মানিকগঞ্জ : ভূমি অধিগ্রহণের জটিলতায় হচ্ছে না সংযোগ সড়ক -সংবাদ
মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার ঝিটকা বাজারের সঙ্গে ইছামতি নদীর উপর ৫ মাগে নির্মাণ হওয়া ১৯ কোটি ৬৭ লাখ টাকার ব্যয়ে সেতুটির অ্যাপ্রোচ ও সংযোগ সড়ক নির্মাণ কাজ করতে পারছে না ঠিকাদার। সেতুর অ্যাপ্রোচসহ সংযোগ সড়ক নির্মাণের জন্য সওজ যে জয়গাটি নির্ধারণ করেছেন ওই জায়গায়টি ভূমি অধিগ্রহণের জটিলতা ও দোকান পাট করে দখল করে রেখেছে কিছু সুবিধা ভোগী মানুষজন। সেতুর অ্যাপ্রোচ ও সংযোগ সড়ক নির্মাণ না হওয়ার কারণে ঝিটকা বাজারের ব্যবসায়ীসহ এলাকার হাজার হাজার লোকজন চরম ভোগান্তির মধ্যে রয়েছেন। তারা দ্রুত সময়ের মধ্যে দখলদার উচ্ছেদ করে সেতুটি অ্যাপ্রোচসহ সংযোগ সড়ক নির্মাণের দাবি করেছেন।
মানিকগঞ্জ সড়ক ও জনপথ অফিস সূত্রে জানা গেছে, হরিরামপুর উপজেলার ঝিটকা বাজারে কাছে ইচ্ছামতি নদীর উপর সেতু নির্মানের জন্য ২০২২-২৩ অর্থবছরের ১৯ কোটি ৬৭ লক্ষ ৩৪ হাজার ৫৩৮ টাকা দর নির্ধারন করে দরপত্র আহ্বান করেন সড়ক ও জনপথের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী সবুজ উদ্দিন খান। ২০২৪ সালে ২৮ জুন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ধ্রুব কন্ট্রাকশনের সঙ্গে চুক্তি হয় সেতুটি নির্মানের জন্য। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এক বছরের মধ্যে সেতুটি নির্মাণসহ অ্যাপ্রাচ ও সংযোগ সড়ক নির্মাণ করে দিবেন। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সেতু নির্মাণের কার্যাদেশ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সেতুর নির্মাণকাজ শুরু করেন। গত ডিসেম্বর মাস সেতুর অবকাঠামো নির্মাণকাজ শেষ হয়। সেতুর অ্যাপ্রোচ ও সংযোগ সড়ক নির্মাণ করতে গেলে স্থানীয় কিছু দখলদার তাতে বাধা দেন। এতে বন্ধ হয়ে গেছে সেতুটির অ্যাপ্রোচসহ সংযোগ সড়ক।
সরেজমিনে ঘটনা স্থলে গিয়ে দেখা গেছে, সেতুটির দুই পাশে এ্যাপ্রোচে কিছু মাটি ফেলো হয়েছে। স্থানীয় কিছু ব্যবসায়ীর বাঁধার কারণে কাজ বন্ধ রেখেন ঠিকাদার। সেতুটির অ্যাপ্রোচসহ সংযোগ সড়ক নির্মাণ না হওয়ার কারণে প্রতিদিন ঝিটকা বাজারে যানজটের সৃস্টি হচ্ছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে স্থানীয় ব্যবসায়ী, স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষজন। ঝিটকা বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক সেন্টু মিয়া বলেন, সেতুটির সংযোগ সড়ক নির্মাণ না হওয়ার কারণে প্রতিদিন বাজারে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। সরকারি জায়গা দখল করে যারা দোকানপাট নির্মাণ করেছে তারাই সেতুর সংযোগ সড়ক নির্মাণে বাঁধা দিচ্ছেন। সরকারে উচিত হবে দখল মুক্ত করে দ্রুত সময়ের মধ্যে সেতুর সংযোগ সড়ক নির্মান করা। তা না হলে এত টাকা ব্যয়ে সেতুটি কোনো কাজেই আসবে না। সেতুর পশ্চিম পাড়ের শালহাই গ্রামের বাসিন্দা আমজাদ হোসেন, ঝিটকা বাজারের ব্যবসায়ী খবির উদ্দিন, শওকত আলীসহ অনেক ব্যবসায়ী জানান, সেতুটি নির্মাণের আগেই ভূমি অফিস থেকে দখলদার ও সরকার থেকে লিজ নেয়া ব্যক্তিদের নামের তালিকা করা হয়েছে। ওই সময় সরকার থেকে বলা হয়েছিল সেতু নির্মাণ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সংযোগ সড়ক নির্মাণের জন্য যাদের স্থাপনা পড়ে তার তা নিজ দায়িত্বে সড়িয়ে নিয়ে যাবেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা সংযোগ সড়কের জন্য সরজেমিনে এসে মেপে লালকালি দিয়ে চিহ্ন করে দিয়েছেন। বর্তমানে নদীর পাড় ঘেষে সংযোগ সড়কটি নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছিল। কিন্তু বাজার কমিটির সভাপতি বেলায়েত হোসেনসহ যারা সরকারি জায়গা দখল করে দোকানপাট নির্মাণ করে ব্যবসা করছেন তারা মানববন্ধন করে নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন। অপর দিকে কয়েকজন দখলদার ও সরকার থেকে পজিশন নেয়া ব্যবসায়ীরা বলেন, তাদের ক্ষতি পূরণ দিয়ে সংযোগ সড়ক করলে তাদের আপত্তি নেই। বাজার কমিটির সভাপতি বেলায়েত হোসেন বলেন, সেতুটি অপরিকল্পিত ভাবে নির্মাণ করা হয়েছে। যেভাবে সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছে এর সংযোগ সড়ক নির্মাণ করা হলে বাজারের দোকানপাটের ওপর দিয়ে চলে যাবে। এই বিষয় নিয়ে বাজারের ব্যবসায়ীরা মানববন্ধন করেছে। একাধিকবার জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা ঘটনা স্থলে এসেছিলেন। তারা কথা দিয়েছিলেন সংযোগ সড়কটি নদীর পাড় ঘেষে ও কম ক্ষতি করে ঠিকাদার নির্মাণ করবেন। কিন্তু ঠিকাদার রাতের আধারে কাউকে কিছু না বলে সংযোগ সড়ক নির্মাণকাজ শুরু করেন। এতে বাজারের ব্যবসায়ীরা বাঁধা দেন।
মানিকগঞ্জ সড়ক ও জনপথের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শাহরিয়ার আলম সমকালকে বলেন সেতুটি নির্মাণের আগেই ২০২২ সালে সংযোগ সড়কের জন্য ভূমি অধিগ্রহণের প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল। জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে এ ব্যাপারে সরজমিনের দখলদার, সরকারি লীজ ও ব্যক্তি জমির তালিকা করা হয়। কিন্তু সেতুটি নির্মান কাজ গত বছর ডিসেম্বর মাসে শেষ হলেও ভূমি অধিগ্রহণের কাজের কোনো অগ্রগতি হয়নি। চলতি বছর মার্চ মাসে ভূমি অধিগ্রহণের জন্য একটি সংশোধিত প্রস্তাব জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। ভূমি অধিগ্রহণের প্রক্রিয়া শেষ হলে সংযোগ সড়ক করা হবে।
জেলা প্রশাসক ডক্টর মানোয়ার হোসেন মোল্লা বলেন, সেতু নির্মানের আগে সংযোগ সড়কের জন্য ভূমি অধিগ্রহণের যে প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল তাতে ১ নং খাস ক্ষতিয়ানে যে জমি পড়বে তার কথা বলা হয়নি। কারণ খাস ক্ষতিয়ানে জমি এভাবে নেয়া যায় না। ওই জমি অধিগ্রহণ করে নিতে হবে। যে কারণে দীর্ঘ দিনেও জমি অধিগ্রহণের কোনো সুরাহ হয়নি। কিন্তু ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান নদীর পাড় দখল করে সংযোগ সড়ক নির্মানের উদ্যোগ নেন। নদীর পাড় দখল করে সংযোগ সড়ক করা হলে তা পরিবেশের জন্য ক্ষতি হবে। এনিয়ে সড়ক ও জনপথ বিভাগসহ ঝিটকা বাজারের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে একাধিকবার জেলা প্রশাসনের বৈঠক হয়েছে। পরবর্তীতে চলতি বছর মার্চ মাসে সংশোধন করে সংযোগ সড়কের জন্য ভূমি অধিগ্রহণের প্রস্তাব পাওয়া গেছে। নিয়ে কাজ করা হচ্ছে যে পর্যন্ত ভূমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া শেষ না হবে ততো দিন নির্মাণকাজ বন্ধ রাখার কথা বলা হয়েছে।
