অভিযোগ বিএনপির তিন নেতার বিরুদ্ধে
ভোলার চরফ্যাশনে চরের জমি দখল নিয়ে অর্ধশত কৃষককে মারধর ও কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে ইউনিয়ন বিএনপি ৩ নেতার বিরদ্ধে। মারধরে আহতদের উদ্ধার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে বরিশালে রেফার করেছেন।
এই ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে আহাম্মদপুর ইউনিয়ন ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বিএনপির সভাপতি মো. আইয়ুব আলী জানান।
গতকাল শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার আহাম্মদপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওর্য়াড চৌকিদার বাজার এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে।
অভিযুক্তরা হলেন- একই ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কবির মোল্লা, সাংগঠনিক সম্পাদক বাবলু মাস্টার ও বিএনপি নেতা হোসেন মৌলভী।
আহতরা হলেন- মো. হান্নান, পল্লী চিকিৎসক শরিফ, মো. শরিফ, মো. ইলমান হোসেন নোমান, আইয়ুব আলী, রবিউল ও সোহাগ। বাকি ৪৩ জন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে আছেন।
আহত কৃষক রবিউল ও সোহাগ জানান, বিগত সরকারের আমলে আহাম্মদপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডে প্রায় ১ হাজার একর জমি চাষাবাদ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন দুই শতাধিক কৃষক। গত ৫ আগষ্ট আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর কৃষকরা ভেবেছেন তাদের জমি তারা ফিরে পাবেন। তবে জমিগুলো আহাম্মদপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কবির মোল্লা, সাংগঠনিক সম্পাদক বাবলু মাস্টার ও বিএনপি নেতা হোসেন মৌলভী তাদের দখলে নেন। অথচ কৃষকরা প্রকৃত জমির মালিক এবং তাদের বৈধ কাগজপত্র রয়েছে। জমি ফিরে পেতে কৃষকরা তিন নেতাকে কাগজপত্র নিয়ে বসতে বলেন। ঘটনার দিন বিএনপির ৩ নেতার নেতৃত্বে জমি দখল নিতে আহাম্মদপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের চৌকিদার খাল বাজারে কৃষকদের ওপর অতর্কিত হামলা করেন। এতে অন্তত ৫০ জন কৃষক গুরুত্বর আহত হন। আহতরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চিকিৎসা নিচ্ছেন। একজনের অবস্থা আশঙ্কা হওয়ায় তাকে বরিশালের প্রেরণ করা হয়েছে। এই হামলার ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা যায়, আহাম্মদপুর ইউনিয়নে বন্দোবস্ত সূত্রে সে ৫শ একর জমির মালিক। জমির কাগজপত্র সৃজন হওয়ার পর ৩ বছর তাদের দখলে ছিলো। তবে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর জমিগুলো বেদখল হয়ে যায়। ৫ আগস্টের পর তাদের ভাবনা ছিল তাদের প্রকৃত কাগজ মূলে জমি ফিরে পাবেন। কিন্তু তারা জমিসহ ২ শতাধিক কৃষক জমি আহাম্মদপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কবির মোল্লা, সাংগঠনিক সম্পাদক বাবলু মাস্টার ও বিএনপি নেতা হোসেন মৌলভী দখলে নেন। তাদের সঙ্গে শনিবার সকালে কাগজপত্র নিয়ে বসার কথা ছিল। তারা বসার নাম করে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাদের ওপর হামলা করেন।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন পল্লী চিকিৎসক শরিফ জানান, বিএনপির ৩ নেতা শনিবার সকালে চৌকিদার খাল বাজারে এসে অসহায় কৃষকদের ওপর অতর্কিত হামলা করেন। এই সময় আমি দোকানে বসে আমার মুঠোফোন হাতে নিয়ে দাঁড়িয়েছি। আমি তাদের মারধরের চিত্র ধারণ করেছি মনে করে তারা আমার ওপর হামলা করেন। এতে আমার বাম হাত ভেঙে যায়। এবং আমার ব্যবহৃত ফোনটি নিয়ে যায়।
অভিযোগের বিষয়ে বিএনপির সাধারন সম্পাদক কবির মোল্লা, সাংগঠনিক সম্পাদক বাবলু মাষ্টার ও বিএনপি নেতা হোসেন মৌলভী জানান, তারা জমি লগ্নি নিয়ে চাষাবাদ করছেন। জমির কাগজ পত্র নিয়ে বসেছি ঠিকই তবে কে কারা হামলা করেছে বিষয়টি আমি জানিনা। দুলারহাট থানার ওসি আরিফ ইফতেখার জানান, এই বিষয়ে কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
