মানিকগঞ্জে নারী উদ্দোক্তা মিনা আক্তার চল্লিশ রকমের চা বিক্রি করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন জেলা শহরকে। সাধারণ চায়ের সাথে রয়েছে পুদিনা চা, মাল্টা চা, পাটপাতা চা, কালোজিরা চা, গুড়ের চা, আম চা, বাদাম চাসহ চল্লিশ রকমের চা বিক্রি হয় কাকির দোকানে। সেই সাথে হাতে তৈরি বেগুনী, পটেটো স্প্রিং রুল, হালিম, আলুর চপসহ নানা রকমের মুখরচক খাবার তৈরি করে থাকেন তিনি। প্রাকৃতিক পরিবেশে বসে কম দামে এসব কাবার খেতে বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন আসেন কাকির দোকানে। শহর থেকে একটু দূরে কোলাহল মুক্ত কালীগঙ্গা নদীর পারে এই চায়ের দোকানের অবস্থান। দোকানের নাম পুদিনা পাতার টি স্টল হলেও এখন কাকির চায়ের দোকান নামে পরিচিতি লাভ করেছে। তার সংসারে সফলতা এসেছে। ঘুরে গেছে ভাগ্যের চাকা।
মিনা আক্তার বলেন, স্বামীর সংসার না থাকলেও নিজ উদ্যোগে মেয়ে ও মেয়ের জামাইকে সঙ্গে নিয়ে ব্যবসা করে এগিয়ে যাচ্ছেন তিনি। সকাল থেকে রাত দশটা এগারোটা পর্যন্ত চলে ব্যবসা। স্বপন মিয়া নামে এক শিক্ষার্থী বলেন কম দামে চল্লিশ রকমের চা আর কোথাও বিক্রি হয় কি না আমার জানা নেই। আমি ছাত্র মানুষ, হিসেব করে চলতে হয়। এখানে দশ বিশ টাকা হলেই মজার চা পাওয়া যায়। আমি প্রায়ই এখানে চলে আসি। হরিরামপুরের লামিয়া আক্তার ও ফিরোজ আলম বলেন আমাদের নতুন সংসার। শুনেছি কাকির দোকানে চল্লিশ রকমের চা বিক্রি হয়। পয়ত্রিশ কিলোমিটার বাইক চালিয়ে এসে দুজনে মাত্র চল্লিশ টাকার চা খেলাম। খোলা আকাশের নিচে বসে চা খেতে পেরে পরিশ্রম সফল হয়েছে। যা শুনে এসেছি তার চেয়েও ভালো লাগছে। তবে আমি মেয়ের বাড়িতে থেকেই ব্যবসা করে খাচ্ছি। মেয়ে, মেয়ে জামাই, নাতি, আমি ও আমার মা থাকেন এ বাড়িতে। সবাই মিলেমিশে ব্যবসা করছি। মেয়ে জামাই আমাকে মায়ের মতনই দেখেন, আমি তাকে নিজের ছেলে মনেকরি। দোকানে বাহিরের কোনো কর্মচারী নেই। তিনি আরও বলেন আগে বিড়ি সিগারেট বিক্রি করতাম। ছোট ছোট ছেলেরা এসে সিগারেট কিনে। আমার খুব খারাপ লাগে নিষেধ করলেও শুনে না। তাই সিগারেট বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছি। এতে ব্যবসার কিছু ক্ষতি হয়। ক্ষতি হয় হোক প্রতিজ্ঞা করেছি আর সিগারেট বিক্রি করবো না। মিনা আক্তার জানান আট বছর আগে স্বল্প পুজি দিয়ে দোকানটি শুরু করি। এখন চাহিদা বাড়ায় এনজিও থেকে চার লাখ টাকা চড়া সুদে ঋণ নিয়ে ব্যবসা চালাচ্ছি। প্রতি মাসে পাঁচ হাজার টাকা কিস্তি দিতে হয়। সুদমুক্ত ঋণ পেলে ব্যবসাটি চালানোয় সুবিধা হতো বলে জানান তিনি। আত্মবিশ্বাসী মিনা অতীত নিয়ে কথা বলতে চান না। তিনি এগিয়ে যেতে চান বহুদূর।
সরকারের কাছে এক টুকরা খাস জমি পাওয়ার দাবিও জানায় সে। আকুতি জানিয়ে মিনা বলেন বাড়ি ঘর জায়গা জিরা কিছুই নেই আমার। বুড়া মা টাকে নিয়ে মেয়ের কাছে থাকি খুব লজ্জা লাগে। মাথা গোজার জন্য একটু খাস জমি পেলে শান্তিতে মরতে পারতাম।
