alt

সারাদেশ

তেঁতুলিয়া-বুড়াগৌরাঙ্গ নদীতে মাছ সংকট, হতাশায় জেলেরা

প্রতিনিধি, দশমিনা (পটুয়াখালী) : সোমবার, ২৬ মে ২০২৫

দশমিনা (পটুয়াখালী) : উপজেলার তেঁতুলিয়া-বুড়াগৌরাঙ্গী নদীতে জাল ফেলে আশানুরূপ মাছ না পেয়ে হতাশ জেলেরা -সংবাদ

পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার প্রধান ২টি নদী তেঁতুলিয়া এবং বুড়াগৌরাঙ্গ নদীতে জেলেরা আশানারূপ ইলিশসহ অন্যান্য মাছ না পাওয়ায় জেলে পল্লীর জেলে পরিবারগুলো মানবেতর জীবনযাপনের পাশাপাশি দিশেহারা হয়ে পড়েছে। উপজেলার প্রধান এই দুইটি নদীতে মাছ না পেয়ে জেলেরা তাদের পরিবার পরিজন নিয়ে কষ্টে দিন কাটাচ্ছে। আবার এই সুযোগে দাদন ব্যবসায়ীরা তাদের দাদনের টাকার জন্য জেলেদের প্রতিনিয়ত চাপ দিয়ে যাচ্ছেন। জেলে পল্লী হিসেবে খ্যাত উপজেলার উপকূলীয় এলাকা বাঁশবাড়িয়া, হাজীরহাট, গোলখালী, আউলিয়াপুর, রনগোপালদী ও আলীপুরা এলাকায় এখন জেলেদের মধ্যে দাদন ব্যবসায়ীদের কারণে ভীতি ও আতংক বিরাজ করছে। উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের হাট-বাজারগুলোতে দেশি প্রজাতির নানা ধরনের মাছ এখন দুস্প্রাপ্য হয়ে গেছে। বর্ষা মৌসুমে ডিমওয়ালা মাছ ডিম ছাড়ার আগেই জেলেদের জালে ধরা পড়েছে। ফলে মাছের বংশ বিস্তার হয়নি। এক শ্রেণীর অসাধু জেলেরা মাছ ধরার জন্য বিভিন্ন ধরনের জাল দিয়ে অবাধে মাছ শিকার করছে- যার কারণে উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে দেশি প্রজাতির মাছ দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে। এদিকে উপজেলার প্রধান ২টি নদী তেঁতুলিয়া ও বুড়াগৌরাঙ্গ নদীতে জেলেরা জাল ফেলে ইলিশসহ অন্যান্য মাছ কম পেয়ে হতাশ হয়ে তীরে ফিরে আসছেন।

উপজেলায় মাছের ক্ষেত্র হিসাবে পরিচিত আলীপুরা, বাঁশবাড়িয়া, রনগোপালদী, চরবোরহান, দশমিনা, বেতাগী সানকিপুর ইউনিয়নের নদনদী, খালবিল এবং পুকুর-ডোবা এখন মাছশূন্য হয়ে গেছে। উল্লেখিত এলাকায় বোয়াল, মাগুর, শিং, কৈ, টেংরা, শোল, টাকি, পুটি, গজার, চাপিলা, খৈইলশা, পাবদা, আইড়, চিংড়ি, মলা, বাইন, বেলেসহ অর্ধশতাধিক প্রজাতির মাছ প্রায় বিলুপ্ত হওয়ার পথে রয়েছে। বিশেষ করে নদীর মাছ হিসেবে পরিচিত পোয়া, ইলিশ, আইড় এবং রিটা যার দেখা এখন অনেকটা ভাগ্যের ব্যাপার। উপজেলার সর্বত্র নিষিদ্ধ ঘোষিত জালের অবাধ ব্যবহার, কৃষি জমিতে সার ও কীটনাশকের ব্যাপক ব্যবহার, বর্ষাকালে প্রজনন মৌসুমে ডিমওয়ালা মা মাছসহ পোনা নিধন, শুস্ক মৌসুমে মাছ ধরার প্রবনতা এবং মাছের বিচরন ক্ষেত্র কমে যাওয়াসহ অন্যান্য কারণে এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক ফসল হিসেবে পরিচিত মৎস্যসম্পদ আজ বিলুপ্ত হতে চলছে। এ ছাড়া মাছের প্রজনন মৌসুম ও পোনা মাছের বৃদ্ধিকালীন সময় অবাধে ছোট-বড় মাছ ধরা এবং মৎস্য আইনের যথাযথ প্রয়োগ না থাকায় মৎস্য সম্পদ দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে। বিগত ২০ বছর আগে গ্রামাঞ্চলে সর্বত্র দেশি প্রজাতির মাছ পাওয়া গেলেও এখন আর সেই অবস্থা নেই। উপজেলার হাট-বাজারগুলোতে এখন চাষকৃত কার্প জাতীয় রুই, কাতলা, পাঙ্গাস, হাইব্রিড শিং, মাগুর এবং থাই পুটি, কৈ ও তেলাপিয়াসহ নানা ধরনের মাছ বিক্রি হচ্ছে। চাষকৃত মাছের কাছে দেশি প্রজাতির মাছটিকতে না পেরে হারিয়ে গেছে।

