alt

সারাদেশ

আকস্মিক বন্যায় চলনবিলে ভাসছে কৃষকের বোরো ধান

প্রতিনিধি, রায়গঞ্জ (সিরাজগঞ্জ) : শনিবার, ২১ জুন ২০২৫

রায়গঞ্জ (সিরাজগঞ্জ) : বোরো ধান কেটে ভেলায় ভাসিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন কৃষক -সংবাদ

চলনবিলের মাগুড়া বিনোদ এলাকার আজগর আলী। তিনি ৭ বিঘা জমিতে ব্রি-২৯ জাতের বোরো ধানের চাষাবাদ করে ছিলেন। কিন্তু মাত্র কয়েক দিনের ভারি বর্ষণ, উজান থেকে নেমে আসা ঢলের পানিতে তার জমির ধান ডুবে যাচ্ছে। এতে তার পরিবারের বার্ষিক খোরাকির ধান মিলবে না বলে তার ভাষ্য। অপরদিকে কোমর সমান পানিতে উচ্চ মূল্যের পারিশ্রমিক দিয়ে দিনমজুরিরা কিছু ধান কেটে পলিথিনের নৌকা বানিয়ে নিকটবর্তী পাকা রাস্তায় ধান তুললেও অধিকাংশই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আবার অনেক চাষী শ্রমিক না পেয়ে ধান কাটতেও পারছেন না। তবে আগাম জাতের বরো ধান আবাদকারী চাষীরা আকস্মিক বন্যার ১০/১৫ দিন আগেই ধান কেটে শেষ করেছেন।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, কয়েক দিনের আকস্মিক বন্যায় চলনবিলের খাদ্যশস্য ভা-ার খ্যাত সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ, তাড়াশ, শাহজাদপুর, উল্লাপাড়া, পাবনার চাটমোহর, ভাঙ্গুড়া, নাটোরের সিংড়া ও গুরুদাসপুর উপজেলার নিচু জমির বোরো ধান ডুবছে। সরিষার আবাদের পর বোরো আবাদ করা বিলের কৃষকদের হাজার হাজার বিঘা জমির পাকা ও আধা পাকা বোরো ধান কোথাও তলিয়ে গেছে, কোথাও হাবুডুবু খাচ্ছে। মিলছে না ধান কাটার প্রয়োজন মাফিক কৃষি শ্রমিক। পানি অধিক হওয়ায় হারভেস্টারও কাজে লাগানো যাচ্ছে না। এতে নাবি জাতের ধানের আবাদ করা কৃষকের মুখের ভাত নষ্ট হওয়ায় তাদের মাঝে চরম হতাশা বিরাজ করছে।

তাড়াশের ঘরগ্রাম এলাকার কৃষক ইসমাইল হোসেন বলেন, তাড়াশ উপজেলার সদর, সগুনা, মাগুড়া বিনোদ ও নওগাঁ ইউনিয়নের অন্তত ২০ থেকে ২৫ টি গ্রামের পাকা বোরো ধানের জমিতে এখন হাঁটু পানি। কোথাও কোথাও কোমর পানি। তারা ধান কাটার জন্য শ্রমিক ও হারভেস্টার হন্যে হয়ে খুঁজছেন। নওগাঁ এলাকার কৃষক বাবুল হোসেন জানান, চলনবিলের ৮ টি উপজেলা এলাকার আবাদ করা সব কৃষকের একই অবস্থা। কেননা, ধান পাকতে দেরি হওয়ায় এবং জৈষ্ঠ্য মাসেই আকস্মিক বন্যার কবলে পড়ায় কৃষকরা কষ্টার্জিত বোরো ধান ঘরে তুলতে পারছেন না।

গুরুদাসপুর এলাকার শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম জানান, বর্তমানে পানিতে জমির ধানের শীষ জেগে আছে এমন জমির ধান কাটতে বিঘা প্রতি ৯ হাজার থেকে ১০ হাজার, হারভেস্টারে প্রতি বিঘা ৫ হাজার থেকে ৫ হাজার ৫ শত এবং দিন হাজিরা প্রতি শ্রমিক ১ হাজার ৫ শত থেকে ১১ শত টাকা পারিশ্রমিক নিচ্ছেন। পাশাপাশি চলমান এ দুর্যোগ মুহূর্তে যে পরিমাণ কৃষিশ্রমিক ও হারভেস্টারের প্রয়োজন তা মিলছে না।

