দেশ-বিদেশে চায়ের রাজধানী বলে খ্যাত ও চারিদিকে চা বাগান, পাহাড়- বনাঞ্চল ঘেরা মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল থানায় আশঙ্কাজনকভাবে শহর ও গ্রামাঞ্চলের বাসা বাড়ি, ক্ষেত, গাছের ডাল, ঘরের সিলিং ইত্যাদি থেকে অজগর, শঙ্খনীসহ অন্যান্য বিষধর সাপ ও অন্যান্য বন্যপ্রাণী ধরা পড়ার খবর পাওয়া গেছে। বনাঞ্চল ধ্বংস, দখল, মূল্যবান গাছ পাচার ইত্যাদির কারণে বনাঞ্চলে বন্যপশুপাখির খাদ্য সংকট দেখা দেয়ায় বন্যপ্রাণী গুলো লোকালয়ে খাদ্য সন্ধানে চলে আসছে। ফলে এসব দেখে ও শুনে স্থানীয় জনসাধারণ অনেকাংশে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।
বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশন বিগত তিনদিনে পৃথক চারটি স্থান থেকে ৩টি অজগর সাপ দুটি শঙ্খচিল ও ১টি সোনালী গুইল সাপ উদ্ধার করেছে।
গত ২৫মে সকালে শ্রীমঙ্গল থানার উত্তর ভাড়াউড়া গ্রামে গণমাধ্যম কর্মী শ্যামল পালের পাশের বাসার উঠানে একটি অজগর সাপ দেখা যায়। সাপটি দেখে বাড়ির সকলেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। এরপর ঘটনাটি শ্যামল পালকে জানানো হলে তিনি দ্রুত বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশনকে খবর দিলে ফাউন্ডেশনের পরিচালক স্বপন দেব সজল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে অজগর সাপটিকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করে নিয়ে আসেন।
গত ২৪ মে সকাল ৮ ঘটিকার সময় শ্রীমঙ্গল থানার ভাড়াউড়া চা বাগানের পিটার বাবু শামীম আহমেদ -এর বাসায় তাঁর স্ত্রী রান্নাঘরে রান্না করার সময় হ রান্না ঘরের সিলিং এর উপর একটি অজগর সাপ দেখতে পান । সাপটি দেখে ভয় পেয়ে তিনি চিৎকার শুরু করেন। আতঙ্কিত হয়ে বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশন এর পরিচালক স্বপন কুমার দেব সজলের সাথে ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি তাৎক্ষণাৎ ঘটনাস্থলে পৌঁছে অজগর সাপটিকে উদ্ধার করেন। একই দিন শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার পূর্ব বড়চর এলাকায় এক ব্যতিক্রমী ঘটনার সাক্ষী হলো দীপংকর রায়ের বসতবাড়ি। সকালে তার হাঁস-মোরগ রাখার ঘরের চারপাশে স্থাপন করা জালে হঠাৎ আটকে পড়ে একটি বিরল প্রজাতির সোনালী গুইল সাপ (ণবষষড়ি গড়হরঃড়ৎ খরুধৎফ) । সাপটিকে জালে আটকে থাকতে দেখে বাড়ির লোকজন কিছুটা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন ও দ্রুত সেটিকে জালসহ নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেন। পরে তারা শ্রীমঙ্গলে অবস্থিত বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশন এর সঙ্গে যোগাযোগ করলে সেবা ফাউন্ডেশনের পরিচালক স্বপন দেব সজল এবং পরিবেশ কর্মী রাজদীপ দেব দীপ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে সতর্কতার সঙ্গে জাল কেটে সাপটিকে মুক্ত করেন এবং প্রাথমিক পর্যবেক্ষণের পর জানান, এটি দেশে অত্যন্ত বিরল একটি প্রজাতি।
