alt

সারাদেশ

পলাশে ডাংগার জমিদার লক্ষণ সাহার বাড়ি এখন কালের সাক্ষী

প্রতিনিধি, পলাশ (নরসিংদী) : রোববার, ২৫ মে ২০২৫

পলাশ (নরসিংদী) : ডাংগার জমিদার বাড়ি -সংবাদ

পলাশ উপজেলার ডাঙ্গা ইউনিয়নের জয়নগর এলাকায় অবস্থিত শত বছরের পুরোনো জমিদার বাড়িটি আজ ও কালেরস্বাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। নিপুণ কারুকাজ বেষ্টিত বাড়িটি নির্মাণ করেন মোঘল আমলের লক্ষণ সাহা নামে এক জমিদার। পূর্ণাঙ্গ শৈল্পিক ২৪ কক্ষ বিশিষ্ট এই জমিদার বাড়িটির পাশেই রয়েছে ছোট্ট আরেকটি কারুকার্য খচিত মন্দির, রয়েছে একটি অর্ধনির্মিত প্রাচীন বাড়ি। বাড়ির পেছনে রয়েছে গাছগাছালিযুক্ত বাগান। বাড়িসহ বাগানের চারিদিকটা উঁচু প্রাচীর দ্বারা বেষ্টিত। রয়েছে সেই সময়ই তৈরি করা জমিদার বাড়ির সুন্দর একটি পুকুর আর সান বাঁধানো ঘাট। পুকুরের পাশে পূজা করার জন্যে রয়েছে একটি বড় আকারের মঠ। পূজার জন্য মঠ ছিল ৪টি এর মধ্যে ৩টি ভেঙে যায়। বিকেল আকৃতির এই জমিদার বাড়িটির বর্তমান মালিকানায় রয়েছে আহম্মদ আলী নামে এক উকিল যার কারণে এই বাড়িটি উকিলের বাড়ি নামে পরিচিত। প্রাচীন স্থাপত্য দৃষ্টিনন্দন জমিদার বাড়িটি দেখতে প্রতিদিনই অসংখ্য নরনারী আসে।

স্বাধীনতার পর জমিদার লক্ষণ সাহার নাতি বৌদ্ধ নারাছু সাহা জমিদারের রেখে যাওয়া সমস্ত সম্পত্তি আহম্মদ আলীর কাছে বিক্রি করে নারায়নগঞ্জে চলে যায়। আহম্মদ আলী স্ত্রীর নাম অনুসারে বাড়িটির নামকরণ করেন জামিনামহল। মূলত আহম্মদ আলী সাহেব উকালতি পেশার সঙ্গে সংযুক্ত ছিলেন বিধায় বর্তমানে এই জমিদার বাড়িটি উকিলের বাড়ি হিসেবেই বেশি পরিচিত। আলি আকবর নামে স্থানীয় এক প্রবীণ জানান, তৎকালীন ভারতবর্ষে এই এলাকাটি ছিল দেবোত্তর হিসেবে। মূলত দেবোত্তর বলতে বুঝায় ওয়াকফ জমি। ওই সময়ে দেবোত্তর জমি হলে জামিদারকে খাজনা দেয়া লাগতোনা। জমিদার লক্ষণ সাহার ছিল তিন ছেলে। নিকুঞ্জ সাহা, পেরিমোহন সাহা ও বঙ্কু সাহা। জমিদার মারা যাওয়ার পর তারা তিন ভাই এই সম্পত্তি দেখভালো করতেন। বঙ্কু সাহা ভারত ভাগের সময় এখান থেকে ভারতে চলে যান। পরবর্তিতে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় হওয়ার কিছু পূর্বে নিকুঞ্জ সাহাও ভারতে চলে য়ায়। এক পর্যায়ে জমিদারের ছোট ছেলে পেরিমোহন সাহা এই সম্পত্তির দেখভাল করেন। পেরিমোহন সাহার বৌদ্ধ নারায়ন সাহা নামে এক ছেলে ছিল। পেরিমোহন সাহা মারা যাওয়ার পর বৌদ্ধ নারায়ল এই ওয়াকফ সম্পত্তিটি বিক্রি করে ফেলেন। ডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদ সূত্র জানা যায়, প্রাচীণ এই জমিদার বাড়িটি ডাঙ্গা ইউনিয়নের ঐতিহ্য। এটি সংরক্ষণ ও দর্শনীয় স্থান হিসাবে প্রস্তুত করার জন্য প্রশাসনের দৃষ্টি কামনা করেছেন এলাকাবাসী।