জেলেরা জানান, দারিদ্র্যের কারণে তারা মাছ শিকার করতে বাধ্য হচ্ছেন। অভিজ্ঞ মহলের মতে, সমন্বিত মৎস্যসম্পদ ব্যবস্থাপনার উদ্যোগ গ্রহণ, কৃষি জমিতে স্বল্প মাত্রায় কীটনাশক ব্যবহার এবং প্রজনন মৌসুমে মাছ ধরা বন্ধ করা হলে জাতীয় মৎস্য সম্পদ রক্ষা করা সম্ভব হবে। বর্তমানে বিদেশি চাষকৃত মাছের কাছে দেশীয় প্রজাতির মাছ মার খেয়ে গেছে। এমন অবস্থায় দেশি মাছ বিলুপ্তি হলে উপজেলার ৫ শতাধিক জেলে পরিবারের ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে যাবে। এদিকে উপজেলার প্রধান দুটি নদী তেঁতুলিয়া ও বুড়াগৌরাঙ্গে জেলেরা জাল ফেলে ইলিশসহ অন্যান্য মাছ কম পাওয়ার কারণে হতাশ হয়ে তীরে ফিরে আসছেন। ভরা মৌসুমেও কাঙ্খিত মাছ না পেয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তারা। নদীতে জাল ফেলে যৎসামান্য মাছ পেয়ে নদীর তীরে নৌকা নিয়ে ফিরে আসছেন জেলেরা।

৯৯৯-এ ফোন পেয়ে উদ্ধার, গ্রেপ্তার মোটরসাইকেলচালক

ছবি

নাইক্ষ্যংছড়িতে বিজিবির জব্দ ১৮ গরু ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় গোলাগুলি, আহত ৪

ছবি

প্যারোল মেলেনি, জেলগেটেই শেষবার মায়ের মুখ দেখলেন সাবেক এমপি আসাদুজ্জামান

ঈশ্বরদী ইপিজেডে শত শত শ্রমিক ডায়রিয়ায় আক্রান্ত, এক নারী শ্রমিকের মৃত্যু

ছবি

মাগুরা-ঝিনাইদহ সড়কে মুখোমুখি সংঘর্ষে যুবক নিহত

ছবি

রাঙামাটিতে পাহাড় ধস-জলাবদ্ধতা, আশ্রয়কেন্দ্রে শত শত মানুষ

ছবি

গাজীপুরে পোশাক কারখানায় পানির কারণে শ্রমিক অসুস্থতা, তদন্তে কর্তৃপক্ষ

ছবি

সংস্কারের তিন বছর না যেতেই লামা-সুয়ালক সড়ক বেহাল

লাউয়াছড়া পাহাড়ি সড়কে ডাকাতি

শরণখোলায় বজ্রপাতে মাছ ব্যবসায়ীর মৃত্যু

পানিবন্দী আমতলীর লাখো মানুষ

ছবি

মানিকগঞ্জে অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে তৈরি হচ্ছে শিশু খাবার

চুয়াডাঙ্গায় আকাশ হত্যার বিচারের দাবিতে ট্রেন আটকে মানববন্ধন

রাণীনগরে দুই রাতে ১৩ গরু ছাগল চুরি

হিলিতে পার্টনার কংগ্রেস অনুষ্ঠিত

বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস পালিত

দুর্গাপুরে ৫ম শ্রেণীর ছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগে প্রধান শিক্ষক বরখাস্ত

