রায়গঞ্জ (সিরাজগঞ্জ) : বোরো ধান কেটে ভেলায় ভাসিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন কৃষক -সংবাদ
চলনবিলের মাগুড়া বিনোদ এলাকার আজগর আলী। তিনি ৭ বিঘা জমিতে ব্রি-২৯ জাতের বোরো ধানের চাষাবাদ করে ছিলেন। কিন্তু মাত্র কয়েক দিনের ভারি বর্ষণ, উজান থেকে নেমে আসা ঢলের পানিতে তার জমির ধান ডুবে যাচ্ছে। এতে তার পরিবারের বার্ষিক খোরাকির ধান মিলবে না বলে তার ভাষ্য। অপরদিকে কোমর সমান পানিতে উচ্চ মূল্যের পারিশ্রমিক দিয়ে দিনমজুরিরা কিছু ধান কেটে পলিথিনের নৌকা বানিয়ে নিকটবর্তী পাকা রাস্তায় ধান তুললেও অধিকাংশই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আবার অনেক চাষী শ্রমিক না পেয়ে ধান কাটতেও পারছেন না। তবে আগাম জাতের বরো ধান আবাদকারী চাষীরা আকস্মিক বন্যার ১০/১৫ দিন আগেই ধান কেটে শেষ করেছেন।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, কয়েক দিনের আকস্মিক বন্যায় চলনবিলের খাদ্যশস্য ভা-ার খ্যাত সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ, তাড়াশ, শাহজাদপুর, উল্লাপাড়া, পাবনার চাটমোহর, ভাঙ্গুড়া, নাটোরের সিংড়া ও গুরুদাসপুর উপজেলার নিচু জমির বোরো ধান ডুবছে। সরিষার আবাদের পর বোরো আবাদ করা বিলের কৃষকদের হাজার হাজার বিঘা জমির পাকা ও আধা পাকা বোরো ধান কোথাও তলিয়ে গেছে, কোথাও হাবুডুবু খাচ্ছে। মিলছে না ধান কাটার প্রয়োজন মাফিক কৃষি শ্রমিক। পানি অধিক হওয়ায় হারভেস্টারও কাজে লাগানো যাচ্ছে না। এতে নাবি জাতের ধানের আবাদ করা কৃষকের মুখের ভাত নষ্ট হওয়ায় তাদের মাঝে চরম হতাশা বিরাজ করছে।
তাড়াশের ঘরগ্রাম এলাকার কৃষক ইসমাইল হোসেন বলেন, তাড়াশ উপজেলার সদর, সগুনা, মাগুড়া বিনোদ ও নওগাঁ ইউনিয়নের অন্তত ২০ থেকে ২৫ টি গ্রামের পাকা বোরো ধানের জমিতে এখন হাঁটু পানি। কোথাও কোথাও কোমর পানি। তারা ধান কাটার জন্য শ্রমিক ও হারভেস্টার হন্যে হয়ে খুঁজছেন। নওগাঁ এলাকার কৃষক বাবুল হোসেন জানান, চলনবিলের ৮ টি উপজেলা এলাকার আবাদ করা সব কৃষকের একই অবস্থা। কেননা, ধান পাকতে দেরি হওয়ায় এবং জৈষ্ঠ্য মাসেই আকস্মিক বন্যার কবলে পড়ায় কৃষকরা কষ্টার্জিত বোরো ধান ঘরে তুলতে পারছেন না।
গুরুদাসপুর এলাকার শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম জানান, বর্তমানে পানিতে জমির ধানের শীষ জেগে আছে এমন জমির ধান কাটতে বিঘা প্রতি ৯ হাজার থেকে ১০ হাজার, হারভেস্টারে প্রতি বিঘা ৫ হাজার থেকে ৫ হাজার ৫ শত এবং দিন হাজিরা প্রতি শ্রমিক ১ হাজার ৫ শত থেকে ১১ শত টাকা পারিশ্রমিক নিচ্ছেন। পাশাপাশি চলমান এ দুর্যোগ মুহূর্তে যে পরিমাণ কৃষিশ্রমিক ও হারভেস্টারের প্রয়োজন তা মিলছে না।
