ধান সংরক্ষণের বড় পাত্র বাঁশের তৈরি গোলা। এটি কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীরের বিভিন্ন স্থানে ডুলি বা ডোল কিংবা মাচা নামে পরিচিত। বাঁশ দিয়ে এ গোলা তৈরি করা হয়। গ্রামের গৃহস্থ কৃষক পরিবার গোলায় ধান সংরক্ষণ করেন। সারাবছর ধান সংরক্ষণ করতে গোলা খুবই উপযোগী। কিন্তু দিন দিন ধান সংরক্ষণের এ ডুলির ব্যবহার কমে যাচ্ছে।
ধানের মৌসুমে ধান কেটে শুকিয়ে ওই ডুলিতে গোলাজাত করা হয়। প্রয়োজনের সময় ওই ডুলি থেকে ধান বের করে পুনরায় রোদে শুকিয়ে ভাঙানো হয়। তবে বিক্রি করার জন্য নতুন করে আবার ধান শুকানোর প্রয়োজন পড়ে না । এক সময় ডুলি ভর্তি ধান না থাকলে গ্রামের গৃহস্থ পরিবার সেই বাড়িতে ছেলে-মেয়েদের বিয়ে পর্যন্ত দিতে আগ্রহী হতেন না । এই কথা এখনো গ্রামাঞ্চলের মানুষের মুখে মুখে। আগে সমাজ ব্যবস্থা এখনকার মতো এত উন্নত ছিল না। তখন চোর-ডাকাতের ভয়ে গোলার ধানের ভেতর স্বর্ণ ও টাকাও লুকিয়ে রাখা হতো। ধান রাখার এ পাত্রকে গোলা বা ডোল বা ডুলি আখ্যায়িত করার কারণও রয়েছে। গোলা অপেক্ষাকৃত মজবুত। দীর্ঘদিন ব্যবহার করা যায়। বাঁশের তৈরি গোলার ব্যবহার দিন দিন কমে যাচ্ছে। কারণ বাঁশ ক্রমেই হারিয়ে যাচ্ছে। উৎপাদন কমে যাওয়ায় এবং বাঁশের মূল্য বৃদ্ধির কারণে গোলা তৈরিতেও খরচ বেড়ে গেছে। বর্তমানে বাঁশের তৈরি ডুলির স্থান দখল করে নিয়েছে স্থায়ী পাকা অথবা টিনের গোলা।
বৃহস্পতিবার, ২৯ মে ২০২৫
ধান সংরক্ষণের বড় পাত্র বাঁশের তৈরি গোলা। এটি কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীরের বিভিন্ন স্থানে ডুলি বা ডোল কিংবা মাচা নামে পরিচিত। বাঁশ দিয়ে এ গোলা তৈরি করা হয়। গ্রামের গৃহস্থ কৃষক পরিবার গোলায় ধান সংরক্ষণ করেন। সারাবছর ধান সংরক্ষণ করতে গোলা খুবই উপযোগী। কিন্তু দিন দিন ধান সংরক্ষণের এ ডুলির ব্যবহার কমে যাচ্ছে।
ধানের মৌসুমে ধান কেটে শুকিয়ে ওই ডুলিতে গোলাজাত করা হয়। প্রয়োজনের সময় ওই ডুলি থেকে ধান বের করে পুনরায় রোদে শুকিয়ে ভাঙানো হয়। তবে বিক্রি করার জন্য নতুন করে আবার ধান শুকানোর প্রয়োজন পড়ে না । এক সময় ডুলি ভর্তি ধান না থাকলে গ্রামের গৃহস্থ পরিবার সেই বাড়িতে ছেলে-মেয়েদের বিয়ে পর্যন্ত দিতে আগ্রহী হতেন না । এই কথা এখনো গ্রামাঞ্চলের মানুষের মুখে মুখে। আগে সমাজ ব্যবস্থা এখনকার মতো এত উন্নত ছিল না। তখন চোর-ডাকাতের ভয়ে গোলার ধানের ভেতর স্বর্ণ ও টাকাও লুকিয়ে রাখা হতো। ধান রাখার এ পাত্রকে গোলা বা ডোল বা ডুলি আখ্যায়িত করার কারণও রয়েছে। গোলা অপেক্ষাকৃত মজবুত। দীর্ঘদিন ব্যবহার করা যায়। বাঁশের তৈরি গোলার ব্যবহার দিন দিন কমে যাচ্ছে। কারণ বাঁশ ক্রমেই হারিয়ে যাচ্ছে। উৎপাদন কমে যাওয়ায় এবং বাঁশের মূল্য বৃদ্ধির কারণে গোলা তৈরিতেও খরচ বেড়ে গেছে। বর্তমানে বাঁশের তৈরি ডুলির স্থান দখল করে নিয়েছে স্থায়ী পাকা অথবা টিনের গোলা।