মানিকগঞ্জ : ভূমি অধিগ্রহণের জটিলতায় হচ্ছে না সংযোগ সড়ক -সংবাদ
বুধবার, ২৮ মে ২০২৫
মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার ঝিটকা বাজারের সঙ্গে ইছামতি নদীর উপর ৫ মাগে নির্মাণ হওয়া ১৯ কোটি ৬৭ লাখ টাকার ব্যয়ে সেতুটির অ্যাপ্রোচ ও সংযোগ সড়ক নির্মাণ কাজ করতে পারছে না ঠিকাদার। সেতুর অ্যাপ্রোচসহ সংযোগ সড়ক নির্মাণের জন্য সওজ যে জয়গাটি নির্ধারণ করেছেন ওই জায়গায়টি ভূমি অধিগ্রহণের জটিলতা ও দোকান পাট করে দখল করে রেখেছে কিছু সুবিধা ভোগী মানুষজন। সেতুর অ্যাপ্রোচ ও সংযোগ সড়ক নির্মাণ না হওয়ার কারণে ঝিটকা বাজারের ব্যবসায়ীসহ এলাকার হাজার হাজার লোকজন চরম ভোগান্তির মধ্যে রয়েছেন। তারা দ্রুত সময়ের মধ্যে দখলদার উচ্ছেদ করে সেতুটি অ্যাপ্রোচসহ সংযোগ সড়ক নির্মাণের দাবি করেছেন।
মানিকগঞ্জ সড়ক ও জনপথ অফিস সূত্রে জানা গেছে, হরিরামপুর উপজেলার ঝিটকা বাজারে কাছে ইচ্ছামতি নদীর উপর সেতু নির্মানের জন্য ২০২২-২৩ অর্থবছরের ১৯ কোটি ৬৭ লক্ষ ৩৪ হাজার ৫৩৮ টাকা দর নির্ধারন করে দরপত্র আহ্বান করেন সড়ক ও জনপথের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী সবুজ উদ্দিন খান। ২০২৪ সালে ২৮ জুন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ধ্রুব কন্ট্রাকশনের সঙ্গে চুক্তি হয় সেতুটি নির্মানের জন্য। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এক বছরের মধ্যে সেতুটি নির্মাণসহ অ্যাপ্রাচ ও সংযোগ সড়ক নির্মাণ করে দিবেন। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সেতু নির্মাণের কার্যাদেশ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সেতুর নির্মাণকাজ শুরু করেন। গত ডিসেম্বর মাস সেতুর অবকাঠামো নির্মাণকাজ শেষ হয়। সেতুর অ্যাপ্রোচ ও সংযোগ সড়ক নির্মাণ করতে গেলে স্থানীয় কিছু দখলদার তাতে বাধা দেন। এতে বন্ধ হয়ে গেছে সেতুটির অ্যাপ্রোচসহ সংযোগ সড়ক।
সরেজমিনে ঘটনা স্থলে গিয়ে দেখা গেছে, সেতুটির দুই পাশে এ্যাপ্রোচে কিছু মাটি ফেলো হয়েছে। স্থানীয় কিছু ব্যবসায়ীর বাঁধার কারণে কাজ বন্ধ রেখেন ঠিকাদার। সেতুটির অ্যাপ্রোচসহ সংযোগ সড়ক নির্মাণ না হওয়ার কারণে প্রতিদিন ঝিটকা বাজারে যানজটের সৃস্টি হচ্ছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে স্থানীয় ব্যবসায়ী, স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষজন। ঝিটকা বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক সেন্টু মিয়া বলেন, সেতুটির সংযোগ সড়ক নির্মাণ না হওয়ার কারণে প্রতিদিন বাজারে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। সরকারি জায়গা দখল করে যারা দোকানপাট নির্মাণ করেছে তারাই সেতুর সংযোগ সড়ক নির্মাণে বাঁধা দিচ্ছেন। সরকারে উচিত হবে দখল মুক্ত করে দ্রুত সময়ের মধ্যে সেতুর সংযোগ সড়ক নির্মান করা। তা না হলে এত টাকা ব্যয়ে সেতুটি কোনো কাজেই আসবে না। সেতুর পশ্চিম পাড়ের শালহাই গ্রামের বাসিন্দা আমজাদ হোসেন, ঝিটকা বাজারের ব্যবসায়ী খবির উদ্দিন, শওকত আলীসহ অনেক ব্যবসায়ী জানান, সেতুটি নির্মাণের আগেই ভূমি অফিস থেকে দখলদার ও সরকার থেকে লিজ নেয়া ব্যক্তিদের নামের তালিকা করা হয়েছে। ওই সময় সরকার থেকে বলা হয়েছিল সেতু নির্মাণ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সংযোগ সড়ক নির্মাণের জন্য যাদের স্থাপনা পড়ে তার তা নিজ দায়িত্বে সড়িয়ে নিয়ে যাবেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা সংযোগ সড়কের জন্য সরজেমিনে এসে মেপে লালকালি দিয়ে চিহ্ন করে দিয়েছেন। বর্তমানে নদীর পাড় ঘেষে সংযোগ সড়কটি নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছিল। কিন্তু বাজার কমিটির সভাপতি বেলায়েত হোসেনসহ যারা সরকারি জায়গা দখল করে দোকানপাট নির্মাণ করে ব্যবসা করছেন তারা মানববন্ধন করে নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন। অপর দিকে কয়েকজন দখলদার ও সরকার থেকে পজিশন নেয়া ব্যবসায়ীরা বলেন, তাদের ক্ষতি পূরণ দিয়ে সংযোগ সড়ক করলে তাদের আপত্তি নেই। বাজার কমিটির সভাপতি বেলায়েত হোসেন বলেন, সেতুটি অপরিকল্পিত ভাবে নির্মাণ করা হয়েছে। যেভাবে সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছে এর সংযোগ সড়ক নির্মাণ করা হলে বাজারের দোকানপাটের ওপর দিয়ে চলে যাবে। এই বিষয় নিয়ে বাজারের ব্যবসায়ীরা মানববন্ধন করেছে। একাধিকবার জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা ঘটনা স্থলে এসেছিলেন। তারা কথা দিয়েছিলেন সংযোগ সড়কটি নদীর পাড় ঘেষে ও কম ক্ষতি করে ঠিকাদার নির্মাণ করবেন। কিন্তু ঠিকাদার রাতের আধারে কাউকে কিছু না বলে সংযোগ সড়ক নির্মাণকাজ শুরু করেন। এতে বাজারের ব্যবসায়ীরা বাঁধা দেন।
মানিকগঞ্জ সড়ক ও জনপথের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শাহরিয়ার আলম সমকালকে বলেন সেতুটি নির্মাণের আগেই ২০২২ সালে সংযোগ সড়কের জন্য ভূমি অধিগ্রহণের প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল। জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে এ ব্যাপারে সরজমিনের দখলদার, সরকারি লীজ ও ব্যক্তি জমির তালিকা করা হয়। কিন্তু সেতুটি নির্মান কাজ গত বছর ডিসেম্বর মাসে শেষ হলেও ভূমি অধিগ্রহণের কাজের কোনো অগ্রগতি হয়নি। চলতি বছর মার্চ মাসে ভূমি অধিগ্রহণের জন্য একটি সংশোধিত প্রস্তাব জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। ভূমি অধিগ্রহণের প্রক্রিয়া শেষ হলে সংযোগ সড়ক করা হবে।
জেলা প্রশাসক ডক্টর মানোয়ার হোসেন মোল্লা বলেন, সেতু নির্মানের আগে সংযোগ সড়কের জন্য ভূমি অধিগ্রহণের যে প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল তাতে ১ নং খাস ক্ষতিয়ানে যে জমি পড়বে তার কথা বলা হয়নি। কারণ খাস ক্ষতিয়ানে জমি এভাবে নেয়া যায় না। ওই জমি অধিগ্রহণ করে নিতে হবে। যে কারণে দীর্ঘ দিনেও জমি অধিগ্রহণের কোনো সুরাহ হয়নি। কিন্তু ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান নদীর পাড় দখল করে সংযোগ সড়ক নির্মানের উদ্যোগ নেন। নদীর পাড় দখল করে সংযোগ সড়ক করা হলে তা পরিবেশের জন্য ক্ষতি হবে। এনিয়ে সড়ক ও জনপথ বিভাগসহ ঝিটকা বাজারের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে একাধিকবার জেলা প্রশাসনের বৈঠক হয়েছে। পরবর্তীতে চলতি বছর মার্চ মাসে সংশোধন করে সংযোগ সড়কের জন্য ভূমি অধিগ্রহণের প্রস্তাব পাওয়া গেছে। নিয়ে কাজ করা হচ্ছে যে পর্যন্ত ভূমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া শেষ না হবে ততো দিন নির্মাণকাজ বন্ধ রাখার কথা বলা হয়েছে।