বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে টানা বৃষ্টিতে পাহাড়ধসের শঙ্কা দেখা দিয়েছে পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়িতে। বৃহস্পতিবার রাত থেকে জেলায় একটানা বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে ঝুঁকিপূর্ণ বসতিগুলো থেকে লোকজনকে সরাতে সচেতনতামূলক মাইকিং শুরু করেছে স্থানীয় প্রশাসন।
খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুজন চন্দ্র রায় জানিয়েছেন, “কলাবাগান, সবুজবাগ, শালবন ও কুমিল্লাটিলা এলাকাগুলোকে অতিঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। আমরা এসব এলাকায় বৃহস্পতিবার থেকেই মাইকিং করছি এবং পাহাড়ের পাদদেশে যারা বসবাস করছেন তাদের সরে যাওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।”
তিনি আরও বলেন, স্থানীয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোকে অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
জেলা সদর ছাড়াও দীঘিনালা, মাটিরাঙা ও রামগড়সহ বিভিন্ন উপজেলাতেও ঝুঁকিপূর্ণ বসতি রয়েছে। এসব এলাকাতেও মাইকিং করে মানুষকে সতর্ক করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ইউএনও।
খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক মো. এবিএম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার বলেন, “পরিস্থিতি আমরা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। যারা ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় থাকছেন এবং নিজের ইচ্ছায় আশ্রয়কেন্দ্রে যাচ্ছেন না, তাদের দুপুরের মধ্যে সরানো না হলে প্রশাসন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।” প্রাণহানি এড়াতে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
এদিকে পাহাড়ি সড়কে মাটি ধসের শঙ্কায় প্রস্তুত রয়েছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। তারা প্রয়োজনীয় জনবল ও মাটি অপসারণের সরঞ্জাম প্রস্তুত রেখেছে বলে জানা গেছে।
খাগড়াছড়ির দীঘিনালার আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার ভোর সাড়ে ৬টা পর্যন্ত জেলায় ৬৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
শুক্রবার, ৩০ মে ২০২৫
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে টানা বৃষ্টিতে পাহাড়ধসের শঙ্কা দেখা দিয়েছে পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়িতে। বৃহস্পতিবার রাত থেকে জেলায় একটানা বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে ঝুঁকিপূর্ণ বসতিগুলো থেকে লোকজনকে সরাতে সচেতনতামূলক মাইকিং শুরু করেছে স্থানীয় প্রশাসন।
খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুজন চন্দ্র রায় জানিয়েছেন, “কলাবাগান, সবুজবাগ, শালবন ও কুমিল্লাটিলা এলাকাগুলোকে অতিঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। আমরা এসব এলাকায় বৃহস্পতিবার থেকেই মাইকিং করছি এবং পাহাড়ের পাদদেশে যারা বসবাস করছেন তাদের সরে যাওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।”
তিনি আরও বলেন, স্থানীয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোকে অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
জেলা সদর ছাড়াও দীঘিনালা, মাটিরাঙা ও রামগড়সহ বিভিন্ন উপজেলাতেও ঝুঁকিপূর্ণ বসতি রয়েছে। এসব এলাকাতেও মাইকিং করে মানুষকে সতর্ক করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ইউএনও।
খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক মো. এবিএম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার বলেন, “পরিস্থিতি আমরা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। যারা ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় থাকছেন এবং নিজের ইচ্ছায় আশ্রয়কেন্দ্রে যাচ্ছেন না, তাদের দুপুরের মধ্যে সরানো না হলে প্রশাসন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।” প্রাণহানি এড়াতে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
এদিকে পাহাড়ি সড়কে মাটি ধসের শঙ্কায় প্রস্তুত রয়েছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। তারা প্রয়োজনীয় জনবল ও মাটি অপসারণের সরঞ্জাম প্রস্তুত রেখেছে বলে জানা গেছে।
খাগড়াছড়ির দীঘিনালার আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার ভোর সাড়ে ৬টা পর্যন্ত জেলায় ৬৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।