স্বামী-স্ত্রীকে হত্যার চেষ্টা
গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার সেলিনা বেগম (৩৭) নামের এক নারীসহ তার স্বামী ও দেবরকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টার অভিযোগ ওঠেছে। এ ঘটনায় মামলা দায়ের পর থেকে আসামিদের প্রাণনাশের হুমকিতে বাদী সেলিনা বেগমের পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে বলে জানা গেছে।
শনিবার দুপুরে উপজেলার ধাপেরহাট ইউনিয়নের বড় ছত্রগাছা গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে- বাদী পরিবারের সদস্যরা চরম উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় আছেন। এ সময় তারা বলছেন, আসামিদের অব্যাহত হুমকির ভয়ে নির্ঘুম রাত কাটছে। আবার কখনো কখনও ঘরছাড়া হয়ে দিনরাত যাচ্ছে তাদের।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ২২ এপ্রিল বিকেলের দিকে বড় ছত্রগাছা গ্রামের মাসুদ মিয়ার স্ত্রী সেলিনা বেগম তার ছাগলকে ঘাস খাওনোর জন্য বাড়ির পাশের একটি বাঁশঝাড়ে যান। এরই মধ্যে একই গ্রামের বাদশা আকন্দের ছেলে আসাদুল আকন্দ ও তার অন্যান্য ভাইয়েরা সামাজিক বিভিন্ন বিষয়ে নিয়ে সেলিনার সঙ্গে উত্তেজিত হয়ে ওঠেন। একপর্যায়ে সেলিনার বাড়িতে গিয়ে আসাদুল আকন্দ দলবদ্ধ হয়ে মাসুদ মিয়াকে পিটিয়ে ছুরিকাঘাত করেন। তাকে বাঁচাতে তার ভাই মান্না মিয়া ও স্ত্রী সেলিনা বেগম এগিয়ে আসলে তাদেরও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত করা হয়। একইসঙ্গে সেলিনাকে শ্লীলতাহানী করাসহ তার গলার একটি স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে যায়। আসাদুল গংদের এই হামলায় আহত মাসুদ মিয়া ও মান্না মিয়াকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা করানো হয়েছে।
এসব তথ্য নিশ্চিত করে ভুক্তভোগী সেলিনা বেগম বলেন, আমাদের হত্যার উদ্দেশ্যে আসাদুল গংরা লাঠি দিয়ে পেটানোর পর ছুরিকাঘাত করেছে। এ ঘটনায় গত ১৬ মে থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।
এরপর থেকে আসামিরা মামলা তুলে নেওয়ার জন্য আমাদের প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে চলেছে। এখন আমরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছি। এ ব্যাপারে সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।
এ বিষয়ে প্রতিপক্ষ আসাদুল ইসলামদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা তাদের পাওয়া যায়নি। সাদুল্লাপুর থানার ওসি তাজউদ্দিন খন্দকার বলেন, হত্যার চেষ্টার অভিযোগ এনে সেলিনা বেগম নামের এক নারী মামলা করেছেন। তাদের হুমকির বিষয়টি আমার জানা নেই।
স্বামী-স্ত্রীকে হত্যার চেষ্টা
শনিবার, ২১ জুন ২০২৫
গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার সেলিনা বেগম (৩৭) নামের এক নারীসহ তার স্বামী ও দেবরকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টার অভিযোগ ওঠেছে। এ ঘটনায় মামলা দায়ের পর থেকে আসামিদের প্রাণনাশের হুমকিতে বাদী সেলিনা বেগমের পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে বলে জানা গেছে।
শনিবার দুপুরে উপজেলার ধাপেরহাট ইউনিয়নের বড় ছত্রগাছা গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে- বাদী পরিবারের সদস্যরা চরম উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় আছেন। এ সময় তারা বলছেন, আসামিদের অব্যাহত হুমকির ভয়ে নির্ঘুম রাত কাটছে। আবার কখনো কখনও ঘরছাড়া হয়ে দিনরাত যাচ্ছে তাদের।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ২২ এপ্রিল বিকেলের দিকে বড় ছত্রগাছা গ্রামের মাসুদ মিয়ার স্ত্রী সেলিনা বেগম তার ছাগলকে ঘাস খাওনোর জন্য বাড়ির পাশের একটি বাঁশঝাড়ে যান। এরই মধ্যে একই গ্রামের বাদশা আকন্দের ছেলে আসাদুল আকন্দ ও তার অন্যান্য ভাইয়েরা সামাজিক বিভিন্ন বিষয়ে নিয়ে সেলিনার সঙ্গে উত্তেজিত হয়ে ওঠেন। একপর্যায়ে সেলিনার বাড়িতে গিয়ে আসাদুল আকন্দ দলবদ্ধ হয়ে মাসুদ মিয়াকে পিটিয়ে ছুরিকাঘাত করেন। তাকে বাঁচাতে তার ভাই মান্না মিয়া ও স্ত্রী সেলিনা বেগম এগিয়ে আসলে তাদেরও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত করা হয়। একইসঙ্গে সেলিনাকে শ্লীলতাহানী করাসহ তার গলার একটি স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে যায়। আসাদুল গংদের এই হামলায় আহত মাসুদ মিয়া ও মান্না মিয়াকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা করানো হয়েছে।
এসব তথ্য নিশ্চিত করে ভুক্তভোগী সেলিনা বেগম বলেন, আমাদের হত্যার উদ্দেশ্যে আসাদুল গংরা লাঠি দিয়ে পেটানোর পর ছুরিকাঘাত করেছে। এ ঘটনায় গত ১৬ মে থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।
এরপর থেকে আসামিরা মামলা তুলে নেওয়ার জন্য আমাদের প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে চলেছে। এখন আমরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছি। এ ব্যাপারে সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।
এ বিষয়ে প্রতিপক্ষ আসাদুল ইসলামদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা তাদের পাওয়া যায়নি। সাদুল্লাপুর থানার ওসি তাজউদ্দিন খন্দকার বলেন, হত্যার চেষ্টার অভিযোগ এনে সেলিনা বেগম নামের এক নারী মামলা করেছেন। তাদের হুমকির বিষয়টি আমার জানা নেই।