সিরাজগঞ্জ : রায়গঞ্জ উপজেলার চান্দাইকোনা পাবনা বাজারে প্রবেশের প্রধান রাস্তাটি বেহাল -সংবাদ
সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার চান্দাইকোনা পাবনা বাজারে প্রবেশের প্রধান রাস্তাটি বেহাল দশা পথচারীদের চরম দুর্ভোগে পরিণত হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না হওয়ায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে স্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রীসহ এলাকাবাসীদের। সড়কটি যেন এখন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে।
সড়ক নির্মাণ কাজে নিম্নমানের মালামাল ব্যবহার করায় সড়কের অনেকস্থানে বড়বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে যানচলাচলের অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে। এতে প্রায়ই সড়কে যানবাহন ও পথচারীরা দুর্ঘটনার শিকার হতে হচ্ছে। সড়কের দূরাবস্থা দেখার যেন কেউ নেই। বৃষ্টি হলে পানি জমে গর্তগুলো কাদা পানিতে একাকার হয়ে মানুষের দুর্ভোগ বাড়ছে।
উপজেলার শ্রেষ্ঠ হাট হিসেবে পরিচিত চান্দাইকোনা পাবনা বাজার হাট। যে হাটে প্রতিবছর রাজস্ব আসে তিন কোটি টাকার ওপরে। এই হাটের সড়কপথে দুটি প্রবেশপথ রয়েছে। একটি হলো সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক অপরটি চান্দাইকোনা মহাসড়ক থেকে নেমে হাইস্কুল রোড। চান্দাইকোনা মহাসড়ক থেকে নেমে হাইস্কুল রোড হয়ে বাজারের প্রবেশের রাস্তাটি কিছুদিন আগে করা হয়েছে। এই রাস্তা দিয়ে চলে যানবাহন, ভ্যান সাইকেল, চান্দাইকোনা উচ্চ বিদ্যালয়, চান্দাইকোনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং চান্দাইকোনা দাখিল মাদ্রাসার শত শত শিক্ষার্থী। শুধু তাই নয় হাজার হাজার মানুষের চলাচলের জন্য একমাত্র ভরসা এই সড়কটি।
গর্তগুলোতে বৃষ্টির পানি জমে যেন পুকুরে পরিনত হয়ে যায়। সড়কটি খানা খন্দকের কারনে সড়কে দুর্ঘটনা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। স্কুল শিক্ষার্থী সিহাবুল আলম সায়েম জানান, রাস্তা দিয়ে স্কুলে আসা যাওয়া করা যায়না। অনেক সময় পড়ে গিয়ে পড়নের ড্রেস এবং বই ভিজে নষ্ট হয়ে যায়।
শিক্ষার্থী আহসান হাবীব, তাসলিমা খাতুন জানায়, সামান্য বৃষ্টি হলেই এই রাস্তায় রিক্সা চলাচল তো দূরের কথা পায়ে হেটেও আমরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেতে পারি না। তাই পড়াশোনার দুর্ভোগ দিন দিন আমাদের বেড়েই চলেছে।
চান্দাইকোনা দাখিল মাদ্রাসার সুপার মো. শাহীনুল ইসলাম জানান, রাস্তার বেহাল দশার কারনে শিক্ষার্থী উপস্থিতি কমে গেছে। স্কুলে যাতায়াতের প্রধান সমস্যা কি এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চান্দাইকোনা উচ্চ বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক জানান, স্কুলে যাওয়ার মূল সমস্যা এই সড়কটি। এর মধ্যে এখন প্রতিদিনই বৃষ্টি হয়, সামান্য বৃষ্টি হলেই আমাদের সমস্যায় পড়তে হয়।
বাজারের বীজ ব্যবসায়ী সুজন কুমার দাস জানান, গ্রাম থেকে কৃষক হাটের দিন কৃষি পণ্য নিয়ে আসেন ভ্যান যোগে। হাটের ভেতরের রাস্তায় এসে কৃষি পণ্য নিয়ে ভ্যান উল্টে যায়। এতে করে কৃষকের অনেক ক্ষতি হচ্ছে।
বীজ ব্যবসায়ী ইমন শেখ জানান, রাস্তা খারাপের কারনে কৃষক আর বাজারে আসছে না। এ কারণে তাদের বেচাকেনা কমে গেছে। একই কথা জানান বীজ ব্যবসায়ী পলাশ কুমার দত্ত। তিনি জানান, রাস্তার সম্যসার কারণে ভারি যানবাহন আসছে না। অন্যত্র মালামাল আনলোড করে দোকানে আনা দ্বিগুণ খরচ হচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চান্দাইকোনা বাজার কমিটির এক সদস্য জানান, আমরা কোটি কোটি টাকা রাজস্ব দিয়ে হাট ডেকে নেই। সেই টাকা কোথা যায় কেউ বলতে পারে না। প্রতিবছর যে টাকা সরকার রাজস্ব পাচ্ছে। বৃষ্টি হলেই বাজারের মধ্যে হাটু পানি জমে যায়।
রায়গঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. হুমায়ুন কবির বলেন, উল্লেখিত রাস্তার দুর্ভোগের কথা আমি শুনেছি। সরেজমিন পরিদর্শন করে দ্রুত এলাকাবাসীর কষ্ট লাঘবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সিরাজগঞ্জ : রায়গঞ্জ উপজেলার চান্দাইকোনা পাবনা বাজারে প্রবেশের প্রধান রাস্তাটি বেহাল -সংবাদ