সিলেটে জুলাই যোদ্ধাকে নির্যাতন: এসআই জসিম বরখাস্ত, তদন্ত কমিটি গঠন

ছবি

গরু ল্যাম্পিংস্কিন ডিজিজে আক্রান্ত, আতঙ্কে খামারিরা

ছবি

বাগাতিপাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভালো সেবা পেয়ে খুশি এলাকাবাসী

জাল জন্ম নিবন্ধনে বাল্যবিয়ে, কনের মা ও কাজীকে জরিমানা

বিকটশব্দে আতঙ্ক সৃষ্টি করে মোটর বাইক চালাচ্ছে যুবকরা

‘বিএনপি সম্প্রদায়িকতায় বিশ্বাস করে না’

পাথরঘাটায় ৪০ মণ ঝাটকা জব্দ

রাজশাহীতে ধর্ষণকারী আটক

ভালুকায় মানব কঙ্কালসহ আটক ১

চুয়াডাঙ্গায় পিস্তলসহ যুবদল নেতা গ্রেপ্তার

জামালপুরে চাঁদাবাজির টাকাসহ স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আটক

চকরিয়ায় সাবেক এমপির মুক্তির দাবিতে মিছিল, গ্রেপ্তার ৪

সুনামগঞ্জে বিএনপির কর্মিসভা অনুষ্ঠিত

চাঁদপুরে গরুর দুধ সংকটে ব্যাহত মিষ্টিজাত খাবার উৎপাদন

ছবি

সরিষাবাড়ীতে শেয়ালের আক্রমণে আহত ৭

ছবি

ছাতকে পাল্প অ্যান্ড পেপার মিলস উচ্চ বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণে জটিলতা

সোনাইমুড়ীতে বৃদ্ধাকে জবাই করে হত্যা

ঘুমধুম সীমান্তে লক্ষাধিক ইয়াবাসহ রোহিঙ্গা আটক

সাদুল্লাপুরে মামলা করে উদ্বিগ্ন বাদীর পরিবার

সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ সন্ত্রাসীদের হামলায় মামলা হলেও পুলিশ আসামি ধরছে না

বেওয়ারিশ কুকুরের উৎপাত বেড়েছে

মোচিকের স্বার্থবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে ৫ শ্রমিকের বিরুদ্ধে তদন্ত

ফুলপুর-তারাকান্দায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১১

ছবি

গাইবান্ধায় তিনটি সেতুর অভাবে ৫০ গ্রামের মানুষের দুর্ভোগ

কেন্দ্রীয় আ’লীগ নেতার বাড়িতে কাফনের কাপড় পাঠিয়ে হত্যার হুমকি

মাদ্রাসার শৌচাগারে ছাত্রের আত্মহত্যা

জাতীয় ফল মেলা উদ্যাপনে ফাঁকিবাজি

ছবি

সিরাজগঞ্জে বর্ষার আগমনে নৌকা তৈরির ধুম

ছবি

ঘোড়াশালে আনারসের বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি

কুষ্টিয়ার সড়কে দেড় মাসে নিহত ৯, শতাধিক আহত

গুরুদাসপুরে ৬ ডাকাত আটক

ছবি

কুলাউড়ায় প্রতিবন্ধী শিশুর পাশে উপজেলা প্রশাসন

‘ড. ইউনূস-তারেক বৈঠকের পর কুৎসা রটাচ্ছে ভারত’

ছবি

দশমিনায় ঐতিহ্যবাহী আমির উল্লাহ মসজিদটি সংস্কারের পর দৃষ্টি কাড়ছে

ছবি

ডিপি ওয়ার্ল্ডকে ইজারা—প্রশ্ন তোলা যাবে না, এমন দেশ গড়ার জন্য মানুষ জীবন দেয়নি

ছবি

ঘুমধুম সীমান্তে বিজিবির অভিযানে লক্ষাধিক ইয়াবাসহ এক রোহিঙ্গা আটক

tab

সারাদেশ

আকস্মিক বন্যায় চলনবিলে ভাসছে কৃষকের বোরো ধান

প্রতিনিধি, রায়গঞ্জ (সিরাজগঞ্জ)

