দামুড়হুদা (চুয়াডাঙ্গা) : নজরুলের আগমনে শতবর্ষের সেই আটচালা কুঁড়েঘর -সংবাদ
জাতীয় কবি ‘কাজী নজরুল ইসলামের’ স্মৃতি বিজড়িত ঐতিহাসিক নানা উপকরণে সমৃদ্ধ, চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার ‘কার্পাসডাঙ্গা’। কবি ‘নজরুল’ কার্পসডাঙ্গায় অবস্থান কালে হর্ষপ্রিয় বিশ্বাসের আটচালা একটি খড়ের ঘরে থাকতেন। খ্রিস্টান অধ্যুষিত কার্পাসডাঙ্গায় অবস্থিত ঐতিহাসিক সেই নজরুলের আগমনের শতবর্ষের অরক্ষিত আটচালার এই কুঁড়ে ঘর কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
এলাকাবাসী ও একাধিক সূত্রে জানা গেছে, জাতীয় কবি ‘কাজী নজরুল ইসলাম কবি স্রী প্রমিলা, দুই শিশু পুত্র কাজী অনিরুদ্ধ (মতান্তরে বুলবুল), সব্যসাচী ও শাশুড়ি গিরিবালাকে সঙ্গে নিয়ে ১৯২৬ এবং ১৯২৮ সালে দু’বার এই কার্পাসডাঙ্গায় আসেন। কবি ‘নজরুল’ কার্পাসডাঙ্গায় অবস্থান কালে হর্ষপ্রিয় বিশ্বাসের আটচালার একটি কুঁড়ে ঘরে থাকতেন। খ্রিস্টান অধ্যুষিত কার্পাসডাঙ্গায় অবস্থিত ঐতিহাসিক সেই আটচালার এ ঘরটি আজও কালের সাক্ষী হয়ে আজও দাঁড়িয়ে রয়েছে। কলকাতার আর্মহাস্ট স্ট্রিটে বসবাস কালে ‘কবি নজরুলের’ সঙ্গে একই মহল্লার বাসিন্দা বৈদনাথ, হর্ষপ্রিয় ও মোহিম বাবুর সাথে অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকার সুবাদে কবি বাবুদের আমন্ত্রণে স্ব-পরিবারে কবি দু’বার কার্পাসডাঙ্গায় আসেন এবং দু’আড়াই মাস করে দু’বারই হর্ষপ্রিয় বিশ্বাসের খ্রিস্টান অধ্যুষিত কার্পাসডাঙ্গায় অবস্থিত আটচালা কুঁড়ে ঘরে অবস্থান করেন। অবসরে মিশন পাড়ার পেছনে ভৈরব নদের পাড়ে সাঁন বাঁধানো পাকা সিঁড়িতে দেবদারু গাছের ছায়াতলে বসে ১৯২৬ মাত্র ২৭ বছর বয়সে কাজী নজরুল ইসলাম বিপ্লবী হেমন্ত কুমার ও মহিম সরকারের আমন্ত্রণে সপরিবারে কলকাতা থেকে কার্পাসডাঙ্গায় আসেন। তিনি দুই মাস অবস্থান করেন হর্ষপ্রিয় বিশ্বাসের বাড়িতে। সেই সময় তিনি ‘লিচুচোর’, ‘কলসী গেল ডুবে’, ‘পদ্ম গোখরো’, ‘ব্যথার দান’সহ অনেক কবিতা ও গান রচনা করেন। তিনি কার্পাসডাঙ্গার হিন্দু-মুসলমানদের সে সময়ের চরম দারিদ্র্যের বাস্তবচিত্র তুলে ধরে ‘মৃত্যক্ষুধা’ রচনা করেন। অনতিদুরে ঝাঁউ গাছের খোঁড়লে টিয়া পাখির বাচ্চা খেতে একটি গোখরো সাপ ঝাঁউ গাছে উঠলে পাড়ার ছেলেরা সাপটিকে পিটিয়ে মারে, এতে কবি ছেলেদের উপর ক্ষুব্ধ হয়ে এখানে বসে রচনা করেন ‘পদ্মগোখরো’ কবিতা। তাছাড়ও উল্লেখযোগ্য কবির ‘লিচু চোর’ কবিতার অংশ বিশেষও এই কার্পাসডাঙ্গার বাবুদের তাল বাগান ও লিচু বাগানকে কেন্দ্র করে রচিত।
