আক্কেলপুর (জয়পুরহাটর) : বোরো কাটা ও মাড়াইয়ে ব্যস্ত কৃষক -সংবাদ
জয়পুরহাটরের আক্কেলপুরে শুরু হয়েছে ইরি বোরো ধান পুরোদমে কাটা-মাড়াই। ধান কাটা নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটছে কৃষক ও দিনমজুর। কৃষকের ঘরে গোলা ভরতে শুরু করেছে ধানে। পৌরসভাসহ উপজেলার রুকিন্দীপুর, গোপীনাথপুর, সোনামুখী, তিলকপুর, রায়কালী ৫টি ইউনিয়ন ঘুরে দেখা গেছে এ বছর তেমন প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হওয়ায় ও আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বোরোর বাম্পার ফলন হয়েছে। তবে ঝড় ও শিলাবৃষ্টির মাস হওয়ায় কৃষকরা দুশ্চিন্তায় রয়েছেন ধান কর্তন করে ঘরে তোলা নিয়ে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ৮০ ভাগ পেকে গেলে ধান কর্তনের পরামর্শও দিচ্ছে। ধানের বাজারদর ভালো থাকায় এ বছর লাভবান হবেন বলে জানিয়েছেন কৃষকরা।
আক্কেলপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে বোরো ধানের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ১০ হাজার ৪৪০ হেক্টর। অর্জিত হয়েছে ১০ হাজার ৩৪৫ হেক্টর। ইতোমধ্যে ২০৯০ হেক্টর জমির ধান কর্তন করা হয়েছে। প্রকারভেদে প্রতি মণ ধান বিক্রি হয়েছে ১১৫০ থেকে ১৩৩০ টাকা পর্যন্ত।
আক্কেলপুর উপজেলার রুকিন্দীপুর ইউনিয়নের কৃষক বাবলু জানান, তিনি এবার বোরো মৌসুমে জিরাশাইল জাতের আগাম ধান সাড়ে ৩ বিঘা জমিতে আবাদ করে বেশ লাভবান হয়েছেন। প্রতি মণ ধান সর্বোচ্চ ১২৫০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করেছেন। তিনি বলেন, আমি আরও ১ বিঘা জমি খায়খালাসি (পত্তনি) নিয়েছি যার বিঘাপ্রতি ২২০০০ টাকা করে বছরে দিতে হয়।
আক্কেরপুর পৌরসভার ঠেংগাপুর গ্রামের কৃষক মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, এবার আমন মৌসুমে বিভিন্ন জাতের আগাম ধান ৫ বিঘা জমিতে আবাদ করে বেশ লাভবান হয়েছি। বিঘাপ্রতি দিনমজুর ধান কাটতে দিতে হচ্ছে ৪৫০০ টাকা, পানি সেচ ১০০০ টাকা দিতে হয়েছে সার, বীজসহ প্রায় এক বিঘা জমিতে খরচ হচ্ছে ৯০০০- ১০০০০ টাকা পর্যন্ত। প্রতি বিঘায় ধান হচ্ছে ১৮-২০ মণ তা বাজারে ১১৫০-১৩৩০টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।
পঞ্চগড় থেকে ধান কাটতে আসা দিনমজুর মোহবুল (ভাই) বলেন, আমরা ৬ জন ট্রেন যোগে এসেছি। আক্কেলপুর রেলস্টেশনে আসলে জমির মালিকরা গিয়ে আমাদের নিয়ে আসেন। আমরা প্রতি বিঘা ৫০০০ টাকা করে নেই। আজকে সারা দিনে সাড়ে ৩ বিঘা জমির ধান কর্তন করেছি।
আক্কেলপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. ইমরান হোসেন জানান, উপজেলায় জিরাশাইল, কাটারি, ব্রি ধান- ৮৮, ৮৯, ৯২, বিনা ধান-২৫সহ বিভিন্ন জাতের কিছু ধান ইতোমধ্যে কাটা-মাড়াই শুরু হয়েছে। কৃষকদের চাহিদামতো সার সরবরাহ পাওয়ায় ধানে রোগবালাই কম হয়েছে এবং আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ধানের বাম্পার ফলন হওয়ায় প্রতি হেক্টর জমিতে ৬ থেকে ৭ টন করে ধান কৃষকদের ঘরে উঠেছে। ঝড় ও শিলাবৃষ্টির মাস হওয়ায় কৃষকদের আমরা দিচ্ছি ৮০ ভাগ পেকে গেলে ধান কর্তন করার।
