alt

সারাদেশ

দশমিনায় ঐতিহ্যবাহী আমির উল্লাহ মসজিদটি সংস্কারের পর দৃষ্টি কাড়ছে

প্রতিনিধি, দশমিনা (পটুয়াখালী) : শনিবার, ২১ জুন ২০২৫

পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার বহরমপুর ইউনিয়নের দক্ষিন আদমপুর গ্রামে অযত্ন ও অবহেলায় পড়ে থাকা প্রাচীন ঐতিহ্যের আমির উল্লাহ মুন্সী জামে মসজিদটি অবশেষে সংস্কার করা হয়েছে। চোখ ধাঁধানো স্থাপত্য ও পুরাকীর্তির শৈল্পিক নিদর্শনের পুরাতন এই মসজিদটি সংস্কার করার পর আলোকিত হয়ে উঠেছে। মুঘল শাসনামলে প্রতিষ্ঠিত এক গম্বুজ ও ৪ মিনার বিশিষ্ট দৃষ্টিনন্দন ৫শ বছর পেরিয়ে গেলেও এখনও টিকে আছে যা দেখে দর্শনার্থীদের বিম্ময়ের শেষ নেই। এই রকম একটি পুরাকীর্তির নিদর্শনের মসজিদ থাকলেও তার প্রচার না থাকায় কোন দিন খবর পাওয়া যায়নি। উপজেলার দক্ষিণ আদমপুর গ্রামের মুন্সি আমির উল্লাহ জামে মসজিদটি প্রাচীন পুরাকৃতির অপুর্ব নিদর্শন। প্রাচীন এই মুসলিম স্থাপত্যের চোখ ধাঁধানো স্থাপত্য ও পুরাকীর্তির শৈল্পিক নিদর্শনটি ৫শ বছর আগে নির্মাণ করা হয়ে ছিল বলে ধারণা করা হয়। তবে এলাকার অনেকেই এই মসজিদটি ৫শ বছরের বেশি পুরাতন বলে মনে করছে। মসজিদটিতে ১২টি পিলার বিশিষ্ট প্রায় ৫০ ফুট উচ্চতায় বিকেল গোল আকৃতির একটি গম্বুজ রয়েছে। এ ছাড়া মসজিদটির চারকোনে দৃষ্টিনন্দন ৪টি মাঝারি মিনার আছে। প্রতিটি দেয়াল প্রায় ৫ ফুট চওড়া হওয়ায় বাইরের পাশ দিয়ে এটি উত্তর-দক্ষিণে সাড়ে ২৫ ফুট দৈর্ঘ্য ও পূর্ব-পশ্চিমে ২৫ ফুট প্রস্থ রয়েছে।