হর্ষপ্রিয় বিশ্বাসের দৌহিত্র বাড়ির উত্তরসূরি প্রকৃতি বিশ্বাস ওরফে বকুল বিশ্বাস বলেন, নজরুলের স্মৃতি রক্ষার্থে এই আট চালা ঘরটি এখনো অক্ষত রাখা হয়েছে। খড়ের এই ঘরটি পেছনে প্রতিবছর অনেক টাকা খরচ হয় । সরকার চাইলে যে কোন ধরনের ত্যাগের মাধ্যমে তারা দিতে রাজি আছে। উপজেলার কার্পাসডাঙ্গার নজরুল স্মৃতি সংসদের কার্পাসডাঙ্গা নজররুল স্মৃতি সংসদের সভাপতি শামসুল আলম বলেন, ২০১৬ সালে এখানে একটি নজরুল স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করেন তৎকালীন মন্ত্রিপরিষদ সচিব শফিউল আলম। ২০২১ সালে আটচালা ঘর ও ভৈরব নদীর ঘাট সংস্কার করেন তৎকালীন জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার। অথচ, কবির স্মৃতিধন্য আটচালা ঘরটি এখনো ব্যক্তি মালিকানাধীন। ‘সাবেক জেলা প্রশাসক সাইমা ইউনুস মন্ত্রণালয়ে অধিগ্রহণের সুপারিশ পাঠিয়েছিলেন। পরে নানা আলোচনা হলেও বাস্তবয়ন হয়নি। খুলনা বিভাগের একমাত্র নজরুল স্মৃতি বিজড়িত স্থান উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা। এখানে দীর্ঘদিন ধরে রাষ্ট্রীয়ভাবে নজরুল জয়ন্তী পালন হচ্ছে। পর্যটন কেন্দ্রসহ নজরুল কমপ্লেক্সটি এখনও বাস্তবায়ন হয়নি। দ্রুত বাস্তবায়ন হলে এ জনপদে নজরুলকে নিয়ে নজরুল চর্চা বেগবান হবে। কাজী নজরুল ইসলামের স্মৃতি কেন্দ্র স্থাপন করলে আগামী প্রজন্মের মানুষেরা কবিকে নিয়ে বেশি বেশি চর্চার সুযোগ পাবে এবং তাদের মধ্যে আগ্রহের সৃষ্টি হবে। কার্পাসডাঙ্গায় কবি নজরুল চর্চায় কাক্সিক্ষত প্রসার এবং তার স্মৃতি চিহ্নগুলো ধরে রাখার লক্ষ্যে কার্পাসডাঙ্গায় কাজী নজরুল ইসলাম স্মৃতি সংসদ নজরুল চর্চা কেন্দ্র প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য প্রস্তাব পেশ করেছে প্রতিবছর ২৫মে/১১ই জ্যৈষ্ঠ কার্পাসডাঙ্গা নজরুল স্মৃতি সংসদ নজরুল স্মৃতি বিজড়িত স্থানে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে জেলা প্রশাসক চুয়াডাঙ্গার সার্বিক সহযোগিতা নজরুল জন্মজয়ন্তী পালিত হয়ে থাকে। কবি ‘কাজী নজরুল ইসলামের’ স্মৃতি বিজড়িত ঐতিহাসিক স্থান সুমহ নতুন করে তৈরি হয়েছে। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় খ্রিস্টান অধ্যুষিত কার্পাসডাঙ্গায় অবস্থিত ঐতিহাসিক সেই আটচালার কুঁড়ে ঘরটি মিউজিয়ামে রেখে নজরুল কমপ্লেক্সটি ও চর্চা কেন্দ্র প্রকল্প গ্রহণ করেছেন। আটচালা কুঁড়ে ঘরটি পাশে নজরুল স্মৃতি ফলকে তার ছবিসহ সংক্ষিপ্ত ইতিহাস তুলে ধরা হয়েছে। দর্শনার্থীদের জন্য জেলা প্রশাসন একটি টিনের সেড ন্থাপন করেছেন। ইতোমধ্যে নজরুলের স্মৃতি বিজড়িত