ঈশ্বরদী ইপিজেডে ডায়রিয়া মহামারির মতো ছড়িয়ে পড়েছে। আক্রান্ত হয়েছে প্রায় পাঁচ শতাধিক শ্রমিক। এতে এক নারী শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল রোববার দিবাগত রাত ১টার দিকে কণা খাতুন (২৫) নামের এক নারী শ্রমিকের মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। কণা ইপিজেডের আইএইচএম কোম্পানির কোয়ালিটি কাটিং সেকশনের কর্মী ছিলেন। তিনি উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের তিলকপুর গ্রামের খমিন ইসলামের স্ত্রী এবং ১ সন্তানের জননী।
ইপিজেডের নির্বাহী পরিচালক এই মৃত্যুর ঘটনা নিশ্চিত করেছেন।
ওই নারী শ্রমিকের স্বামী খমিন ইসলাম একই কোম্পানিতে কর্মরত রয়েছেন। খমিন ইসলাম জানান, গত শনিবার দুপুরে কোম্পানিতে খাবার ও পানি খাওয়ার পর থেকে কণার বমি ও পাতলা পায়খানা শুরু হয়। এরপরও অসুস্থ শরীর নিয়ে রোববার সে কর্মস্থলে যায়। সেখানে আরও অসুস্থ হয়ে পড়লে ইপিজেডের মেডিকেল সেন্টারে তাকে চিকিৎসার জন্য নেয়া হয়।
কিছুটা সুস্থ হলে সন্ধ্যায় তাকে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। রাতে তার অবস্থা খারাপ হতে থাকে, হাসপাতালে নেয়ার প্রস্ততি নিতে নিতেই মৃত্যু হয়।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার ইপিজেড এলাকায় দুপুরের খাবার খাওয়ার পর ইপিজেডের পানি পান করে রেনেসাঁ, নাকানো, এ্যাবা ও রহিম আফরোজ, আইএইচএম, স্টিল হেয়ার, অস্কার বাংলাসহ কয়েকটি কোম্পানির কয়েকশ’ শ্রমিক পেট ব্যথা, পাতলা পায়খানা, জ্বর, বমি ও মাথা ব্যথায় অসুস্থ হতে শুরু করে। পরে মধ্যরাত থেকে শুক্রবার, শনিবার এবং রোববারও শত শত শ্রমিক পেটের সমস্যা ও ডায়রিয়া নিয়ে চিকিৎসা নিতে ঈশ্বরদী হাসপাতাল ও ইপিজেডের মেডিকেল সেন্টারে আসেন।
এসব হাসপাতালে তিল ধারণের জায়গা নেই। স্যালাইন লাগিয়ে রোগীরা বেড সংকুলান না হওয়ায় বারান্দা, করিডোর ও সিড়িতে শুয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এরমধ্যে গুরুতর ১০ জনকে রাজশাহী ও পাবনাতে পাঠানো হয়েছে। ইপিজেডের মেডিকেল সেন্টারে গত ২৯ মে ২৩১ জন, ৩১ মে ৩৫৫ জন এবং ১ জুন দুপুর পর্যন্ত ৬৫ জন রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন।
ইপিজেডের নির্বাহী পরিচালক এবিএম শহীদুল ইসলাম কর্মী কণা মৃত্যুর ঘটনা খুবই দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, ওই কোম্পানি এবং আমাদের পক্ষ থেকে খোঁজখবর নেয়া হয়েছে। কোম্পানি তাদের আর্থিক সহযোগিতার বিষয়ে ব্যবস্থা করবে।
সোমবার, ০২ জুন ২০২৫
ঈশ্বরদী ইপিজেডে ডায়রিয়া মহামারির মতো ছড়িয়ে পড়েছে। আক্রান্ত হয়েছে প্রায় পাঁচ শতাধিক শ্রমিক। এতে এক নারী শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল রোববার দিবাগত রাত ১টার দিকে কণা খাতুন (২৫) নামের এক নারী শ্রমিকের মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। কণা ইপিজেডের আইএইচএম কোম্পানির কোয়ালিটি কাটিং সেকশনের কর্মী ছিলেন। তিনি উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের তিলকপুর গ্রামের খমিন ইসলামের স্ত্রী এবং ১ সন্তানের জননী।
ইপিজেডের নির্বাহী পরিচালক এই মৃত্যুর ঘটনা নিশ্চিত করেছেন।
ওই নারী শ্রমিকের স্বামী খমিন ইসলাম একই কোম্পানিতে কর্মরত রয়েছেন। খমিন ইসলাম জানান, গত শনিবার দুপুরে কোম্পানিতে খাবার ও পানি খাওয়ার পর থেকে কণার বমি ও পাতলা পায়খানা শুরু হয়। এরপরও অসুস্থ শরীর নিয়ে রোববার সে কর্মস্থলে যায়। সেখানে আরও অসুস্থ হয়ে পড়লে ইপিজেডের মেডিকেল সেন্টারে তাকে চিকিৎসার জন্য নেয়া হয়।
কিছুটা সুস্থ হলে সন্ধ্যায় তাকে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। রাতে তার অবস্থা খারাপ হতে থাকে, হাসপাতালে নেয়ার প্রস্ততি নিতে নিতেই মৃত্যু হয়।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার ইপিজেড এলাকায় দুপুরের খাবার খাওয়ার পর ইপিজেডের পানি পান করে রেনেসাঁ, নাকানো, এ্যাবা ও রহিম আফরোজ, আইএইচএম, স্টিল হেয়ার, অস্কার বাংলাসহ কয়েকটি কোম্পানির কয়েকশ’ শ্রমিক পেট ব্যথা, পাতলা পায়খানা, জ্বর, বমি ও মাথা ব্যথায় অসুস্থ হতে শুরু করে। পরে মধ্যরাত থেকে শুক্রবার, শনিবার এবং রোববারও শত শত শ্রমিক পেটের সমস্যা ও ডায়রিয়া নিয়ে চিকিৎসা নিতে ঈশ্বরদী হাসপাতাল ও ইপিজেডের মেডিকেল সেন্টারে আসেন।
এসব হাসপাতালে তিল ধারণের জায়গা নেই। স্যালাইন লাগিয়ে রোগীরা বেড সংকুলান না হওয়ায় বারান্দা, করিডোর ও সিড়িতে শুয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এরমধ্যে গুরুতর ১০ জনকে রাজশাহী ও পাবনাতে পাঠানো হয়েছে। ইপিজেডের মেডিকেল সেন্টারে গত ২৯ মে ২৩১ জন, ৩১ মে ৩৫৫ জন এবং ১ জুন দুপুর পর্যন্ত ৬৫ জন রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন।
ইপিজেডের নির্বাহী পরিচালক এবিএম শহীদুল ইসলাম কর্মী কণা মৃত্যুর ঘটনা খুবই দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, ওই কোম্পানি এবং আমাদের পক্ষ থেকে খোঁজখবর নেয়া হয়েছে। কোম্পানি তাদের আর্থিক সহযোগিতার বিষয়ে ব্যবস্থা করবে।