‘চলতে ফিরতে একাকিত্ব সময়ে আমার বাবা এসে বলে, আমাকে এখনও বের করলি না তো তোরা, আমাকে বের কর। আমি বাবার সঙ্গে হাত ধরে স্কুলে যেতাম, প্রাইভেট পড়তে যেতাম। বাবাকে ৮ বছর থেকে দেখিনি, আমি বাবার বুকে মাথা গুঁজে কান্না করতে চাই। আমি রাতে ঘুমাতে পারিনা এবং স্বপ্নে ও বারবার আসে এবং ডাকে যে, আমাকে খুঁজে নিয়ে আসবি না।’ আমি এ ধরনের স্বপ্নগুলোই দেখি।’
গতকাল শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় রাজশাহী নগরীর সাহেব বাজার জিরো পয়েন্টে মানবাধিকার সংগঠন ‘অধিকার’ গুমের শিকার ব্যাক্তিদের স্মরণে আন্তর্জাতিক সপ্তাহ উপলক্ষে আয়োজিত এক মানববন্ধনে এভাবেই নিজের গুম হওয়া বাবার সন্তান রাজশাহী কলেজের শিক্ষার্থী সাইফুল ইসলাম সাগর কান্নারত অবস্থায় নিজের অনুভূতি ব্যক্ত করেন।
এ সময় গুম হওয়া পরিবারের সদস্যরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নিকট দাবি জানিয়ে বলেন, আমাদের পিতারা মাতারা জীবিত না মৃত, আমরা পিতৃহারা, বিধাব না সধবা এর নিশ্চয়তা চাই।
মানববন্ধনে মানবাধিকার অধিকার ররাজশাহীর সমন্বয়ক মঈনউদ্দিন অধিকারর পক্ষ থেকে অন্তর্বর্তী সরকারের নিকট শেখ হাসিনার শাসনামলে গুম হওয়া ব্যক্তিদের ফিরে পাওয়াসহ ৫ দফা দাবি জানিয়েছে। দাবিগুলো হলো : গুমেরশিকার যে সব ব্যক্তি ফেরত আসেননি, তাদের ভাগ্যে কি ঘটেছে তা জনগণকে জানানো; গুমের শিকার যেসব ব্যক্তি এখনও ফিরে আসেননি, তাদের স্ত্রী-সন্তানরা যাতে গুম হওয়া ব্যক্তির ব্যাংক হিসাব পরিচালনা এবং স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বেচা এবং ভোগ করতে পারে, সে ব্যবস্থা করতে হবে; গুমের পর কিছু ব্যক্তিকে ভারতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল এবং পরে তাদের পাওয়া গেছে।
ভারতে আরও গুমের শিকার ব্যক্তি রয়েছেন কিনা, সে বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে ভারত সরকারের সঙ্গে কূটনৈতিক পর্যায়ে যোগাযোগ স্থাপন করে তা জানা; যে সমস্ত ব্যক্তি গুমের পর ফেরত এসেছেন, তাদের অনেকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এমনকি কাউকে কাউকে মিথ্যা সাক্ষ্যের ভিত্তিতে বা নির্যাতন করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি আদায় করে নিম্ন আদালতকে ব্যবহার করে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে। এই সমস্ত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে এবং কারাগার থেকে মুক্তি দিতে হবে; গুমের সঙ্গে জড়িত সব ব্যক্তিকে আইনের আওতায় এনে তাদের আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে বিচার করতে হবে।
শনিবার, ৩১ মে ২০২৫
‘চলতে ফিরতে একাকিত্ব সময়ে আমার বাবা এসে বলে, আমাকে এখনও বের করলি না তো তোরা, আমাকে বের কর। আমি বাবার সঙ্গে হাত ধরে স্কুলে যেতাম, প্রাইভেট পড়তে যেতাম। বাবাকে ৮ বছর থেকে দেখিনি, আমি বাবার বুকে মাথা গুঁজে কান্না করতে চাই। আমি রাতে ঘুমাতে পারিনা এবং স্বপ্নে ও বারবার আসে এবং ডাকে যে, আমাকে খুঁজে নিয়ে আসবি না।’ আমি এ ধরনের স্বপ্নগুলোই দেখি।’
গতকাল শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় রাজশাহী নগরীর সাহেব বাজার জিরো পয়েন্টে মানবাধিকার সংগঠন ‘অধিকার’ গুমের শিকার ব্যাক্তিদের স্মরণে আন্তর্জাতিক সপ্তাহ উপলক্ষে আয়োজিত এক মানববন্ধনে এভাবেই নিজের গুম হওয়া বাবার সন্তান রাজশাহী কলেজের শিক্ষার্থী সাইফুল ইসলাম সাগর কান্নারত অবস্থায় নিজের অনুভূতি ব্যক্ত করেন।
এ সময় গুম হওয়া পরিবারের সদস্যরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নিকট দাবি জানিয়ে বলেন, আমাদের পিতারা মাতারা জীবিত না মৃত, আমরা পিতৃহারা, বিধাব না সধবা এর নিশ্চয়তা চাই।
মানববন্ধনে মানবাধিকার অধিকার ররাজশাহীর সমন্বয়ক মঈনউদ্দিন অধিকারর পক্ষ থেকে অন্তর্বর্তী সরকারের নিকট শেখ হাসিনার শাসনামলে গুম হওয়া ব্যক্তিদের ফিরে পাওয়াসহ ৫ দফা দাবি জানিয়েছে। দাবিগুলো হলো : গুমেরশিকার যে সব ব্যক্তি ফেরত আসেননি, তাদের ভাগ্যে কি ঘটেছে তা জনগণকে জানানো; গুমের শিকার যেসব ব্যক্তি এখনও ফিরে আসেননি, তাদের স্ত্রী-সন্তানরা যাতে গুম হওয়া ব্যক্তির ব্যাংক হিসাব পরিচালনা এবং স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বেচা এবং ভোগ করতে পারে, সে ব্যবস্থা করতে হবে; গুমের পর কিছু ব্যক্তিকে ভারতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল এবং পরে তাদের পাওয়া গেছে।
ভারতে আরও গুমের শিকার ব্যক্তি রয়েছেন কিনা, সে বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে ভারত সরকারের সঙ্গে কূটনৈতিক পর্যায়ে যোগাযোগ স্থাপন করে তা জানা; যে সমস্ত ব্যক্তি গুমের পর ফেরত এসেছেন, তাদের অনেকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এমনকি কাউকে কাউকে মিথ্যা সাক্ষ্যের ভিত্তিতে বা নির্যাতন করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি আদায় করে নিম্ন আদালতকে ব্যবহার করে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে। এই সমস্ত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে এবং কারাগার থেকে মুক্তি দিতে হবে; গুমের সঙ্গে জড়িত সব ব্যক্তিকে আইনের আওতায় এনে তাদের আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে বিচার করতে হবে।