গত ১৭ই মে সকাল ৬টায় শ্রীমঙ্গল থানার হাইল হাওরে মাছ ধরার উদ্দেশ্যে শিপু মিয়া নামক একব্যক্তি বের হয়েছিলেন। তিনি হাইল হাওরে রিং জাল পেতে জাল তোলার সময় জালের ভেতরে একটি অজগর সাপ দেখতে পান। আতঙ্কিত হয়ে বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশনের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করলে তারা ঘটনাস্থল থেকে সাপটিকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে।
গত ১৭ মে শ্রীমঙ্গল থানার উত্তরসুর গ্রামে দুপুরে ঝড়ের কারণে হঠাৎ দুটি শঙ্খচিল পাখি গাছ থেকে মাটিতে পড়ে যায়।এলাকাবাসী পাখি দুটি দেখতে পেয়ে বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশনকে ফোনে অবগত করলে সেবা ফাউন্ডেশনের পরিচালক স্বপন দেব সজল এবং পরিবেশ কর্মী রাজদীপ দেব দীপ পাখিগুলোকে উদ্ধার করে নিরাপদে নিয়ে এসে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করেন।
পরবর্তীতে উদ্ধারকৃত ৩টি অজগর সাপ, ২টি শঙ্খচিল পাখি ও ১টি সোনালী গুইল সাপকে স্থানীয় বন বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
উল্লেখ্য যে, শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জ থানা এলাকার মধ্যবর্তী স্থানে ভানুগাছ পাহাড় যা’ বর্তমানে লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান হিসেবে দেশ-বিদেশে সকলের কাছে পরিচিত এই বনাঞ্চলটির বিশাল ভূমি এক শ্রেণীর প্রভাবশালী গোষ্ঠী বনের জায়গা জমি দখল করে বসতবাড়ি, রিসোর্ট ও চা বাগান তৈরি ও বনাঞ্চল উজাড় করার কারণে পশু পাখির খাদ্য সংকট দেখা দেওয়ার কারণে সাপ ও বন্য পশুপাখি খাদ্যের সন্ধানে লোকালয়ে ছুটে আসে। বন্য জীবজন্তু প্রায় ধরা পড়ে । অনেক সময় সড়কে গাড়ি নিচে পিষ্ট হয়েও মারা যাওয়ার খবর শোনা যায়।
সোমবার, ২৬ মে ২০২৫
দেশ-বিদেশে চায়ের রাজধানী বলে খ্যাত ও চারিদিকে চা বাগান, পাহাড়- বনাঞ্চল ঘেরা মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল থানায় আশঙ্কাজনকভাবে শহর ও গ্রামাঞ্চলের বাসা বাড়ি, ক্ষেত, গাছের ডাল, ঘরের সিলিং ইত্যাদি থেকে অজগর, শঙ্খনীসহ অন্যান্য বিষধর সাপ ও অন্যান্য বন্যপ্রাণী ধরা পড়ার খবর পাওয়া গেছে। বনাঞ্চল ধ্বংস, দখল, মূল্যবান গাছ পাচার ইত্যাদির কারণে বনাঞ্চলে বন্যপশুপাখির খাদ্য সংকট দেখা দেয়ায় বন্যপ্রাণী গুলো লোকালয়ে খাদ্য সন্ধানে চলে আসছে। ফলে এসব দেখে ও শুনে স্থানীয় জনসাধারণ অনেকাংশে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।
বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশন বিগত তিনদিনে পৃথক চারটি স্থান থেকে ৩টি অজগর সাপ দুটি শঙ্খচিল ও ১টি সোনালী গুইল সাপ উদ্ধার করেছে।
গত ২৫মে সকালে শ্রীমঙ্গল থানার উত্তর ভাড়াউড়া গ্রামে গণমাধ্যম কর্মী শ্যামল পালের পাশের বাসার উঠানে একটি অজগর সাপ দেখা যায়। সাপটি দেখে বাড়ির সকলেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। এরপর ঘটনাটি শ্যামল পালকে জানানো হলে তিনি দ্রুত বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশনকে খবর দিলে ফাউন্ডেশনের পরিচালক স্বপন দেব সজল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে অজগর সাপটিকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করে নিয়ে আসেন।
