নরসিংদী সরকারি কলেজের সহকারী অধ্যাপক ও নারী অধিকারকর্মী নাদিরা ইয়াসমিনকে সাতক্ষীরা সরকারি কলেজে বদলি করা হয়েছে। ‘বিতর্কিত লেখা’ প্রকাশের অভিযোগ তুলে তাঁর অপসারণের জন্য হেফাজতে ইসলাম ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেওয়ার পরপরই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সোমবার মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের উপসচিব মো. মাহবুব আলম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ বদলির আদেশ দেওয়া হয়।
নাদিরা ইয়াসমিন নরসিংদী জেলায় নারী অধিকার আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত এবং ‘নারী অঙ্গন’ নামের সংগঠন ও একই নামের অনলাইন পোর্টালের সম্পাদিকা। সম্প্রতি ‘হিস্যা’ নামে একটি ম্যাগাজিনে উত্তরাধিকারসহ ধর্মীয় বিধান নিয়ে প্রকাশিত একটি লেখাকে কেন্দ্র করে বিতর্কের সূত্রপাত হয়। হেফাজতে ইসলাম অভিযোগ করে, ওই লেখায় কোরআনের বিধানকে ‘বৈষম্যমূলক’ বলা হয়েছে, যা ইসলাম ও মুসলিমদের প্রতি অবমাননাকর।
রোববার হেফাজতে ইসলামের স্থানীয় নেতারা নরসিংদী সরকারি কলেজসংলগ্ন এলাকায় প্রতিবাদ সমাবেশ করে নাদিরা ইয়াসমিনের বিরুদ্ধে ‘ইসলাম অবমাননার’ অভিযোগ তুলে তাঁর অপসারণের দাবি জানান। বক্তারা ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়ে বলেন, দাবি না মানলে কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।
এর পরদিনই নাদিরা ইয়াসমিনকে সাতক্ষীরা সরকারি কলেজে বদলি করা হয়, তবে তিনি অভিযোগ করেন, তাঁকে যেখানে পাঠানো হয়েছে, সেটি একটি ‘জামায়াত-শিবিরপ্রধান’ এলাকা হিসেবে পরিচিত এবং সেখানে কোনো শূন্যপদ নেই। তাঁর ভাষায়, “আমাকে সেখানে বদলি করার মাধ্যমে হয়রানি ও ভীতি প্রদর্শনের চেষ্টা করা হয়েছে।”
এ ঘটনার পর সামাজিক মাধ্যমে এবং নাগরিক সমাজে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।
জাতীয় নাগরিক পার্টির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন এক ফেইসবুক পোস্টে লেখেন, “মবের দৌরাত্ম্যে আত্মসমর্পণ করে নাদিরা ইয়াসমিনের বদলির সিদ্ধান্তে তীব্র প্রতিবাদ জানাই।”
গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটির সদস্য অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, “হেফাজত কথার জবাব দিতে পারে না, তাই চিৎকার-হুমকি-হামলার পথ নেয়। বর্তমান সরকারও তাদের পথেই চলছে। এটি কোনো সংস্কার নয়।”
নাদিরা ইয়াসমিন বলেন, “আমরা ধর্মকে আমাদের প্রতিপক্ষ মনে করি না। বরং বিশ্বাস করি, এই বিতর্ক অনাকাঙ্ক্ষিত ভুল-বোঝাবুঝির ফসল। হঠাৎ করে বদলির আদেশ না দিয়ে আলোচনার পথ বেছে নেওয়া যেত। আমরা এখনো সংলাপ ও সৌহার্দ্যের পক্ষেই আছি।”
তিনি অভিযোগ করেন, নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের সুপারিশকে ‘নারী অঙ্গনের’ অবস্থান হিসেবে ধরে নিয়ে যেসব বিতর্ক তৈরি হয়েছে, তা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও বিভ্রান্তিমূলক।
