নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে শতবর্ষী জনগুরুত্বপূর্ণ একলাসপুর-কাজীনগর খালটি অবৈধভাবে দখল, ভরাট এবং দূষণে বর্তমানে অস্তিত্বসংকটে পড়েছে প্রায় দুই কিঃমিঃ লম্বা ওই খালটি। দীর্ঘদিন থেকে এ অবস্থা চললেও দখলদারদের লাগাম টেনে ধরার উদ্যোগ নেয়া হয়নি কখনো। বর্তমানে সরকারী রেকর্ডিয় কাজিনগর খালটি দখলে-দখলে নালায় পরিনত হয়েছে। উপজেলার ৮নং বেগমগঞ্জ ইউপির জনগুরুত্বপূর্ণ উত্তর-দক্ষীন লম্বা-লম্বি একলাসপুর-কাজিনগর ক্ষতিগ্রস্ত ওই খালটির পশ্চিম পাড়ে অধিকাংশ স্থানে অবৈধভাবে ভরাট করে খালের পানিপ্রবাহের পথ বন্ধ করে রেখেছে।
খাল ভরাট করে চলাচলের রাস্তাসহ বিভিন্ন স্থাপনা নির্মান করে দখল করার কারণে সামান্য বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে আশপাশের কাজীনগর, দরবেশপুর ও দক্ষিণ নাজিরপুর এ তিন গ্রামের মানুষের অধিকাংশ বাড়ি ঘর ডুবে যায়। এতে করে ওই সব এলাকায় ইরি-বরো মৌসুমে সঠিক সময়ে তাদের ফসল উৎপাদন করতে না পারায় অধিকাংশ ফসলি জমি বে-আবাদি রয়ে যায়।
দীর্ঘদিন থেকে এলাকাবাসী এ খালটি পানিপ্রবাহ স্বাভাবিকসহ পৃনঃখননের দাবী করে আসলেও কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। উল্টো অবৈধ দখলদার বাহিনী এবং স্থানীয় কতিপয় ভূমিদস্যু এলাকার নিরীহ লোকজনকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছে। বর্তমানে সরকারি এ খালটি দখলে-দখলে নালায় পরিণত হয়েছে। কয়েকজন এলাকাবাসী জানায়, সম্প্রতি রেকর্ডীয় সরকারি খালটির উত্তরাংশে ২৩৫ একলাসপুর মৌজার সিএস সাবেক রেকডিয়-২৭১ ও ২৩৭ নং এবং বিএস বর্তমান রেকডিয় ৫৩২, ৪৬০ ও ৫৩৯ নং দাগস্থিত কাজীনগর এলাকায় পানি প্রবাহের কালভার্ট বন্ধসহ খালের অংশে ভরাট এবং দখল করে নতুন করে বাউন্ডারী দেয়াল নির্মাণ করছে স্থানীয় এক ভৃমিদস্যু। এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে গণস্বাক্ষরিত এবং স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউপি মেম্বারের গত ০৬.৫.২০২৫ইং তারিখের স্বাক্ষরিত একটি সুপারিশনামাসহ বেগমগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে লিখিত আবেদন দেয়া হলেও এখনো কাজের কাজ কিছুই হচ্ছেনা। এ ক্ষেত্রে বিভিন্ন দপ্তর একে অন্যের উপর দোষ চাপিয়ে দায় এড়ানোর চেষ্টা করছে। আসছে বর্ষা মৌসুমের আগে জনগুরুত্বপুর্ণ এ খালটি অবৈধ দখলমুক্ত, পুনঃখননসহ সংস্কার করে পানিপ্রবাহ অব্যাহত রাখার জোরদাবী জানিয়েছে এলাকাবাসী।
এ ব্যাপারে ওই ইউপির চেয়ারম্যান শাহীদুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, একলাসপুর-কাজিনগর শতবর্ষী এ খালটি অত্যন্ত জনগুরুত্বপূর্ণ খাল। আসছে বর্ষা মৌসুমের আগে এলাকাবাসীর দূর্ভোগের কথা বিবেচনা করে দ্রুত এ খালটি দখলমুক্ত করে সংস্কার ও পুনর্খননসহ পানিপ্রবাহের ব্যবস্থা করা অত্যন্ত জরুরী। বেগমগঞ্জ নাগরিক ফোরামের আহবায়ক এস এম সাহাব উদ্দিন জানান, বেগমগঞ্জকে বন্যার হাত থেকে রক্ষা করতে প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের স্বদিচ্ছা দরকার। ইতোমধ্যে আমরা বেগমগঞ্জের ছোট-বড় খালগুলো অবৈধ দখলমুক্ত, পরিষ্কারসহ পুনর্খনন করার দাবীতে সভা, সমাবেশ, মানববন্ধন ও ডিসি, ইউএনও মহোদয়কে ম্মারক লিপি দিয়েছি। আমরা সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের জোর হস্তক্ষেপ কামনা করছি। বেগমগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফুর রহমান জানান, জলাবদ্ধতা দূরীকরণে খাল পরিস্কার,অবৈধ দখলমুক্তকরণসহ খালগুলো পুনর্খননের জন্য ইতিমধ্যে মন্ত্রনালয়ে একটি প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।
