কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পার করছেন চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার কামারেরা। চলছে হাঁপর টানা, পুড়ছে কয়লা, জ্বলছে লোহা, টুংটাং শব্দে হাতুড়ি পিটিয়ে তৈরি করছেন দা, বটি, ধামা ছুরিসহ মাংস কাটার বিভিন্ন সরঞ্জাম। দম ফেলার ফুরসত নেই তাদের। ঈদের দিন পর্যন্ত চলবে এমন ব্যস্ততা। তবে কয়লা, লোহাসহ সবকিছুর দাম বেড়ে যাওয়ায় আগের মতো লাভ হয় না বলে জানান কামারেরা।
উপজেলার মুরাদ মুন্সির হাট, শাকপুরা, গোমদন্ডী ও কানুনগোপাড়া এলাকায় কামার দোকানগুলোতে ঘুরে দেখা গেছে, পশু কোরবানির দা, ছুরি, চাপাতিসহ প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম কিনতে ক্রেতারা ভিড় করছেন কামারের দোকানে,আবার কেউবা পুরনো দা-ছুরি, চাপাতি বটি মেরামত করতে আসছেন।
মুরাদ মুন্সির হাট এলাকায় ৩৫ বছর ধরে দা-ছুরি তৈরি ও মেরামত করে আসছেন কামার দোকানদার দয়াল কর, সাগর দত্ত, দীপক কর ও রনজিত কর। তারা বলেন, ঈদ উপলক্ষে কয়লা ও শ্রমিকের মূল্য বেড়ে গেছে। দুই মাস আগেও প্রতি বস্তা কয়লার দাম ছিল ৪শ থেকে ৪৫০ টাকা। সেই কয়লা এখন ৮শ থেকে ৮৫০ টাকায় কিনতে হচ্ছে। তাই জিনিসের দাম একটু বেশি নিতে হচ্ছে ।
তারা বলেন, শ্রমিকের মুজুরিসহ প্রতিনিয়ত জিনিসের দাম বেড়ে যাওয়ায় আমাদের পারিশ্রমিক আয় ব্যয়ের হিসেব মিলছে না। এছাড়াও বর্তমানে অভাব আর আর্থিক সংকটসহ নানান কারণে হারিয়ে যেতে বসেছে ঐতিহ্যবাহী এ শিল্প। তারপরেও অনেকে বাপ দাদার পুরনো এই পেশাটাকে আকড়ে ধরে আছেন তারা। বছরের বেশিরভাগ সময়ই আর্থিক টানাপোড়েন থাকলেও ঈদের দ্বিগুণ বেচাকেনা হয় বিধায় পূর্ব পুরুষের ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে তারা কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। এখন তাদের আশা ঈদ ঘনিয়ে আসতে আসতে যদি বিক্রি কিছুটা বাড়ে। সেই লক্ষ্যেই রাত দিন পরিশ্রম করে একের পর এক জিনিসপত্র তৈরী করছেন।
রবিউল হোসাইন নামের এক ক্রেতা বলেন, কুরবানির ঈদের সময় কসাই পাওয়া মুশকিল হয়ে পড়ে। তাই একটা নতুন বটি কিনেছি, আর পুরনো চাপতি, দা শান দিয়ে নিচ্ছি নিজেরাই কাজে লেগে যাব।
তিনি বলেন, গতবছরের তুলনায় এবার দাম খানিকটা বেশি। বর্তমানে প্রতিটি দা তৈরিতে প্রকারভেদে মজুরি নেওয়া হচ্ছে ২৫০-৫৫০ টাকা পর্যন্ত। চাকু তৈরিতে নেওয়া হচ্ছে ১২০ টাকা। বড় ছুরি তৈরিতে নেওয়া হচ্ছে ৫০০-৭০০ টাকা। বটি তৈরিতে নেওয়া হচ্ছে ৩০০ টাকা থেকে ৪০০ টাকার মধ্যে। এদিকে আগের তুলানায় দাম একটু বেশি হলেও বাধ্য হয়ে পশু কোরবানির সরঞ্জাম কিনছেন ক্রেতারা। কয়লা আর কাঁচামালের দাম সহনীয় রেখে এ শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেবে সরকার এমনটাই প্রত্যশা করেন তারা।
