alt

সারাদেশ

বরগুনায় ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ২ হাজার ছাড়ল

প্রতিনিধি, বরগুনা : শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫

শেষ ২৪ ঘণ্টায় বরগুনায় ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা আরও ৬৫ জন। এ নিয়ে বরগুনায় ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ২ হাজার ৪৮ জন। বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে এখনও চিকিৎসা নিচ্ছেন ২৫৬ জন। এ অনুপাত বরিশাল বিভাগে মধ্যে অর্ধেক এবং জাতীয় মাপকাঠিতে শতকরা ২৫ ভাগ। পরিস্থিতি ভয়াবহ হলেও চিকিৎসা ক্ষেত্রে তেমন উন্নতি হয়নি। পদায়নকৃত চিকিৎসক- নার্সের বেশিরভাগ যোগদান করেননি। বরগুনা পৌররসভা ডেঙ্গু মোকাবিলায় মন্ত্রণালয়ে বরাদ্দ চাইলেও মেলেনি এক পয়সাও।

বিভাগের অর্ধেকের বেশি

আক্রান্ত হচ্ছে বরগুনায়

গতকাল বৃহস্পতিবার দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন ২৪৩ জন। এর মধ্যে বরিশাল বিভাগে ১১৯ জন। আর বরগুনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৬৫। বরগুনায় ডেঙ্গুর বিস্তার নিয়ে বিশেষজ্ঞদের নানা মন্তব্য চলছে। মোটা দাগে মন্তব্য হলো বরগুনা যেহেতু লবণাক্ত এলাকা সেহেতু জনগণ রান্না-বান্নার কাজে বৃষ্টির সংরক্ষিত পানি ব্যবহার করে। বেশি দিন হলে এ পানিতে এডিস মশা ডিম ছাড়ে।

কয়েকদিনের মধ্যে চক্রবৃদ্ধি হারে মশার প্রজনন সৃষ্টি হয়। তাছাড়া সম্প্রতি ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধির কারণ হিসেবে চিকিৎসকরা অনেকেই বরগুনা জেনারেল হসতাতালের বর্তমান অবস্থাকে দায়ী করেন। ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা অতিরিক্ত বেড়ে যাওয়ায় হাসপাতালের শয্যা ও মেঝেতে চিকিৎসা চলছে। সংক্রমণ ঠেকাতে ডেঙ্গু রোগীদের মশারি টাঙিয়ে থাকতে বলা হলেও সেই নির্দেশনা পালন করা হচ্ছে না। বরগুনা সদর হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা অতিরিক্ত বেড়ে যাওয়ায় হাসপাতালের শয্যা ও মেঝেতে চিকিৎসা চলছে। সংক্রমণ ঠেকাতে ডেঙ্গু রোগীদের মশারি টাঙিয়ে থাকতে বলা হলেও সেই নির্দেশনা পালন করা হচ্ছে না।

বর্তমানে ভর্তি রোগীর অনেকেই মশারি ব্যবহার করতে না পারা এবং রোগীদের সঙ্গে চার গুণের মতো দর্শনার্থী প্রতিদিন হাসপাতাল এলাকায় রাত কাটায় তারাও মশারি ব্যবহার করেন না। আক্রান্ত রোগীর দ্বারাও অনেকেই আক্রান্ত হচ্ছেন। বরগুনার আবাসিক ব্যবস্থপনাকেও অনেকে ডেঙ্গু বিস্তারের জন্য দায়ী করেন। পৌর শহরে বেশিরভাগ পাকা ভবনের দূরত্ব এক বিঘাতেরও কম। যেখানে কোনো পচ্ছিন্নতা কর্মী ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার করতে পারে না।

এলাকার সচেতন মহল মনে করে বরগুনায় ডেঙ্গু পরিস্থিতি হলো রাষ্ট্রীয় কর্তৃপক্ষের অবহেলার চরম পরিণতি। বরগুনা প্রেসক্লাবের সভাপতি অ্যাডভোকেট সোহেল হাফিজ বলেন, ‘ডেঙ্গুর বিরুদ্ধে এলাকার সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের কৌশলগত লড়াইয়ের সীমাবদ্ধতার দিকটিও বরগুনার বর্তমান পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। ডেঙ্গু শুধু ঢাকার নয়, এর বিস্তার ঘটতে পারে সারাদেশে। রাষ্ট্রীয় কর্তৃপক্ষের বিবেচনায় অবহেলিত বরগুনায় ডেঙ্গুর বিস্তার তাই বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে। সিবিডিপি নির্বাহী পরিচালক জাকির হোসেন মিরাজ বলেন, রাষ্ট্র একটি অবহেলিত এলাকার মানুষের জীবন নিশ্চিত করতে পারছে না। এই জরুরি মুহূর্তে যে চিকিৎসক ও নার্সদের নতুন নিয়োগ দেয়া হয়েছে তারা অনেকেই যোগ দেননি।

