নাটোরের বাগাতিপাড়ায় সরকারিভাবে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মাঝে বিতরণকৃত গরুগুলো রুগ্ন ও নিম্নমানের বলে অভিযোগ উঠেছে। উপকারভোগীরা বলছেন, সরকারি প্রকল্পের এই গরু বিতরণ প্রক্রিয়া দুর্নীতির মাধ্যমে গরিবদের হক লুটে নেওয়ার এক প্রকৃষ্ট উদাহরণ।
জানা যায়, সমতল ভূমিতে বসবাসরত অনগ্রসর ক্ষুদ্র নৃ-জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে, সমন্নিত প্রাডুসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্প এর আওতায় গরু হৃষ্টপুষ্ঠ প্যাকেজের মাধ্যমে উপজেলায় প্রাডুসম্পদ দপ্তরের তত্বাবধানে ৮ জন উপকারভোগীর মাঝে গরু বিতরণে কথা ছিল। আর তার সঙ্গে পশুখাদ্য, খুটি,টিন ও ফ্লোর ম্যাটও বিতরণের কথা রয়েছে। তবে বিতরণকৃত গরুগুলো রুগ্ন ও নিম্ন মানের হওয়ায় গরু নিতে অপারগতা জানায় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সুবিধাভোগীরা। তবে তাদের দাবি উপজেলা প্রাডুসম্পদ অফিসের চাপে বাধ্য হয়ে চারজন ওই রুগ্ন গরুই গ্রহণ করেছেন। আর বাকি চারজন সেই গরু গ্রহণ না করে প্রতিবাদ জানায় এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরা লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। সুবিধা ভোগীরা অভিযোগ করে বলেন, আমরা ওই রুগ্ন নিম্ন মানের গরু নিতে রাজি না হলে উপজেলা প্রাডু সম্পদ কর্মকর্তা আমাদের ভয় দেখিয়ে বলেন এই গরুই নিতে হবে না নিলে অন্যদের দিয়ে দিবো। উপকারভোগীরা অভিযোগ করে আরও বলেন, সরকারি টেন্ডার অনুযায়ী প্রতিটি গরুর বয়স হওয়া উচিত ছিল কমপক্ষে দেড় বছর এবং ওজন ৮০ কেজি। কিন্তু বাস্তবে বিতরণ করা ও বিতরণের জন্য আনা অধিকাংশ গরুর বয়স কম, ওজন ৫০-৬০ কেজির মধ্যে এবং অনেক গরু বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত। তারা আরও জানান, গরুর ওজন ও স্বাস্থ্য এতটাই খারাপ যে আমরা এগুলো পালন করে লাভের পরিবর্তে আরও ক্ষতির মুখে পড়বো বলে আশঙ্কা করছি। উপজেলা প্রাডুসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আবু হায়দার বলেন, গরুর ওজন ৮০ কেজি থেকে ২/১ কেজি কম হতে পারে। আর গরুগুলো সঠিক মানেরই রয়েছে। তবে কিছু সুবিধাভোগীরা অহংকার করে সেই গরু গ্রহণ করছেননা। বরং আমাকে হুমকি ধামকি প্রদান করছেন। গরু সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান তুষার এন্টার প্রাইজের স্বাত্তাধিকারী রাসেল আহম্মেদ বলেন, গরুর মান ঠিক রয়েছে এবং গরুগুলো উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা বুঝে নিয়েছেন। তিনি আরও বলেন সব গরু ইতোমধ্যে বিতরণও করা হয়েছে।
বাগাতিপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হা-মীম তাবাসসুম প্রভা বলেন, উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা এই বিষয়ে দক্ষ। তিনি বলেছেন গরুর মান ঠিক রয়েছে তাই আমি বিতরণ করতে বলেছি। আর যেসব উপকার ভোগী গরু নেয়নি তারা যদি না নেয় তাহলে পরে যাদের সিরিয়াল রয়েছে তাদের মাঝে বিতরণের জন্য বলেছি।