যশোরে ইজিবাইক চালককে হত্যা

মুন্সীগঞ্জে নিখোঁজের দু’দিন পর এক শিশুর লাশ উদ্ধার

ছবি

“পুঁজিবাজার ডাকাতদের আড্ডা হয়ে গেছে”—প্রেস সচিব শফিকুল আলম

পেট্রোল পাম্প মালিকদের ধর্মঘট

উদীচীর রাজবাড়ী জেলা সংসদের কার্যালয় তছনছ

টঙ্গীবাড়ীতে শিশু হত্যা, আসামি গ্রেপ্তার

পূর্বধলার সড়কে স্বামী-স্ত্রী নিহত, আহত ২

পূর্বধলার সড়কে স্বামী-স্ত্রী নিহত, আহত ২

বড়লেখার সীমান্ত দিয়ে ১২১ জন বাংলাদেশিকে পুশ ইন

ছবি

সিংগাইরে অন্যের জমি দখল করে বিএনপি নেতার রেস্টুরেন্ট নির্মাণ

ঈদে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে চলবে ১৭ ফেরি ও ২০ লঞ্চ

মেহেরপুর সীমান্তে ১৯ জনকে বাংলাদেশে ঠেলে দিয়েছে বিএসএফ

কার্পাসডাঙ্গায় জাতীয় কবির জন্মবার্ষিকী

চরফ্যাশনে কৃষকের জমি দখল নিয়ে সংঘর্ষ, আহত ৫০

ছবি

বেগমগঞ্জে দখল-দূষণে অস্তিত্ব সংকটে শতবর্ষী কাজীনগর খাল

বাউফলে ইউএনওর অপসারণ দাবিতে সাংবাদিকদের মানববন্ধন

এলজিইডির আরবান ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্ট ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রজেক্ট একনেক বৈঠকে অনুমোদিত

ছবি

বিষখালীর ভাঙনে বিলীনের পথে রামনা লঞ্চঘাট

লালমনিরহাটে বাইকের ধাক্কায় গৃহবধূর মৃত্যু

টাঙ্গাইলে বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে সরকারি জায়গা দখলের অভিযোগ

ছবি

ডিন’স অ্যাওয়ার্ড পেলেন ইবির ৩৫ শিক্ষার্থী

করিমগঞ্জে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু

বিএসএফের গুলিতে দুই বাংলাদেশি আহত

ছবি

শাহজাদপুরে ৩০ মণ ওজনের ‘জাম্বু’ নজর কাড়ছে ক্রেতাদের

মহেশপুরে উন্মুক্ত বাজেট ঘোষণা

রাউজানে ২ আ’লীগ নেতা গ্রেপ্তার

লাইসেন্স দেয়ার নামে টিটিসির বিরুদ্ধে ঘুষ-বাণিজ্যের অভিযোগ

রাউজানে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার

ছবি

বীরগঞ্জে ঢেপা নদীর ভাঙন দুশ্চিন্তায় পাড়ের মানুষ

ছবি

আক্কেলপুরে বোরো ধানের বাম্পার ফলন

খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় অবৈধ সিগারেটসহ দুই ভাই আটক

দেবিদ্বারে হত্যা মামলায় ছাত্রলীগ নেতা ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাসহ গ্রেপ্তার ৩

ছবি

দেশের একমাত্র লোকোমোটিভ কারখানায় উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়েছে

মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তির ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার 

ফুলবাড়ীতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে প্রবাসীর স্ত্রীর মৃত্যু

ইউপি সদস্য ও যুবলীগ নেতাসহ গ্রেপ্তার ২

tab

সারাদেশ

পলাশে ডাংগার জমিদার লক্ষণ সাহার বাড়ি এখন কালের সাক্ষী

প্রতিনিধি, পলাশ (নরসিংদী)