স্থানগুলো রক্ষার্থে অনেক প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়েছে। ভৈরব নদের তীরে সেই সাঁন বাঁধনো ঘাট নির্মাণ শেষ হয়েছে । তারই পাশে দর্শনার্থীদের জন্য আরও একটি সাঁন বাঁধানো সিঁড়ির নির্মাণ হয়েছে। ‘কার্পাসডাঙ্গায় নজরুল গবেষণা ইনস্টিটিউট, পাঠাগার, মহাবিদ্যালয় ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা এখন সময়ের দাবি।’ এদিকে, এ বছরই পূর্ণ হতে চলেছে কবির আগমনের শতবর্ষ। জেলা প্রশাসক মো. জহিরুল ইসলামের আহ্বানে স্থানীয় কবিপ্রেমীদের নিয়ে একটি মতবিনিময় সভা হয়ছে।
নজরুল প্রেমীসহ এলাকাবাসীর দাবি সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় খ্রিস্টান অধ্যুষিত কার্পাসডাঙ্গায় অবস্থিত নজরুলের আগমনের ঐতিহাসিক সেই শতবর্ষে আটচালার কুঁড়ে ঘরটি আর অরক্ষিত নয়। কুঁড়ে ঘরটি মিউজিয়ামে রেখে নজরুল চর্চা কেন্দ্র প্রকল্পটি, কবি সিটি পার্কসহ প্রস্তবনায় পেশকৃত অপেক্ষামান অবশিষ্ট প্রকল্পগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন হলে এ জনপদে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা জেলার খুদে সাহিত্যিক ও লেখকদের মধ্যে আগ্রহের যেমন সৃষ্টি হবে। সেই সঙ্গে নজরুল চর্চা আর বেগবান হবে।
দামুড়হুদা (চুয়াডাঙ্গা) : নজরুলের আগমনে শতবর্ষের সেই আটচালা কুঁড়েঘর -সংবাদ
মঙ্গলবার, ২৭ মে ২০২৫
জাতীয় কবি ‘কাজী নজরুল ইসলামের’ স্মৃতি বিজড়িত ঐতিহাসিক নানা উপকরণে সমৃদ্ধ, চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার ‘কার্পাসডাঙ্গা’। কবি ‘নজরুল’ কার্পসডাঙ্গায় অবস্থান কালে হর্ষপ্রিয় বিশ্বাসের আটচালা একটি খড়ের ঘরে থাকতেন। খ্রিস্টান অধ্যুষিত কার্পাসডাঙ্গায় অবস্থিত ঐতিহাসিক সেই নজরুলের আগমনের শতবর্ষের অরক্ষিত আটচালার এই কুঁড়ে ঘর কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
এলাকাবাসী ও একাধিক সূত্রে জানা গেছে, জাতীয় কবি ‘কাজী নজরুল ইসলাম কবি স্রী প্রমিলা, দুই শিশু পুত্র কাজী অনিরুদ্ধ (মতান্তরে বুলবুল), সব্যসাচী ও শাশুড়ি গিরিবালাকে সঙ্গে নিয়ে ১৯২৬ এবং ১৯২৮ সালে দু’বার এই কার্পাসডাঙ্গায় আসেন। কবি ‘নজরুল’ কার্পাসডাঙ্গায় অবস্থান কালে হর্ষপ্রিয় বিশ্বাসের আটচালার একটি কুঁড়ে ঘরে থাকতেন। খ্রিস্টান অধ্যুষিত কার্পাসডাঙ্গায় অবস্থিত ঐতিহাসিক সেই আটচালার এ ঘরটি আজও কালের সাক্ষী হয়ে আজও দাঁড়িয়ে রয়েছে। কলকাতার আর্মহাস্ট স্ট্রিটে বসবাস কালে ‘কবি নজরুলের’ সঙ্গে একই মহল্লার বাসিন্দা বৈদনাথ, হর্ষপ্রিয় ও মোহিম বাবুর সাথে অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকার সুবাদে কবি বাবুদের আমন্ত্রণে স্ব-পরিবারে কবি দু’বার কার্পাসডাঙ্গায় আসেন এবং দু’আড়াই মাস করে দু’বারই হর্ষপ্রিয় বিশ্বাসের খ্রিস্টান অধ্যুষিত কার্পাসডাঙ্গায় অবস্থিত আটচালা কুঁড়ে ঘরে অবস্থান করেন। অবসরে মিশন পাড়ার পেছনে ভৈরব নদের পাড়ে সাঁন বাঁধানো পাকা সিঁড়িতে দেবদারু গাছের ছায়াতলে বসে ১৯২৬ মাত্র ২৭ বছর বয়সে কাজী নজরুল ইসলাম বিপ্লবী হেমন্ত কুমার ও মহিম সরকারের আমন্ত্রণে সপরিবারে কলকাতা থেকে কার্পাসডাঙ্গায় আসেন। তিনি দুই মাস অবস্থান করেন হর্ষপ্রিয় বিশ্বাসের বাড়িতে। সেই সময় তিনি ‘লিচুচোর’, ‘কলসী গেল ডুবে’, ‘পদ্ম গোখরো’, ‘ব্যথার দান’সহ অনেক কবিতা ও গান রচনা করেন। তিনি কার্পাসডাঙ্গার হিন্দু-মুসলমানদের সে সময়ের চরম দারিদ্র্যের বাস্তবচিত্র তুলে ধরে ‘মৃত্যক্ষুধা’ রচনা করেন। অনতিদুরে ঝাঁউ গাছের খোঁড়লে টিয়া পাখির বাচ্চা খেতে একটি গোখরো সাপ ঝাঁউ গাছে উঠলে পাড়ার ছেলেরা সাপটিকে পিটিয়ে মারে, এতে কবি ছেলেদের উপর ক্ষুব্ধ হয়ে এখানে বসে রচনা করেন ‘পদ্মগোখরো’ কবিতা। তাছাড়ও উল্লেখযোগ্য কবির ‘লিচু চোর’ কবিতার অংশ বিশেষও এই কার্পাসডাঙ্গার বাবুদের তাল বাগান ও লিচু বাগানকে কেন্দ্র করে রচিত।
হর্ষপ্রিয় বিশ্বাসের দৌহিত্র বাড়ির উত্তরসূরি প্রকৃতি বিশ্বাস ওরফে বকুল বিশ্বাস বলেন, নজরুলের স্মৃতি রক্ষার্থে এই আট চালা ঘরটি এখনো অক্ষত রাখা হয়েছে। খড়ের এই ঘরটি পেছনে প্রতিবছর অনেক টাকা খরচ হয় । সরকার চাইলে যে কোন ধরনের ত্যাগের মাধ্যমে তারা দিতে রাজি আছে। উপজেলার কার্পাসডাঙ্গার নজরুল স্মৃতি সংসদের কার্পাসডাঙ্গা নজররুল স্মৃতি সংসদের সভাপতি শামসুল আলম বলেন, ২০১৬ সালে এখানে একটি নজরুল স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করেন তৎকালীন মন্ত্রিপরিষদ সচিব শফিউল আলম। ২০২১ সালে আটচালা ঘর ও ভৈরব নদীর ঘাট সংস্কার করেন তৎকালীন জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার। অথচ, কবির স্মৃতিধন্য আটচালা ঘরটি এখনো ব্যক্তি মালিকানাধীন। ‘সাবেক জেলা প্রশাসক সাইমা ইউনুস মন্ত্রণালয়ে অধিগ্রহণের সুপারিশ পাঠিয়েছিলেন। পরে নানা আলোচনা হলেও বাস্তবয়ন হয়নি। খুলনা বিভাগের একমাত্র নজরুল স্মৃতি বিজড়িত স্থান উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা। এখানে দীর্ঘদিন ধরে রাষ্ট্রীয়ভাবে নজরুল জয়ন্তী পালন হচ্ছে। পর্যটন কেন্দ্রসহ নজরুল কমপ্লেক্সটি এখনও বাস্তবায়ন হয়নি। দ্রুত বাস্তবায়ন হলে এ জনপদে নজরুলকে নিয়ে নজরুল চর্চা বেগবান