সরেজমিন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বহরমপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ আদমপুর গ্রামের ঐতিহ্যবাহী মুন্সি বাড়িতে মুন্সি আমির উল্লাহ এই মসজিদটি নির্মাণ করেছিলেন। ৫শ বছরের পুরনো মুসলিম ঐতিহ্যের প্রাচীন ও অন্যতম নিদর্শন এক গম্বুজ বিশিষ্ট মসজিদটি মুন্সি আমির উল্লাহ জামে মসজিদ নামে পরিচিত। মসজিদটি প্রাচীন পুরাকৃতি এবং প্রত্বতত্ত্ব স্থাপত্য শিল্পের এক অপরূপ সৌন্দর্যের দৃষ্টান্ত হয়ে মাথা উঁচু করে স্বগৌরবে দাঁড়িয়ে রয়েছে। মুন্সি আমির উল্লাহর সপ্তম বংশধরদের আর্থিক দৈন্যতার কারণে রক্ষণাবেক্ষণ করা সম্ভব হচ্ছিল না। ফলে মসজিদের সৌন্দর্য ও জৌলুস দিন দিন কালের গর্ভে হারিয়ে যেতে বসে ছিল। চুন-সুরকী দিয়ে নির্মিত মসজিদটির মূল ভবন চারপাশে ২০০ বর্গফুট বিশিষ্ট এবং উচ্চতা প্রায় ৫০ ফুট। এক গম্বুজ বিশিষ্ট একতলা মসজিদের ভিতরে ২৫ থেকে ৩০ জন মুসল্লি নামাজ পড়তে পারেন। মসজিদের ভেতরে বাইরে সমস্ত পলেস্তার ফেটে ভেঙে ইট বের হয়ে ছিল। পরিচর্যা ও রক্ষণাবেক্ষণ না করায় মসজিদের বাহিরের আস্তর নষ্ট হয়ে অধিকাংশ জায়গা থেকে খসে পড়ছিল। বৃষ্টির পানিতে দেয়ালে শেওলা জমে বিবর্ন হয়ে মসজিদের সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে ছিল। মসজিদটির পাশেই ৫শ বছরের পুরানো একটি দিঘি রয়েছে। এলাকাবাসী মনে করেন প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর উদ্যোগ নিলে এটি হতে পারে একটি দর্শনীয় স্থান। মুন্সী আমির উল্লাহর সপ্তম বংশধর শাহ আলম মুন্সি (৮২) জানান, অনেকবার প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন সংস্থার কর্তা ব্যক্তিরা মসজিদটি পরিদর্শন করেছেন। কিন্তু কেউই এটি সংস্কার বা রক্ষনাবেক্ষনের দায়িত্ব নেয়নি। স্থানীয় পর্যায়ে মসজিদটি সংস্কার করা হয়। মসজিদটি পরিদর্শন শেষে সাবেক গণমাধ্যমকর্মী ও দশমিনা প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য নেছার উদ্দিন আহমেদ বলেন, মসজিদটির চোখ ধাঁধানো স্থাপত্য ও পুরাকীর্তির শৈল্পিক নিদর্শন দেখার মত। এই অজপাড়া গ্রামে এই ধরনের নান্দনিক মসজিদ নির্মাণ করা বেশ আশ্চর্যজনক। মসজিদটিকে অবশ্যই সংরক্ষন করা প্রয়োজন।

দেশের ইতিহাস ঐতিহ্যর অংশ হিসেবে এই মসজিদটি পরবর্তী প্রজন্মের জন্য সরকার এবং প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের উদ্যোগে সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব নেয়া প্রয়োজন বলে উপজেলাবাসী মনে করছে।

সিলেটে জুলাই যোদ্ধাকে নির্যাতন: এসআই জসিম বরখাস্ত, তদন্ত কমিটি গঠন

ছবি

গরু ল্যাম্পিংস্কিন ডিজিজে আক্রান্ত, আতঙ্কে খামারিরা

ছবি

বাগাতিপাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভালো সেবা পেয়ে খুশি এলাকাবাসী

জাল জন্ম নিবন্ধনে বাল্যবিয়ে, কনের মা ও কাজীকে জরিমানা

বিকটশব্দে আতঙ্ক সৃষ্টি করে মোটর বাইক চালাচ্ছে যুবকরা

‘বিএনপি সম্প্রদায়িকতায় বিশ্বাস করে না’

পাথরঘাটায় ৪০ মণ ঝাটকা জব্দ

রাজশাহীতে ধর্ষণকারী আটক

ভালুকায় মানব কঙ্কালসহ আটক ১

চুয়াডাঙ্গায় পিস্তলসহ যুবদল নেতা গ্রেপ্তার

জামালপুরে চাঁদাবাজির টাকাসহ স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আটক

চকরিয়ায় সাবেক এমপির মুক্তির দাবিতে মিছিল, গ্রেপ্তার ৪

সুনামগঞ্জে বিএনপির কর্মিসভা অনুষ্ঠিত

চাঁদপুরে গরুর দুধ সংকটে ব্যাহত মিষ্টিজাত খাবার উৎপাদন

ছবি

আকস্মিক বন্যায় চলনবিলে ভাসছে কৃষকের বোরো ধান

ছবি

সরিষাবাড়ীতে শেয়ালের আক্রমণে আহত ৭

ছবি

ছাতকে পাল্প অ্যান্ড পেপার মিলস উচ্চ বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণে জটিলতা

