ঠাকুরগাঁও : একটি সেতুর প্রত্যাশায় ১০ গ্রামের মানুষ -সংবাদ
নির্বাচন এলেই জনপ্রতিনিধিরা প্রতিশ্রুতি দেন এলাকার মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে। বলেন নির্বাচিত হলেই ব্রিজ তৈরিতে উদ্যোগ নিবেন। কথা দিয়ে ভোট আদায় করে নিলেও কেউ কথা রাখেননি। প্রতিটি সংসদ, উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থীদের মূল প্রতিশ্রুতি ছিল একটি ব্রিজ। কিন্তু প্রতিশ্রুতি থেকেই গেছে প্রতিশ্রুতির জায়গায়, সেটার বাস্তব প্রতিফলন হয়নি ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ৩ নং আকচা ইউনিয়নের ১০ গ্রামের প্রায় ২৫ হাজার মানুষের প্রয়োজনে।
স্থানীয়দের নিজস্ব অর্থায়নে ওই ইউনিয়নের পালপাড়া গ্রামের টাঙ্গন নদীর উপর নির্মিত করেন নড়বড়ে বাঁশের সাঁকো। আর সেই আঁকাবাঁকা সাঁকো পার হতে-হতে এভাবেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন স্থানীয় মানুষ।
তবে জনপ্রতিনিধিদের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন না হলেও আকচা ইউনিয়নের ১০ গ্রামের মানুষ এখনও স্বপ্ন দেখছেন এখনও। টাঙ্গনের তীরে একদিন একটি ব্রিজ নির্মাণ হবে। জনপ্রতিনিধিদের কাছ থেকে দফায় দফায় পাওয়া প্রতিশ্রুতিতে আশার স্বপ্ন বুনেছেন সেখানকার কৃষক, শ্রমিক ও স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা।
তবে ব্রিজটি নির্মিত হলে পাল্টে যাবে ঝাকুয়াপাড়া, সেনপাড়া, পালপাড়া, বাগপুর, সিংপাড়া, সর্দারপাড়া, চরঙ্গী, দক্ষিণ ও উত্তর বঠিনা গ্রামের কৃষক ও সাধারণ মানুষের জীবনমান।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিকেল আকৃতির একটি বাঁশের সাঁকো দিয়ে মানুষ পায়ে হেঁটে চলাচল করছেন। তবে পণ্যবাহী কোন যানবাহন যাতায়াত করতে পারছে না। বাঁশের নড়বড়ে সাঁকো দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে সাইকেল-মোটরসাইকেল পার হলেও তিন চাকার গাড়ি চলে না।
বর্ষা মৌসুমে নৌকাযোগে নদী পার হতে হয়। আর শুষ্ক মৌসুমে বাঁশের সাঁকো দিয়ে পারাপার হতে হয়। এতে প্রতিদিন ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা আর রোগীদের নিয়ে স্বজনদের পড়তে হয় বিপাকে। এ ছাড়াও অন্তঃসত্ত্বা নারী, রোগী ও কৃষিপণ্য আনা নেয়ায় স্থানীয় বাসিন্দাদের পোহাতে হয় দুর্ভোগ।
স্থানীয়দের দাবি, নির্বাচন আসলে জনপ্রতিনিধিরা শুধু প্রতিশ্রুতি দিয়ে যান। নির্বাচন শেষ হলে তাদের আর দেখা পাওয়া যায় না। বছরের পর বছর শুধু আশ্বাস দিয়ে গেলেও ব্রিজ নির্মাণে কোনো প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেননি কেউ। তাই সরকারের কাছে জরুরি ভিত্তিতে বাঁশের সাঁকোর পরিবর্তে ব্রিজ নির্মাণের জোর দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
এ ব্যাপারে আকঁচা ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান শিমলা রানী জানান, আমরা বারবার প্রতিশ্রুতি শুনে এসেছি। ব্রিজটি নির্মাণে উদ্যোগ নেয়ার কথাও শুনেছি। কিন্তু সেটা বাস্তবে পরিণত হয়নি। আমি এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে অবিলম্বে ব্রিজটি নির্মাণের দাবি জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ মামুন বিশ্বাস জানান, সাঁকোটি পরিদর্শন করেছি। এর ওপর দিয়ে বহু মানুষের চলাচল। আমরা বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখছি। জেলার কয়েকটি ব্রিজের প্রস্তাবনা পাঠান হয়েছে। একনেকে পাশ হলেই পালপাড়া ব্রিজের কাজ শুরু করতে পারব।
