চকরিয়া (কক্সবাজার) : বদরখালী উত্তর নতুনঘোনা স্লুইসগেট -সংবাদ
কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার উপকূলীয় বদরখালীতে ইউনিয়ন পরিষদের গোদি মহালের একটি স্লুইসগেট জবরদখল ঘিরে স্থানীয় দুইপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে সংঘাতের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এতে গ্রামের অন্তত চার শতাধিক পরিবার বর্ষাকালে পানি নিস্কাশন অনিশ্চিতায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন।
এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে, বদরখালী ইউনিয়ন পরিষদ থেকে পানি নিস্কাশনের জন্য প্রতিবছর এক নম্বর বল্কের ৯ নম্বর স্লুইসগেটটি রাজস্ব আদায়ের মাধ্যমে ইজারা দেয়া হচ্ছে।
এরই অংশ হিসেবে চলতিবছর ২০২৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ের জন্য ১২ হাজার দুইশত টাকা রাজস্ব পরিশোধ সাপেক্ষে এক বছরের জন্য রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে বদরখালী ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর নতুনঘোনা এলাকার বাসিন্দা আবুল কাশেম এর ছেলে মো. আমির হামজাকে।
জানা গেছে, চলতিবছরে ২০২৫ সালের ১৩ ফ্রেবুয়ারী তারিখে বদরখালী ইউনিয়ন পরিষদের সাধারণ সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক গোদি মহালের আওতায় পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও ইউপি সচিব নজরুল ইসলাম, পরিষদের ৯ জন মেম্বার স্বাক্ষরিত পরিপত্রের মাধ্যমে গত ১৬ ফেব্রুয়ারী উল্লেখিত স্লুইসগেট রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ইজারাদার আমির হামজাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
হামজা বলেন, বদরখালী ইউনিয়ন পরিষদের গোদি মহালের আওতায় ১২ হাজার দুইশত টাকা রাজস্ব পরিষদের নামীয় ব্যাংক হিসাব নাম্বারে পরিশোধ করে আমি যথারীতি স্লুইসগেট রক্ষণাবেক্ষণ কাজে নিয়োজিত আছি। কোনদিন স্লুইসগেট পরিচালনাকালে এলাকাবাসীর ক্ষতি করিনি এবং এধরণের অভিযোগ অদ্যবদি এলাকাবাসী কোথাও করতে পারেনি।
এলাকাবাসী জানান, ইউনিয়ন পরিষদের গোদি মহালের আওতায় স্লুইসগেটটি দীর্ঘ দুইযুগের বেশি সময় ধরে রক্ষণাবেক্ষণ করা হলেও বর্ষাকালে পানি নিস্কাশনে কোনধরনের বাঁধা বিপত্তি হয়নি। পরিষদ থেকে নিয়মিত তদারকি করা হয়।
ইজারাদার আমির হামজা অভিযোগ করেছেন, বদরখালী ইউনিয়ন পরিষদের গোদি মহালের আওতায় স্লুইসগেটটি আগেকার নিয়মে আমি ২০২৫ সালের জন্য রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব নিই। ইতোমধ্যে চারমাস সময় অতিবাহিত হয়েছে। আরও ৮ মাস সময় অবশিষ্ট আছে।
এরইমধ্যে কয়েকদিন ধরে স্থানীয় একটি প্রভাবশালীমহল বদরখালী উত্তর নতুনঘোনা পানি ব্যবস্থাপনা কমিটির নামে ফেনী পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে স্লুইসগেট পরিচালনার জন্য কমিটি এনেছে দাবি করে ইউনিয়ন পরিষদের গোদি মহালের স্লুইসগেটটি জোরপূর্বক জবরদখলের চেষ্টা চালাচ্ছে। এখন তারা প্রতিদিন স্লুইসগেট এলাকায় এসে নানাভাবে হুমকি ধমকি দিচ্ছে। আমাদেরকে স্লুইসগেট থেকে উচ্ছেদ করবে বলে শাসাচ্ছেন।
অভিযোগ প্রসঙ্গে পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে কমিটি আনা বদরখালীর নতুনঘোনা এলাকার মোসলেম উদ্দিন বলেন, আমরা ফেনী পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে উত্তর নতুনঘোনা স্লুইসগেট পরিচালনা কমিটি এনেছি। গত ২১ মে তারিখে আমাদের নামে পানি উন্নয়ন বোর্ড কাগজ দিয়েছেন। আমরা বৈধ।
কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী (চকরিয়া উপজেলা জোন) জামাল মোরশেদ বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধীন বিভিন্ন এলাকায় স্লুইসগেট পরিচালনা করার জন্য পাউবো থেকে কমিটি দেয়া হচ্ছে- যা আগেও ছিল। তবে বদরখালীর ওই স্লুইসগেট পরিচালনা বিষয়ে পরবর্তী পরিস্থিতির আলোকে স্থানীয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ( ইউএনও) মতামতের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে।
এব্যাপারে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ আতিকুর রহমান বলেন, যেখানে দুইযুগের বেশি সময় ধরে ইউনিয়ন পরিষদের গোদি মহালের আওতায় স্লুইসগেট রক্ষণাবেক্ষণ করা হচ্ছে, সেখানে হঠাৎ করে পানি ব্যবস্থাপনা কমিটি নাযিল হবার সুযোগ নেই।
সুতরাং ইউনিয়ন পরিষদের রাজস্ব বন্ধ করে কাউকে স্লুইসগেট ছেড়ে দেওয়ার হবে না। তিনি বলেন, কীভাবে পানি ব্যবস্থাপনা কমিটি দেয়া হচ্ছে, তা আগে এসে সবিস্তারে আলোচনা করুক পানি উন্নয়ন বোর্ড। তার আলোকে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