মঙ্গলবার, ২৭ মে ২০২৫
মানিকগঞ্জে নারী উদ্দোক্তা মিনা আক্তার চল্লিশ রকমের চা বিক্রি করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন জেলা শহরকে। সাধারণ চায়ের সাথে রয়েছে পুদিনা চা, মাল্টা চা, পাটপাতা চা, কালোজিরা চা, গুড়ের চা, আম চা, বাদাম চাসহ চল্লিশ রকমের চা বিক্রি হয় কাকির দোকানে। সেই সাথে হাতে তৈরি বেগুনী, পটেটো স্প্রিং রুল, হালিম, আলুর চপসহ নানা রকমের মুখরচক খাবার তৈরি করে থাকেন তিনি। প্রাকৃতিক পরিবেশে বসে কম দামে এসব কাবার খেতে বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন আসেন কাকির দোকানে। শহর থেকে একটু দূরে কোলাহল মুক্ত কালীগঙ্গা নদীর পারে এই চায়ের দোকানের অবস্থান। দোকানের নাম পুদিনা পাতার টি স্টল হলেও এখন কাকির চায়ের দোকান নামে পরিচিতি লাভ করেছে। তার সংসারে সফলতা এসেছে। ঘুরে গেছে ভাগ্যের চাকা।
মিনা আক্তার বলেন, স্বামীর সংসার না থাকলেও নিজ উদ্যোগে মেয়ে ও মেয়ের জামাইকে সঙ্গে নিয়ে ব্যবসা করে এগিয়ে যাচ্ছেন তিনি। সকাল থেকে রাত দশটা এগারোটা পর্যন্ত চলে ব্যবসা। স্বপন মিয়া নামে এক শিক্ষার্থী বলেন কম দামে চল্লিশ রকমের চা আর কোথাও বিক্রি হয় কি না আমার জানা নেই। আমি ছাত্র মানুষ, হিসেব করে চলতে হয়। এখানে দশ বিশ টাকা হলেই মজার চা পাওয়া যায়। আমি প্রায়ই এখানে চলে আসি। হরিরামপুরের লামিয়া আক্তার ও ফিরোজ আলম বলেন আমাদের নতুন সংসার। শুনেছি কাকির দোকানে চল্লিশ রকমের চা বিক্রি হয়। পয়ত্রিশ কিলোমিটার বাইক চালিয়ে এসে দুজনে মাত্র চল্লিশ টাকার চা খেলাম। খোলা আকাশের নিচে বসে চা খেতে পেরে পরিশ্রম সফল হয়েছে। যা শুনে এসেছি তার চেয়েও ভালো লাগছে। তবে আমি মেয়ের বাড়িতে থেকেই ব্যবসা করে খাচ্ছি। মেয়ে, মেয়ে জামাই, নাতি, আমি ও আমার মা থাকেন এ বাড়িতে। সবাই মিলেমিশে ব্যবসা করছি। মেয়ে জামাই আমাকে মায়ের মতনই দেখেন, আমি তাকে নিজের ছেলে মনেকরি। দোকানে বাহিরের কোনো কর্মচারী নেই। তিনি আরও বলেন আগে বিড়ি সিগারেট বিক্রি করতাম। ছোট ছোট ছেলেরা এসে সিগারেট কিনে। আমার খুব খারাপ লাগে নিষেধ করলেও শুনে না। তাই সিগারেট বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছি। এতে ব্যবসার কিছু ক্ষতি হয়। ক্ষতি হয় হোক প্রতিজ্ঞা করেছি আর সিগারেট বিক্রি করবো না। মিনা আক্তার জানান আট বছর আগে স্বল্প পুজি দিয়ে দোকানটি শুরু করি। এখন চাহিদা বাড়ায় এনজিও থেকে চার লাখ টাকা চড়া সুদে ঋণ নিয়ে ব্যবসা চালাচ্ছি। প্রতি মাসে পাঁচ হাজার টাকা কিস্তি দিতে হয়। সুদমুক্ত ঋণ পেলে ব্যবসাটি চালানোয় সুবিধা হতো বলে জানান তিনি। আত্মবিশ্বাসী মিনা অতীত নিয়ে কথা বলতে চান না। তিনি এগিয়ে যেতে চান বহুদূর।
সরকারের কাছে এক টুকরা খাস জমি পাওয়ার দাবিও জানায় সে। আকুতি জানিয়ে মিনা বলেন বাড়ি ঘর জায়গা জিরা কিছুই নেই আমার। বুড়া মা টাকে নিয়ে মেয়ের কাছে থাকি খুব লজ্জা লাগে। মাথা গোজার জন্য একটু খাস জমি পেলে শান্তিতে মরতে পারতাম।