কিশোরগঞ্জের নিকলীতে মৎস্যজীবী মতিউর রহমানকে সাজানো রাজনৈতিক মামলা দিয়ে জলমহাল লুটের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক বিএনপির নেতার বিরুদ্ধে। শুধু মতিউর রহমান নয়, স্থানীয় বিএনপির কর্মীদেরকে একই মামলার আসামী করে হয়রানি করা হচ্ছে বলে ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। তবে নিকলী থানার ওসি কাজী আরিফ উদ্দিন জানান, বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে ।
সরেজমিনে এলাকা ঘুরে স্থানীয় লোকজন, ভুক্তভোগী ও পুলিশের সাথে কথা বলে জানা গেছে, হাওর উপজেলা নিকলীর দামপাড়া ইউনিয়নের চাকিডুয়ার বিলটি বিগত সরকারের আমলে ছয় বছরের জন্য ইজারা দেওয়া হয় নোয়াগাঁও চাকিডুয়ার মৎস্যজীবী সমবায় সমিতিকে। চার বছর শেষ হয়েছে ইজারার মেয়াদ। এরইমধ্যে গত বছরের আগস্টে পতন হয় আওয়ামী লীগ সরকারের। এরপরই প্রভাবশালী মহলের দৃষ্টি পড়ে বিলটির ওপর। বিলটি দখলে নিতে মরিয়া হয়ে উঠে তারা। প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় একটি রাজনৈতিক মামলায় জড়িয়ে দেওয়া হয় মৎস্যজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমানসহ সমবায় সমিতির বেশ কয়েকজনকে। কয়েকজনকে গ্রেপ্তারও করে পুলিশ। একপর্যায়ে আসামির তালিকা থেকে নাম বাদ দেওয়ার কথা বলে মতিউর রহমানকে ডেকে নেওয়া হয় ঢাকায়। সেখানে দামপাড়া বিএনপির সহসভাপতি জাকির হোসেনও তার লোকজন জোরপূর্বক স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নিয়ে বিলটি নিয়ে যায় বলে অভিযোগ মতিউরের।
এদিকে মামলার আসমি হিসেবে কেউ যখন কারাগারে এবং অন্যরা পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন, তখনই সুযোগ বুঝে চক্রটি হামলা চালায় বিলে। দুই দফা হামলা চালিয়ে বিলের লাখ লাখ টাকার মাছ লুট করে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ উঠেছে।
বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মীমাংসা না হওয়ায় শেষ পর্যন্ত আদালতে মামলা হয়। মামলায় আসামি করা হয়েছে নিকলী উপজেলার দামপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি জাকির হোসেনসহ ২৮ জনকে। জাকিরের সহযোগিতায় মাছ লুটের ঘটনা ঘটে বলে মামলায় অভিযোগ করেন বাদী মতিউর রহমান।
এদিকে জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে সাজানো মামলা দিয়ে সাধারণ মানুষকে হয়রানি করার এলাকায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় বিএনপির কর্মী নুরুল আমীন জানান, জাকিরের ঘনিষ্ট লোক কাঞ্চনের দায়ের করা সাজানো বিস্ফোরক মামলায় তিনি এক মাস হাজতে ছিলেন। জামিন পেতে অন্তত দেড় লাখ টাকা খরচ হয়েছে। তিনি আরো জানান, এ ঘটনার প্রতিবাদ করায় জাকিরের লোকজন তার শ্বাশুড়ি বেগমকে ছুরিকাঘাতে আহত করে। তিনি এখন আতঙ্কে রয়েছেন বলে জানান। বিএনপির আকে কর্মি ইসলাম উদ্দিন জানান, জাকির ও তার বাহিনী এলাকায় সাধারণ মানুষকে মামলা দিয়ে হয়রানি ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। এতে বিএনপির ক্ষতি হচ্ছে বলে তিনি জানান।
তবে সকল অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিএনপি নেতা জাকির হোসেন। তিনি দাবি করেন, মতিউর রহমান স্বেচ্ছায় টাকার বিনিময়ে বিলটি একটি পক্ষকে দিয়েছেন বলে তিনি জানান।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী আরিফ উদ্দিন জানান, বিষয়টি তদন্ত করে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।
