সিরাজগঞ্জ : নৌকা তৈরিতে ব্যস্ত যমুনা পারের কারিগর -সংবাদ
বর্ষার আগমনে সিরাজগঞ্জে যমুনা নদী ও চলনবিলে পানি আসতে শুরু করছে। ফলে নদী ও বিল এলাকার মানুষ বন্যা মোকাবিলায় নতুন নৌকা তৈরি ও পুরোনো নৌকা মেরামতের কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। জেলার যমুনা তীরবর্তী পাঁচটি উপজেলা কাজীপুর, বেলকুচি, চৌহালি, শাহজাদপুর ও সিরাজগঞ্জ সদরসহ চলনবিলের অধিকাংশ এলাকাই বন্যাপ্রবণ।
ফলে বর্ষা মৌসুমে তলিয়ে যায় এসব এলাকার অধিকাংশ রাস্তাঘাট। এ সময় এই সব এলাকায় চলাচলের একমাত্র মাধ্যম হয় নৌকা। এ সময় নদী ও চলনবিলের মানুষ নৌকা দিয়ে একস্থান থেকে অন্য স্থানে যাতায়াত করে থাকেন। তাছাড়া যমুনা ও চলনবিলে মাছ শিকারের জন্য ছোট ছোট ডিঙি নৌকা ব্যবহার হয়ে থাকে। তাই বর্ষা মৌসুম আসার আগে থেকেই নৌকা তৈরি ও মেরামতের হিড়িক পড়েছে। তাড়াশের নওগাঁ হাটের নৌকা বিক্রেতা আব্দুস ছালাম বলেন, বিভিন্ন কারখানায় তৈরি করা নৌকা কিনে এনে হাটে হাটে বিক্রি করি। বন্যার সময় চলনবিলে নৌকার চাহিদা প্রচুর।
নৌকা ক্রেতা তাড়াশের কুসুম্বি গ্রামের আবু সাইদ জানান, বন্যায় নিচু সড়ক ডুবে যায় তাই পরিবারের সদস্যদের পারাপার করার জন্য ছোট নৌকা ৩ হাজার ৫শ টাকা দিয়ে কিনেছেন। যমুনা নদী তীরবর্তী দোরতা চরের জেলে শহর আলী বর্ষা মৌসুমে নদীতে মাছ শিকারের জন্য ১২ হাত লম্বা একটি নতুন নৌকা তৈরি করছেন প্রায় ১২ হাজার টাকা খরচ করে। তিনি এক কাঠ মিস্ত্রিকে আড়াই হাজার টাকা চুক্তিতে নৌকাটি তৈরি করে দেন। সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার দোরতা চরের হাফিজ উদ্দিন জানান প্রতি বছরই যমুনা তে পানি আসার আগেই নতুন নৌকা তৈরি ও পুরাতন নৌকা মেরামত করা হয়। তিনি জানান নতুন একটি (৪০) হাত নৌকা তৈরি করতে দেড় দুই লাখ টাকা খরচ হয়। একটি নৌকা তৈরি করতে সময়ও লাগে প্রায় দুই মাস। তাই আগে থেকে নৌকা তৈরি না করলে বর্ষা আসলে বিপাকে পরতে হয়। যে কারণে নদী পারের মানুষেরা বর্ষার শুরুতেই নৌকা তৈরি করে।
কাজিপুর উপজেলার মেঘাই এলাকার নৌকা তৈরির মিস্ত্রী নারায়ন সূত্রধর জানান একটা বড় নৌকা তৈরি করতে আমাদের দেড় থেকে দুই মাস পর্যন্ত সময় লাগে। আমরা দৈনিক ৮শ থেকে ১ হাজার টাকা হাজিরায় কাজ করি। প্রতি বছর ৩-৪টি বড় নৌকা তৈরি করি এ ছাড়া ছোট ও ডিঙ্গি নৌকা তৈরি ও বিক্রী করি।
