সরকারি চাকরি আইন সংশোধনের অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে সচিবালয়ে আন্দোলনরত কর্মচারীদের অবস্থান ও দাবি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিবের কাছে উপস্থাপন করেছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত সচিবরা।
জাপান সফর শেষে দেশে ফিরলে প্রধান উপদেষ্টার কাছে বিষয়টি তুলে ধরবেন বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব শেখ আব্দুর রশীদ। বুধবার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ভূমি মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব এ এস এম সালেহ আহমেদ।
তিনি জানান, “মন্ত্রিপরিষদ সচিবের কাছে কর্মচারীদের বক্তব্য ও গতকালের আলোচনা তুলে ধরা হয়েছে। তাঁর পক্ষে সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব নয়, তাই প্রধান উপদেষ্টা মহোদয় দেশে ফিরলে বিষয়টি তাঁকে জানানো হবে। ৩১ মে তাঁর ফেরার কথা রয়েছে। এখন সিদ্ধান্তটি তাঁর ওপর নির্ভর করছে।”
আন্দোলনরত কর্মচারীদের বিষয়ে তিনি বলেন, “তারা অবাধ্য নন। অধ্যাদেশ বাতিলে কিছুটা সময় লাগতে পারে। আমি বিশ্বাস করি তারা বিষয়টি বুঝবেন এবং কর্মসূচি স্থগিত করবেন।”
উল্লেখ্য, উপদেষ্টা পরিষদ বৃহস্পতিবার সরকারি চাকরি আইন সংশোধন করে একটি অধ্যাদেশ জারি করার প্রস্তাবে সম্মতি দেয়। এরপর শনিবার সচিবালয়ে দিনভর বিক্ষোভ করেন কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। রাষ্ট্রপতির অনুমোদন শেষে রোববার রাতে সংশোধিত অধ্যাদেশটি জারি করা হয়।
অধ্যাদেশে পুরোনো আইনের সঙ্গে ‘৩৭ক’ ধারা যুক্ত করা হয়, যেখানে বলা হয়েছে—একজন কর্মকর্তা বা কর্মচারীকে দুই দফায় সাত দিন করে নোটিশ দেওয়ার পর যদি তাঁকে দায়ী করা হয়, তবে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যাবে।
এ অবস্থায় সোম ও মঙ্গলবার সচিবালয়ে আন্দোলন অব্যাহত থাকে। আন্দোলনকারীরা দাবি জানান, অধ্যাদেশ সংশোধন নয়, বরং সম্পূর্ণ বাতিল করতে হবে।
মঙ্গলবার সকালে মন্ত্রিপরিষদ সচিব শেখ আব্দুর রশীদ কয়েকজন সচিবকে নিয়ে জরুরি বৈঠক করেন। সেখানে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনা করার সিদ্ধান্ত হয়। এরপর ভূমি, গৃহায়ন ও গণপূর্ত, পরিসংখ্যান, স্থানীয় সরকার এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিবরা আন্দোলনরত কর্মচারীদের সঙ্গে বৈঠক করেন।
বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, বুধবার সকাল ১০টায় সকল সচিব মিলে মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে বিষয়টি জানাবেন। এরপর সরকারিভাবে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।
সচিবদের আশ্বাস পেয়ে আন্দোলনরত সরকারি কর্মচারীরা বুধবারের কর্মসূচি স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেন।
বুধবার, ২৮ মে ২০২৫
সরকারি চাকরি আইন সংশোধনের অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে সচিবালয়ে আন্দোলনরত কর্মচারীদের অবস্থান ও দাবি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিবের কাছে উপস্থাপন করেছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত সচিবরা।
জাপান সফর শেষে দেশে ফিরলে প্রধান উপদেষ্টার কাছে বিষয়টি তুলে ধরবেন বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব শেখ আব্দুর রশীদ। বুধবার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ভূমি মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব এ এস এম সালেহ আহমেদ।
তিনি জানান, “মন্ত্রিপরিষদ সচিবের কাছে কর্মচারীদের বক্তব্য ও গতকালের আলোচনা তুলে ধরা হয়েছে। তাঁর পক্ষে সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব নয়, তাই প্রধান উপদেষ্টা মহোদয় দেশে ফিরলে বিষয়টি তাঁকে জানানো হবে। ৩১ মে তাঁর ফেরার কথা রয়েছে। এখন সিদ্ধান্তটি তাঁর ওপর নির্ভর করছে।”
আন্দোলনরত কর্মচারীদের বিষয়ে তিনি বলেন, “তারা অবাধ্য নন। অধ্যাদেশ বাতিলে কিছুটা সময় লাগতে পারে। আমি বিশ্বাস করি তারা বিষয়টি বুঝবেন এবং কর্মসূচি স্থগিত করবেন।”
উল্লেখ্য, উপদেষ্টা পরিষদ বৃহস্পতিবার সরকারি চাকরি আইন সংশোধন করে একটি অধ্যাদেশ জারি করার প্রস্তাবে সম্মতি দেয়। এরপর শনিবার সচিবালয়ে দিনভর বিক্ষোভ করেন কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। রাষ্ট্রপতির অনুমোদন শেষে রোববার রাতে সংশোধিত অধ্যাদেশটি জারি করা হয়।
অধ্যাদেশে পুরোনো আইনের সঙ্গে ‘৩৭ক’ ধারা যুক্ত করা হয়, যেখানে বলা হয়েছে—একজন কর্মকর্তা বা কর্মচারীকে দুই দফায় সাত দিন করে নোটিশ দেওয়ার পর যদি তাঁকে দায়ী করা হয়, তবে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যাবে।
এ অবস্থায় সোম ও মঙ্গলবার সচিবালয়ে আন্দোলন অব্যাহত থাকে। আন্দোলনকারীরা দাবি জানান, অধ্যাদেশ সংশোধন নয়, বরং সম্পূর্ণ বাতিল করতে হবে।
মঙ্গলবার সকালে মন্ত্রিপরিষদ সচিব শেখ আব্দুর রশীদ কয়েকজন সচিবকে নিয়ে জরুরি বৈঠক করেন। সেখানে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনা করার সিদ্ধান্ত হয়। এরপর ভূমি, গৃহায়ন ও গণপূর্ত, পরিসংখ্যান, স্থানীয় সরকার এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিবরা আন্দোলনরত কর্মচারীদের সঙ্গে বৈঠক করেন।
বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, বুধবার সকাল ১০টায় সকল সচিব মিলে মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে বিষয়টি জানাবেন। এরপর সরকারিভাবে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।
সচিবদের আশ্বাস পেয়ে আন্দোলনরত সরকারি কর্মচারীরা বুধবারের কর্মসূচি স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেন।