ফরিদপুরের সদরপুরের বাজারে জমে উঠেছে মৌসুমী ফল তালের শাঁস বিক্রির ধুম পড়েছে।এদিকে বাড়ছে প্রাকৃতিক দুঃর্যোগ বজ্রপাত,কেটে ফেলায় কমছে তাল গাছ। সদরপুর উপজেলা শহরের তেমন একটা তালগাছ নেই বললেই চলে। তবে সদরপুর থেকে চরভদ্রাশ মেইন রাস্তার পাশ দিয়ে,সদরপুর-কৃষ্ণপুর, ভাষানচর, বিষ্ণুপুর, উপজেলা সরকারি কলেজের পাশে, সরকারি হাইস্কুল পাশে, বাজার থেকে চলে যাওয়া রাস্তার পাশ দিয়ে কিছু সারি-সারি তালগাছ দেখতে পাওয়া যায়।
উপজেলার সদরের বাজারসহ বিভিন্ন এলাকার হাট-বাজার,রাস্তার মোড়ে প্রতিদিন কচি-কাঁচা তাল নিয়ে বসছেন ব্যবসায়ীরা। খুচড়া প্রতি পিস তালের শাঁস প্রকার ভেদে বিক্রি হচ্ছে ১৫ /২০ টাকা, এক কুড়ি তালের শাঁস ২০০-২৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। যেখানে এক কুড়ি পাকা তাল স্থান ভেদে ২০০ টাকার মতো বিক্রি হয়। সেখানে একটা তালের শাঁস বিক্রী হয় প্রায় বিশ টাকা। যদিও মৌসুমে পাঁকা তালের তেমন একটা চাহিদা নেই বললেই চলে।
উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য মতে, উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের মধ্যে ২টি ইউনিয়নে কোন তাল গাছ নেই বললেই চলে আর বাকি সাতটি ইউনিয়নে কয়েক হাজার তাল গাছ রয়েছে।
এর মধ্যে শ্যামপুর গ্রাম, ভাষানচর, কৃষ্ণপুর, বিষ্ণুপুর, লোহারটেক, আকোটেরচর তালতলা, রামনগরসহ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে তাল গাছ ছড়িয়ে- ছিটিয়ে রয়েছে। কৃষ্ণপুরের শৌলডুবির বাসিন্দা আতিয়ার মল্লিক জানান, এখন আর আগের মত তাল শাঁস পাওয়া যায় না। আগে দিনে অনেক গাছি তালের রস বিক্রী করে সংসার চালাতো, এখন সেই গাছিও নেই আর তালের রসও নেই, আছে শুধু গল্প, এখন অনেক এলাকা খুঁজেও একহন গাছি পাওয়া দুস্কর হয়ে পড়ে,তালের রস পাওয়াতো কষ্টেসাধ্যের ব্যাপার। এটা যেন আগামী প্রজন্মের কাছে গল্প হয়ে যাবে। এখন কচি তালের শাঁস খাচ্ছি। হয়তো বা আগামী কিছু দিন পর এটিও আর খেতে পারব কিনা জানি না। কেননা যেভাবে তালের গাছ কাটা হচ্ছে, অনেক এলাকায় নতুন করে কেউ তালগাছ লাগাচ্ছে না। এতে করে তালগাছ জন্মাচ্ছেনা, তাই বলা যায়, পুরাতন গাছ হারিয়ে গেলে, নতুন করে গাছ না জন্মালে আগামী প্রজন্ম কীভাবে চিনবে। যে কারনে বলা যায়, হয়তো বেশি দিন আর এ গুলো খাওয়া যাবে না।
উপজেলার আকোটেরচর ইউনিয়নের সাহেবেরচর গ্রামের বাসিন্দা মৌসুমী ফল ব্যবসায়ী জনু মিয়া এখন জনসংঘ হাইস্কুল গেটের পাশে প্রতিদিন ভ্যান গাড়িতে ঘুড়ে-ঘুড়ে তালের শাঁস বিক্রি করছেন। তিনি বলেন, আমি চার বছর ধরে এই ব্যবসা করছি। গত দুই বছর করোনার কারণে ভালোভাবে ব্যবসা করতে পারিনি তবে চলতি মৌসুমে আমি ব্যাবসা একটু ভালো হবে বলেই আশা করছি। এ বছর তালের শাঁসের দাম বেশি, তাল এখন তেমন একটা পাওয়া যাচ্ছে না অনেক দুরে গিয়ে আনতে হয়। ১২ বছর ধরে তালের ব্যবসা করেন শ্যামপুর গ্রামের আব্দুর কাদের। তিনি বলেন, আগে তাল শাঁসের কুড়ি ছিল ১০ টাকা। এরপর বাড়তে বাড়তে বর্তমানে এক কুড়ি তাল শাঁস বিক্রি হচ্ছে ২০০/২৫০ টাকায়। আমি প্রতিটা গাছ কিনেছি ২০০/৩০০ টাকায়। সেই গাছের তাল বিক্রি করছি ১৫০০-১৭০০ টাকায়।
উপজেলা কৃষি কর্মকতা বলেন, তালের শাঁস সুস্বাদু ও পুষ্টিকর, তালের রসও অনেক উপকারী। তালের রস দিয়ে গুড়, মিছরি তৈরি হয়। বৈশ্বিক আবহাওয়ার কারণে তাল গাছ দিন দিন কমে যাচ্ছে। তবে আমরা কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে তাল গাছ বাড়ানোর জন্য কৃষককে উদবদ্ধো করছি।