ঠাকুরগাঁও : একটি সেতুর প্রত্যাশায় ১০ গ্রামের মানুষ -সংবাদ
সোমবার, ২৬ মে ২০২৫
নির্বাচন এলেই জনপ্রতিনিধিরা প্রতিশ্রুতি দেন এলাকার মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে। বলেন নির্বাচিত হলেই ব্রিজ তৈরিতে উদ্যোগ নিবেন। কথা দিয়ে ভোট আদায় করে নিলেও কেউ কথা রাখেননি। প্রতিটি সংসদ, উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থীদের মূল প্রতিশ্রুতি ছিল একটি ব্রিজ। কিন্তু প্রতিশ্রুতি থেকেই গেছে প্রতিশ্রুতির জায়গায়, সেটার বাস্তব প্রতিফলন হয়নি ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ৩ নং আকচা ইউনিয়নের ১০ গ্রামের প্রায় ২৫ হাজার মানুষের প্রয়োজনে।
স্থানীয়দের নিজস্ব অর্থায়নে ওই ইউনিয়নের পালপাড়া গ্রামের টাঙ্গন নদীর উপর নির্মিত করেন নড়বড়ে বাঁশের সাঁকো। আর সেই আঁকাবাঁকা সাঁকো পার হতে-হতে এভাবেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন স্থানীয় মানুষ।
তবে জনপ্রতিনিধিদের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন না হলেও আকচা ইউনিয়নের ১০ গ্রামের মানুষ এখনও স্বপ্ন দেখছেন এখনও। টাঙ্গনের তীরে একদিন একটি ব্রিজ নির্মাণ হবে। জনপ্রতিনিধিদের কাছ থেকে দফায় দফায় পাওয়া প্রতিশ্রুতিতে আশার স্বপ্ন বুনেছেন সেখানকার কৃষক, শ্রমিক ও স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা।
তবে ব্রিজটি নির্মিত হলে পাল্টে যাবে ঝাকুয়াপাড়া, সেনপাড়া, পালপাড়া, বাগপুর, সিংপাড়া, সর্দারপাড়া, চরঙ্গী, দক্ষিণ ও উত্তর বঠিনা গ্রামের কৃষক ও সাধারণ মানুষের জীবনমান।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিকেল আকৃতির একটি বাঁশের সাঁকো দিয়ে মানুষ পায়ে হেঁটে চলাচল করছেন। তবে পণ্যবাহী কোন যানবাহন যাতায়াত করতে পারছে না। বাঁশের নড়বড়ে সাঁকো দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে সাইকেল-মোটরসাইকেল পার হলেও তিন চাকার গাড়ি চলে না।
বর্ষা মৌসুমে নৌকাযোগে নদী পার হতে হয়। আর শুষ্ক মৌসুমে বাঁশের সাঁকো দিয়ে পারাপার হতে হয়। এতে প্রতিদিন ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা আর রোগীদের নিয়ে স্বজনদের পড়তে হয় বিপাকে। এ ছাড়াও অন্তঃসত্ত্বা নারী, রোগী ও কৃষিপণ্য আনা নেয়ায় স্থানীয় বাসিন্দাদের পোহাতে হয় দুর্ভোগ।
স্থানীয়দের দাবি, নির্বাচন আসলে জনপ্রতিনিধিরা শুধু প্রতিশ্রুতি দিয়ে যান। নির্বাচন শেষ হলে তাদের আর দেখা পাওয়া যায় না। বছরের পর বছর শুধু আশ্বাস দিয়ে গেলেও ব্রিজ নির্মাণে কোনো প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেননি কেউ। তাই সরকারের কাছে জরুরি ভিত্তিতে বাঁশের সাঁকোর পরিবর্তে ব্রিজ নির্মাণের জোর দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
এ ব্যাপারে আকঁচা ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান শিমলা রানী জানান, আমরা বারবার প্রতিশ্রুতি শুনে এসেছি। ব্রিজটি নির্মাণে উদ্যোগ নেয়ার কথাও শুনেছি। কিন্তু সেটা বাস্তবে পরিণত হয়নি। আমি এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে অবিলম্বে ব্রিজটি নির্মাণের দাবি জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ মামুন বিশ্বাস জানান, সাঁকোটি পরিদর্শন করেছি। এর ওপর দিয়ে বহু মানুষের চলাচল। আমরা বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখছি। জেলার কয়েকটি ব্রিজের প্রস্তাবনা পাঠান হয়েছে। একনেকে পাশ হলেই পালপাড়া ব্রিজের কাজ শুরু করতে পারব।