সোনাইমুড়ীতে বৃদ্ধাকে জবাই করে হত্যা

ঘুমধুম সীমান্তে লক্ষাধিক ইয়াবাসহ রোহিঙ্গা আটক

সাদুল্লাপুরে মামলা করে উদ্বিগ্ন বাদীর পরিবার

সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ সন্ত্রাসীদের হামলায় মামলা হলেও পুলিশ আসামি ধরছে না

বেওয়ারিশ কুকুরের উৎপাত বেড়েছে

মোচিকের স্বার্থবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে ৫ শ্রমিকের বিরুদ্ধে তদন্ত

ফুলপুর-তারাকান্দায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১১

ছবি

গাইবান্ধায় তিনটি সেতুর অভাবে ৫০ গ্রামের মানুষের দুর্ভোগ

কেন্দ্রীয় আ’লীগ নেতার বাড়িতে কাফনের কাপড় পাঠিয়ে হত্যার হুমকি

মাদ্রাসার শৌচাগারে ছাত্রের আত্মহত্যা

জাতীয় ফল মেলা উদ্যাপনে ফাঁকিবাজি

ছবি

সিরাজগঞ্জে বর্ষার আগমনে নৌকা তৈরির ধুম

ছবি

ঘোড়াশালে আনারসের বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি

কুষ্টিয়ার সড়কে দেড় মাসে নিহত ৯, শতাধিক আহত

গুরুদাসপুরে ৬ ডাকাত আটক

ছবি

কুলাউড়ায় প্রতিবন্ধী শিশুর পাশে উপজেলা প্রশাসন

‘ড. ইউনূস-তারেক বৈঠকের পর কুৎসা রটাচ্ছে ভারত’

ছবি

ডিপি ওয়ার্ল্ডকে ইজারা—প্রশ্ন তোলা যাবে না, এমন দেশ গড়ার জন্য মানুষ জীবন দেয়নি

ছবি

ঘুমধুম সীমান্তে বিজিবির অভিযানে লক্ষাধিক ইয়াবাসহ এক রোহিঙ্গা আটক

tab

সারাদেশ

দশমিনায় ঐতিহ্যবাহী আমির উল্লাহ মসজিদটি সংস্কারের পর দৃষ্টি কাড়ছে

প্রতিনিধি, দশমিনা (পটুয়াখালী)

শনিবার, ২১ জুন ২০২৫

পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার বহরমপুর ইউনিয়নের দক্ষিন আদমপুর গ্রামে অযত্ন ও অবহেলায় পড়ে থাকা প্রাচীন ঐতিহ্যের আমির উল্লাহ মুন্সী জামে মসজিদটি অবশেষে সংস্কার করা হয়েছে। চোখ ধাঁধানো স্থাপত্য ও পুরাকীর্তির শৈল্পিক নিদর্শনের পুরাতন এই মসজিদটি সংস্কার করার পর আলোকিত হয়ে উঠেছে। মুঘল শাসনামলে প্রতিষ্ঠিত এক গম্বুজ ও ৪ মিনার বিশিষ্ট দৃষ্টিনন্দন ৫শ বছর পেরিয়ে গেলেও এখনও টিকে আছে যা দেখে দর্শনার্থীদের বিম্ময়ের শেষ নেই। এই রকম একটি পুরাকীর্তির নিদর্শনের মসজিদ থাকলেও তার প্রচার না থাকায় কোন দিন খবর পাওয়া যায়নি। উপজেলার দক্ষিণ আদমপুর গ্রামের মুন্সি আমির উল্লাহ জামে মসজিদটি প্রাচীন পুরাকৃতির অপুর্ব নিদর্শন। প্রাচীন এই মুসলিম স্থাপত্যের চোখ ধাঁধানো স্থাপত্য ও পুরাকীর্তির শৈল্পিক নিদর্শনটি ৫শ বছর আগে নির্মাণ করা হয়ে ছিল বলে ধারণা করা হয়। তবে এলাকার অনেকেই এই মসজিদটি ৫শ বছরের বেশি পুরাতন বলে মনে করছে। মসজিদটিতে ১২টি পিলার বিশিষ্ট প্রায় ৫০ ফুট উচ্চতায় বিকেল গোল আকৃতির একটি গম্বুজ রয়েছে। এ ছাড়া মসজিদটির চারকোনে দৃষ্টিনন্দন ৪টি মাঝারি মিনার আছে। প্রতিটি দেয়াল প্রায় ৫ ফুট চওড়া হওয়ায় বাইরের পাশ দিয়ে এটি উত্তর-দক্ষিণে সাড়ে ২৫ ফুট দৈর্ঘ্য ও পূর্ব-পশ্চিমে ২৫ ফুট প্রস্থ রয়েছে।