সোমবার, ২৬ মে ২০২৫
ফরিদপুরের সদরপুরের বাজারে জমে উঠেছে মৌসুমী ফল তালের শাঁস বিক্রির ধুম পড়েছে।এদিকে বাড়ছে প্রাকৃতিক দুঃর্যোগ বজ্রপাত,কেটে ফেলায় কমছে তাল গাছ। সদরপুর উপজেলা শহরের তেমন একটা তালগাছ নেই বললেই চলে। তবে সদরপুর থেকে চরভদ্রাশ মেইন রাস্তার পাশ দিয়ে,সদরপুর-কৃষ্ণপুর, ভাষানচর, বিষ্ণুপুর, উপজেলা সরকারি কলেজের পাশে, সরকারি হাইস্কুল পাশে, বাজার থেকে চলে যাওয়া রাস্তার পাশ দিয়ে কিছু সারি-সারি তালগাছ দেখতে পাওয়া যায়।
উপজেলার সদরের বাজারসহ বিভিন্ন এলাকার হাট-বাজার,রাস্তার মোড়ে প্রতিদিন কচি-কাঁচা তাল নিয়ে বসছেন ব্যবসায়ীরা। খুচড়া প্রতি পিস তালের শাঁস প্রকার ভেদে বিক্রি হচ্ছে ১৫ /২০ টাকা, এক কুড়ি তালের শাঁস ২০০-২৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। যেখানে এক কুড়ি পাকা তাল স্থান ভেদে ২০০ টাকার মতো বিক্রি হয়। সেখানে একটা তালের শাঁস বিক্রী হয় প্রায় বিশ টাকা। যদিও মৌসুমে পাঁকা তালের তেমন একটা চাহিদা নেই বললেই চলে।
উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য মতে, উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের মধ্যে ২টি ইউনিয়নে কোন তাল গাছ নেই বললেই চলে আর বাকি সাতটি ইউনিয়নে কয়েক হাজার তাল গাছ রয়েছে।
এর মধ্যে শ্যামপুর গ্রাম, ভাষানচর, কৃষ্ণপুর, বিষ্ণুপুর, লোহারটেক, আকোটেরচর তালতলা, রামনগরসহ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে তাল গাছ ছড়িয়ে- ছিটিয়ে রয়েছে। কৃষ্ণপুরের শৌলডুবির বাসিন্দা আতিয়ার মল্লিক জানান, এখন আর আগের মত তাল শাঁস পাওয়া যায় না। আগে দিনে অনেক গাছি তালের রস বিক্রী করে সংসার চালাতো, এখন সেই গাছিও নেই আর তালের রসও নেই, আছে শুধু গল্প, এখন অনেক এলাকা খুঁজেও একহন গাছি পাওয়া দুস্কর হয়ে পড়ে,তালের রস পাওয়াতো কষ্টেসাধ্যের ব্যাপার। এটা যেন আগামী প্রজন্মের কাছে গল্প হয়ে যাবে। এখন কচি তালের শাঁস খাচ্ছি। হয়তো বা আগামী কিছু দিন পর এটিও আর খেতে পারব কিনা জানি না। কেননা যেভাবে তালের গাছ কাটা হচ্ছে, অনেক এলাকায় নতুন করে কেউ তালগাছ লাগাচ্ছে না। এতে করে তালগাছ জন্মাচ্ছেনা, তাই বলা যায়, পুরাতন গাছ হারিয়ে গেলে, নতুন করে গাছ না জন্মালে আগামী প্রজন্ম কীভাবে চিনবে। যে কারনে বলা যায়, হয়তো বেশি দিন আর এ গুলো খাওয়া যাবে না।
উপজেলার আকোটেরচর ইউনিয়নের সাহেবেরচর গ্রামের বাসিন্দা মৌসুমী ফল ব্যবসায়ী জনু মিয়া এখন জনসংঘ হাইস্কুল গেটের পাশে প্রতিদিন ভ্যান গাড়িতে ঘুড়ে-ঘুড়ে তালের শাঁস বিক্রি করছেন। তিনি বলেন, আমি চার বছর ধরে এই ব্যবসা করছি। গত দুই বছর করোনার কারণে ভালোভাবে ব্যবসা করতে পারিনি তবে চলতি মৌসুমে আমি ব্যাবসা একটু ভালো হবে বলেই আশা করছি। এ বছর তালের শাঁসের দাম বেশি, তাল এখন তেমন একটা পাওয়া যাচ্ছে না অনেক দুরে গিয়ে আনতে হয়। ১২ বছর ধরে তালের ব্যবসা করেন শ্যামপুর গ্রামের আব্দুর কাদের। তিনি বলেন, আগে তাল শাঁসের কুড়ি ছিল ১০ টাকা। এরপর বাড়তে বাড়তে বর্তমানে এক কুড়ি তাল শাঁস বিক্রি হচ্ছে ২০০/২৫০ টাকায়। আমি প্রতিটা গাছ কিনেছি ২০০/৩০০ টাকায়। সেই গাছের তাল বিক্রি করছি ১৫০০-১৭০০ টাকায়।
উপজেলা কৃষি কর্মকতা বলেন, তালের শাঁস সুস্বাদু ও পুষ্টিকর, তালের রসও অনেক উপকারী। তালের রস দিয়ে গুড়, মিছরি তৈরি হয়। বৈশ্বিক আবহাওয়ার কারণে তাল গাছ দিন দিন কমে যাচ্ছে। তবে আমরা কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে তাল গাছ বাড়ানোর জন্য কৃষককে উদবদ্ধো করছি।