বৃহস্পতিবার, ২৯ মে ২০২৫
সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার চান্দাইকোনা পাবনা বাজারে প্রবেশের প্রধান রাস্তাটি বেহাল দশা পথচারীদের চরম দুর্ভোগে পরিণত হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না হওয়ায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে স্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রীসহ এলাকাবাসীদের। সড়কটি যেন এখন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে।
সড়ক নির্মাণ কাজে নিম্নমানের মালামাল ব্যবহার করায় সড়কের অনেকস্থানে বড়বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে যানচলাচলের অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে। এতে প্রায়ই সড়কে যানবাহন ও পথচারীরা দুর্ঘটনার শিকার হতে হচ্ছে। সড়কের দূরাবস্থা দেখার যেন কেউ নেই। বৃষ্টি হলে পানি জমে গর্তগুলো কাদা পানিতে একাকার হয়ে মানুষের দুর্ভোগ বাড়ছে।
উপজেলার শ্রেষ্ঠ হাট হিসেবে পরিচিত চান্দাইকোনা পাবনা বাজার হাট। যে হাটে প্রতিবছর রাজস্ব আসে তিন কোটি টাকার ওপরে। এই হাটের সড়কপথে দুটি প্রবেশপথ রয়েছে। একটি হলো সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক অপরটি চান্দাইকোনা মহাসড়ক থেকে নেমে হাইস্কুল রোড। চান্দাইকোনা মহাসড়ক থেকে নেমে হাইস্কুল রোড হয়ে বাজারের প্রবেশের রাস্তাটি কিছুদিন আগে করা হয়েছে। এই রাস্তা দিয়ে চলে যানবাহন, ভ্যান সাইকেল, চান্দাইকোনা উচ্চ বিদ্যালয়, চান্দাইকোনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং চান্দাইকোনা দাখিল মাদ্রাসার শত শত শিক্ষার্থী। শুধু তাই নয় হাজার হাজার মানুষের চলাচলের জন্য একমাত্র ভরসা এই সড়কটি।
গর্তগুলোতে বৃষ্টির পানি জমে যেন পুকুরে পরিনত হয়ে যায়। সড়কটি খানা খন্দকের কারনে সড়কে দুর্ঘটনা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। স্কুল শিক্ষার্থী সিহাবুল আলম সায়েম জানান, রাস্তা দিয়ে স্কুলে আসা যাওয়া করা যায়না। অনেক সময় পড়ে গিয়ে পড়নের ড্রেস এবং বই ভিজে নষ্ট হয়ে যায়।
শিক্ষার্থী আহসান হাবীব, তাসলিমা খাতুন জানায়, সামান্য বৃষ্টি হলেই এই রাস্তায় রিক্সা চলাচল তো দূরের কথা পায়ে হেটেও আমরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেতে পারি না। তাই পড়াশোনার দুর্ভোগ দিন দিন আমাদের বেড়েই চলেছে।
চান্দাইকোনা দাখিল মাদ্রাসার সুপার মো. শাহীনুল ইসলাম জানান, রাস্তার বেহাল দশার কারনে শিক্ষার্থী উপস্থিতি কমে গেছে। স্কুলে যাতায়াতের প্রধান সমস্যা কি এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চান্দাইকোনা উচ্চ বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক জানান, স্কুলে যাওয়ার মূল সমস্যা এই সড়কটি। এর মধ্যে এখন প্রতিদিনই বৃষ্টি হয়, সামান্য বৃষ্টি হলেই আমাদের সমস্যায় পড়তে হয়।
বাজারের বীজ ব্যবসায়ী সুজন কুমার দাস জানান, গ্রাম থেকে কৃষক হাটের দিন কৃষি পণ্য নিয়ে আসেন ভ্যান যোগে। হাটের ভেতরের রাস্তায় এসে কৃষি পণ্য নিয়ে ভ্যান উল্টে যায়। এতে করে কৃষকের অনেক ক্ষতি হচ্ছে।
বীজ ব্যবসায়ী ইমন শেখ জানান, রাস্তা খারাপের কারনে কৃষক আর বাজারে আসছে না। এ কারণে তাদের বেচাকেনা কমে গেছে। একই কথা জানান বীজ ব্যবসায়ী পলাশ কুমার দত্ত। তিনি জানান, রাস্তার সম্যসার কারণে ভারি যানবাহন আসছে না। অন্যত্র মালামাল আনলোড করে দোকানে আনা দ্বিগুণ খরচ হচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চান্দাইকোনা বাজার কমিটির এক সদস্য জানান, আমরা কোটি কোটি টাকা রাজস্ব দিয়ে হাট ডেকে নেই। সেই টাকা কোথা যায় কেউ বলতে পারে না। প্রতিবছর যে টাকা সরকার রাজস্ব পাচ্ছে। বৃষ্টি হলেই বাজারের মধ্যে হাটু পানি জমে যায়।
রায়গঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. হুমায়ুন কবির বলেন, উল্লেখিত রাস্তার দুর্ভোগের কথা আমি শুনেছি। সরেজমিন পরিদর্শন করে দ্রুত এলাকাবাসীর কষ্ট লাঘবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।