রাজবাড়ী সদর উপজেলায় ভিজিএফ খাদ্য সহায়তা থেকে বঞ্চিত হওয়ার অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ করেছেন কার্ডধারী জেলেরা।
গতকাল সোমবার দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার মৎস্য অফিসের সামনে শতাধিক জেলে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করেন। এ সময় তারা ‘প্রকৃত জেলে হয়েও চাল পাচ্ছি না’ এমন স্লোগান দেন এবং দ্রুত তালিকা সংশোধনের দাবি জানান।
সরকার প্রতিবছর জাটকা আহরণ নিষিদ্ধকালীন সময়ে নিবন্ধিত মৎস্যজীবী পরিবারগুলোকে ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় দুই ধাপে মোট ১৬০ কেজি চাল (প্রতি ধাপে ৮০ কেজি) দিয়ে থাকে। কিন্তু এবারের তালিকা থেকে অনেক জেলে বাদ পড়ায় অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।
ভবানীপুর গ্রামের জেলে কমল বিশ্বাস বলেন, “গত বছর আমি এই চাল পেয়েছি। বৈধ মৎস্যজীবী কার্ডও রয়েছে আমার। অথচ এবার নামই নেই তালিকায়। আমরা পুরুষানুক্রমে মাছ ধরেই সংসার চালাই। এটি খুব বড় অন্যায়।”
জেলেদের অভিযোগ, তালিকা তৈরিতে অনিয়ম ও রাজনৈতিক প্রভাব পড়েছে। তাদের দাবি, প্রকৃত জেলেদের বাদ দিয়ে সুবিধাভোগীদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন রাজবাড়ী সদর উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা হালিমা সরদার। তিনি বলেন, “গত বছর আমরা ২,১০০ জন জেলের জন্য বরাদ্দ পেয়েছিলাম। এবার তা কমে দাঁড়িয়েছে ১,৪০০ জনে। তাই প্রায় ৭০০ জন বাদ পড়েছেন। এখানে অনিয়মের কোনো সুযোগ নেই। বরাদ্দকৃত তালিকা কেন্দ্রে থেকে নির্ধারিত হয়।”
তিনি আরও জানান, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে এবং ভবিষ্যতে বরাদ্দ বাড়ানোর অনুরোধ জানানো হবে। এদিকে চাল না পেয়ে বিক্ষুব্ধ জেলেরা জানান, দাবি পূরণ না হলে তারা আবারও বিক্ষোভে নামবেন এবং জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে স্মারকলিপি দেবেন।
মঙ্গলবার, ২৭ মে ২০২৫
রাজবাড়ী সদর উপজেলায় ভিজিএফ খাদ্য সহায়তা থেকে বঞ্চিত হওয়ার অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ করেছেন কার্ডধারী জেলেরা।
গতকাল সোমবার দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার মৎস্য অফিসের সামনে শতাধিক জেলে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করেন। এ সময় তারা ‘প্রকৃত জেলে হয়েও চাল পাচ্ছি না’ এমন স্লোগান দেন এবং দ্রুত তালিকা সংশোধনের দাবি জানান।
সরকার প্রতিবছর জাটকা আহরণ নিষিদ্ধকালীন সময়ে নিবন্ধিত মৎস্যজীবী পরিবারগুলোকে ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় দুই ধাপে মোট ১৬০ কেজি চাল (প্রতি ধাপে ৮০ কেজি) দিয়ে থাকে। কিন্তু এবারের তালিকা থেকে অনেক জেলে বাদ পড়ায় অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।
ভবানীপুর গ্রামের জেলে কমল বিশ্বাস বলেন, “গত বছর আমি এই চাল পেয়েছি। বৈধ মৎস্যজীবী কার্ডও রয়েছে আমার। অথচ এবার নামই নেই তালিকায়। আমরা পুরুষানুক্রমে মাছ ধরেই সংসার চালাই। এটি খুব বড় অন্যায়।”
জেলেদের অভিযোগ, তালিকা তৈরিতে অনিয়ম ও রাজনৈতিক প্রভাব পড়েছে। তাদের দাবি, প্রকৃত জেলেদের বাদ দিয়ে সুবিধাভোগীদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন রাজবাড়ী সদর উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা হালিমা সরদার। তিনি বলেন, “গত বছর আমরা ২,১০০ জন জেলের জন্য বরাদ্দ পেয়েছিলাম। এবার তা কমে দাঁড়িয়েছে ১,৪০০ জনে। তাই প্রায় ৭০০ জন বাদ পড়েছেন। এখানে অনিয়মের কোনো সুযোগ নেই। বরাদ্দকৃত তালিকা কেন্দ্রে থেকে নির্ধারিত হয়।”
তিনি আরও জানান, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে এবং ভবিষ্যতে বরাদ্দ বাড়ানোর অনুরোধ জানানো হবে। এদিকে চাল না পেয়ে বিক্ষুব্ধ জেলেরা জানান, দাবি পূরণ না হলে তারা আবারও বিক্ষোভে নামবেন এবং জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে স্মারকলিপি দেবেন।