আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহাতে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে যাত্রী, যানবাহন পারাপার এবং কোরবানির পশুবাহী ট্রাক পারাপার নির্বিঘ্নে করতে এবার ১৭টি ফেরি ও ২০টি লঞ্চ চলাচল করবে।
গতকার শনিবার জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আসন্ন ঈদুল আজাহা উপলক্ষে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া রুটে ফেরি সার্ভিস, নৌপথে লঞ্চসহ জলযান সমূহের সুষ্ঠুভাবে চলাচল নিশ্চিতকল্পে ঘাটের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও যাত্রীসাধারণের যাতায়াত নির্বিঘ্নে করতে আয়োজিত সভায় এ তথ্য জানানো হয়।
রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসক সুলতানা আক্তারের সভাপতিত্বে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আবু রাসেল, আনসার ভিডিপির জেলা কমান্ড্যান্ট মো. আনোয়ার হোসেন সরকার, গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নাহিদুর রহমান, গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রাকিবুল ইসলাম, দৌলতদিয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (ওসি) শ্রীনাথ সাহা, ট্রাফিক পুলিশ পরিদর্শক (টিআই) আতাউর রহমান খান, বিআরটিএর সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন, বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট শাখার সহকারী মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন, বিআইডব্লিউটিএটিআই সাগর মল্লিক, জেলা সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপের সভাপতি জুয়েল, জেলা বাস মিনিবাস পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) রমজান আলী, লঞ্চ মালিক সমিতির সভাপতি আব্দুর রশিদ মল্লিকসহ অনেকেই বক্তব্য রাখেন।
বিআইডব্লিউটিসির দৌলতদিয়া ঘাটের সহকারী মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন বলেন, পবিত্র ঈদুল আজহায় দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে রো রো ফেরি ৯টি, মিডিয়াম টাইপ ফেরি ৩টি ও ছোট ফেরি ৫টিসহ মোট ১৭টি ফেরি চলাচল করবে। দৌলতদিয়া প্রান্তের (৩, ৪ ও ৭) এই ৩টি ফেরিঘাট সচল থাকবে- যার প্রায় সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। এ ছাড়া পানি বৃদ্ধি পেলে ৬ নং ফেরি ঘাটটি ব্যবহার করা হবে।
তিনি আরও বলেন, পশুবাহী ট্রাকগুলোকে বিশেষভাবে পার করা হবে। পশুবাহী ট্রাকগুলো ঘাটে এসে সরাসরি ফেরিতে উঠতে পারবে- যাত্রীবাহী বাস ও পশুবাহী ট্রাকগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পার করা হবে।
বিআইডব্লিউটিএর দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটের ট্রাফিক পরিদর্শক (টিআই) সাগর মল্লিক বলেন, আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ২০টি লঞ্চ চলাচল করবে। আরিচা-কাজিরহাট রুটে ১৩টি লঞ্চ চলাচল করবে। পাটুরিয়া প্রান্তে ৩টি ও দৌলতদিয়া প্রান্তে ৩টি ঘাট সচল রয়েছে। প্রয়োজন হলে দৌলতদিয়াতে একটি ও পাটুরিয়াতে আরও একটি ঘাট সচল করা হবে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আবু রাসেল বলেন, আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। থানা পুলিশ, সাদা পোশাকে পুলিশ, ডিবি পুলিশসহ একাধিকটিম থাকবে। এ ছাড়া নৌপুলিশ, হাইওয়ে পুলিশ আমাদের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করবে- যাত্রীদের নিরাপত্তার স্বার্থে জেলা পুলিশ সর্বদা মাঠে থাকবে।
সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক সুলতানা আক্তার বলেন, টার্মিনালে যানবাহনের ভাড়ার চার্ট দৃশ্যমান থাকবে, সচেতনতামূলক বিভিন্ন ব্যানার ঘাট এলাকায় থাকবে। দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় ঈদের আগে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রট থাকবে মোবাইল কোর্ট করার জন্য- যাত্রীদের থেকে পরিবহন মালিক শ্রমিকরা যেনো অতিরিক্ত ভাড়া না নিতে পারে সেজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি জেলা প্রশাসনের মোবাইল কোর্ট থাকবে।
