বদরগঞ্জ (রংপুর) : মেম্বারদের হয়ে এভাবে টাকা তুলছেন দালালরা -সংবাদ
রংপুরের বদরগঞ্জে দুস্থ ও অসহায় নারীদের জন্য সরকারিভাবে বরাদ্দকৃত দুস্থ মাতা(ভিডব্লিউবি)’র চাল টাকা ছাড়া মিলছে না এমন অভিযোগ উঠেছে গোপালপুর ইউনিয়নের দুই ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে।
জানা যায়, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মে মাস পর্যন্ত মোট পাঁচ মাসের দুস্থ মাতা বা ভিডব্লিউবির চাল বিতরণ কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। আর এক সঙ্গে পাঁচ মাসের চালের বরাদ্দ নিয়ে চলছে মেম্বারদের আর্থিক লেনদেন। মেম্বাররা যেভাবে পারছেন উপকারভোগীদের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছেন। কেউবা নিজ হাত অর্থ না নিয়ে দালালদের মাধ্যমে উপকারভোগিদের কাছ থেকে অর্থ আদায় করছেন। গত সোমবার সরেজমিন গোপালপুর ইউনিয়ন পরিষদের চাল বিতরণ কার্যক্রম পরিদর্শণকালে এমনই চিত্র উঠে ফুটে উঠেছে। ওই ইউনিয়নে কার্ডধারী দুস্থ মাতার সংখ্যা ৩৪৪ জন হলেও অনিয়মের কারণে ১৪ জনের নাম বাতিল হয়েছে। বর্তমানে তালিকাভুক্ত উপকারীভোগীর সংখ্যা ৩৩০ জন।
কথা হয় ৪ নং ওয়ার্ডের মনসুর আলীর সঙ্গে। তিনি স্ত্রীর নামে বরাদ্দকৃত চাল নিতে এসেছিলেন। তিনি বলেন, প্রতি বস্তা চালের জন্য আকতারুল মেম্বারকে ২শ’-৩শ’ টাকা করে প্রদান করতে হয়েছে। আমি অবশ্য ২শ’ টাকা করে পাঁচ বস্তার জন্য ১ হাজার টাকা তাকে দিয়েছি। তবে অন্যরা ৩শ’ টাকা করে ১৫শ’ টাকা মেম্বারকে দিয়েছেন।
এ বিষয়ে ৪ নং ওয়ার্ড মেম্বার আক্তারুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি কারো কাছ থেকে টাকা চাইনি। তবে অনেকেই খুশি হয়ে আমাকে টাকা দিয়েছেন। ২ নং ওয়ার্ডের মেম্বার মশিউর রহমান বলেন, চাল নিতে আশা ব্যক্তিরা আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ করেছেন।
গোপালপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শামসুল আলম বলেন, যদি ভিডব্লিউবির চালের বিনিময়ে কোন ইউপি সদস্য টাকা নিয়ে থাকে হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উপজেলা মহিলা বিষয়ক অফিসার সাবিকুন্নাহার বলেন, জানুয়ারি থেকে মে মাস পর্যন্ত মোট পাঁচ মাসের জন্য পাঁচ বস্তা করে চাল (এক বস্তা= ৩০ কেজি) উপকারভোগিরা পাবেন। তবে ওই চাল এক সঙ্গে না দিয়ে ভিন্ন ভিন্ন দিনে বিতরণ করার জন্য ইউপি চেয়ারম্যানদের বলা হয়েছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, লিখিত অভিযোগ পেলে মেম্বারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিজানুর রহমান বলেন, সুস্পষ্ট প্রমাণসহ লিখিত অভিযোগ পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বদরগঞ্জ (রংপুর) : মেম্বারদের হয়ে এভাবে টাকা তুলছেন দালালরা -সংবাদ
বুধবার, ২৮ মে ২০২৫
রংপুরের বদরগঞ্জে দুস্থ ও অসহায় নারীদের জন্য সরকারিভাবে বরাদ্দকৃত দুস্থ মাতা(ভিডব্লিউবি)’র চাল টাকা ছাড়া মিলছে না এমন অভিযোগ উঠেছে গোপালপুর ইউনিয়নের দুই ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে।
জানা যায়, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মে মাস পর্যন্ত মোট পাঁচ মাসের দুস্থ মাতা বা ভিডব্লিউবির চাল বিতরণ কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। আর এক সঙ্গে পাঁচ মাসের চালের বরাদ্দ নিয়ে চলছে মেম্বারদের আর্থিক লেনদেন। মেম্বাররা যেভাবে পারছেন উপকারভোগীদের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছেন। কেউবা নিজ হাত অর্থ না নিয়ে দালালদের মাধ্যমে উপকারভোগিদের কাছ থেকে অর্থ আদায় করছেন। গত সোমবার সরেজমিন গোপালপুর ইউনিয়ন পরিষদের চাল বিতরণ কার্যক্রম পরিদর্শণকালে এমনই চিত্র উঠে ফুটে উঠেছে। ওই ইউনিয়নে কার্ডধারী দুস্থ মাতার সংখ্যা ৩৪৪ জন হলেও অনিয়মের কারণে ১৪ জনের নাম বাতিল হয়েছে। বর্তমানে তালিকাভুক্ত উপকারীভোগীর সংখ্যা ৩৩০ জন।
কথা হয় ৪ নং ওয়ার্ডের মনসুর আলীর সঙ্গে। তিনি স্ত্রীর নামে বরাদ্দকৃত চাল নিতে এসেছিলেন। তিনি বলেন, প্রতি বস্তা চালের জন্য আকতারুল মেম্বারকে ২শ’-৩শ’ টাকা করে প্রদান করতে হয়েছে। আমি অবশ্য ২শ’ টাকা করে পাঁচ বস্তার জন্য ১ হাজার টাকা তাকে দিয়েছি। তবে অন্যরা ৩শ’ টাকা করে ১৫শ’ টাকা মেম্বারকে দিয়েছেন।
এ বিষয়ে ৪ নং ওয়ার্ড মেম্বার আক্তারুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি কারো কাছ থেকে টাকা চাইনি। তবে অনেকেই খুশি হয়ে আমাকে টাকা দিয়েছেন। ২ নং ওয়ার্ডের মেম্বার মশিউর রহমান বলেন, চাল নিতে আশা ব্যক্তিরা আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ করেছেন।
গোপালপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শামসুল আলম বলেন, যদি ভিডব্লিউবির চালের বিনিময়ে কোন ইউপি সদস্য টাকা নিয়ে থাকে হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উপজেলা মহিলা বিষয়ক অফিসার সাবিকুন্নাহার বলেন, জানুয়ারি থেকে মে মাস পর্যন্ত মোট পাঁচ মাসের জন্য পাঁচ বস্তা করে চাল (এক বস্তা= ৩০ কেজি) উপকারভোগিরা পাবেন। তবে ওই চাল এক সঙ্গে না দিয়ে ভিন্ন ভিন্ন দিনে বিতরণ করার জন্য ইউপি চেয়ারম্যানদের বলা হয়েছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, লিখিত অভিযোগ পেলে মেম্বারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিজানুর রহমান বলেন, সুস্পষ্ট প্রমাণসহ লিখিত অভিযোগ পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।