হবে। কাজী নজরুল ইসলামের স্মৃতি কেন্দ্র স্থাপন করলে আগামী প্রজন্মের মানুষেরা কবিকে নিয়ে বেশি বেশি চর্চার সুযোগ পাবে এবং তাদের মধ্যে আগ্রহের সৃষ্টি হবে। কার্পাসডাঙ্গায় কবি নজরুল চর্চায় কাক্সিক্ষত প্রসার এবং তার স্মৃতি চিহ্নগুলো ধরে রাখার লক্ষ্যে কার্পাসডাঙ্গায় কাজী নজরুল ইসলাম স্মৃতি সংসদ নজরুল চর্চা কেন্দ্র প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য প্রস্তাব পেশ করেছে প্রতিবছর ২৫মে/১১ই জ্যৈষ্ঠ কার্পাসডাঙ্গা নজরুল স্মৃতি সংসদ নজরুল স্মৃতি বিজড়িত স্থানে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে জেলা প্রশাসক চুয়াডাঙ্গার সার্বিক সহযোগিতা নজরুল জন্মজয়ন্তী পালিত হয়ে থাকে। কবি ‘কাজী নজরুল ইসলামের’ স্মৃতি বিজড়িত ঐতিহাসিক স্থান সুমহ নতুন করে তৈরি হয়েছে। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় খ্রিস্টান অধ্যুষিত কার্পাসডাঙ্গায় অবস্থিত ঐতিহাসিক সেই আটচালার কুঁড়ে ঘরটি মিউজিয়ামে রেখে নজরুল কমপ্লেক্সটি ও চর্চা কেন্দ্র প্রকল্প গ্রহণ করেছেন। আটচালা কুঁড়ে ঘরটি পাশে নজরুল স্মৃতি ফলকে তার ছবিসহ সংক্ষিপ্ত ইতিহাস তুলে ধরা হয়েছে। দর্শনার্থীদের জন্য জেলা প্রশাসন একটি টিনের সেড ন্থাপন করেছেন। ইতোমধ্যে নজরুলের স্মৃতি বিজড়িত স্থানগুলো রক্ষার্থে অনেক প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়েছে। ভৈরব নদের তীরে সেই সাঁন বাঁধনো ঘাট নির্মাণ শেষ হয়েছে । তারই পাশে দর্শনার্থীদের জন্য আরও একটি সাঁন বাঁধানো সিঁড়ির নির্মাণ হয়েছে। ‘কার্পাসডাঙ্গায় নজরুল গবেষণা ইনস্টিটিউট, পাঠাগার, মহাবিদ্যালয় ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা এখন সময়ের দাবি।’ এদিকে, এ বছরই পূর্ণ হতে চলেছে কবির আগমনের শতবর্ষ। জেলা প্রশাসক মো. জহিরুল ইসলামের আহ্বানে স্থানীয় কবিপ্রেমীদের নিয়ে একটি মতবিনিময় সভা হয়ছে।
নজরুল প্রেমীসহ এলাকাবাসীর দাবি সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় খ্রিস্টান অধ্যুষিত কার্পাসডাঙ্গায় অবস্থিত নজরুলের আগমনের ঐতিহাসিক সেই শতবর্ষে আটচালার কুঁড়ে ঘরটি আর অরক্ষিত নয়। কুঁড়ে ঘরটি মিউজিয়ামে রেখে নজরুল চর্চা কেন্দ্র প্রকল্পটি, কবি সিটি পার্কসহ প্রস্তবনায় পেশকৃত অপেক্ষামান অবশিষ্ট প্রকল্পগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন হলে এ জনপদে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা জেলার খুদে সাহিত্যিক ও লেখকদের মধ্যে আগ্রহের যেমন সৃষ্টি হবে। সেই সঙ্গে নজরুল চর্চা আর বেগবান হবে।