গত ২৪ মে সকাল ৮ ঘটিকার সময় শ্রীমঙ্গল থানার ভাড়াউড়া চা বাগানের পিটার বাবু শামীম আহমেদ -এর বাসায় তাঁর স্ত্রী রান্নাঘরে রান্না করার সময় হ রান্না ঘরের সিলিং এর উপর একটি অজগর সাপ দেখতে পান । সাপটি দেখে ভয় পেয়ে তিনি চিৎকার শুরু করেন। আতঙ্কিত হয়ে বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশন এর পরিচালক স্বপন কুমার দেব সজলের সাথে ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি তাৎক্ষণাৎ ঘটনাস্থলে পৌঁছে অজগর সাপটিকে উদ্ধার করেন। একই দিন শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার পূর্ব বড়চর এলাকায় এক ব্যতিক্রমী ঘটনার সাক্ষী হলো দীপংকর রায়ের বসতবাড়ি। সকালে তার হাঁস-মোরগ রাখার ঘরের চারপাশে স্থাপন করা জালে হঠাৎ আটকে পড়ে একটি বিরল প্রজাতির সোনালী গুইল সাপ (ণবষষড়ি গড়হরঃড়ৎ খরুধৎফ) । সাপটিকে জালে আটকে থাকতে দেখে বাড়ির লোকজন কিছুটা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন ও দ্রুত সেটিকে জালসহ নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেন। পরে তারা শ্রীমঙ্গলে অবস্থিত বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশন এর সঙ্গে যোগাযোগ করলে সেবা ফাউন্ডেশনের পরিচালক স্বপন দেব সজল এবং পরিবেশ কর্মী রাজদীপ দেব দীপ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে সতর্কতার সঙ্গে জাল কেটে সাপটিকে মুক্ত করেন এবং প্রাথমিক পর্যবেক্ষণের পর জানান, এটি দেশে অত্যন্ত বিরল একটি প্রজাতি।
গত ১৭ই মে সকাল ৬টায় শ্রীমঙ্গল থানার হাইল হাওরে মাছ ধরার উদ্দেশ্যে শিপু মিয়া নামক একব্যক্তি বের হয়েছিলেন। তিনি হাইল হাওরে রিং জাল পেতে জাল তোলার সময় জালের ভেতরে একটি অজগর সাপ দেখতে পান। আতঙ্কিত হয়ে বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশনের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করলে তারা ঘটনাস্থল থেকে সাপটিকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে।
গত ১৭ মে শ্রীমঙ্গল থানার উত্তরসুর গ্রামে দুপুরে ঝড়ের কারণে হঠাৎ দুটি শঙ্খচিল পাখি গাছ থেকে মাটিতে পড়ে যায়।এলাকাবাসী পাখি দুটি দেখতে পেয়ে বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশনকে ফোনে অবগত করলে সেবা ফাউন্ডেশনের পরিচালক স্বপন দেব সজল এবং পরিবেশ কর্মী রাজদীপ দেব দীপ পাখিগুলোকে উদ্ধার করে নিরাপদে নিয়ে এসে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করেন।
পরবর্তীতে উদ্ধারকৃত ৩টি অজগর সাপ, ২টি শঙ্খচিল পাখি ও ১টি সোনালী গুইল সাপকে স্থানীয় বন বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
উল্লেখ্য যে, শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জ থানা এলাকার মধ্যবর্তী স্থানে ভানুগাছ পাহাড় যা’ বর্তমানে লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান হিসেবে দেশ-বিদেশে সকলের কাছে পরিচিত এই বনাঞ্চলটির বিশাল ভূমি এক শ্রেণীর প্রভাবশালী গোষ্ঠী বনের জায়গা জমি দখল করে বসতবাড়ি, রিসোর্ট ও চা বাগান তৈরি ও বনাঞ্চল উজাড় করার কারণে পশু পাখির খাদ্য সংকট দেখা দেওয়ার কারণে সাপ ও বন্য পশুপাখি খাদ্যের সন্ধানে লোকালয়ে ছুটে আসে। বন্য জীবজন্তু প্রায় ধরা পড়ে । অনেক সময় সড়কে গাড়ি নিচে পিষ্ট হয়েও মারা যাওয়ার খবর শোনা যায়।