alt

সারাদেশ

কালের বিবর্তনে কমছে গোলার ব্যবহার

প্রতিনিধি, কটিয়াদী (কিশোরগঞ্জ) : বৃহস্পতিবার, ২৯ মে ২০২৫

ধান সংরক্ষণের বড় পাত্র বাঁশের তৈরি গোলা। এটি কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীরের বিভিন্ন স্থানে ডুলি বা ডোল কিংবা মাচা নামে পরিচিত। বাঁশ দিয়ে এ গোলা তৈরি করা হয়। গ্রামের গৃহস্থ কৃষক পরিবার গোলায় ধান সংরক্ষণ করেন। সারাবছর ধান সংরক্ষণ করতে গোলা খুবই উপযোগী। কিন্তু দিন দিন ধান সংরক্ষণের এ ডুলির ব্যবহার কমে যাচ্ছে।

ধানের মৌসুমে ধান কেটে শুকিয়ে ওই ডুলিতে গোলাজাত করা হয়। প্রয়োজনের সময় ওই ডুলি থেকে ধান বের করে পুনরায় রোদে শুকিয়ে ভাঙানো হয়। তবে বিক্রি করার জন্য নতুন করে আবার ধান শুকানোর প্রয়োজন পড়ে না । এক সময় ডুলি ভর্তি ধান না থাকলে গ্রামের গৃহস্থ পরিবার সেই বাড়িতে ছেলে-মেয়েদের বিয়ে পর্যন্ত দিতে আগ্রহী হতেন না । এই কথা এখনো গ্রামাঞ্চলের মানুষের মুখে মুখে। আগে সমাজ ব্যবস্থা এখনকার মতো এত উন্নত ছিল না। তখন চোর-ডাকাতের ভয়ে গোলার ধানের ভেতর স্বর্ণ ও টাকাও লুকিয়ে রাখা হতো। ধান রাখার এ পাত্রকে গোলা বা ডোল বা ডুলি আখ্যায়িত করার কারণও রয়েছে। গোলা অপেক্ষাকৃত মজবুত। দীর্ঘদিন ব্যবহার করা যায়। বাঁশের তৈরি গোলার ব্যবহার দিন দিন কমে যাচ্ছে। কারণ বাঁশ ক্রমেই হারিয়ে যাচ্ছে। উৎপাদন কমে যাওয়ায় এবং বাঁশের মূল্য বৃদ্ধির কারণে গোলা তৈরিতেও খরচ বেড়ে গেছে। বর্তমানে বাঁশের তৈরি ডুলির স্থান দখল করে নিয়েছে স্থায়ী পাকা অথবা টিনের গোলা।

ছবি

খাগড়াছড়িতে টানা বৃষ্টিতে পাহাড় ধসের শঙ্কা, নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে মাইকিং

ছবি

হাতিয়ায় রড-সিমেন্ট বোঝাই ট্রলার ডুবি

ছবি

ছাত্র-জনতার বিপক্ষে অবস্থানকারীদের শনাক্তে তদন্ত কমিটি গঠন শাবিপ্রবিতে

ছবি

বাজারে এসেছে রসালো লিচু

তিন খাদ্য কর্মকর্তাসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

ছবি

হাট কাঁপাবে বুলবুলের ‘সাদা পাহাড়’ ওজন ৪০ মণ

মাংস কাটার সরঞ্জাম তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কামাররা

ছবি

সুন্দরবনে ঘূর্ণিঝড় ‘শক্তি’র প্রভাবে ভেসে যাচ্ছিল হরিণের শাবক, বনকর্মীদের প্রয়াসে রক্ষা

ছবি

শাহজাদপুরে ব্রি- ধান ১০২, বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি

দুপুরে ব্যবসায়ীদের মানববন্ধন ও স্মারকলিপি সন্ধ্যায় ইউএনওর গঠনাস্থল পরিদর্শন

ছবি

কালো সোনা নামে পরিচিত ‘ভ্যানিলা মসলা’ ফলেছে মহেশপুরে

মসলার বাজার অস্থির

শতাধিক ঘরে আগুন, গ্রাম ছাড়া কয়েকশ মানুষ

বিকাশকর্মীকে ছুরিকাঘাতে দুই লাখ টাকা ছিনতাই

মির্জাগঞ্জে সড়কে ড্রেন না থাকায় জমে থাকা বৃষ্টির পানিতে জনভোগান্তি

রমেক হাসপাতালের মৃত ব্যক্তির দুটি চোখ গায়েব

সিরাজগঞ্জে দোকান ও হোটেলে প্রশাসন ও সেনাবাহিনীর অভিযান

নিকলীতে মৎস্যজীবীকে সাজানো মামলায় ফাঁসিয়ে জলমহালের মাছ লুটের অভিযোগ

ছবি

মহালছড়িতে সরকারি খাল দখল করে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ

হেরোইনসহ গ্রেপ্তার ২

চিনি প্যাকেটজাত করায় ব্যবসায়ীকে জরিমানা

ছবি

তালায় ঘেরে বিষ প্রয়োগে লক্ষাধিক টাকার মাছ নিধন

অবৈধভাবে ভারত হতে প্রবেশকালে তিন বাংলাদেশি আটক

নাজিরপুরে দুই স্কুলে সংঘর্ষ আহত ৬ শিক্ষার্থী

তালায় বৃদ্ধকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ

নোয়াখালীতে নারীকে জবাই করে হত্যা

ছবি

ঈদ সামনে রেখে ব্যস্ত আদমদীঘির কর্মকাররা

বেনাপোল কাস্টমসে ৯ মাসে রাজস্ব বেড়েছে ৩৬৬ কোটি টাকা

সোনারগাঁয়ে পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু

পবিপ্রবিতে দেওয়াল ধসে নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু

ছবি

ভেড়ামারা-হাদল সড়ক এখন নরক : জনদুর্ভোগ চরমে

ছবি

কুষ্টিয়াতে ১৬ জেলে পেলেন বকনা বাছুর

ঝিনাইদহে কৃষককে পিটিয়ে হত্যা

রাজশাহীতে জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ

ছবি

স্বাধীনতার ৫৫ বছর পরও নির্মাণ হয়নি ফতেহপুর ব্রিজ

বাগেরহাটের ফকিরহাটে প্রাণ গেল বাইসাইকেল আরোহীর

tab

সারাদেশ

কালের বিবর্তনে কমছে গোলার ব্যবহার

প্রতিনিধি, কটিয়াদী (কিশোরগঞ্জ)

বৃহস্পতিবার, ২৯ মে ২০২৫

ধান সংরক্ষণের বড় পাত্র বাঁশের তৈরি গোলা। এটি কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীরের বিভিন্ন স্থানে ডুলি বা ডোল কিংবা মাচা নামে পরিচিত। বাঁশ দিয়ে এ গোলা তৈরি করা হয়। গ্রামের গৃহস্থ কৃষক পরিবার গোলায় ধান সংরক্ষণ করেন। সারাবছর ধান সংরক্ষণ করতে গোলা খুবই উপযোগী। কিন্তু দিন দিন ধান সংরক্ষণের এ ডুলির ব্যবহার কমে যাচ্ছে।

ধানের মৌসুমে ধান কেটে শুকিয়ে ওই ডুলিতে গোলাজাত করা হয়। প্রয়োজনের সময় ওই ডুলি থেকে ধান বের করে পুনরায় রোদে শুকিয়ে ভাঙানো হয়। তবে বিক্রি করার জন্য নতুন করে আবার ধান শুকানোর প্রয়োজন পড়ে না । এক সময় ডুলি ভর্তি ধান না থাকলে গ্রামের গৃহস্থ পরিবার সেই বাড়িতে ছেলে-মেয়েদের বিয়ে পর্যন্ত দিতে আগ্রহী হতেন না । এই কথা এখনো গ্রামাঞ্চলের মানুষের মুখে মুখে। আগে সমাজ ব্যবস্থা এখনকার মতো এত উন্নত ছিল না। তখন চোর-ডাকাতের ভয়ে গোলার ধানের ভেতর স্বর্ণ ও টাকাও লুকিয়ে রাখা হতো। ধান রাখার এ পাত্রকে গোলা বা ডোল বা ডুলি আখ্যায়িত করার কারণও রয়েছে। গোলা অপেক্ষাকৃত মজবুত। দীর্ঘদিন ব্যবহার করা যায়। বাঁশের তৈরি গোলার ব্যবহার দিন দিন কমে যাচ্ছে। কারণ বাঁশ ক্রমেই হারিয়ে যাচ্ছে। উৎপাদন কমে যাওয়ায় এবং বাঁশের মূল্য বৃদ্ধির কারণে গোলা তৈরিতেও খরচ বেড়ে গেছে। বর্তমানে বাঁশের তৈরি ডুলির স্থান দখল করে নিয়েছে স্থায়ী পাকা অথবা টিনের গোলা।

back to top