কোরবানি ঈদে বিক্রির উদ্দেশ্যে সিরাজগঞ্জের জেলার বিভিন্ন গ্রামে কৃষক ও খামারিরা বাড়িতে বিদেশি ও দেশি জাতের গরু লালন-পালন করছে। রাত-দিন সন্তানের এত পালন করা গরু চুরি হয় এই আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন কৃষক ও খামারিরা। ঈদকে কেন্দ্র করে প্রতি রাতেই কোনো না কোনো এলাকায় হানা দিচ্ছে সংঘবদ্ধ চোরের দল। গত পাঁচ দিনে জেলার তিন উপজেলায় প্রায় ২১টি গরু চুরি ঘটনা ঘটেছে।
জানা যায়, কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে জেলার ৯টি উপজেলার ৮৪টি ইউনিয়নের প্রায় প্রতি বাড়িতেই গরু লালন-পালন করে কৃষক ও খামারি। সম্প্রতি প্রতি রাতেই জেলায় চুরির ঘটনা ঘটছে। গরু চুরি হওয়ায় খামারিদের মাথায় হাতসহ চরম আতঙ্কে রয়েছেন তারা। কষ্টে পালিত গরু রক্ষায় অনেক কৃষক ও খামারিরা গোয়াল ঘরেই রাত-দিন পাড় করছেন। গত রবিবার রাতে রায়গঞ্জ উপজেলার ডুমরাই গ্রামের কাদের মির্জার পাঁচটি, দুটি মহিষ, একই মহল্লার তালেব মির্জার গোয়াল থেকেও তিনটি, একই রাতে তাড়াশ উপজেলার দেশীগ্রাম ইউনিয়নের উত্তর শ্যামপুর গ্রামের কৃষক সাইফুল ইসলামের গোয়াল ঘরের জানালা ও মাটির দেয়াল ভেঙে সাতটি, (২৪ মে) রাতে ব্রহ্মগাছা ইউনিয়নের কয়ড়া গ্রামের আব্দুল জলিলের একটি ও (২০ মে) রাতে চৌহালী উপজেলার ঘোড়জান ইউনিয়নের মুরাদপুর কাউলিয়াি চরে তারা মিয়া (৬৫) নামে এক কৃষককে শ্বাসরোধে হত্যার পর তিনটি গরু লুট করে নিয়ে গেছে চোরেরা। এ ঘটনায় দুই চোরকে আটক করলেও গরু উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। রায়গঞ্জ উপজেলার ব্রহ্মগাছা ইউনিয়নের কয়ড়া গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল জলিল জানান, গত শনিবার গভীর রাতে তার প্রায় দুই লাখ টাকা দামের লাল রঙের একটি ষাঁড় চুরি হয়ে গেছে। চুরি যাওয়া গরু খোঁজ করেও সন্ধান পায়নি।
খামারীকে শ্বাসরোধে হত্যার পর তিনটি গরু লুটের বিষয়ে চৌহালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাখাওয়াত হোসেন বলেন, এ ঘটনায় অজ্ঞাতপরিচয় ১০-১২ জনের নামে একটি মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
তাড়াশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউর রহমান বলেন, গোয়ালঘরের জানালা ভেঙে সাতটি গরু চুরির ঘটনায় লুৎফর ও চঞ্চল নামের দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
আটটি গরু ও দুটি মহিষ চুরির ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে রায়গঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কেএম মাসুদ রানা বলেন, চুরির বিষয়টি জানার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। এ ঘটনায় চোরদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মঙ্গলবার, ২৭ মে ২০২৫
কোরবানি ঈদে বিক্রির উদ্দেশ্যে সিরাজগঞ্জের জেলার বিভিন্ন গ্রামে কৃষক ও খামারিরা বাড়িতে বিদেশি ও দেশি জাতের গরু লালন-পালন করছে। রাত-দিন সন্তানের এত পালন করা গরু চুরি হয় এই আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন কৃষক ও খামারিরা। ঈদকে কেন্দ্র করে প্রতি রাতেই কোনো না কোনো এলাকায় হানা দিচ্ছে সংঘবদ্ধ চোরের দল। গত পাঁচ দিনে জেলার তিন উপজেলায় প্রায় ২১টি গরু চুরি ঘটনা ঘটেছে।
জানা যায়, কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে জেলার ৯টি উপজেলার ৮৪টি ইউনিয়নের প্রায় প্রতি বাড়িতেই গরু লালন-পালন করে কৃষক ও খামারি। সম্প্রতি প্রতি রাতেই জেলায় চুরির ঘটনা ঘটছে। গরু চুরি হওয়ায় খামারিদের মাথায় হাতসহ চরম আতঙ্কে রয়েছেন তারা। কষ্টে পালিত গরু রক্ষায় অনেক কৃষক ও খামারিরা গোয়াল ঘরেই রাত-দিন পাড় করছেন। গত রবিবার রাতে রায়গঞ্জ উপজেলার ডুমরাই গ্রামের কাদের মির্জার পাঁচটি, দুটি মহিষ, একই মহল্লার তালেব মির্জার গোয়াল থেকেও তিনটি, একই রাতে তাড়াশ উপজেলার দেশীগ্রাম ইউনিয়নের উত্তর শ্যামপুর গ্রামের কৃষক সাইফুল ইসলামের গোয়াল ঘরের জানালা ও মাটির দেয়াল ভেঙে সাতটি, (২৪ মে) রাতে ব্রহ্মগাছা ইউনিয়নের কয়ড়া গ্রামের আব্দুল জলিলের একটি ও (২০ মে) রাতে চৌহালী উপজেলার ঘোড়জান ইউনিয়নের মুরাদপুর কাউলিয়াি চরে তারা মিয়া (৬৫) নামে এক কৃষককে শ্বাসরোধে হত্যার পর তিনটি গরু লুট করে নিয়ে গেছে চোরেরা। এ ঘটনায় দুই চোরকে আটক করলেও গরু উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। রায়গঞ্জ উপজেলার ব্রহ্মগাছা ইউনিয়নের কয়ড়া গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল জলিল জানান, গত শনিবার গভীর রাতে তার প্রায় দুই লাখ টাকা দামের লাল রঙের একটি ষাঁড় চুরি হয়ে গেছে। চুরি যাওয়া গরু খোঁজ করেও সন্ধান পায়নি।
খামারীকে শ্বাসরোধে হত্যার পর তিনটি গরু লুটের বিষয়ে চৌহালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাখাওয়াত হোসেন বলেন, এ ঘটনায় অজ্ঞাতপরিচয় ১০-১২ জনের নামে একটি মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
তাড়াশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউর রহমান বলেন, গোয়ালঘরের জানালা ভেঙে সাতটি গরু চুরির ঘটনায় লুৎফর ও চঞ্চল নামের দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
আটটি গরু ও দুটি মহিষ চুরির ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে রায়গঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কেএম মাসুদ রানা বলেন, চুরির বিষয়টি জানার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। এ ঘটনায় চোরদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।