ট্রাফিকপুলিশের আইন অমান্য, অদক্ষ চালক, অসতর্কতা, বেপরোয়া গাড়ি চালানো, অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাইসহ নানা কারণে আশঙ্কাজনক হারে ডুমুরিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনা বাড়ছে। গত ৪ সপ্তাহে মর্মান্তিক ৩টি সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছে ৬ জন।
জানা যায়, গত সোমবার সকাল সাড়ে ১০ টায় ডুমুরিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় আজহারুল মোল্যা (১৮) নামে এক ট্রাকচালক নিহত হন। খুলনা- সাতক্ষীরা মহাসড়কের ডুমুরিয়ার জিলেরডাঙ্গায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। গাড়ির চালক আজহারুল ইসলাম এদিন সকালে ডুমুরিয়া থেকে ট্রাকে ইট বোঝাই করে খুলনার উদ্যেশ্যে যাচ্ছিলেন।
গত ১৭ মে খুলনার ডুমুরিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের দুই শিক্ষকসহ ৩ জন নিহত হন। ঐ দিন সকালে তারা খুলনার কয়রা থেকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে বকেয়া বেতনের দাবিতে স্মারকলিপি দিতে যাচ্ছিলেন। দুর্ঘটনাটি ঘটে ডুমুরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে। এঘটনায় নিহত হন কয়রা সদরের মসজিদ ই আবু বকর(রাঃ) এর ইমাম হাফেজ মঈনুল ইসলাম, আঃ.রশিদ ও অজ্ঞাত পরিচয় মাহিন্দ্রা ড্রাইভার। ওই ঘটনায় এ ছাড়া আরও ৪ জন আহত হন। অপরদিকে খুলনার ডুমুরিয়ায় তেলবাহী ট্যাংকলরীর চাপায় পিষ্ট হয়ে ২ নারী নিহত হয়েছে। গত ৩০ এপ্রিল বুধবার বিকেলে চুকনগর- যশোর সড়কের নরনীয়া মাদ্রাসার সন্নিকটে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় ডুমুরিয়া উপজেলার নরনীয়া গ্রামের আব্দুর রশিদের স্ত্রী মাজিদা বেগম (৪৫) ও একই গ্রামের ফজল আলী সরদারের স্ত্রী রোকেয়া বেগম(৬০)মারা যায়। তারা ওই সময় সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে গল্প করছিল। এমন সময় খুলনা থেকে ছেড়ে আসা যশোরগামী তেলবাহী ট্যাংকলরী (নওগাঁ-ট-০৮০০০২)নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙ্গে তাদের দুজনকে চাপা দিলে তারা পিষ্ট হয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলে তাদের দুজনের মৃত্যু হয়।
নিরাপদ সড়ক চাই সংগঠনের ডুমুরিয়া উপজেলা শাখার সভাপতি সাংবাদিক খান মহিদুল ইসলাম বলেন, বর্তমান সময়ে ডুমুরিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনা মহামারি আকার ধারণ করেছে। আইনের তোয়াক্কা না করা, অসচেতনতা, অদক্ষ চালক, সড়কের পাশে ফুটপাত এবং অবৈধ দখল, মহা সড়কে থ্রি হুইলার গাড়ি চলা সড়ক দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ। সড়ক দুর্ঘটনারোধে রাষ্ট্র ও রাজনৈতিক নেতাদের সদিচ্ছা এবং সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা দরকার। খর্ডুয়া হাইওয়ে থানা পুলিশের ওসি ফজলুল করিম বলেন, অদক্ষ চালক, নেশাদ্রব্য সেবন এবং ট্রাফিক আইন মেনে না চলার কারণে আশঙ্কাজনক হারে সড়ক দুর্ঘটনা বাড়ছে।
দুর্ঘটনারোধে আমরা চালকদের নিয়ে সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করি। কিন্তু কেউ কেউ আইনের তোয়াক্কা না করে ইচ্ছা এত গাড়ি চালান। এতে দুর্ঘটনা বেড়েই চলেছে। প্রতিমাসে তিন থেকে চার বা তারও অধিক দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটে ডুমুরিয়াতে। খুলনা -ডুমুরিয়া মহাসড়কটি চলে গেছে সাতক্ষীরায়। এসড়কে গাড়ির চাপ অজগ্র। তারমধ্যে নানান রকম ইঞ্জিনচালিত গাড়িও চলে এই রাস্তায়। আইনের কঠোরতা দেখাতে গেলে অবরোধ, আন্দোলন শুরু হয়ে যায়। জন মানুষের কথা চিন্তা করে তখন তাদের দাবির কিছু অংশ মেনে নেয়া ছাড়া উপায় থাকে না। কিছু দিন যেতে না যেতেই আবার সবাই বেপরোয়া হয়ে উঠে। বিশেষ করে ধানের বিচেলী(খড়কুটো) নিয়ে মহাসড়কে ইঞ্জিনচালিত গাড়িগুলো বেশি বিপাকে ফেলে।
