কবিগুরুর স্মৃতি বিজরিত শাহজাদপুরে রবীন্দ্র কাচারিবাড়িতে এক দর্শনার্থী দম্পতির ওপর হামলা, মারধর ও শ্লীলতাহানির অভিযোগে কাস্টোডিয়ানসহ ১০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। পৌরসভার রূপপুর নতুনপাড়া মহল্লার বাসিন্দা শাহনেওয়াজের স্ত্রী ছাবরিনা আক্তার সুইটি বাদী হয়ে গত বৃহস্পতিবার দুপুরে শাহজাদপুর সিনিয়ার জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি দায়ের করেছেন। আদালতের বিচারক মো. মোসলেম উদ্দিন মামলাটি গ্রহণ করে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য সিরাজগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা পুলিশকে (ডিবি) কে নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ৮ জুন বাদী তার স্বামী ও ভাতিজাকে নিয়ে মোটরসাইকেযোগে রবীন্দ্র কাচারিবাড়িতে ঘুরতে যান। প্রবেশের সময় টিকিটের টাকা দিলেও কাউন্টার থেকে তাদের কোনো টোকেন দেয়া হয়নি। বের হওয়ার সময় গেটে দায়িত্বরত কর্মচারীরা টোকেন দেখতে চাইলে বাদী জানান তাকে কোনো টোকেন দেয়া হয়নি। এ নিয়ে আসামিদের সঙ্গে তার স্বামীর বাগবিতণ্ডা হয়। তখন কর্মচারীরা তাদের অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেন। একপর্যায়ে কাছারিবাড়ির ফটক বন্ধ করে কাস্টোডিয়ানের নির্দেশে কাচারিবাড়ির কর্মচারীরা শাহনেওয়াজকে রড ও পাইপ দিয়ে বেদম মারধর করে। এ সময় বাধা দিতে গেলে কাচারি বাড়ির কর্মচারীরা বাদি ছাবরিনা আক্তারের পড়নের কাপড় ধরে টেনে হিচড়ে তার শ্লীলতাহানি করে।
এক পর্যায়ে আসামিরা বাদির গলার চেইন ও হাতের বালাসহ ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকার স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নেয়। পরে শাহনেওয়াজকে কাচারি বাড়ির অডিটোরিয়ামের অফিস কক্ষে আটকে রেখে আবারও মারধর করা হয় এবং তার ব্যবহৃত ১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা দামের আইফোন ভেঙে ফেলা হয়। খবর পেয়ে স্বজনরা ঘটনাস্থল থেকে তাকে উদ্ধার করেন। পরে আহত শাহনেওয়াজকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় একইদিন বিকেলে শাহজাদপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করা হলেও পুলিশ কোনো কার্যকর পদক্ষেপ না নেয়ায় আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।
রোববার, ২২ জুন ২০২৫
কবিগুরুর স্মৃতি বিজরিত শাহজাদপুরে রবীন্দ্র কাচারিবাড়িতে এক দর্শনার্থী দম্পতির ওপর হামলা, মারধর ও শ্লীলতাহানির অভিযোগে কাস্টোডিয়ানসহ ১০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। পৌরসভার রূপপুর নতুনপাড়া মহল্লার বাসিন্দা শাহনেওয়াজের স্ত্রী ছাবরিনা আক্তার সুইটি বাদী হয়ে গত বৃহস্পতিবার দুপুরে শাহজাদপুর সিনিয়ার জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি দায়ের করেছেন। আদালতের বিচারক মো. মোসলেম উদ্দিন মামলাটি গ্রহণ করে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য সিরাজগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা পুলিশকে (ডিবি) কে নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ৮ জুন বাদী তার স্বামী ও ভাতিজাকে নিয়ে মোটরসাইকেযোগে রবীন্দ্র কাচারিবাড়িতে ঘুরতে যান। প্রবেশের সময় টিকিটের টাকা দিলেও কাউন্টার থেকে তাদের কোনো টোকেন দেয়া হয়নি। বের হওয়ার সময় গেটে দায়িত্বরত কর্মচারীরা টোকেন দেখতে চাইলে বাদী জানান তাকে কোনো টোকেন দেয়া হয়নি। এ নিয়ে আসামিদের সঙ্গে তার স্বামীর বাগবিতণ্ডা হয়। তখন কর্মচারীরা তাদের অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেন। একপর্যায়ে কাছারিবাড়ির ফটক বন্ধ করে কাস্টোডিয়ানের নির্দেশে কাচারিবাড়ির কর্মচারীরা শাহনেওয়াজকে রড ও পাইপ দিয়ে বেদম মারধর করে। এ সময় বাধা দিতে গেলে কাচারি বাড়ির কর্মচারীরা বাদি ছাবরিনা আক্তারের পড়নের কাপড় ধরে টেনে হিচড়ে তার শ্লীলতাহানি করে।
এক পর্যায়ে আসামিরা বাদির গলার চেইন ও হাতের বালাসহ ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকার স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নেয়। পরে শাহনেওয়াজকে কাচারি বাড়ির অডিটোরিয়ামের অফিস কক্ষে আটকে রেখে আবারও মারধর করা হয় এবং তার ব্যবহৃত ১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা দামের আইফোন ভেঙে ফেলা হয়। খবর পেয়ে স্বজনরা ঘটনাস্থল থেকে তাকে উদ্ধার করেন। পরে আহত শাহনেওয়াজকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় একইদিন বিকেলে শাহজাদপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করা হলেও পুলিশ কোনো কার্যকর পদক্ষেপ না নেয়ায় আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।