কেশবপুরে দীর্ঘ এক যুগ ধরে ঘেরের জমির হারির লাখ লাখ টাকা আতœসাত করেছে এক ঘের মালিক। হারির টাকা চাওয়ায় উল্টো জমির মালিকের বিরুদ্ধে ওই ঘের মালিক থানায় চাঁদাবাজির অভিযোগ দিয়ে হয়রানি করছে। জমির দখল নিতে ঘের মালিক ও কৃষক মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছে। খবর পেযে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।

জানা গেছে, উপজেলার বাগদা-লহ্মীনাথকাটি বিলের প্রায় বিশ বিঘা জমি নিয়ে বিগত ১৫ বছর ধরে মাছের ঘের করে মাছ চাষ করছেন বাগদা গ্রামের ঘের ব্যবসায়ী লুৎফর রহমান। এসময় ওই ঘের মালিক একই গ্রামের আবুল কাশেম ও তার ভাই আব্দুল গনির প্রায় সাড়ে ৮ বিঘা জমি দখলে নিয়ে মাছের ঘের করেন। এরপর থেকে কৃষক পরিবার দুটি ঘের মালিকের কাছে যতবারই জমির হারির টাকা চাইতে গেছে, ততবারই তাদেরকে ঘের মালিকের হয়রানি, অত্যাচার, নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে। যে কারণে কৃষক পরিবার দুটি আজও তাদের জমির ন্যায্য হারির লাখ লাখ টাকা বুঝে পায়নি। এদিকে, চলতি বছর হারির টাকা চাওয়ায় ওই ঘের মালিক কৃষক পরিবার দুটিকে হুমকি-ধামকি দেয়ায় ক্ষোভে কৃষকরা গতকাল শুক্রবার সকালে ঘেরের ভেতর থেকে তাদের সাড়ে ৮বিঘা জমি দখল করে নেট দিয়ে ঘিরে রাখে। এখবর জানতে পেরে ওই দিন বিকেলে প্রভাবশালী ঘের মালিক লুৎফর রহমান বিভিন্ন জায়গা থেকে ভাড়াটে এনে দু‘কৃষকের দখল করা জমির নেট উচ্ছেদ করে উল্টো থানায় অভিযোগ দেয়াসহ সন্ধ্যায় কৃষকদের বিরুদ্ধে কেশবপুর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন। এঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোন সময় সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী।

ঘের মালিক লুৎফর রহমান সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করেছেন, তিনি দীর্ঘদিন ধরে সুনামের সাথে মাছের ঘের করছেন। বেশ কিছুদিন ধরে তার কাছে মোটা অংকের টাকা চাঁদাদাবি করছেন বাগদা গ্রামের আব্দুল গনি। চাঁদা না দেয়ায় শুক্রবার ঘের দখলের চেষ্টা চালায়। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দেয়া হয়েছে।