বুধবার, ২৮ মে ২০২৫
ট্রাফিকপুলিশের আইন অমান্য, অদক্ষ চালক, অসতর্কতা, বেপরোয়া গাড়ি চালানো, অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাইসহ নানা কারণে আশঙ্কাজনক হারে ডুমুরিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনা বাড়ছে। গত ৪ সপ্তাহে মর্মান্তিক ৩টি সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছে ৬ জন।
জানা যায়, গত সোমবার সকাল সাড়ে ১০ টায় ডুমুরিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় আজহারুল মোল্যা (১৮) নামে এক ট্রাকচালক নিহত হন। খুলনা- সাতক্ষীরা মহাসড়কের ডুমুরিয়ার জিলেরডাঙ্গায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। গাড়ির চালক আজহারুল ইসলাম এদিন সকালে ডুমুরিয়া থেকে ট্রাকে ইট বোঝাই করে খুলনার উদ্যেশ্যে যাচ্ছিলেন।
গত ১৭ মে খুলনার ডুমুরিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের দুই শিক্ষকসহ ৩ জন নিহত হন। ঐ দিন সকালে তারা খুলনার কয়রা থেকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে বকেয়া বেতনের দাবিতে স্মারকলিপি দিতে যাচ্ছিলেন। দুর্ঘটনাটি ঘটে ডুমুরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে। এঘটনায় নিহত হন কয়রা সদরের মসজিদ ই আবু বকর(রাঃ) এর ইমাম হাফেজ মঈনুল ইসলাম, আঃ.রশিদ ও অজ্ঞাত পরিচয় মাহিন্দ্রা ড্রাইভার। ওই ঘটনায় এ ছাড়া আরও ৪ জন আহত হন। অপরদিকে খুলনার ডুমুরিয়ায় তেলবাহী ট্যাংকলরীর চাপায় পিষ্ট হয়ে ২ নারী নিহত হয়েছে। গত ৩০ এপ্রিল বুধবার বিকেলে চুকনগর- যশোর সড়কের নরনীয়া মাদ্রাসার সন্নিকটে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় ডুমুরিয়া উপজেলার নরনীয়া গ্রামের আব্দুর রশিদের স্ত্রী মাজিদা বেগম (৪৫) ও একই গ্রামের ফজল আলী সরদারের স্ত্রী রোকেয়া বেগম(৬০)মারা যায়। তারা ওই সময় সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে গল্প করছিল। এমন সময় খুলনা থেকে ছেড়ে আসা যশোরগামী তেলবাহী ট্যাংকলরী (নওগাঁ-ট-০৮০০০২)নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙ্গে তাদের দুজনকে চাপা দিলে তারা পিষ্ট হয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলে তাদের দুজনের মৃত্যু হয়।
নিরাপদ সড়ক চাই সংগঠনের ডুমুরিয়া উপজেলা শাখার সভাপতি সাংবাদিক খান মহিদুল ইসলাম বলেন, বর্তমান সময়ে ডুমুরিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনা মহামারি আকার ধারণ করেছে। আইনের তোয়াক্কা না করা, অসচেতনতা, অদক্ষ চালক, সড়কের পাশে ফুটপাত এবং অবৈধ দখল, মহা সড়কে থ্রি হুইলার গাড়ি চলা সড়ক দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ। সড়ক দুর্ঘটনারোধে রাষ্ট্র ও রাজনৈতিক নেতাদের সদিচ্ছা এবং সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা দরকার। খর্ডুয়া হাইওয়ে থানা পুলিশের ওসি ফজলুল করিম বলেন, অদক্ষ চালক, নেশাদ্রব্য সেবন এবং ট্রাফিক আইন মেনে না চলার কারণে আশঙ্কাজনক হারে সড়ক দুর্ঘটনা বাড়ছে।
দুর্ঘটনারোধে আমরা চালকদের নিয়ে সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করি। কিন্তু কেউ কেউ আইনের তোয়াক্কা না করে ইচ্ছা এত গাড়ি চালান। এতে দুর্ঘটনা বেড়েই চলেছে। প্রতিমাসে তিন থেকে চার বা তারও অধিক দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটে ডুমুরিয়াতে। খুলনা -ডুমুরিয়া মহাসড়কটি চলে গেছে সাতক্ষীরায়। এসড়কে গাড়ির চাপ অজগ্র। তারমধ্যে নানান রকম ইঞ্জিনচালিত গাড়িও চলে এই রাস্তায়। আইনের কঠোরতা দেখাতে গেলে অবরোধ, আন্দোলন শুরু হয়ে যায়। জন মানুষের কথা চিন্তা করে তখন তাদের দাবির কিছু অংশ মেনে নেয়া ছাড়া উপায় থাকে না। কিছু দিন যেতে না যেতেই আবার সবাই বেপরোয়া হয়ে উঠে। বিশেষ করে ধানের বিচেলী(খড়কুটো) নিয়ে মহাসড়কে ইঞ্জিনচালিত গাড়িগুলো বেশি বিপাকে ফেলে।