রায়গঞ্জ (সিরাজগঞ্জ) : বোরো ধান কেটে ভেলায় ভাসিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন কৃষক -সংবাদ

শনিবার, ২১ জুন ২০২৫

চলনবিলের মাগুড়া বিনোদ এলাকার আজগর আলী। তিনি ৭ বিঘা জমিতে ব্রি-২৯ জাতের বোরো ধানের চাষাবাদ করে ছিলেন। কিন্তু মাত্র কয়েক দিনের ভারি বর্ষণ, উজান থেকে নেমে আসা ঢলের পানিতে তার জমির ধান ডুবে যাচ্ছে। এতে তার পরিবারের বার্ষিক খোরাকির ধান মিলবে না বলে তার ভাষ্য। অপরদিকে কোমর সমান পানিতে উচ্চ মূল্যের পারিশ্রমিক দিয়ে দিনমজুরিরা কিছু ধান কেটে পলিথিনের নৌকা বানিয়ে নিকটবর্তী পাকা রাস্তায় ধান তুললেও অধিকাংশই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আবার অনেক চাষী শ্রমিক না পেয়ে ধান কাটতেও পারছেন না। তবে আগাম জাতের বরো ধান আবাদকারী চাষীরা আকস্মিক বন্যার ১০/১৫ দিন আগেই ধান কেটে শেষ করেছেন।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, কয়েক দিনের আকস্মিক বন্যায় চলনবিলের খাদ্যশস্য ভা-ার খ্যাত সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ, তাড়াশ, শাহজাদপুর, উল্লাপাড়া, পাবনার চাটমোহর, ভাঙ্গুড়া, নাটোরের সিংড়া ও গুরুদাসপুর উপজেলার নিচু জমির বোরো ধান ডুবছে। সরিষার আবাদের পর বোরো আবাদ করা বিলের কৃষকদের হাজার হাজার বিঘা জমির পাকা ও আধা পাকা বোরো ধান কোথাও তলিয়ে গেছে, কোথাও হাবুডুবু খাচ্ছে। মিলছে না ধান কাটার প্রয়োজন মাফিক কৃষি শ্রমিক। পানি অধিক হওয়ায় হারভেস্টারও কাজে লাগানো যাচ্ছে না। এতে নাবি জাতের ধানের আবাদ করা কৃষকের মুখের ভাত নষ্ট হওয়ায় তাদের মাঝে চরম হতাশা বিরাজ করছে।

তাড়াশের ঘরগ্রাম এলাকার কৃষক ইসমাইল হোসেন বলেন, তাড়াশ উপজেলার সদর, সগুনা, মাগুড়া বিনোদ ও নওগাঁ ইউনিয়নের অন্তত ২০ থেকে ২৫ টি গ্রামের পাকা বোরো ধানের জমিতে এখন হাঁটু পানি। কোথাও কোথাও কোমর পানি। তারা ধান কাটার জন্য শ্রমিক ও হারভেস্টার হন্যে হয়ে খুঁজছেন। নওগাঁ এলাকার কৃষক বাবুল হোসেন জানান, চলনবিলের ৮ টি উপজেলা এলাকার আবাদ করা সব কৃষকের একই অবস্থা। কেননা, ধান পাকতে দেরি হওয়ায় এবং জৈষ্ঠ্য মাসেই আকস্মিক বন্যার কবলে পড়ায় কৃষকরা কষ্টার্জিত বোরো ধান ঘরে তুলতে পারছেন না।

গুরুদাসপুর এলাকার শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম জানান, বর্তমানে পানিতে জমির ধানের শীষ জেগে আছে এমন জমির ধান কাটতে বিঘা প্রতি ৯ হাজার থেকে ১০ হাজার, হারভেস্টারে প্রতি বিঘা ৫ হাজার থেকে ৫ হাজার ৫ শত এবং দিন হাজিরা প্রতি শ্রমিক ১ হাজার ৫ শত থেকে ১১ শত টাকা পারিশ্রমিক নিচ্ছেন। পাশাপাশি চলমান এ দুর্যোগ মুহূর্তে যে পরিমাণ কৃষিশ্রমিক ও হারভেস্টারের প্রয়োজন তা মিলছে না।

back to top