ্চলে গ্রাহকের চাহিদা ২৪ মেঘাওয়াট। গড়ে প্রতিদিন সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ প্রায় ৮ মেঘাওয়াট। কোন কোন দিন মেঘাওয়াটেও নেমে আসে। এ সমস্যা সমাধানে একটি গ্রিড সাবস্টেশন নির্মাণের দাবি করে আসছে প্রায় ৫ লাখ মানুষ। কিন্তু দীর্ঘ দিনেও দাবি পুরণ হয়নি।
জানা যায়, জামালপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির বকশীগঞ্জ উপজেলায় একটি সাপ্লাই সাবস্টেশন কেন্দ্র রয়েছে। সাপ্লাই সাবস্টেমন কেন্দ্রটি শেরপুর জেলার গাজীর খামার গ্রিড সাবস্টেশন কেন্দ্র থেকে নিয়ন্ত্রণ হয়ে থাকে। বকশীগঞ্জ সাপ্লাই সাব-স্টেশন কেন্দ্রের অধীনে মোট আবাসিক বিদ্যুৎ গ্রাহক ৭৩ হাজার। সেচ- গ্রাহক ১ হাজার ৭শ। মোট ৭৪ হাজার ৭শ বিদ্যুৎ গ্রাহকের প্রতিদিন বিদ্যুৎতের চাহিদা কমপক্ষে ২৪ মেঘাওয়াট। কিন্তু চাহিদার বিপরীতে বিদ্যুৎ পাওয়া যায় সর্বোচ্চ ৮ মেঘাওয়াট। এর মধ্যে কোন কোন দিন মেঘাওয়াট পর্যন্ত নেমে আসে। পল্লী বিদ্যুতের দেয় তথ্য মতে প্রতিদিন বিদ্যুৎ ঘাটতি ১৬ মেঘা ওয়াট থেকে ১৮ মেঘাওয়াট। ফলে লোডশেডিং চলে মহোৎসবে। মাতাতিরিক্ত লোডশেডিংয়ের কারণে গ্রাহরা চরম ভোগান্তির শিকার হয়ে আসছে। সেচ ও শিল্প গ্রাহকরা ক্ষয়ক্ষতির শিকার হচ্ছে বেশি। ফলে অনেক ক্ষুদ্র শিল্পপ্রতিষ্ঠান মুখ থুবড়ে পড়েছে।
এব্যাপারে শিল্প বিদ্যুৎ গ্রাহক এমদাদুল হক এমদাদ জানান, চাহিদা মাফিক বিদ্যুৎ পেলে এই এলাকায় আরও ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠার প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে। অনেক উদ্যোক্তা বাড়বে। কিন্তু লোডশেডিংয়ের কারণে মানুষ উৎসাহিত হচ্ছেনা।
এ ব্যাপারে বকশীগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডিজিএম আকবর হোসেন মিয়া জানান, গ্রিড সাবস্টেশন না থাকায় বকশীগঞ্জ অঞ্চলের গ্রাহকরা জাতীয় গ্রীডের সুবিধা থেকে বঞ্চিত। গ্রীড সাবস্টেশন নির্মাণ হলে এ অঞ্চলের গ্রাহকরা জাতীয় গ্রীডের সুবিধা পাবে। লোড লোডশেডিংও কম হবে। কারিগরী সমস্যার কথা তুলে ধরে তিনি জানান, শেরপুর গ্রিড সাবস্টেশন থেকে বকশীগঞ্জ সাপ্লাই সাবস্টেশনের দূরত্ব ৪০ কিলোমিটারÑ যা খুবই ঝুকিঁপূর্ণ। গ্রিড সাবস্টেশন নির্মাণ হলে গ্রাহকদের অনেক সমস্যার সুন্দর সমাধান হবে।