সরেজমিন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বহরমপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ আদমপুর গ্রামের ঐতিহ্যবাহী মুন্সি বাড়িতে মুন্সি আমির উল্লাহ এই মসজিদটি নির্মাণ করেছিলেন। ৫শ বছরের পুরনো মুসলিম ঐতিহ্যের প্রাচীন ও অন্যতম নিদর্শন এক গম্বুজ বিশিষ্ট মসজিদটি মুন্সি আমির উল্লাহ জামে মসজিদ নামে পরিচিত। মসজিদটি প্রাচীন পুরাকৃতি এবং প্রত্বতত্ত্ব স্থাপত্য শিল্পের এক অপরূপ সৌন্দর্যের দৃষ্টান্ত হয়ে মাথা উঁচু করে স্বগৌরবে দাঁড়িয়ে রয়েছে। মুন্সি আমির উল্লাহর সপ্তম বংশধরদের আর্থিক দৈন্যতার কারণে রক্ষণাবেক্ষণ করা সম্ভব হচ্ছিল না। ফলে মসজিদের সৌন্দর্য ও জৌলুস দিন দিন কালের গর্ভে হারিয়ে যেতে বসে ছিল। চুন-সুরকী দিয়ে নির্মিত মসজিদটির মূল ভবন চারপাশে ২০০ বর্গফুট বিশিষ্ট এবং উচ্চতা প্রায় ৫০ ফুট। এক গম্বুজ বিশিষ্ট একতলা মসজিদের ভিতরে ২৫ থেকে ৩০ জন মুসল্লি নামাজ পড়তে পারেন। মসজিদের ভেতরে বাইরে সমস্ত পলেস্তার ফেটে ভেঙে ইট বের হয়ে ছিল। পরিচর্যা ও রক্ষণাবেক্ষণ না করায় মসজিদের বাহিরের আস্তর নষ্ট হয়ে অধিকাংশ জায়গা থেকে খসে পড়ছিল। বৃষ্টির পানিতে দেয়ালে শেওলা জমে বিবর্ন হয়ে মসজিদের সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে ছিল। মসজিদটির পাশেই ৫শ বছরের পুরানো একটি দিঘি রয়েছে। এলাকাবাসী মনে করেন প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর উদ্যোগ নিলে এটি হতে পারে একটি দর্শনীয় স্থান। মুন্সী আমির উল্লাহর সপ্তম বংশধর শাহ আলম মুন্সি (৮২) জানান, অনেকবার প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন সংস্থার কর্তা ব্যক্তিরা মসজিদটি পরিদর্শন করেছেন। কিন্তু কেউই এটি সংস্কার বা রক্ষনাবেক্ষনের দায়িত্ব নেয়নি। স্থানীয় পর্যায়ে মসজিদটি সংস্কার করা হয়। মসজিদটি পরিদর্শন শেষে সাবেক গণমাধ্যমকর্মী ও দশমিনা প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য নেছার উদ্দিন আহমেদ বলেন, মসজিদটির চোখ ধাঁধানো স্থাপত্য ও পুরাকীর্তির শৈল্পিক নিদর্শন দেখার মত। এই অজপাড়া গ্রামে এই ধরনের নান্দনিক মসজিদ নির্মাণ করা বেশ আশ্চর্যজনক। মসজিদটিকে অবশ্যই সংরক্ষন করা প্রয়োজন।

দেশের ইতিহাস ঐতিহ্যর অংশ হিসেবে এই মসজিদটি পরবর্তী প্রজন্মের জন্য সরকার এবং প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের উদ্যোগে সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব নেয়া প্রয়োজন বলে উপজেলাবাসী মনে করছে।

back to top