ফরিদপুরের নগরকান্দায় বোনকে উত্ত্যক্ত করার ঘটনায় থানায় অভিযোগ দিয়ে ফেরার পথে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সংগঠক বৈশাখী ইসলাম (বর্ষা) হামলার শিকার হয়েছেন। শুক্রবার বিকেলে উপজেলার ভবুকদিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী বৈশাখী অভিযোগ করেন, বিএনপির নেতাকর্মীরা তার ওপর হামলা চালিয়েছেন। যদিও স্থানীয় বিএনপি নেতারা এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
পরে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে তাদের ওপরও হামলা হয়। পুলিশের সঙ্গে ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারাও। হামলাকারীরা পুলিশের গাড়ি ঘিরে ধরে, চালককে মারধর করে, গাড়ির চাবি ছিনিয়ে নেয় এবং ক্ষতিসাধন করে। একপর্যায়ে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
হামলায় আহত পুলিশ সদস্য আবদুল হান্নান শরীফ বলেন, “আমাদের গাড়ি ঘিরে প্রায় দেড় শতাধিক লোক হামলা চালায়। আমি লাঠির আঘাতে মাথা ও হাতে আহত হই। তবে তারা আসামি ছিনিয়ে নিতে পারেনি।”
এ ঘটনার প্রতিবাদে রাত ৯টা থেকে ১০টা পর্যন্ত ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের ভবুকদিয়া অংশ অবরোধ করেন আন্দোলনকারীরা।
এর আগে বিকেলে হামলার অভিযোগ করে ফেইসবুক লাইভে বৈশাখী বলেন, “আমি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত। একটি ইভ টিজিংয়ের ঘটনার প্রতিবাদ করায় বিএনপির লোকজন রাস্তায় ফেলে আমাকে মারধর করেছে। আমার চুল ধরে টেনে লাথি মারা হয়েছে। এখন আমার পরিবারের সদস্যরাও হুমকির মধ্যে আছে।”
এই ঘটনায় পুলিশ ভবুকদিয়া গ্রামের শরীফ ব্যাপারীসহ ছয়জনকে আটক করেছে। শরীফের বিরুদ্ধেই বৈশাখী থানায় উত্ত্যক্তের লিখিত অভিযোগ দিয়েছিলেন।
নগরকান্দা থানার ওসি সফর আলী জানান, ঘটনায় তিনটি মামলা হবে—নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে, বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় এবং পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ফরিদপুর জেলার মুখপাত্র কাজী জেবা তাহসিন বলেন, “বিএনপির এক প্রার্থী ও তার ছেলে প্রকাশ্যে বর্ষাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেছে।”
ফরিদপুর জেলা আহ্বায়ক কাজী রিয়াজ বলেন, “পুলিশের ওপর হামলা ঠেকাতে আমরা নিজেই প্রতিরোধ করেছি। আমাদের নেতাকর্মীরাও আহত হয়েছেন।”
তবে বিএনপির বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বদিউজ্জামান মোল্লা। তিনি বলেন, “যারা জড়িত, দুই পরিবারই আওয়ামী লীগ সমর্থক। এ ঘটনায় বিএনপির কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।”
শনিবার, ৩১ মে ২০২৫
ফরিদপুরের নগরকান্দায় বোনকে উত্ত্যক্ত করার ঘটনায় থানায় অভিযোগ দিয়ে ফেরার পথে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সংগঠক বৈশাখী ইসলাম (বর্ষা) হামলার শিকার হয়েছেন। শুক্রবার বিকেলে উপজেলার ভবুকদিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী বৈশাখী অভিযোগ করেন, বিএনপির নেতাকর্মীরা তার ওপর হামলা চালিয়েছেন। যদিও স্থানীয় বিএনপি নেতারা এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
পরে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে তাদের ওপরও হামলা হয়। পুলিশের সঙ্গে ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারাও। হামলাকারীরা পুলিশের গাড়ি ঘিরে ধরে, চালককে মারধর করে, গাড়ির চাবি ছিনিয়ে নেয় এবং ক্ষতিসাধন করে। একপর্যায়ে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
হামলায় আহত পুলিশ সদস্য আবদুল হান্নান শরীফ বলেন, “আমাদের গাড়ি ঘিরে প্রায় দেড় শতাধিক লোক হামলা চালায়। আমি লাঠির আঘাতে মাথা ও হাতে আহত হই। তবে তারা আসামি ছিনিয়ে নিতে পারেনি।”
এ ঘটনার প্রতিবাদে রাত ৯টা থেকে ১০টা পর্যন্ত ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের ভবুকদিয়া অংশ অবরোধ করেন আন্দোলনকারীরা।
এর আগে বিকেলে হামলার অভিযোগ করে ফেইসবুক লাইভে বৈশাখী বলেন, “আমি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত। একটি ইভ টিজিংয়ের ঘটনার প্রতিবাদ করায় বিএনপির লোকজন রাস্তায় ফেলে আমাকে মারধর করেছে। আমার চুল ধরে টেনে লাথি মারা হয়েছে। এখন আমার পরিবারের সদস্যরাও হুমকির মধ্যে আছে।”
এই ঘটনায় পুলিশ ভবুকদিয়া গ্রামের শরীফ ব্যাপারীসহ ছয়জনকে আটক করেছে। শরীফের বিরুদ্ধেই বৈশাখী থানায় উত্ত্যক্তের লিখিত অভিযোগ দিয়েছিলেন।
নগরকান্দা থানার ওসি সফর আলী জানান, ঘটনায় তিনটি মামলা হবে—নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে, বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় এবং পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ফরিদপুর জেলার মুখপাত্র কাজী জেবা তাহসিন বলেন, “বিএনপির এক প্রার্থী ও তার ছেলে প্রকাশ্যে বর্ষাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেছে।”
ফরিদপুর জেলা আহ্বায়ক কাজী রিয়াজ বলেন, “পুলিশের ওপর হামলা ঠেকাতে আমরা নিজেই প্রতিরোধ করেছি। আমাদের নেতাকর্মীরাও আহত হয়েছেন।”
তবে বিএনপির বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বদিউজ্জামান মোল্লা। তিনি বলেন, “যারা জড়িত, দুই পরিবারই আওয়ামী লীগ সমর্থক। এ ঘটনায় বিএনপির কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।”