পরিবারের সঙ্গে ঈদ করতে এসে সড়কে ঝরল জাপান প্রবাসীর প্রাণ

ছবি

মাছচাষিদের মধ্যে মাছের খাবার বিতরণ

গোপালপুরে ভিজিএফের চাল বিতরণ উদ্বোধন

ছবি

কালীগঞ্জে শীতলক্ষ্যা পাড়ে ‘জীবন তরী’

ছবি

দামুড়হুদায় কালের সাক্ষী জমিদার বাড়ির প্রধান ফটক

বাজেট ঘোষণা : বেনাপোল কাস্টমসে সতর্কতা

সুন্দরবনে মাছ ধরায় তিন মাসের নিষেধাজ্ঞা শুরু

৬ দিনে পাঁচ কোটি টাকার ভারতীয় পণ্য জব্দ

ছবি

থ্যালাসেমিয়া রোগীদের জন্য রবির রক্তদান কর্মসূচি

রংপুরে রাজনৈতিক অস্থিরতা: সেনাবাহিনীর তলবে বৈষম্যবিরোধী ও বিএনপি নেতারা

ছবি

কুমিল্লায় সড়ক দুর্ঘটনায় গেল ২ শ্রমিকের প্রাণ

ছবি

সিলেটে টিলা ধসে একই পরিবারের ৪ জনের মৃত্যু

নাইক্ষ্যংছড়িতে ভেজা বাঁশে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একজনের মৃত্যু

ছবি

প্রভাবশালীদের অবৈধ দখলে ধামতীর ঐতিহ্যবাহী নলুয়ার খেলার মাঠ

ছবি

চট্টগ্রাম মহানগরের পলিটেকনিক বাংলাবাজার সড়ক দখলদারদের স্বর্গরাজ্য

মাদক নিয়ন্ত্রণ কার্যালয় থেকে বিপুল পরিমাণ মাদক ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার

ওষুধ ভেবে বিষপানে শিশুর মৃত্যু

মহালছড়িতে পাহাড়ি নারীকে ধর্ষণ

রামুতে বজ্রপাতে আহত ১৫

tab

সারাদেশ

তেঁতুলিয়া-বুড়াগৌরাঙ্গ নদীতে মাছ সংকট, হতাশায় জেলেরা

প্রতিনিধি, দশমিনা (পটুয়াখালী)

দশমিনা (পটুয়াখালী) : উপজেলার তেঁতুলিয়া-বুড়াগৌরাঙ্গী নদীতে জাল ফেলে আশানুরূপ মাছ না পেয়ে হতাশ জেলেরা -সংবাদ

সোমবার, ২৬ মে ২০২৫

পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার প্রধান ২টি নদী তেঁতুলিয়া এবং বুড়াগৌরাঙ্গ নদীতে জেলেরা আশানারূপ ইলিশসহ অন্যান্য মাছ না পাওয়ায় জেলে পল্লীর জেলে পরিবারগুলো মানবেতর জীবনযাপনের পাশাপাশি দিশেহারা হয়ে পড়েছে। উপজেলার প্রধান এই দুইটি নদীতে মাছ না পেয়ে জেলেরা তাদের পরিবার পরিজন নিয়ে কষ্টে দিন কাটাচ্ছে। আবার এই সুযোগে দাদন ব্যবসায়ীরা তাদের দাদনের টাকার জন্য জেলেদের প্রতিনিয়ত চাপ দিয়ে যাচ্ছেন। জেলে পল্লী হিসেবে খ্যাত উপজেলার উপকূলীয় এলাকা বাঁশবাড়িয়া, হাজীরহাট, গোলখালী, আউলিয়াপুর, রনগোপালদী ও আলীপুরা এলাকায় এখন জেলেদের মধ্যে দাদন ব্যবসায়ীদের কারণে ভীতি ও আতংক বিরাজ করছে। উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের হাট-বাজারগুলোতে দেশি প্রজাতির নানা ধরনের মাছ এখন দুস্প্রাপ্য হয়ে গেছে। বর্ষা মৌসুমে ডিমওয়ালা মাছ ডিম ছাড়ার আগেই জেলেদের জালে ধরা পড়েছে। ফলে মাছের বংশ বিস্তার হয়নি। এক শ্রেণীর অসাধু জেলেরা মাছ ধরার জন্য বিভিন্ন ধরনের জাল দিয়ে অবাধে মাছ শিকার করছে- যার কারণে উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে দেশি প্রজাতির মাছ দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে। এদিকে উপজেলার প্রধান ২টি নদী তেঁতুলিয়া ও বুড়াগৌরাঙ্গ নদীতে জেলেরা জাল ফেলে ইলিশসহ অন্যান্য মাছ কম পেয়ে হতাশ হয়ে তীরে ফিরে আসছেন।