চকরিয়া (কক্সবাজার) : বদরখালী উত্তর নতুনঘোনা স্লুইসগেট -সংবাদ
বুধবার, ২৮ মে ২০২৫
কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার উপকূলীয় বদরখালীতে ইউনিয়ন পরিষদের গোদি মহালের একটি স্লুইসগেট জবরদখল ঘিরে স্থানীয় দুইপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে সংঘাতের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এতে গ্রামের অন্তত চার শতাধিক পরিবার বর্ষাকালে পানি নিস্কাশন অনিশ্চিতায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন।
এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে, বদরখালী ইউনিয়ন পরিষদ থেকে পানি নিস্কাশনের জন্য প্রতিবছর এক নম্বর বল্কের ৯ নম্বর স্লুইসগেটটি রাজস্ব আদায়ের মাধ্যমে ইজারা দেয়া হচ্ছে।
এরই অংশ হিসেবে চলতিবছর ২০২৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ের জন্য ১২ হাজার দুইশত টাকা রাজস্ব পরিশোধ সাপেক্ষে এক বছরের জন্য রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে বদরখালী ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর নতুনঘোনা এলাকার বাসিন্দা আবুল কাশেম এর ছেলে মো. আমির হামজাকে।
জানা গেছে, চলতিবছরে ২০২৫ সালের ১৩ ফ্রেবুয়ারী তারিখে বদরখালী ইউনিয়ন পরিষদের সাধারণ সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক গোদি মহালের আওতায় পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও ইউপি সচিব নজরুল ইসলাম, পরিষদের ৯ জন মেম্বার স্বাক্ষরিত পরিপত্রের মাধ্যমে গত ১৬ ফেব্রুয়ারী উল্লেখিত স্লুইসগেট রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ইজারাদার আমির হামজাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
হামজা বলেন, বদরখালী ইউনিয়ন পরিষদের গোদি মহালের আওতায় ১২ হাজার দুইশত টাকা রাজস্ব পরিষদের নামীয় ব্যাংক হিসাব নাম্বারে পরিশোধ করে আমি যথারীতি স্লুইসগেট রক্ষণাবেক্ষণ কাজে নিয়োজিত আছি। কোনদিন স্লুইসগেট পরিচালনাকালে এলাকাবাসীর ক্ষতি করিনি এবং এধরণের অভিযোগ অদ্যবদি এলাকাবাসী কোথাও করতে পারেনি।
এলাকাবাসী জানান, ইউনিয়ন পরিষদের গোদি মহালের আওতায় স্লুইসগেটটি দীর্ঘ দুইযুগের বেশি সময় ধরে রক্ষণাবেক্ষণ করা হলেও বর্ষাকালে পানি নিস্কাশনে কোনধরনের বাঁধা বিপত্তি হয়নি। পরিষদ থেকে নিয়মিত তদারকি করা হয়।
ইজারাদার আমির হামজা অভিযোগ করেছেন, বদরখালী ইউনিয়ন পরিষদের গোদি মহালের আওতায় স্লুইসগেটটি আগেকার নিয়মে আমি ২০২৫ সালের জন্য রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব নিই। ইতোমধ্যে চারমাস সময় অতিবাহিত হয়েছে। আরও ৮ মাস সময় অবশিষ্ট আছে।
এরইমধ্যে কয়েকদিন ধরে স্থানীয় একটি প্রভাবশালীমহল বদরখালী উত্তর নতুনঘোনা পানি ব্যবস্থাপনা কমিটির নামে ফেনী পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে স্লুইসগেট পরিচালনার জন্য কমিটি এনেছে দাবি করে ইউনিয়ন পরিষদের গোদি মহালের স্লুইসগেটটি জোরপূর্বক জবরদখলের চেষ্টা চালাচ্ছে। এখন তারা প্রতিদিন স্লুইসগেট এলাকায় এসে নানাভাবে হুমকি ধমকি দিচ্ছে। আমাদেরকে স্লুইসগেট থেকে উচ্ছেদ করবে বলে শাসাচ্ছেন।
অভিযোগ প্রসঙ্গে পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে কমিটি আনা বদরখালীর নতুনঘোনা এলাকার মোসলেম উদ্দিন বলেন, আমরা ফেনী পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে উত্তর নতুনঘোনা স্লুইসগেট পরিচালনা কমিটি এনেছি। গত ২১ মে তারিখে আমাদের নামে পানি উন্নয়ন বোর্ড কাগজ দিয়েছেন। আমরা বৈধ।
কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী (চকরিয়া উপজেলা জোন) জামাল মোরশেদ বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধীন বিভিন্ন এলাকায় স্লুইসগেট পরিচালনা করার জন্য পাউবো থেকে কমিটি দেয়া হচ্ছে- যা আগেও ছিল। তবে বদরখালীর ওই স্লুইসগেট পরিচালনা বিষয়ে পরবর্তী পরিস্থিতির আলোকে স্থানীয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ( ইউএনও) মতামতের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে।
এব্যাপারে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ আতিকুর রহমান বলেন, যেখানে দুইযুগের বেশি সময় ধরে ইউনিয়ন পরিষদের গোদি মহালের আওতায় স্লুইসগেট রক্ষণাবেক্ষণ করা হচ্ছে, সেখানে হঠাৎ করে পানি ব্যবস্থাপনা কমিটি নাযিল হবার সুযোগ নেই।
সুতরাং ইউনিয়ন পরিষদের রাজস্ব বন্ধ করে কাউকে স্লুইসগেট ছেড়ে দেওয়ার হবে না। তিনি বলেন, কীভাবে পানি ব্যবস্থাপনা কমিটি দেয়া হচ্ছে, তা আগে এসে সবিস্তারে আলোচনা করুক পানি উন্নয়ন বোর্ড। তার আলোকে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।