alt

সারাদেশ

বিচিত্র রকমের চা বিক্রি করে সংসারে সচ্ছলতা পেয়েছেন মিনা দম্পতি

প্রতিনিধি, মানিকগঞ্জ : মঙ্গলবার, ২৭ মে ২০২৫

মানিকগঞ্জে নারী উদ্দোক্তা মিনা আক্তার চল্লিশ রকমের চা বিক্রি করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন জেলা শহরকে। সাধারণ চায়ের সাথে রয়েছে পুদিনা চা, মাল্টা চা, পাটপাতা চা, কালোজিরা চা, গুড়ের চা, আম চা, বাদাম চাসহ চল্লিশ রকমের চা বিক্রি হয় কাকির দোকানে। সেই সাথে হাতে তৈরি বেগুনী, পটেটো স্প্রিং রুল, হালিম, আলুর চপসহ নানা রকমের মুখরচক খাবার তৈরি করে থাকেন তিনি। প্রাকৃতিক পরিবেশে বসে কম দামে এসব কাবার খেতে বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন আসেন কাকির দোকানে। শহর থেকে একটু দূরে কোলাহল মুক্ত কালীগঙ্গা নদীর পারে এই চায়ের দোকানের অবস্থান। দোকানের নাম পুদিনা পাতার টি স্টল হলেও এখন কাকির চায়ের দোকান নামে পরিচিতি লাভ করেছে। তার সংসারে সফলতা এসেছে। ঘুরে গেছে ভাগ্যের চাকা।

মিনা আক্তার বলেন, স্বামীর সংসার না থাকলেও নিজ উদ্যোগে মেয়ে ও মেয়ের জামাইকে সঙ্গে নিয়ে ব্যবসা করে এগিয়ে যাচ্ছেন তিনি। সকাল থেকে রাত দশটা এগারোটা পর্যন্ত চলে ব্যবসা। স্বপন মিয়া নামে এক শিক্ষার্থী বলেন কম দামে চল্লিশ রকমের চা আর কোথাও বিক্রি হয় কি না আমার জানা নেই। আমি ছাত্র মানুষ, হিসেব করে চলতে হয়। এখানে দশ বিশ টাকা হলেই মজার চা পাওয়া যায়। আমি প্রায়ই এখানে চলে আসি। হরিরামপুরের লামিয়া আক্তার ও ফিরোজ আলম বলেন আমাদের নতুন সংসার। শুনেছি কাকির দোকানে চল্লিশ রকমের চা বিক্রি হয়। পয়ত্রিশ কিলোমিটার বাইক চালিয়ে এসে দুজনে মাত্র চল্লিশ টাকার চা খেলাম। খোলা আকাশের নিচে বসে চা খেতে পেরে পরিশ্রম সফল হয়েছে। যা শুনে এসেছি তার চেয়েও ভালো লাগছে। তবে আমি মেয়ের বাড়িতে থেকেই ব্যবসা করে খাচ্ছি। মেয়ে, মেয়ে জামাই, নাতি, আমি ও আমার মা থাকেন এ বাড়িতে। সবাই মিলেমিশে ব্যবসা করছি। মেয়ে জামাই আমাকে মায়ের মতনই দেখেন, আমি তাকে নিজের ছেলে মনেকরি। দোকানে বাহিরের কোনো কর্মচারী নেই। তিনি আরও বলেন আগে বিড়ি সিগারেট বিক্রি করতাম। ছোট ছোট ছেলেরা এসে সিগারেট কিনে। আমার খুব খারাপ লাগে নিষেধ করলেও শুনে না। তাই সিগারেট বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছি। এতে ব্যবসার কিছু ক্ষতি হয়। ক্ষতি হয় হোক প্রতিজ্ঞা করেছি আর সিগারেট বিক্রি করবো না। মিনা আক্তার জানান আট বছর আগে স্বল্প পুজি দিয়ে দোকানটি শুরু করি। এখন চাহিদা বাড়ায় এনজিও থেকে চার লাখ টাকা চড়া সুদে ঋণ নিয়ে ব্যবসা চালাচ্ছি। প্রতি মাসে পাঁচ হাজার টাকা কিস্তি দিতে হয়। সুদমুক্ত ঋণ পেলে ব্যবসাটি চালানোয় সুবিধা হতো বলে জানান তিনি। আত্মবিশ্বাসী মিনা অতীত নিয়ে কথা বলতে চান না। তিনি এগিয়ে যেতে চান বহুদূর।

সরকারের কাছে এক টুকরা খাস জমি পাওয়ার দাবিও জানায় সে। আকুতি জানিয়ে মিনা বলেন বাড়ি ঘর জায়গা জিরা কিছুই নেই আমার। বুড়া মা টাকে নিয়ে মেয়ের কাছে থাকি খুব লজ্জা লাগে। মাথা গোজার জন্য একটু খাস জমি পেলে শান্তিতে মরতে পারতাম।