এদিকে বরগুনার সদর হাসপাতালটি ২৫০ শয্যার। ডেঙ্গু বেড়ে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে ৫০টি শয্যা কেবল ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীদের জন্য বরাদ্দ হয়েছে। (শুক্রবার ২০-৬-২০২৫) পর্যন্ত সদর হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা ছিল প্রায় ২৫০ জন। আর ডেঙ্গু রোগীর জন্য খুব প্রয়োজনীয় স্যালাইনের সংকটের কথা স্বীকার করেন জেলার সিভিল সার্জন মো. আবু ফাত্তাহ।

সিভিল সার্জন অফিসের তথ্যমতে, স্যালাইন সংকটে এগিয়ে এসেছে স্থানীয় দু’টি বেসরকারি সংগঠন। ডেঙ্গু রোগী বেড়ে যাওয়ায় সদর হাসপাতালে ছয়জন নতুন চিকিৎসক যোগ দিয়েছেন বলেও জানান সিভিল সার্জন। ডেঙ্গুর এই বাড়বাড়ন্তের মধ্যেও ডাবের খোসাসহ পানি ধরে রাখতে পারে এমন নানা কন্টেইনার যত্রতত্র হাসপাতালের পাশেই ফেলছে মানুষজন। শহরের অন্যত্রও ময়লা-আবর্জনার কমতি নেই।

সঠিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে অপরিহার্য। কিন্তু পৌরসভাসহ নানা স্থানীয় সরকারি প্রতিষ্ঠান এখন জন প্রতিনিধিশূন্য। বরগুনা পৌরসভায় ২ জন চিকিৎসকের পদ থাকলেও পদ ২টি শূন্য। মাত্র ৬ জন কর্মচারী শতাধিক পচিচ্ছন্নতা কর্মী ৯টি ওয়ার্ডে কাজ করে। সুতরাং এ পরিস্থিতির সংকট আরও বাড়াতে পারে বলে মনে করেন বরগুনার নাগরিক অধিকার সংরক্ষণ কমিটির সম্পাদক মনির হোসেন কামাল।

তিনি বলেন, এখন বরগুনা জেলা, বিশেষ করে পৌর শহর ডেঙ্গুর হটস্পট। ঘরে ঘরে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। রোগটি গ্রামাঞ্চলেও ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়েছে। শহরসহ বিভিন্ন স্থানে মশা বাড়ছে। বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। এসব আক্রান্ত ব্যক্তির ভিড় জমছে হাসপাতালে। তাদের সামাল দিতে হিমশিম অবস্থা চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের।

শ্রীনগরে ধর্ষণ মামলায় ইউপি সদস্য স্বপন মেম্বার গ্রেফতার হওয়ায় এলাকাবাসীর স্বস্তি! মিষ্টি বিতরণ

এবার ভোটের সুনির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণার দাবি বিএনপির

ছবি

ছিনতাইয়ের ফোন রোহিঙ্গা ক্যাম্প ও প্রতিবেশী দেশে পাচার, চট্টগ্রামে অভিযান

ছবি

সন্ধান মেলেনি সাগরে নিখোঁজ চবি শিক্ষার্থী অরিত্র হাসানের

ছবি

তিস্তা-যমুনা চরের দারিদ্র্যতার ঝুঁকিতে ১৫ লাখ মানুষ

ছবি

বোয়ালখালীতে নিষিদ্ধ গাছের চারা ধ্বংস

নবাবগঞ্জে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু

চট্টগ্রামে স্ত্রীকে খুন করে পালিয়ে গেল স্বামী

নিজ ঘরে স্টিলের বাক্সে গৃহবধূর মরদেহ, স্বামী পুলিশ হেফাজতে

যাত্রাবাড়ীতে কয়েল জ্বালানোর সময় বিস্ফোরণ, মারা গেলেন ইতি আক্তার

বোরকা পরে স্ত্রীকে তুলে নিয়ে অমানবিক নির্যাতন

ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে পোশাকশ্রমিক নিহত

ছবি

মোহনগঞ্জ সাধারণ পাঠাগার আলো ছড়ানোর ৩৭ বছর

হত্যার হুমকি দিয়ে স্কুলছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ

কুষ্টিয়ায় অটোচালককে হত্যার প্রতিবাদে কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী মহাসড়ক অবরোধ