সিরাজগঞ্জ : নৌকা তৈরিতে ব্যস্ত যমুনা পারের কারিগর -সংবাদ
শনিবার, ২১ জুন ২০২৫
বর্ষার আগমনে সিরাজগঞ্জে যমুনা নদী ও চলনবিলে পানি আসতে শুরু করছে। ফলে নদী ও বিল এলাকার মানুষ বন্যা মোকাবিলায় নতুন নৌকা তৈরি ও পুরোনো নৌকা মেরামতের কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। জেলার যমুনা তীরবর্তী পাঁচটি উপজেলা কাজীপুর, বেলকুচি, চৌহালি, শাহজাদপুর ও সিরাজগঞ্জ সদরসহ চলনবিলের অধিকাংশ এলাকাই বন্যাপ্রবণ।
ফলে বর্ষা মৌসুমে তলিয়ে যায় এসব এলাকার অধিকাংশ রাস্তাঘাট। এ সময় এই সব এলাকায় চলাচলের একমাত্র মাধ্যম হয় নৌকা। এ সময় নদী ও চলনবিলের মানুষ নৌকা দিয়ে একস্থান থেকে অন্য স্থানে যাতায়াত করে থাকেন। তাছাড়া যমুনা ও চলনবিলে মাছ শিকারের জন্য ছোট ছোট ডিঙি নৌকা ব্যবহার হয়ে থাকে। তাই বর্ষা মৌসুম আসার আগে থেকেই নৌকা তৈরি ও মেরামতের হিড়িক পড়েছে। তাড়াশের নওগাঁ হাটের নৌকা বিক্রেতা আব্দুস ছালাম বলেন, বিভিন্ন কারখানায় তৈরি করা নৌকা কিনে এনে হাটে হাটে বিক্রি করি। বন্যার সময় চলনবিলে নৌকার চাহিদা প্রচুর।
নৌকা ক্রেতা তাড়াশের কুসুম্বি গ্রামের আবু সাইদ জানান, বন্যায় নিচু সড়ক ডুবে যায় তাই পরিবারের সদস্যদের পারাপার করার জন্য ছোট নৌকা ৩ হাজার ৫শ টাকা দিয়ে কিনেছেন। যমুনা নদী তীরবর্তী দোরতা চরের জেলে শহর আলী বর্ষা মৌসুমে নদীতে মাছ শিকারের জন্য ১২ হাত লম্বা একটি নতুন নৌকা তৈরি করছেন প্রায় ১২ হাজার টাকা খরচ করে। তিনি এক কাঠ মিস্ত্রিকে আড়াই হাজার টাকা চুক্তিতে নৌকাটি তৈরি করে দেন। সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার দোরতা চরের হাফিজ উদ্দিন জানান প্রতি বছরই যমুনা তে পানি আসার আগেই নতুন নৌকা তৈরি ও পুরাতন নৌকা মেরামত করা হয়। তিনি জানান নতুন একটি (৪০) হাত নৌকা তৈরি করতে দেড় দুই লাখ টাকা খরচ হয়। একটি নৌকা তৈরি করতে সময়ও লাগে প্রায় দুই মাস। তাই আগে থেকে নৌকা তৈরি না করলে বর্ষা আসলে বিপাকে পরতে হয়। যে কারণে নদী পারের মানুষেরা বর্ষার শুরুতেই নৌকা তৈরি করে।
কাজিপুর উপজেলার মেঘাই এলাকার নৌকা তৈরির মিস্ত্রী নারায়ন সূত্রধর জানান একটা বড় নৌকা তৈরি করতে আমাদের দেড় থেকে দুই মাস পর্যন্ত সময় লাগে। আমরা দৈনিক ৮শ থেকে ১ হাজার টাকা হাজিরায় কাজ করি। প্রতি বছর ৩-৪টি বড় নৌকা তৈরি করি এ ছাড়া ছোট ও ডিঙ্গি নৌকা তৈরি ও বিক্রী করি।