অভিযোগ বিএনপির তিন নেতার বিরুদ্ধে
রোববার, ২৫ মে ২০২৫
ভোলার চরফ্যাশনে চরের জমি দখল নিয়ে অর্ধশত কৃষককে মারধর ও কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে ইউনিয়ন বিএনপি ৩ নেতার বিরদ্ধে। মারধরে আহতদের উদ্ধার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে বরিশালে রেফার করেছেন।
এই ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে আহাম্মদপুর ইউনিয়ন ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বিএনপির সভাপতি মো. আইয়ুব আলী জানান।
গতকাল শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার আহাম্মদপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওর্য়াড চৌকিদার বাজার এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে।
অভিযুক্তরা হলেন- একই ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কবির মোল্লা, সাংগঠনিক সম্পাদক বাবলু মাস্টার ও বিএনপি নেতা হোসেন মৌলভী।
আহতরা হলেন- মো. হান্নান, পল্লী চিকিৎসক শরিফ, মো. শরিফ, মো. ইলমান হোসেন নোমান, আইয়ুব আলী, রবিউল ও সোহাগ। বাকি ৪৩ জন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে আছেন।
আহত কৃষক রবিউল ও সোহাগ জানান, বিগত সরকারের আমলে আহাম্মদপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডে প্রায় ১ হাজার একর জমি চাষাবাদ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন দুই শতাধিক কৃষক। গত ৫ আগষ্ট আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর কৃষকরা ভেবেছেন তাদের জমি তারা ফিরে পাবেন। তবে জমিগুলো আহাম্মদপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কবির মোল্লা, সাংগঠনিক সম্পাদক বাবলু মাস্টার ও বিএনপি নেতা হোসেন মৌলভী তাদের দখলে নেন। অথচ কৃষকরা প্রকৃত জমির মালিক এবং তাদের বৈধ কাগজপত্র রয়েছে। জমি ফিরে পেতে কৃষকরা তিন নেতাকে কাগজপত্র নিয়ে বসতে বলেন। ঘটনার দিন বিএনপির ৩ নেতার নেতৃত্বে জমি দখল নিতে আহাম্মদপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের চৌকিদার খাল বাজারে কৃষকদের ওপর অতর্কিত হামলা করেন। এতে অন্তত ৫০ জন কৃষক গুরুত্বর আহত হন। আহতরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চিকিৎসা নিচ্ছেন। একজনের অবস্থা আশঙ্কা হওয়ায় তাকে বরিশালের প্রেরণ করা হয়েছে। এই হামলার ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা যায়, আহাম্মদপুর ইউনিয়নে বন্দোবস্ত সূত্রে সে ৫শ একর জমির মালিক। জমির কাগজপত্র সৃজন হওয়ার পর ৩ বছর তাদের দখলে ছিলো। তবে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর জমিগুলো বেদখল হয়ে যায়। ৫ আগস্টের পর তাদের ভাবনা ছিল তাদের প্রকৃত কাগজ মূলে জমি ফিরে পাবেন। কিন্তু তারা জমিসহ ২ শতাধিক কৃষক জমি আহাম্মদপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কবির মোল্লা, সাংগঠনিক সম্পাদক বাবলু মাস্টার ও বিএনপি নেতা হোসেন মৌলভী দখলে নেন। তাদের সঙ্গে শনিবার সকালে কাগজপত্র নিয়ে বসার কথা ছিল। তারা বসার নাম করে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাদের ওপর হামলা করেন।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন পল্লী চিকিৎসক শরিফ জানান, বিএনপির ৩ নেতা শনিবার সকালে চৌকিদার খাল বাজারে এসে অসহায় কৃষকদের ওপর অতর্কিত হামলা করেন। এই সময় আমি দোকানে বসে আমার মুঠোফোন হাতে নিয়ে দাঁড়িয়েছি। আমি তাদের মারধরের চিত্র ধারণ করেছি মনে করে তারা আমার ওপর হামলা করেন। এতে আমার বাম হাত ভেঙে যায়। এবং আমার ব্যবহৃত ফোনটি নিয়ে যায়।
অভিযোগের বিষয়ে বিএনপির সাধারন সম্পাদক কবির মোল্লা, সাংগঠনিক সম্পাদক বাবলু মাষ্টার ও বিএনপি নেতা হোসেন মৌলভী জানান, তারা জমি লগ্নি নিয়ে চাষাবাদ করছেন। জমির কাগজ পত্র নিয়ে বসেছি ঠিকই তবে কে কারা হামলা করেছে বিষয়টি আমি জানিনা। দুলারহাট থানার ওসি আরিফ ইফতেখার জানান, এই বিষয়ে কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।