রায়গঞ্জ (সিরাজগঞ্জ) : বোরো ধান কেটে ভেলায় ভাসিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন কৃষক -সংবাদ
শনিবার, ২১ জুন ২০২৫
চলনবিলের মাগুড়া বিনোদ এলাকার আজগর আলী। তিনি ৭ বিঘা জমিতে ব্রি-২৯ জাতের বোরো ধানের চাষাবাদ করে ছিলেন। কিন্তু মাত্র কয়েক দিনের ভারি বর্ষণ, উজান থেকে নেমে আসা ঢলের পানিতে তার জমির ধান ডুবে যাচ্ছে। এতে তার পরিবারের বার্ষিক খোরাকির ধান মিলবে না বলে তার ভাষ্য। অপরদিকে কোমর সমান পানিতে উচ্চ মূল্যের পারিশ্রমিক দিয়ে দিনমজুরিরা কিছু ধান কেটে পলিথিনের নৌকা বানিয়ে নিকটবর্তী পাকা রাস্তায় ধান তুললেও অধিকাংশই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আবার অনেক চাষী শ্রমিক না পেয়ে ধান কাটতেও পারছেন না। তবে আগাম জাতের বরো ধান আবাদকারী চাষীরা আকস্মিক বন্যার ১০/১৫ দিন আগেই ধান কেটে শেষ করেছেন।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, কয়েক দিনের আকস্মিক বন্যায় চলনবিলের খাদ্যশস্য ভা-ার খ্যাত সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ, তাড়াশ, শাহজাদপুর, উল্লাপাড়া, পাবনার চাটমোহর, ভাঙ্গুড়া, নাটোরের সিংড়া ও গুরুদাসপুর উপজেলার নিচু জমির বোরো ধান ডুবছে। সরিষার আবাদের পর বোরো আবাদ করা বিলের কৃষকদের হাজার হাজার বিঘা জমির পাকা ও আধা পাকা বোরো ধান কোথাও তলিয়ে গেছে, কোথাও হাবুডুবু খাচ্ছে। মিলছে না ধান কাটার প্রয়োজন মাফিক কৃষি শ্রমিক। পানি অধিক হওয়ায় হারভেস্টারও কাজে লাগানো যাচ্ছে না। এতে নাবি জাতের ধানের আবাদ করা কৃষকের মুখের ভাত নষ্ট হওয়ায় তাদের মাঝে চরম হতাশা বিরাজ করছে।
তাড়াশের ঘরগ্রাম এলাকার কৃষক ইসমাইল হোসেন বলেন, তাড়াশ উপজেলার সদর, সগুনা, মাগুড়া বিনোদ ও নওগাঁ ইউনিয়নের অন্তত ২০ থেকে ২৫ টি গ্রামের পাকা বোরো ধানের জমিতে এখন হাঁটু পানি। কোথাও কোথাও কোমর পানি। তারা ধান কাটার জন্য শ্রমিক ও হারভেস্টার হন্যে হয়ে খুঁজছেন। নওগাঁ এলাকার কৃষক বাবুল হোসেন জানান, চলনবিলের ৮ টি উপজেলা এলাকার আবাদ করা সব কৃষকের একই অবস্থা। কেননা, ধান পাকতে দেরি হওয়ায় এবং জৈষ্ঠ্য মাসেই আকস্মিক বন্যার কবলে পড়ায় কৃষকরা কষ্টার্জিত বোরো ধান ঘরে তুলতে পারছেন না।
গুরুদাসপুর এলাকার শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম জানান, বর্তমানে পানিতে জমির ধানের শীষ জেগে আছে এমন জমির ধান কাটতে বিঘা প্রতি ৯ হাজার থেকে ১০ হাজার, হারভেস্টারে প্রতি বিঘা ৫ হাজার থেকে ৫ হাজার ৫ শত এবং দিন হাজিরা প্রতি শ্রমিক ১ হাজার ৫ শত থেকে ১১ শত টাকা পারিশ্রমিক নিচ্ছেন। পাশাপাশি চলমান এ দুর্যোগ মুহূর্তে যে পরিমাণ কৃষিশ্রমিক ও হারভেস্টারের প্রয়োজন তা মিলছে না।