ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে ফতেহপুর গ্রামে প্রায় শত মিটার দীর্ঘ একটি বাঁশের সাঁকো ভেঙে পড়েছে। এতে করে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন ফতেহপুরসহ আশপাশের অন্তত সাতটিগ্রামের বাসিন্দারা, যাদের প্রতিদিনের চলাচলের একমাত্র ভরসা ছিল এই সাঁকো।
স্থানীয়রা জানান, সাঁকোটি হঠাৎ ভেঙে পড়ায় সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীরা, বয়স্ক ব্যক্তি, রোগী এবং গর্ভবতী নারীরা। পথটি ব্যবহার করে নিয়মিত মালামাল পরিবহন করা হত, যা এখন বন্ধ হয়ে গেছে। জরুরি চিকিৎসার প্রয়েজনে অ্যাম্বুলেন্স দ্রুত পৌঁছাতে না পারায় ঝুঁকিতে রয়েছেন অনেক রোগীও। বছরের পর বছর এলাকাবাসী নিজেরাই চাঁদা তুলে বাঁশ দিয়ে সাঁকোটি তৈরি ও মেরামত করে আসছেন। কিন্তু এটি দীর্ঘ মেয়াদি কোনো সমাধান নয় বলে স্থানীয়দের অভিমত।
তারা জানান, বহুবার পাকা সেতুর দাবিতে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আবেদন জানানো হয়েছে, কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনো কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। এ অবস্থায় এলাকাবাসী দ্রুত একটি স্থায়ী ও নিরাপদ সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন, যেন তারা নির্বিঘ্নে ও নিরাপদে চলাচল করতে পারেন।
নবীনগর পশ্চিম ইউনিয়নের ফতেহপুর তিতাস ও মেঘনার মোহনায় একটি বাঁশের সাঁকোই ১৫ হাজার মানুষের একমাত্র ভরসা। প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী ও এলাকার লোকজনকে এ সাঁকো দিয়েই পারাপার হতে হয়। কিন্তু স্বাধীনতার ৫৫ বছর পরও নির্মাণ হয়নি নবীনগরের-ফতেহপুর ব্রিজটি।
৫৫ বছর ধরে জীবিকার তাগিদে নিজস্ব অর্থায়নে প্রায় দুই লাখ টাকা ব্যায়ে এই সাঁকোটি তৈরি করে চলাচল করে আসছে গ্রামবাসী। বর্ষাকালে বৃষ্টির মৌসুমে এ সাঁকো দিয়ে চলাচলে মানুষের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। বিশেষ করে নিম্ন শ্রেণির মানুষের দুর্ভোগের শেষ নেই। একাধিকবার জনপ্রতিনিধিরা আশার বাণী দিলেও আজও তা বাস্তবায়ন হয়নি।
ব্রিজটি নির্মাণে কয়েকবার সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়েছে বলে এ প্রতিনিধিকে জানান স্থানীয় নবনির্বচিত ইউপি চেয়ারম্যান নূরুল আজ্জম বলেন। যেসব খালের ওপর বাঁশের সাঁকো রয়েছে সেগুলোর তালিকা তৈরি করে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে বলে জানান। এদিকে এলাকাবাসীর প্রাণের দাবি অবিলম্বে এই ব্রিজটি নির্মাণ করে এ অঞ্চলের ছাত্র-ছাত্রী ও লোকজনের চলাচলের কষ্ট লাঘব হবে।
বৃহস্পতিবার, ২৯ মে ২০২৫
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে ফতেহপুর গ্রামে প্রায় শত মিটার দীর্ঘ একটি বাঁশের সাঁকো ভেঙে পড়েছে। এতে করে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন ফতেহপুরসহ আশপাশের অন্তত সাতটিগ্রামের বাসিন্দারা, যাদের প্রতিদিনের চলাচলের একমাত্র ভরসা ছিল এই সাঁকো।
স্থানীয়রা জানান, সাঁকোটি হঠাৎ ভেঙে পড়ায় সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীরা, বয়স্ক ব্যক্তি, রোগী এবং গর্ভবতী নারীরা। পথটি ব্যবহার করে নিয়মিত মালামাল পরিবহন করা হত, যা এখন বন্ধ হয়ে গেছে। জরুরি চিকিৎসার প্রয়েজনে অ্যাম্বুলেন্স দ্রুত পৌঁছাতে না পারায় ঝুঁকিতে রয়েছেন অনেক রোগীও। বছরের পর বছর এলাকাবাসী নিজেরাই চাঁদা তুলে বাঁশ দিয়ে সাঁকোটি তৈরি ও মেরামত করে আসছেন। কিন্তু এটি দীর্ঘ মেয়াদি কোনো সমাধান নয় বলে স্থানীয়দের অভিমত।
তারা জানান, বহুবার পাকা সেতুর দাবিতে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আবেদন জানানো হয়েছে, কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনো কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। এ অবস্থায় এলাকাবাসী দ্রুত একটি স্থায়ী ও নিরাপদ সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন, যেন তারা নির্বিঘ্নে ও নিরাপদে চলাচল করতে পারেন।
নবীনগর পশ্চিম ইউনিয়নের ফতেহপুর তিতাস ও মেঘনার মোহনায় একটি বাঁশের সাঁকোই ১৫ হাজার মানুষের একমাত্র ভরসা। প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী ও এলাকার লোকজনকে এ সাঁকো দিয়েই পারাপার হতে হয়। কিন্তু স্বাধীনতার ৫৫ বছর পরও নির্মাণ হয়নি নবীনগরের-ফতেহপুর ব্রিজটি।
৫৫ বছর ধরে জীবিকার তাগিদে নিজস্ব অর্থায়নে প্রায় দুই লাখ টাকা ব্যায়ে এই সাঁকোটি তৈরি করে চলাচল করে আসছে গ্রামবাসী। বর্ষাকালে বৃষ্টির মৌসুমে এ সাঁকো দিয়ে চলাচলে মানুষের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। বিশেষ করে নিম্ন শ্রেণির মানুষের দুর্ভোগের শেষ নেই। একাধিকবার জনপ্রতিনিধিরা আশার বাণী দিলেও আজও তা বাস্তবায়ন হয়নি।
ব্রিজটি নির্মাণে কয়েকবার সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়েছে বলে এ প্রতিনিধিকে জানান স্থানীয় নবনির্বচিত ইউপি চেয়ারম্যান নূরুল আজ্জম বলেন। যেসব খালের ওপর বাঁশের সাঁকো রয়েছে সেগুলোর তালিকা তৈরি করে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে বলে জানান। এদিকে এলাকাবাসীর প্রাণের দাবি অবিলম্বে এই ব্রিজটি নির্মাণ করে এ অঞ্চলের ছাত্র-ছাত্রী ও লোকজনের চলাচলের কষ্ট লাঘব হবে।