লালমাইয়ে চার মাদকসেবী দণ্ডিত

ছবি

যমুনায় পানি বৃদ্ধির সঙ্গে বাড়ছে ভাঙন দিশাহারা নদীপাড়ের মানুষ

ছবি

চকরিয়ায় সওজের জমি থেকে অবৈধ মার্কেট উচ্ছেদ অভিযান

স্বেচ্ছাশ্রমে রাস্তা পরিষ্কার করলো যুবসমাজ

বিষ প্রয়োগে পুকুরের মাছ নিধনের অভিযোগ

ছবি

৪০ টাকার কাঁচা মরিচ এক সপ্তাহের ব্যবধানে নওগাঁয় ২৪০ টাকা

শ্রীমঙ্গলে অবৈধ ভারতীয় চা পাতা উদ্ধার, জরিমানা

নিখোঁজ তানজিদের মরদেহ উদ্ধার

ছবি

অবশেষে কাশিমপুর ক্রসবাঁধ অপসারিত

জীবন্ত গাছের নীরব কান্না পেরেক ঢুকিয়ে ফেস্টুন টাঙিয়ে প্রচার-প্রচারণা

৯ মাস পর লিবিয়া থেকে ফিরলেন সাগর, মানবপাচারের ফাঁদ থেকে মুক্ত

সুন্দরবনে ৩টি ট্রলারসহ ২৭ জেলে আটক

১১ বছর পরে ফরিদপুরে রাজন হত্যা মামলায় ৫ জনের যাবজ্জীবন

ছবি

পুনঃপ্রতিষ্ঠা পাচ্ছে মধুপুর শালবন

শেরপুরে নবম শ্রেণীর ছাত্রকে মারধরের ভিডিও ভাইরাল

দৌলতপুরের সাবেক এমপি ও উপজেলা চেয়ারম্যানের সম্পদের হিসাব চেয়েছে দুদক

ছবি

দশমিনার সবুজবাগে সরকারি খালটি মৃতপ্রায় জলাবদ্ধ শত শত পরিবার

চা শ্রমিক দম্পতির মরদেহ উদ্ধার

চাঁদাবাজ, সন্ত্রাস থেকে দেশকে মুক্তি দিতে চাই নড়াইলে পথসভায় নাহিদ

ফল জালিয়াতি রাজশাহীর প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বরখাস্ত

ছবি

মাদারীপুরে কয়েক দিনের বৃষ্টিতে জনজীবন বিপর্যস্ত, সড়ক জলাবদ্ধ

tab

সারাদেশ

বরগুনায় ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ২ হাজার ছাড়ল

প্রতিনিধি, বরগুনা

শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫

শেষ ২৪ ঘণ্টায় বরগুনায় ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা আরও ৬৫ জন। এ নিয়ে বরগুনায় ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ২ হাজার ৪৮ জন। বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে এখনও চিকিৎসা নিচ্ছেন ২৫৬ জন। এ অনুপাত বরিশাল বিভাগে মধ্যে অর্ধেক এবং জাতীয় মাপকাঠিতে শতকরা ২৫ ভাগ। পরিস্থিতি ভয়াবহ হলেও চিকিৎসা ক্ষেত্রে তেমন উন্নতি হয়নি। পদায়নকৃত চিকিৎসক- নার্সের বেশিরভাগ যোগদান করেননি। বরগুনা পৌররসভা ডেঙ্গু মোকাবিলায় মন্ত্রণালয়ে বরাদ্দ চাইলেও মেলেনি এক পয়সাও।

বিভাগের অর্ধেকের বেশি

আক্রান্ত হচ্ছে বরগুনায়

গতকাল বৃহস্পতিবার দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন ২৪৩ জন। এর মধ্যে বরিশাল বিভাগে ১১৯ জন। আর বরগুনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৬৫। বরগুনায় ডেঙ্গুর বিস্তার নিয়ে বিশেষজ্ঞদের নানা মন্তব্য চলছে। মোটা দাগে মন্তব্য হলো বরগুনা যেহেতু লবণাক্ত এলাকা সেহেতু জনগণ রান্না-বান্নার কাজে বৃষ্টির সংরক্ষিত পানি ব্যবহার করে। বেশি দিন হলে এ পানিতে এডিস মশা ডিম ছাড়ে।

কয়েকদিনের মধ্যে চক্রবৃদ্ধি হারে মশার প্রজনন সৃষ্টি হয়। তাছাড়া সম্প্রতি ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধির কারণ হিসেবে চিকিৎসকরা অনেকেই বরগুনা জেনারেল হসতাতালের বর্তমান অবস্থাকে দায়ী করেন। ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা অতিরিক্ত বেড়ে যাওয়ায় হাসপাতালের শয্যা ও মেঝেতে চিকিৎসা চলছে। সংক্রমণ ঠেকাতে ডেঙ্গু রোগীদের মশারি টাঙিয়ে থাকতে বলা হলেও সেই নির্দেশনা পালন করা হচ্ছে না। বরগুনা সদর হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা অতিরিক্ত বেড়ে যাওয়ায় হাসপাতালের শয্যা ও মেঝেতে চিকিৎসা চলছে। সংক্রমণ ঠেকাতে ডেঙ্গু রোগীদের মশারি টাঙিয়ে থাকতে বলা হলেও সেই নির্দেশনা পালন করা হচ্ছে না।