মঙ্গলবার, ২৭ মে ২০২৫
নরসিংদী সরকারি কলেজের সহকারী অধ্যাপক ও নারী অধিকারকর্মী নাদিরা ইয়াসমিনকে সাতক্ষীরা সরকারি কলেজে বদলি করা হয়েছে। ‘বিতর্কিত লেখা’ প্রকাশের অভিযোগ তুলে তাঁর অপসারণের জন্য হেফাজতে ইসলাম ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেওয়ার পরপরই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সোমবার মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের উপসচিব মো. মাহবুব আলম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ বদলির আদেশ দেওয়া হয়।
নাদিরা ইয়াসমিন নরসিংদী জেলায় নারী অধিকার আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত এবং ‘নারী অঙ্গন’ নামের সংগঠন ও একই নামের অনলাইন পোর্টালের সম্পাদিকা। সম্প্রতি ‘হিস্যা’ নামে একটি ম্যাগাজিনে উত্তরাধিকারসহ ধর্মীয় বিধান নিয়ে প্রকাশিত একটি লেখাকে কেন্দ্র করে বিতর্কের সূত্রপাত হয়। হেফাজতে ইসলাম অভিযোগ করে, ওই লেখায় কোরআনের বিধানকে ‘বৈষম্যমূলক’ বলা হয়েছে, যা ইসলাম ও মুসলিমদের প্রতি অবমাননাকর।
রোববার হেফাজতে ইসলামের স্থানীয় নেতারা নরসিংদী সরকারি কলেজসংলগ্ন এলাকায় প্রতিবাদ সমাবেশ করে নাদিরা ইয়াসমিনের বিরুদ্ধে ‘ইসলাম অবমাননার’ অভিযোগ তুলে তাঁর অপসারণের দাবি জানান। বক্তারা ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়ে বলেন, দাবি না মানলে কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।
এর পরদিনই নাদিরা ইয়াসমিনকে সাতক্ষীরা সরকারি কলেজে বদলি করা হয়, তবে তিনি অভিযোগ করেন, তাঁকে যেখানে পাঠানো হয়েছে, সেটি একটি ‘জামায়াত-শিবিরপ্রধান’ এলাকা হিসেবে পরিচিত এবং সেখানে কোনো শূন্যপদ নেই। তাঁর ভাষায়, “আমাকে সেখানে বদলি করার মাধ্যমে হয়রানি ও ভীতি প্রদর্শনের চেষ্টা করা হয়েছে।”
এ ঘটনার পর সামাজিক মাধ্যমে এবং নাগরিক সমাজে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।
জাতীয় নাগরিক পার্টির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন এক ফেইসবুক পোস্টে লেখেন, “মবের দৌরাত্ম্যে আত্মসমর্পণ করে নাদিরা ইয়াসমিনের বদলির সিদ্ধান্তে তীব্র প্রতিবাদ জানাই।”
গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটির সদস্য অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, “হেফাজত কথার জবাব দিতে পারে না, তাই চিৎকার-হুমকি-হামলার পথ নেয়। বর্তমান সরকারও তাদের পথেই চলছে। এটি কোনো সংস্কার নয়।”
নাদিরা ইয়াসমিন বলেন, “আমরা ধর্মকে আমাদের প্রতিপক্ষ মনে করি না। বরং বিশ্বাস করি, এই বিতর্ক অনাকাঙ্ক্ষিত ভুল-বোঝাবুঝির ফসল। হঠাৎ করে বদলির আদেশ না দিয়ে আলোচনার পথ বেছে নেওয়া যেত। আমরা এখনো সংলাপ ও সৌহার্দ্যের পক্ষেই আছি।”
তিনি অভিযোগ করেন, নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের সুপারিশকে ‘নারী অঙ্গনের’ অবস্থান হিসেবে ধরে নিয়ে যেসব বিতর্ক তৈরি হয়েছে, তা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও বিভ্রান্তিমূলক।