আক্কেলপুর (জয়পুরহাটর) : বোরো কাটা ও মাড়াইয়ে ব্যস্ত কৃষক -সংবাদ
রোববার, ২৫ মে ২০২৫
জয়পুরহাটরের আক্কেলপুরে শুরু হয়েছে ইরি বোরো ধান পুরোদমে কাটা-মাড়াই। ধান কাটা নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটছে কৃষক ও দিনমজুর। কৃষকের ঘরে গোলা ভরতে শুরু করেছে ধানে। পৌরসভাসহ উপজেলার রুকিন্দীপুর, গোপীনাথপুর, সোনামুখী, তিলকপুর, রায়কালী ৫টি ইউনিয়ন ঘুরে দেখা গেছে এ বছর তেমন প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হওয়ায় ও আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বোরোর বাম্পার ফলন হয়েছে। তবে ঝড় ও শিলাবৃষ্টির মাস হওয়ায় কৃষকরা দুশ্চিন্তায় রয়েছেন ধান কর্তন করে ঘরে তোলা নিয়ে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ৮০ ভাগ পেকে গেলে ধান কর্তনের পরামর্শও দিচ্ছে। ধানের বাজারদর ভালো থাকায় এ বছর লাভবান হবেন বলে জানিয়েছেন কৃষকরা।
আক্কেলপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে বোরো ধানের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ১০ হাজার ৪৪০ হেক্টর। অর্জিত হয়েছে ১০ হাজার ৩৪৫ হেক্টর। ইতোমধ্যে ২০৯০ হেক্টর জমির ধান কর্তন করা হয়েছে। প্রকারভেদে প্রতি মণ ধান বিক্রি হয়েছে ১১৫০ থেকে ১৩৩০ টাকা পর্যন্ত।
আক্কেলপুর উপজেলার রুকিন্দীপুর ইউনিয়নের কৃষক বাবলু জানান, তিনি এবার বোরো মৌসুমে জিরাশাইল জাতের আগাম ধান সাড়ে ৩ বিঘা জমিতে আবাদ করে বেশ লাভবান হয়েছেন। প্রতি মণ ধান সর্বোচ্চ ১২৫০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করেছেন। তিনি বলেন, আমি আরও ১ বিঘা জমি খায়খালাসি (পত্তনি) নিয়েছি যার বিঘাপ্রতি ২২০০০ টাকা করে বছরে দিতে হয়।
আক্কেরপুর পৌরসভার ঠেংগাপুর গ্রামের কৃষক মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, এবার আমন মৌসুমে বিভিন্ন জাতের আগাম ধান ৫ বিঘা জমিতে আবাদ করে বেশ লাভবান হয়েছি। বিঘাপ্রতি দিনমজুর ধান কাটতে দিতে হচ্ছে ৪৫০০ টাকা, পানি সেচ ১০০০ টাকা দিতে হয়েছে সার, বীজসহ প্রায় এক বিঘা জমিতে খরচ হচ্ছে ৯০০০- ১০০০০ টাকা পর্যন্ত। প্রতি বিঘায় ধান হচ্ছে ১৮-২০ মণ তা বাজারে ১১৫০-১৩৩০টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।
পঞ্চগড় থেকে ধান কাটতে আসা দিনমজুর মোহবুল (ভাই) বলেন, আমরা ৬ জন ট্রেন যোগে এসেছি। আক্কেলপুর রেলস্টেশনে আসলে জমির মালিকরা গিয়ে আমাদের নিয়ে আসেন। আমরা প্রতি বিঘা ৫০০০ টাকা করে নেই। আজকে সারা দিনে সাড়ে ৩ বিঘা জমির ধান কর্তন করেছি।
আক্কেলপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. ইমরান হোসেন জানান, উপজেলায় জিরাশাইল, কাটারি, ব্রি ধান- ৮৮, ৮৯, ৯২, বিনা ধান-২৫সহ বিভিন্ন জাতের কিছু ধান ইতোমধ্যে কাটা-মাড়াই শুরু হয়েছে। কৃষকদের চাহিদামতো সার সরবরাহ পাওয়ায় ধানে রোগবালাই কম হয়েছে এবং আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ধানের বাম্পার ফলন হওয়ায় প্রতি হেক্টর জমিতে ৬ থেকে ৭ টন করে ধান কৃষকদের ঘরে উঠেছে। ঝড় ও শিলাবৃষ্টির মাস হওয়ায় কৃষকদের আমরা দিচ্ছি ৮০ ভাগ পেকে গেলে ধান কর্তন করার।