বৃহস্পতিবার, ২৯ মে ২০২৫
কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পার করছেন চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার কামারেরা। চলছে হাঁপর টানা, পুড়ছে কয়লা, জ্বলছে লোহা, টুংটাং শব্দে হাতুড়ি পিটিয়ে তৈরি করছেন দা, বটি, ধামা ছুরিসহ মাংস কাটার বিভিন্ন সরঞ্জাম। দম ফেলার ফুরসত নেই তাদের। ঈদের দিন পর্যন্ত চলবে এমন ব্যস্ততা। তবে কয়লা, লোহাসহ সবকিছুর দাম বেড়ে যাওয়ায় আগের মতো লাভ হয় না বলে জানান কামারেরা।
উপজেলার মুরাদ মুন্সির হাট, শাকপুরা, গোমদন্ডী ও কানুনগোপাড়া এলাকায় কামার দোকানগুলোতে ঘুরে দেখা গেছে, পশু কোরবানির দা, ছুরি, চাপাতিসহ প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম কিনতে ক্রেতারা ভিড় করছেন কামারের দোকানে,আবার কেউবা পুরনো দা-ছুরি, চাপাতি বটি মেরামত করতে আসছেন।
মুরাদ মুন্সির হাট এলাকায় ৩৫ বছর ধরে দা-ছুরি তৈরি ও মেরামত করে আসছেন কামার দোকানদার দয়াল কর, সাগর দত্ত, দীপক কর ও রনজিত কর। তারা বলেন, ঈদ উপলক্ষে কয়লা ও শ্রমিকের মূল্য বেড়ে গেছে। দুই মাস আগেও প্রতি বস্তা কয়লার দাম ছিল ৪শ থেকে ৪৫০ টাকা। সেই কয়লা এখন ৮শ থেকে ৮৫০ টাকায় কিনতে হচ্ছে। তাই জিনিসের দাম একটু বেশি নিতে হচ্ছে ।
তারা বলেন, শ্রমিকের মুজুরিসহ প্রতিনিয়ত জিনিসের দাম বেড়ে যাওয়ায় আমাদের পারিশ্রমিক আয় ব্যয়ের হিসেব মিলছে না। এছাড়াও বর্তমানে অভাব আর আর্থিক সংকটসহ নানান কারণে হারিয়ে যেতে বসেছে ঐতিহ্যবাহী এ শিল্প। তারপরেও অনেকে বাপ দাদার পুরনো এই পেশাটাকে আকড়ে ধরে আছেন তারা। বছরের বেশিরভাগ সময়ই আর্থিক টানাপোড়েন থাকলেও ঈদের দ্বিগুণ বেচাকেনা হয় বিধায় পূর্ব পুরুষের ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে তারা কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। এখন তাদের আশা ঈদ ঘনিয়ে আসতে আসতে যদি বিক্রি কিছুটা বাড়ে। সেই লক্ষ্যেই রাত দিন পরিশ্রম করে একের পর এক জিনিসপত্র তৈরী করছেন।
রবিউল হোসাইন নামের এক ক্রেতা বলেন, কুরবানির ঈদের সময় কসাই পাওয়া মুশকিল হয়ে পড়ে। তাই একটা নতুন বটি কিনেছি, আর পুরনো চাপতি, দা শান দিয়ে নিচ্ছি নিজেরাই কাজে লেগে যাব।
তিনি বলেন, গতবছরের তুলনায় এবার দাম খানিকটা বেশি। বর্তমানে প্রতিটি দা তৈরিতে প্রকারভেদে মজুরি নেওয়া হচ্ছে ২৫০-৫৫০ টাকা পর্যন্ত। চাকু তৈরিতে নেওয়া হচ্ছে ১২০ টাকা। বড় ছুরি তৈরিতে নেওয়া হচ্ছে ৫০০-৭০০ টাকা। বটি তৈরিতে নেওয়া হচ্ছে ৩০০ টাকা থেকে ৪০০ টাকার মধ্যে। এদিকে আগের তুলানায় দাম একটু বেশি হলেও বাধ্য হয়ে পশু কোরবানির সরঞ্জাম কিনছেন ক্রেতারা। কয়লা আর কাঁচামালের দাম সহনীয় রেখে এ শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেবে সরকার এমনটাই প্রত্যশা করেন তারা।