পলাশ (নরসিংদী) : ডাংগার জমিদার বাড়ি -সংবাদ

রোববার, ২৫ মে ২০২৫

পলাশ উপজেলার ডাঙ্গা ইউনিয়নের জয়নগর এলাকায় অবস্থিত শত বছরের পুরোনো জমিদার বাড়িটি আজ ও কালেরস্বাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। নিপুণ কারুকাজ বেষ্টিত বাড়িটি নির্মাণ করেন মোঘল আমলের লক্ষণ সাহা নামে এক জমিদার। পূর্ণাঙ্গ শৈল্পিক ২৪ কক্ষ বিশিষ্ট এই জমিদার বাড়িটির পাশেই রয়েছে ছোট্ট আরেকটি কারুকার্য খচিত মন্দির, রয়েছে একটি অর্ধনির্মিত প্রাচীন বাড়ি। বাড়ির পেছনে রয়েছে গাছগাছালিযুক্ত বাগান। বাড়িসহ বাগানের চারিদিকটা উঁচু প্রাচীর দ্বারা বেষ্টিত। রয়েছে সেই সময়ই তৈরি করা জমিদার বাড়ির সুন্দর একটি পুকুর আর সান বাঁধানো ঘাট। পুকুরের পাশে পূজা করার জন্যে রয়েছে একটি বড় আকারের মঠ। পূজার জন্য মঠ ছিল ৪টি এর মধ্যে ৩টি ভেঙে যায়। বিকেল আকৃতির এই জমিদার বাড়িটির বর্তমান মালিকানায় রয়েছে আহম্মদ আলী নামে এক উকিল যার কারণে এই বাড়িটি উকিলের বাড়ি নামে পরিচিত। প্রাচীন স্থাপত্য দৃষ্টিনন্দন জমিদার বাড়িটি দেখতে প্রতিদিনই অসংখ্য নরনারী আসে।

স্বাধীনতার পর জমিদার লক্ষণ সাহার নাতি বৌদ্ধ নারাছু সাহা জমিদারের রেখে যাওয়া সমস্ত সম্পত্তি আহম্মদ আলীর কাছে বিক্রি করে নারায়নগঞ্জে চলে যায়। আহম্মদ আলী স্ত্রীর নাম অনুসারে বাড়িটির নামকরণ করেন জামিনামহল। মূলত আহম্মদ আলী সাহেব উকালতি পেশার সঙ্গে সংযুক্ত ছিলেন বিধায় বর্তমানে এই জমিদার বাড়িটি উকিলের বাড়ি হিসেবেই বেশি পরিচিত। আলি আকবর নামে স্থানীয় এক প্রবীণ জানান, তৎকালীন ভারতবর্ষে এই এলাকাটি ছিল দেবোত্তর হিসেবে। মূলত দেবোত্তর বলতে বুঝায় ওয়াকফ জমি। ওই সময়ে দেবোত্তর জমি হলে জামিদারকে খাজনা দেয়া লাগতোনা। জমিদার লক্ষণ সাহার ছিল তিন ছেলে। নিকুঞ্জ সাহা, পেরিমোহন সাহা ও বঙ্কু সাহা। জমিদার মারা যাওয়ার পর তারা তিন ভাই এই সম্পত্তি দেখভালো করতেন। বঙ্কু সাহা ভারত ভাগের সময় এখান থেকে ভারতে চলে যান। পরবর্তিতে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় হওয়ার কিছু পূর্বে নিকুঞ্জ সাহাও ভারতে চলে য়ায়। এক পর্যায়ে জমিদারের ছোট ছেলে পেরিমোহন সাহা এই সম্পত্তির দেখভাল করেন। পেরিমোহন সাহার বৌদ্ধ নারায়ন সাহা নামে এক ছেলে ছিল। পেরিমোহন সাহা মারা যাওয়ার পর বৌদ্ধ নারায়ল এই ওয়াকফ সম্পত্তিটি বিক্রি করে ফেলেন। ডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদ সূত্র জানা যায়, প্রাচীণ এই জমিদার বাড়িটি ডাঙ্গা ইউনিয়নের ঐতিহ্য। এটি সংরক্ষণ ও দর্শনীয় স্থান হিসাবে প্রস্তুত করার জন্য প্রশাসনের দৃষ্টি কামনা করেছেন এলাকাবাসী।

back to top