ছাত্র আন্দোলনের ময়মনসিংহ মহানগর শাখার সদস্যসচিব ছুরিকাঘাতে আহত

মহেশপুর সীমান্তে ৬০ অনুপ্রবেশকারী আটক

বগুড়ায় গৃহবধূ খুন স্বামী পলাতক

ইউক্রেন যুদ্ধে নিহত জুলাই যোদ্ধা, লাশের অপেক্ষায় মা

চট্টগ্রাম সুরক্ষা কমিটির পদযাত্রা বন্দর রক্ষায় আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত মেনে নেবে না চট্টগ্রামবাসী

দোকানদারকে ঘুম থেকে ডেকে কুপিয়ে হত্যা

ঢাকা মহানগরের ৪৫০ কৃতী শিক্ষার্থীকে বৃত্তি, সংবর্ধনা

ট্রেনে কাটা পড়ে অজ্ঞাত ব্যক্তির মৃত্যু

কাঁচারাস্তা নির্মাণে অবৈধ ভেকু : মাটিচাপায় শিশুর মৃত্যু, আহত আরেক শিশু

১৯ বছর পর রূপগঞ্জ প্রেসক্লাবের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা

করতোয়া নদীর ওলির ঘাটে ৫ গ্রামের মানুষের পারাপারে একমাত্র ভরসা বাঁশের সাঁকো

ছবি

ঝড়-বৃষ্টিতে বোরো খেতের ব্যাপক ক্ষতি, বিপাকে কৃষক

গোবিন্দগঞ্জে ক্লাস্টার আকারে চলছে আউশ ধানের চাষ

সিরাজগঞ্জে দুই ইরানিকে গণপিটুনি

ছবি

নাসিরনগরে নদী ভাঙনের আতঙ্কে চাতলপাড়ের মানুষ

রাজবাড়ীতে অজ্ঞাত ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার

নেশাগ্রস্ত ছেলেকে টাকা না দেয়ায় মাকে হত্যা

গরু চুরি, আতঙ্কে খামারিরা

ছবি

মাটিরাঙ্গায় সেনাবাহিনীর বিশেষ মানবিক সহায়তা

ছবি

চান্দিনায় কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে লিচু! ক্রেতাদের ক্ষোভ

সীমান্তে ১৯ জনকে বিএসএফের পুশইন

চরফ্যাশনে আগুনে ভস্মীভূত ৮ দোকান

ছবি

বেগমগঞ্জের পোল্ট্রি ফিড কারখানার ধোঁয়া-দুর্গন্ধে জনস্বাস্থ্য হুমকিতে

টঙ্গীতে প্রতিবন্ধী লিখন হত্যাকাণ্ডের মূল আসামি উজ্জ্বল ও তার স্ত্রী গ্রেপ্তার

পুলিশের ওপর হামলার মামলায় চিন্ময়কে কারা ফটকে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ

বড়াইগ্রামে ইউপি চেয়ারম্যানকে পিস্তল নিয়ে ধাওয়া, নিরাপত্তা দাবি

ছবি

সুনামগঞ্জে বিজিবির অভিযানে দেড় কোটি টাকার মালামাল আটক

ছবি

বেতাগীতে অমাবশ্যার জোয়ারে পানির নিচে কৃষকের স্বপ্ন!

মাগুরার মহম্মদপুরে সমাজসেবা কর্মীর রহস্যজনক মৃত্যু

অতিরিক্ত পশু বোঝাই নৌযান চলাচল করতে দেয়া হবে না - নৌ পুলিশের ডিআইজি

অতিরিক্ত পশু বোঝাই নৌযান চলাচল করতে দেয়া হবে না - নৌ পুলিশের ডিআইজি

ছবি

দামুড়হুদায় নজরুলের স্মৃতিবিজড়িত শতবর্ষেও অরক্ষিত আটচালা কুঁড়েঘর

ছবি

শার্শায় মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে সোনামুখি বিলের পদ্মফুল