রোববার, ২৫ মে ২০২৫
আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহাতে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে যাত্রী, যানবাহন পারাপার এবং কোরবানির পশুবাহী ট্রাক পারাপার নির্বিঘ্নে করতে এবার ১৭টি ফেরি ও ২০টি লঞ্চ চলাচল করবে।
গতকার শনিবার জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আসন্ন ঈদুল আজাহা উপলক্ষে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া রুটে ফেরি সার্ভিস, নৌপথে লঞ্চসহ জলযান সমূহের সুষ্ঠুভাবে চলাচল নিশ্চিতকল্পে ঘাটের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও যাত্রীসাধারণের যাতায়াত নির্বিঘ্নে করতে আয়োজিত সভায় এ তথ্য জানানো হয়।
রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসক সুলতানা আক্তারের সভাপতিত্বে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আবু রাসেল, আনসার ভিডিপির জেলা কমান্ড্যান্ট মো. আনোয়ার হোসেন সরকার, গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নাহিদুর রহমান, গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রাকিবুল ইসলাম, দৌলতদিয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (ওসি) শ্রীনাথ সাহা, ট্রাফিক পুলিশ পরিদর্শক (টিআই) আতাউর রহমান খান, বিআরটিএর সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন, বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট শাখার সহকারী মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন, বিআইডব্লিউটিএটিআই সাগর মল্লিক, জেলা সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপের সভাপতি জুয়েল, জেলা বাস মিনিবাস পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) রমজান আলী, লঞ্চ মালিক সমিতির সভাপতি আব্দুর রশিদ মল্লিকসহ অনেকেই বক্তব্য রাখেন।
বিআইডব্লিউটিসির দৌলতদিয়া ঘাটের সহকারী মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন বলেন, পবিত্র ঈদুল আজহায় দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে রো রো ফেরি ৯টি, মিডিয়াম টাইপ ফেরি ৩টি ও ছোট ফেরি ৫টিসহ মোট ১৭টি ফেরি চলাচল করবে। দৌলতদিয়া প্রান্তের (৩, ৪ ও ৭) এই ৩টি ফেরিঘাট সচল থাকবে- যার প্রায় সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। এ ছাড়া পানি বৃদ্ধি পেলে ৬ নং ফেরি ঘাটটি ব্যবহার করা হবে।
তিনি আরও বলেন, পশুবাহী ট্রাকগুলোকে বিশেষভাবে পার করা হবে। পশুবাহী ট্রাকগুলো ঘাটে এসে সরাসরি ফেরিতে উঠতে পারবে- যাত্রীবাহী বাস ও পশুবাহী ট্রাকগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পার করা হবে।
বিআইডব্লিউটিএর দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটের ট্রাফিক পরিদর্শক (টিআই) সাগর মল্লিক বলেন, আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ২০টি লঞ্চ চলাচল করবে। আরিচা-কাজিরহাট রুটে ১৩টি লঞ্চ চলাচল করবে। পাটুরিয়া প্রান্তে ৩টি ও দৌলতদিয়া প্রান্তে ৩টি ঘাট সচল রয়েছে। প্রয়োজন হলে দৌলতদিয়াতে একটি ও পাটুরিয়াতে আরও একটি ঘাট সচল করা হবে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আবু রাসেল বলেন, আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। থানা পুলিশ, সাদা পোশাকে পুলিশ, ডিবি পুলিশসহ একাধিকটিম থাকবে। এ ছাড়া নৌপুলিশ, হাইওয়ে পুলিশ আমাদের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করবে- যাত্রীদের নিরাপত্তার স্বার্থে জেলা পুলিশ সর্বদা মাঠে থাকবে।
সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক সুলতানা আক্তার বলেন, টার্মিনালে যানবাহনের ভাড়ার চার্ট দৃশ্যমান থাকবে, সচেতনতামূলক বিভিন্ন ব্যানার ঘাট এলাকায় থাকবে। দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় ঈদের আগে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রট থাকবে মোবাইল কোর্ট করার জন্য- যাত্রীদের থেকে পরিবহন মালিক শ্রমিকরা যেনো অতিরিক্ত ভাড়া না নিতে পারে সেজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি জেলা প্রশাসনের মোবাইল কোর্ট থাকবে।