বৃহস্পতিবার, ২৯ মে ২০২৫
কিশোরগঞ্জের নিকলীতে মৎস্যজীবী মতিউর রহমানকে সাজানো রাজনৈতিক মামলা দিয়ে জলমহাল লুটের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক বিএনপির নেতার বিরুদ্ধে। শুধু মতিউর রহমান নয়, স্থানীয় বিএনপির কর্মীদেরকে একই মামলার আসামী করে হয়রানি করা হচ্ছে বলে ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। তবে নিকলী থানার ওসি কাজী আরিফ উদ্দিন জানান, বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে ।
সরেজমিনে এলাকা ঘুরে স্থানীয় লোকজন, ভুক্তভোগী ও পুলিশের সাথে কথা বলে জানা গেছে, হাওর উপজেলা নিকলীর দামপাড়া ইউনিয়নের চাকিডুয়ার বিলটি বিগত সরকারের আমলে ছয় বছরের জন্য ইজারা দেওয়া হয় নোয়াগাঁও চাকিডুয়ার মৎস্যজীবী সমবায় সমিতিকে। চার বছর শেষ হয়েছে ইজারার মেয়াদ। এরইমধ্যে গত বছরের আগস্টে পতন হয় আওয়ামী লীগ সরকারের। এরপরই প্রভাবশালী মহলের দৃষ্টি পড়ে বিলটির ওপর। বিলটি দখলে নিতে মরিয়া হয়ে উঠে তারা। প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় একটি রাজনৈতিক মামলায় জড়িয়ে দেওয়া হয় মৎস্যজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমানসহ সমবায় সমিতির বেশ কয়েকজনকে। কয়েকজনকে গ্রেপ্তারও করে পুলিশ। একপর্যায়ে আসামির তালিকা থেকে নাম বাদ দেওয়ার কথা বলে মতিউর রহমানকে ডেকে নেওয়া হয় ঢাকায়। সেখানে দামপাড়া বিএনপির সহসভাপতি জাকির হোসেনও তার লোকজন জোরপূর্বক স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নিয়ে বিলটি নিয়ে যায় বলে অভিযোগ মতিউরের।
এদিকে মামলার আসমি হিসেবে কেউ যখন কারাগারে এবং অন্যরা পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন, তখনই সুযোগ বুঝে চক্রটি হামলা চালায় বিলে। দুই দফা হামলা চালিয়ে বিলের লাখ লাখ টাকার মাছ লুট করে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ উঠেছে।
বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মীমাংসা না হওয়ায় শেষ পর্যন্ত আদালতে মামলা হয়। মামলায় আসামি করা হয়েছে নিকলী উপজেলার দামপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি জাকির হোসেনসহ ২৮ জনকে। জাকিরের সহযোগিতায় মাছ লুটের ঘটনা ঘটে বলে মামলায় অভিযোগ করেন বাদী মতিউর রহমান।
এদিকে জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে সাজানো মামলা দিয়ে সাধারণ মানুষকে হয়রানি করার এলাকায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় বিএনপির কর্মী নুরুল আমীন জানান, জাকিরের ঘনিষ্ট লোক কাঞ্চনের দায়ের করা সাজানো বিস্ফোরক মামলায় তিনি এক মাস হাজতে ছিলেন। জামিন পেতে অন্তত দেড় লাখ টাকা খরচ হয়েছে। তিনি আরো জানান, এ ঘটনার প্রতিবাদ করায় জাকিরের লোকজন তার শ্বাশুড়ি বেগমকে ছুরিকাঘাতে আহত করে। তিনি এখন আতঙ্কে রয়েছেন বলে জানান। বিএনপির আকে কর্মি ইসলাম উদ্দিন জানান, জাকির ও তার বাহিনী এলাকায় সাধারণ মানুষকে মামলা দিয়ে হয়রানি ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। এতে বিএনপির ক্ষতি হচ্ছে বলে তিনি জানান।
তবে সকল অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিএনপি নেতা জাকির হোসেন। তিনি দাবি করেন, মতিউর রহমান স্বেচ্ছায় টাকার বিনিময়ে বিলটি একটি পক্ষকে দিয়েছেন বলে তিনি জানান।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী আরিফ উদ্দিন জানান, বিষয়টি তদন্ত করে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।