ছবি

ঘোড়াশালে ৪২ বছর ধরে পত্রিকা বিলি করেন হাফেজ ইব্রাহিম

ছবি

‘শিক্ষার্থীদের মাঝে সচেতনতা ছড়িয়ে দিচ্ছেন এসিল্যান্ড

রাজবাড়ীতে ভিজিএফের চাল না পেয়ে ক্ষুব্ধ জেলেরা

tab

সারাদেশ

বিচিত্র রকমের চা বিক্রি করে সংসারে সচ্ছলতা পেয়েছেন মিনা দম্পতি

প্রতিনিধি, মানিকগঞ্জ

মঙ্গলবার, ২৭ মে ২০২৫

মানিকগঞ্জে নারী উদ্দোক্তা মিনা আক্তার চল্লিশ রকমের চা বিক্রি করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন জেলা শহরকে। সাধারণ চায়ের সাথে রয়েছে পুদিনা চা, মাল্টা চা, পাটপাতা চা, কালোজিরা চা, গুড়ের চা, আম চা, বাদাম চাসহ চল্লিশ রকমের চা বিক্রি হয় কাকির দোকানে। সেই সাথে হাতে তৈরি বেগুনী, পটেটো স্প্রিং রুল, হালিম, আলুর চপসহ নানা রকমের মুখরচক খাবার তৈরি করে থাকেন তিনি। প্রাকৃতিক পরিবেশে বসে কম দামে এসব কাবার খেতে বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন আসেন কাকির দোকানে। শহর থেকে একটু দূরে কোলাহল মুক্ত কালীগঙ্গা নদীর পারে এই চায়ের দোকানের অবস্থান। দোকানের নাম পুদিনা পাতার টি স্টল হলেও এখন কাকির চায়ের দোকান নামে পরিচিতি লাভ করেছে। তার সংসারে সফলতা এসেছে। ঘুরে গেছে ভাগ্যের চাকা।

মিনা আক্তার বলেন, স্বামীর সংসার না থাকলেও নিজ উদ্যোগে মেয়ে ও মেয়ের জামাইকে সঙ্গে নিয়ে ব্যবসা করে এগিয়ে যাচ্ছেন তিনি। সকাল থেকে রাত দশটা এগারোটা পর্যন্ত চলে ব্যবসা। স্বপন মিয়া নামে এক শিক্ষার্থী বলেন কম দামে চল্লিশ রকমের চা আর কোথাও বিক্রি হয় কি না আমার জানা নেই। আমি ছাত্র মানুষ, হিসেব করে চলতে হয়। এখানে দশ বিশ টাকা হলেই মজার চা পাওয়া যায়। আমি প্রায়ই এখানে চলে আসি। হরিরামপুরের লামিয়া আক্তার ও ফিরোজ আলম বলেন আমাদের নতুন সংসার। শুনেছি কাকির দোকানে চল্লিশ রকমের চা বিক্রি হয়। পয়ত্রিশ কিলোমিটার বাইক চালিয়ে এসে দুজনে মাত্র চল্লিশ টাকার চা খেলাম। খোলা আকাশের নিচে বসে চা খেতে পেরে পরিশ্রম সফল হয়েছে। যা শুনে এসেছি তার চেয়েও ভালো লাগছে। তবে আমি মেয়ের বাড়িতে থেকেই ব্যবসা করে খাচ্ছি। মেয়ে, মেয়ে জামাই, নাতি, আমি ও আমার মা থাকেন এ বাড়িতে। সবাই মিলেমিশে ব্যবসা করছি। মেয়ে জামাই আমাকে মায়ের মতনই দেখেন, আমি তাকে নিজের ছেলে মনেকরি। দোকানে বাহিরের কোনো কর্মচারী নেই। তিনি আরও বলেন আগে বিড়ি সিগারেট বিক্রি করতাম। ছোট ছোট ছেলেরা এসে সিগারেট কিনে। আমার খুব খারাপ লাগে নিষেধ করলেও শুনে না। তাই সিগারেট বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছি। এতে ব্যবসার কিছু ক্ষতি হয়। ক্ষতি হয় হোক প্রতিজ্ঞা করেছি আর সিগারেট বিক্রি করবো না। মিনা আক্তার জানান আট বছর আগে স্বল্প পুজি দিয়ে দোকানটি শুরু করি। এখন চাহিদা বাড়ায় এনজিও থেকে চার লাখ টাকা চড়া সুদে ঋণ নিয়ে ব্যবসা চালাচ্ছি। প্রতি মাসে পাঁচ হাজার টাকা কিস্তি দিতে হয়। সুদমুক্ত ঋণ পেলে ব্যবসাটি চালানোয় সুবিধা হতো বলে জানান তিনি। আত্মবিশ্বাসী মিনা অতীত নিয়ে কথা বলতে চান না। তিনি এগিয়ে যেতে চান বহুদূর।

সরকারের কাছে এক টুকরা খাস জমি পাওয়ার দাবিও জানায় সে। আকুতি জানিয়ে মিনা বলেন বাড়ি ঘর জায়গা জিরা কিছুই নেই আমার। বুড়া মা টাকে নিয়ে মেয়ের কাছে থাকি খুব লজ্জা লাগে। মাথা গোজার জন্য একটু খাস জমি পেলে শান্তিতে মরতে পারতাম।

back to top