হাসপাতাল সিলগালা
বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার ফয়লা বাজারে স্ন্দুরবন (প্রা.) হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে সিজার করতে গিয়ে আবারও এক প্রসূতি মায়ের মৃত্যু হয়েছে। এনেস্থিয় ব্যবস্থা ছাড়াই ভাড়ায় আনা চিকিৎসক দিয়ে গত সোমবার রাতে তানিয়া বেগম (২০) নামের একজন প্রসূতি মাকে সিজার অপারেশন করার এক ঘণ্টার মধ্যেই সে মারা যায়। এ ঘটনায় তোলপাড় সৃষ্টি হলে মঙ্গলবার দুুপুরে বেসরকারি হাসপাতাল নামের ওই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানটি পরিদর্শন শেষে অপারেশন কার্যক্রম বন্ধ করে দেন রামপাল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সুকান্ত কুমার পাল।
জানা গেছে, রামপাল উপজেলার ছোট নবাবপুর গ্রামের ফেরদৌস এর স্ত্রী প্রসূতি তানিয়া বেগমকে মৌখিক চুক্তিকে হাসপাতালে সিজারিয়ান করানোর দুই দিন আগে ভর্তি করা হয়। ঘটনার দিন সোমবার রাত ৯টায় প্রসূতিকে অপারেশন থিয়েটারে নেয়া হয়। এক পর্যায়ে তাকে কোন ধরনের পরীক্ষা নিরীক্ষা ছাড়াই ভাড়ায় আনা একজন ডাক্তার দিয়ে ভুল অপারেশন করার ফলে অপারেশন থিয়েটারে রোগী গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তড়িঘড়ি করে হাসপাতালের লোকজন দ্রুত তাকে খুমেক হাসপাতালে রেফার করে। সেখানে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তানিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনা জানাজানির আগেই সুন্দরবন হাসপাতালের পরিচালক নাজমুল হাসান রিয়াজ নিহত প্রসূতির স্বজনদের সঙ্গে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে দফারফা করার চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ ওঠে। নিহত প্রসুতির স্বজনরা বলছেন, আমরা গ্রামের সহজ সরল মানুষ কম খরচে তানিয়ার সন্তান প্রসবের জন্য ওই হাসপাতালে যাই এবং দুদিন আগে ভর্তি করার পর সোমবার রাতে সিজার করতে তানিয়াকে অপারেশন থিয়েটারে নেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এরপর এই ঘটনা। হাসপাতালে পরিদর্শনে গিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা সুকান্ত কুমার ভয়ঙ্কর ধরণের অনিয়ম দেখতে পান।
এ বিষয়ে ওই হাসপাতালে গিয়ে দায়িত্বশীল কারো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে রামপাল উপজেলা স্বাস্থ্য ও প. প. কর্মকর্তা সুকান্ত কুমার পাল জানান, একজন প্রসূতি মায়ের মৃত্যু খ্বুই হৃদয় বিদারক। হাসপাতাল পরিদর্শনে গিয়ে দেখা গেছে ক্লিনিক চালানোর এত সরকার নির্ধারিত কোন প্রকার উপযোগী যন্ত্রপাতি নেই। অপারেশন চলাকালীন ৩ জন চিকিৎসক থাকার কথা থাকলেও কেউ ছিল না। পরিদর্শনে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। যে কারণে ক্লিনিকের কার্যক্রম বন্ধ করা হলো। পরবর্তীতে তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।
হাসপাতাল সিলগালা
বুধবার, ২৮ মে ২০২৫
বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার ফয়লা বাজারে স্ন্দুরবন (প্রা.) হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে সিজার করতে গিয়ে আবারও এক প্রসূতি মায়ের মৃত্যু হয়েছে। এনেস্থিয় ব্যবস্থা ছাড়াই ভাড়ায় আনা চিকিৎসক দিয়ে গত সোমবার রাতে তানিয়া বেগম (২০) নামের একজন প্রসূতি মাকে সিজার অপারেশন করার এক ঘণ্টার মধ্যেই সে মারা যায়। এ ঘটনায় তোলপাড় সৃষ্টি হলে মঙ্গলবার দুুপুরে বেসরকারি হাসপাতাল নামের ওই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানটি পরিদর্শন শেষে অপারেশন কার্যক্রম বন্ধ করে দেন রামপাল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সুকান্ত কুমার পাল।
জানা গেছে, রামপাল উপজেলার ছোট নবাবপুর গ্রামের ফেরদৌস এর স্ত্রী প্রসূতি তানিয়া বেগমকে মৌখিক চুক্তিকে হাসপাতালে সিজারিয়ান করানোর দুই দিন আগে ভর্তি করা হয়। ঘটনার দিন সোমবার রাত ৯টায় প্রসূতিকে অপারেশন থিয়েটারে নেয়া হয়। এক পর্যায়ে তাকে কোন ধরনের পরীক্ষা নিরীক্ষা ছাড়াই ভাড়ায় আনা একজন ডাক্তার দিয়ে ভুল অপারেশন করার ফলে অপারেশন থিয়েটারে রোগী গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তড়িঘড়ি করে হাসপাতালের লোকজন দ্রুত তাকে খুমেক হাসপাতালে রেফার করে। সেখানে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তানিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনা জানাজানির আগেই সুন্দরবন হাসপাতালের পরিচালক নাজমুল হাসান রিয়াজ নিহত প্রসূতির স্বজনদের সঙ্গে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে দফারফা করার চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ ওঠে। নিহত প্রসুতির স্বজনরা বলছেন, আমরা গ্রামের সহজ সরল মানুষ কম খরচে তানিয়ার সন্তান প্রসবের জন্য ওই হাসপাতালে যাই এবং দুদিন আগে ভর্তি করার পর সোমবার রাতে সিজার করতে তানিয়াকে অপারেশন থিয়েটারে নেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এরপর এই ঘটনা। হাসপাতালে পরিদর্শনে গিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা সুকান্ত কুমার ভয়ঙ্কর ধরণের অনিয়ম দেখতে পান।
এ বিষয়ে ওই হাসপাতালে গিয়ে দায়িত্বশীল কারো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে রামপাল উপজেলা স্বাস্থ্য ও প. প. কর্মকর্তা সুকান্ত কুমার পাল জানান, একজন প্রসূতি মায়ের মৃত্যু খ্বুই হৃদয় বিদারক। হাসপাতাল পরিদর্শনে গিয়ে দেখা গেছে ক্লিনিক চালানোর এত সরকার নির্ধারিত কোন প্রকার উপযোগী যন্ত্রপাতি নেই। অপারেশন চলাকালীন ৩ জন চিকিৎসক থাকার কথা থাকলেও কেউ ছিল না। পরিদর্শনে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। যে কারণে ক্লিনিকের কার্যক্রম বন্ধ করা হলো। পরবর্তীতে তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।