উপজেলায় মাছের ক্ষেত্র হিসাবে পরিচিত আলীপুরা, বাঁশবাড়িয়া, রনগোপালদী, চরবোরহান, দশমিনা, বেতাগী সানকিপুর ইউনিয়নের নদনদী, খালবিল এবং পুকুর-ডোবা এখন মাছশূন্য হয়ে গেছে। উল্লেখিত এলাকায় বোয়াল, মাগুর, শিং, কৈ, টেংরা, শোল, টাকি, পুটি, গজার, চাপিলা, খৈইলশা, পাবদা, আইড়, চিংড়ি, মলা, বাইন, বেলেসহ অর্ধশতাধিক প্রজাতির মাছ প্রায় বিলুপ্ত হওয়ার পথে রয়েছে। বিশেষ করে নদীর মাছ হিসেবে পরিচিত পোয়া, ইলিশ, আইড় এবং রিটা যার দেখা এখন অনেকটা ভাগ্যের ব্যাপার। উপজেলার সর্বত্র নিষিদ্ধ ঘোষিত জালের অবাধ ব্যবহার, কৃষি জমিতে সার ও কীটনাশকের ব্যাপক ব্যবহার, বর্ষাকালে প্রজনন মৌসুমে ডিমওয়ালা মা মাছসহ পোনা নিধন, শুস্ক মৌসুমে মাছ ধরার প্রবনতা এবং মাছের বিচরন ক্ষেত্র কমে যাওয়াসহ অন্যান্য কারণে এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক ফসল হিসেবে পরিচিত মৎস্যসম্পদ আজ বিলুপ্ত হতে চলছে। এ ছাড়া মাছের প্রজনন মৌসুম ও পোনা মাছের বৃদ্ধিকালীন সময় অবাধে ছোট-বড় মাছ ধরা এবং মৎস্য আইনের যথাযথ প্রয়োগ না থাকায় মৎস্য সম্পদ দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে। বিগত ২০ বছর আগে গ্রামাঞ্চলে সর্বত্র দেশি প্রজাতির মাছ পাওয়া গেলেও এখন আর সেই অবস্থা নেই। উপজেলার হাট-বাজারগুলোতে এখন চাষকৃত কার্প জাতীয় রুই, কাতলা, পাঙ্গাস, হাইব্রিড শিং, মাগুর এবং থাই পুটি, কৈ ও তেলাপিয়াসহ নানা ধরনের মাছ বিক্রি হচ্ছে। চাষকৃত মাছের কাছে দেশি প্রজাতির মাছটিকতে না পেরে হারিয়ে গেছে।

জেলেরা জানান, দারিদ্র্যের কারণে তারা মাছ শিকার করতে বাধ্য হচ্ছেন। অভিজ্ঞ মহলের মতে, সমন্বিত মৎস্যসম্পদ ব্যবস্থাপনার উদ্যোগ গ্রহণ, কৃষি জমিতে স্বল্প মাত্রায় কীটনাশক ব্যবহার এবং প্রজনন মৌসুমে মাছ ধরা বন্ধ করা হলে জাতীয় মৎস্য সম্পদ রক্ষা করা সম্ভব হবে। বর্তমানে বিদেশি চাষকৃত মাছের কাছে দেশীয় প্রজাতির মাছ মার খেয়ে গেছে। এমন অবস্থায় দেশি মাছ বিলুপ্তি হলে উপজেলার ৫ শতাধিক জেলে পরিবারের ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে যাবে। এদিকে উপজেলার প্রধান দুটি নদী তেঁতুলিয়া ও বুড়াগৌরাঙ্গে জেলেরা জাল ফেলে ইলিশসহ অন্যান্য মাছ কম পাওয়ার কারণে হতাশ হয়ে তীরে ফিরে আসছেন। ভরা মৌসুমেও কাঙ্খিত মাছ না পেয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তারা। নদীতে জাল ফেলে যৎসামান্য মাছ পেয়ে নদীর তীরে নৌকা নিয়ে ফিরে আসছেন জেলেরা।

back to top