রোববার, ২৫ মে ২০২৫
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে শতবর্ষী জনগুরুত্বপূর্ণ একলাসপুর-কাজীনগর খালটি অবৈধভাবে দখল, ভরাট এবং দূষণে বর্তমানে অস্তিত্বসংকটে পড়েছে প্রায় দুই কিঃমিঃ লম্বা ওই খালটি। দীর্ঘদিন থেকে এ অবস্থা চললেও দখলদারদের লাগাম টেনে ধরার উদ্যোগ নেয়া হয়নি কখনো। বর্তমানে সরকারী রেকর্ডিয় কাজিনগর খালটি দখলে-দখলে নালায় পরিনত হয়েছে। উপজেলার ৮নং বেগমগঞ্জ ইউপির জনগুরুত্বপূর্ণ উত্তর-দক্ষীন লম্বা-লম্বি একলাসপুর-কাজিনগর ক্ষতিগ্রস্ত ওই খালটির পশ্চিম পাড়ে অধিকাংশ স্থানে অবৈধভাবে ভরাট করে খালের পানিপ্রবাহের পথ বন্ধ করে রেখেছে।
খাল ভরাট করে চলাচলের রাস্তাসহ বিভিন্ন স্থাপনা নির্মান করে দখল করার কারণে সামান্য বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে আশপাশের কাজীনগর, দরবেশপুর ও দক্ষিণ নাজিরপুর এ তিন গ্রামের মানুষের অধিকাংশ বাড়ি ঘর ডুবে যায়। এতে করে ওই সব এলাকায় ইরি-বরো মৌসুমে সঠিক সময়ে তাদের ফসল উৎপাদন করতে না পারায় অধিকাংশ ফসলি জমি বে-আবাদি রয়ে যায়।
দীর্ঘদিন থেকে এলাকাবাসী এ খালটি পানিপ্রবাহ স্বাভাবিকসহ পৃনঃখননের দাবী করে আসলেও কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। উল্টো অবৈধ দখলদার বাহিনী এবং স্থানীয় কতিপয় ভূমিদস্যু এলাকার নিরীহ লোকজনকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছে। বর্তমানে সরকারি এ খালটি দখলে-দখলে নালায় পরিণত হয়েছে। কয়েকজন এলাকাবাসী জানায়, সম্প্রতি রেকর্ডীয় সরকারি খালটির উত্তরাংশে ২৩৫ একলাসপুর মৌজার সিএস সাবেক রেকডিয়-২৭১ ও ২৩৭ নং এবং বিএস বর্তমান রেকডিয় ৫৩২, ৪৬০ ও ৫৩৯ নং দাগস্থিত কাজীনগর এলাকায় পানি প্রবাহের কালভার্ট বন্ধসহ খালের অংশে ভরাট এবং দখল করে নতুন করে বাউন্ডারী দেয়াল নির্মাণ করছে স্থানীয় এক ভৃমিদস্যু। এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে গণস্বাক্ষরিত এবং স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউপি মেম্বারের গত ০৬.৫.২০২৫ইং তারিখের স্বাক্ষরিত একটি সুপারিশনামাসহ বেগমগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে লিখিত আবেদন দেয়া হলেও এখনো কাজের কাজ কিছুই হচ্ছেনা। এ ক্ষেত্রে বিভিন্ন দপ্তর একে অন্যের উপর দোষ চাপিয়ে দায় এড়ানোর চেষ্টা করছে। আসছে বর্ষা মৌসুমের আগে জনগুরুত্বপুর্ণ এ খালটি অবৈধ দখলমুক্ত, পুনঃখননসহ সংস্কার করে পানিপ্রবাহ অব্যাহত রাখার জোরদাবী জানিয়েছে এলাকাবাসী।
এ ব্যাপারে ওই ইউপির চেয়ারম্যান শাহীদুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, একলাসপুর-কাজিনগর শতবর্ষী এ খালটি অত্যন্ত জনগুরুত্বপূর্ণ খাল। আসছে বর্ষা মৌসুমের আগে এলাকাবাসীর দূর্ভোগের কথা বিবেচনা করে দ্রুত এ খালটি দখলমুক্ত করে সংস্কার ও পুনর্খননসহ পানিপ্রবাহের ব্যবস্থা করা অত্যন্ত জরুরী। বেগমগঞ্জ নাগরিক ফোরামের আহবায়ক এস এম সাহাব উদ্দিন জানান, বেগমগঞ্জকে বন্যার হাত থেকে রক্ষা করতে প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের স্বদিচ্ছা দরকার। ইতোমধ্যে আমরা বেগমগঞ্জের ছোট-বড় খালগুলো অবৈধ দখলমুক্ত, পরিষ্কারসহ পুনর্খনন করার দাবীতে সভা, সমাবেশ, মানববন্ধন ও ডিসি, ইউএনও মহোদয়কে ম্মারক লিপি দিয়েছি। আমরা সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের জোর হস্তক্ষেপ কামনা করছি। বেগমগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফুর রহমান জানান, জলাবদ্ধতা দূরীকরণে খাল পরিস্কার,অবৈধ দখলমুক্তকরণসহ খালগুলো পুনর্খননের জন্য ইতিমধ্যে মন্ত্রনালয়ে একটি প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।