কুড়িগ্রামের যাত্রাপুর পশুর হাট থেকে ইজারার রসিদ ছাড়া অবৈধভাবে চাঁদা তোলার অভিযোগে করা মামলায় মো. মাহাবুব রহমান (৫৮) ও মো. আলমগীর (২৭) নামের দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার চাঁদা তোলার সময় যৌথ বাহিনীর হাতে আটক হন তারা। আজ বুধবার সকালে তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা হয়। পরে পুলিশ তাঁদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠায়। শুনানি শেষে বিচারক তাঁদের জামিন মঞ্জুর করেন।

গ্রেপ্তার মাহাবুব রহমান কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও বেলগাছা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান। অপর আসামি মো. আলমগীর কুড়িগ্রাম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সংগঠক।

মঙ্গলবার যাত্রাপুর গরুর হাটে রসিদবিহীন চাঁদা আদায়ের অভিযোগ ওঠে মাহাবুব ও আলমগীরের বিরুদ্ধে। ফেনীর মহিষ ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন যৌথ বাহিনীর কাছে অভিযোগ দিলে তাদের আটক করা হয়।

পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ফেনীর ছাগলনাইয়া এলাকার ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন যাত্রাপুর হাট থেকে ১৭টি মহিষ কেনেন। এরপর মাহাবুব ও আলমগীর তাঁকে গরু-মহিষ বিক্রির শেডে নিয়ে গিয়ে প্রতিটি মহিষের জন্য ৫০০ টাকা করে মোট ৮ হাজার ৫০০ টাকা চাঁদা আদায় করেন। আনোয়ার রসিদ চাইলে তাঁরা হাটের ইজারার বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। তখন আনোয়ার বিষয়টি যৌথ বাহিনীর সদস্যদের জানান। পরে দুজনকে আটক করে থানায় নেওয়া হয়।

মুঠোফোনে আনোয়ার হোসেন বলেন, “মাহাবুব রহমান ও তাঁর সহযোগী মিলে আমার কাছ থেকে ৮ হাজার ৫০০ টাকা নিয়েছেন, কিন্তু কোনো রসিদ দেননি। তাই আমি যৌথ বাহিনীকে জানিয়েছি এবং থানায় মামলা করেছি।” তিনি জানান, মাহাবুব রহমান হাটের বৈধ ইজারাদার হলেও অভিযোগের সময় কোনো বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেননি।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন কুড়িগ্রাম সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাবিবুল্লাহ।