বুধবার, ২৮ মে ২০২৫
নাটোরের বাগাতিপাড়ায় সরকারিভাবে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মাঝে বিতরণকৃত গরুগুলো রুগ্ন ও নিম্নমানের বলে অভিযোগ উঠেছে। উপকারভোগীরা বলছেন, সরকারি প্রকল্পের এই গরু বিতরণ প্রক্রিয়া দুর্নীতির মাধ্যমে গরিবদের হক লুটে নেওয়ার এক প্রকৃষ্ট উদাহরণ।
জানা যায়, সমতল ভূমিতে বসবাসরত অনগ্রসর ক্ষুদ্র নৃ-জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে, সমন্নিত প্রাডুসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্প এর আওতায় গরু হৃষ্টপুষ্ঠ প্যাকেজের মাধ্যমে উপজেলায় প্রাডুসম্পদ দপ্তরের তত্বাবধানে ৮ জন উপকারভোগীর মাঝে গরু বিতরণে কথা ছিল। আর তার সঙ্গে পশুখাদ্য, খুটি,টিন ও ফ্লোর ম্যাটও বিতরণের কথা রয়েছে। তবে বিতরণকৃত গরুগুলো রুগ্ন ও নিম্ন মানের হওয়ায় গরু নিতে অপারগতা জানায় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সুবিধাভোগীরা। তবে তাদের দাবি উপজেলা প্রাডুসম্পদ অফিসের চাপে বাধ্য হয়ে চারজন ওই রুগ্ন গরুই গ্রহণ করেছেন। আর বাকি চারজন সেই গরু গ্রহণ না করে প্রতিবাদ জানায় এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরা লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। সুবিধা ভোগীরা অভিযোগ করে বলেন, আমরা ওই রুগ্ন নিম্ন মানের গরু নিতে রাজি না হলে উপজেলা প্রাডু সম্পদ কর্মকর্তা আমাদের ভয় দেখিয়ে বলেন এই গরুই নিতে হবে না নিলে অন্যদের দিয়ে দিবো। উপকারভোগীরা অভিযোগ করে আরও বলেন, সরকারি টেন্ডার অনুযায়ী প্রতিটি গরুর বয়স হওয়া উচিত ছিল কমপক্ষে দেড় বছর এবং ওজন ৮০ কেজি। কিন্তু বাস্তবে বিতরণ করা ও বিতরণের জন্য আনা অধিকাংশ গরুর বয়স কম, ওজন ৫০-৬০ কেজির মধ্যে এবং অনেক গরু বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত। তারা আরও জানান, গরুর ওজন ও স্বাস্থ্য এতটাই খারাপ যে আমরা এগুলো পালন করে লাভের পরিবর্তে আরও ক্ষতির মুখে পড়বো বলে আশঙ্কা করছি। উপজেলা প্রাডুসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আবু হায়দার বলেন, গরুর ওজন ৮০ কেজি থেকে ২/১ কেজি কম হতে পারে। আর গরুগুলো সঠিক মানেরই রয়েছে। তবে কিছু সুবিধাভোগীরা অহংকার করে সেই গরু গ্রহণ করছেননা। বরং আমাকে হুমকি ধামকি প্রদান করছেন। গরু সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান তুষার এন্টার প্রাইজের স্বাত্তাধিকারী রাসেল আহম্মেদ বলেন, গরুর মান ঠিক রয়েছে এবং গরুগুলো উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা বুঝে নিয়েছেন। তিনি আরও বলেন সব গরু ইতোমধ্যে বিতরণও করা হয়েছে।
বাগাতিপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হা-মীম তাবাসসুম প্রভা বলেন, উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা এই বিষয়ে দক্ষ। তিনি বলেছেন গরুর মান ঠিক রয়েছে তাই আমি বিতরণ করতে বলেছি। আর যেসব উপকার ভোগী গরু নেয়নি তারা যদি না নেয় তাহলে পরে যাদের সিরিয়াল রয়েছে তাদের মাঝে বিতরণের জন্য বলেছি।