বর্তমানে ভর্তি রোগীর অনেকেই মশারি ব্যবহার করতে না পারা এবং রোগীদের সঙ্গে চার গুণের মতো দর্শনার্থী প্রতিদিন হাসপাতাল এলাকায় রাত কাটায় তারাও মশারি ব্যবহার করেন না। আক্রান্ত রোগীর দ্বারাও অনেকেই আক্রান্ত হচ্ছেন। বরগুনার আবাসিক ব্যবস্থপনাকেও অনেকে ডেঙ্গু বিস্তারের জন্য দায়ী করেন। পৌর শহরে বেশিরভাগ পাকা ভবনের দূরত্ব এক বিঘাতেরও কম। যেখানে কোনো পচ্ছিন্নতা কর্মী ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার করতে পারে না।

এলাকার সচেতন মহল মনে করে বরগুনায় ডেঙ্গু পরিস্থিতি হলো রাষ্ট্রীয় কর্তৃপক্ষের অবহেলার চরম পরিণতি। বরগুনা প্রেসক্লাবের সভাপতি অ্যাডভোকেট সোহেল হাফিজ বলেন, ‘ডেঙ্গুর বিরুদ্ধে এলাকার সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের কৌশলগত লড়াইয়ের সীমাবদ্ধতার দিকটিও বরগুনার বর্তমান পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। ডেঙ্গু শুধু ঢাকার নয়, এর বিস্তার ঘটতে পারে সারাদেশে। রাষ্ট্রীয় কর্তৃপক্ষের বিবেচনায় অবহেলিত বরগুনায় ডেঙ্গুর বিস্তার তাই বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে। সিবিডিপি নির্বাহী পরিচালক জাকির হোসেন মিরাজ বলেন, রাষ্ট্র একটি অবহেলিত এলাকার মানুষের জীবন নিশ্চিত করতে পারছে না। এই জরুরি মুহূর্তে যে চিকিৎসক ও নার্সদের নতুন নিয়োগ দেয়া হয়েছে তারা অনেকেই যোগ দেননি।

এদিকে বরগুনার সদর হাসপাতালটি ২৫০ শয্যার। ডেঙ্গু বেড়ে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে ৫০টি শয্যা কেবল ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীদের জন্য বরাদ্দ হয়েছে। (শুক্রবার ২০-৬-২০২৫) পর্যন্ত সদর হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা ছিল প্রায় ২৫০ জন। আর ডেঙ্গু রোগীর জন্য খুব প্রয়োজনীয় স্যালাইনের সংকটের কথা স্বীকার করেন জেলার সিভিল সার্জন মো. আবু ফাত্তাহ।

সিভিল সার্জন অফিসের তথ্যমতে, স্যালাইন সংকটে এগিয়ে এসেছে স্থানীয় দু’টি বেসরকারি সংগঠন। ডেঙ্গু রোগী বেড়ে যাওয়ায় সদর হাসপাতালে ছয়জন নতুন চিকিৎসক যোগ দিয়েছেন বলেও জানান সিভিল সার্জন। ডেঙ্গুর এই বাড়বাড়ন্তের মধ্যেও ডাবের খোসাসহ পানি ধরে রাখতে পারে এমন নানা কন্টেইনার যত্রতত্র হাসপাতালের পাশেই ফেলছে মানুষজন। শহরের অন্যত্রও ময়লা-আবর্জনার কমতি নেই।

সঠিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে অপরিহার্য। কিন্তু পৌরসভাসহ নানা স্থানীয় সরকারি প্রতিষ্ঠান এখন জন প্রতিনিধিশূন্য। বরগুনা পৌরসভায় ২ জন চিকিৎসকের পদ থাকলেও পদ ২টি শূন্য। মাত্র ৬ জন কর্মচারী শতাধিক পচিচ্ছন্নতা কর্মী ৯টি ওয়ার্ডে কাজ করে। সুতরাং এ পরিস্থিতির সংকট আরও বাড়াতে পারে বলে মনে করেন বরগুনার নাগরিক অধিকার সংরক্ষণ কমিটির সম্পাদক মনির হোসেন কামাল।

তিনি বলেন, এখন বরগুনা জেলা, বিশেষ করে পৌর শহর ডেঙ্গুর হটস্পট। ঘরে ঘরে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। রোগটি গ্রামাঞ্চলেও ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়েছে। শহরসহ বিভিন্ন স্থানে মশা বাড়ছে। বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। এসব আক্রান্ত ব্যক্তির ভিড় জমছে হাসপাতালে। তাদের সামাল দিতে হিমশিম অবস্থা চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের।

back to top