সৈয়দপুর (নীলফামারী) : সৈয়দপুর শহরের হাতিখানা এলাকার জলাবদ্ধ বাফাজ উদ্দিন সড়ক -সংবাদ
ড্রেন ভরাট হয়ে যাওয়ায় নীলফামারীর সৈয়দপুর শহরের হাতিখানা এলাকার একটি সড়ক ড্রেনে পরিণত হয়েছে। ড্রেন দিয়ে পানি নিষ্কাশন না হওয়ায় সড়কের ওপর হাঁটু পানি জমে আছে। ফলে ওই এলাকায় বসবাসকারী তিন শতাধিক পরিবারের যাতায়াতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
ড্রেনের নোংরা পানিতে বাড়িঘর তলিয়ে গিয়ে পরিবেশ দূষণ করছে। অপরদিকে নোংরা জলাবদ্ধ পানিতে মশা-মাছিসহ জীবাণু উৎপন্ন হয়ে রোগবালাই ছড়ানোর আশংকা করছেন ভূক্তভোগী বাসিন্দারা। এই জলাবদ্ধতা নিরসনে সৈয়দপুর পৌরসভা কর্তৃপক্ষের বরাবরে লিখিত অভিযোগ দিলেও তা আমলে নেয়া হচ্ছে না।
জানা যায়, সৈয়দপুর শহরের হাতিখানা এলাকার ৯নং ওয়ার্ডে রয়েছে বাফাজ উদ্দিন সড়ক। এই সড়কের বাসিন্দাদের পানি নিষ্কাশনের ড্রেন দীর্ঘদিন পরিস্কার ও সংস্কার না করায় ভরাট হয়ে গেছে। এ কারণে পানি সরছে না ড্রেন দিয়ে। ফলে ড্রেনের দূষিত পানি সড়কে উপচে পড়ে সড়কে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। পানির দুর্গন্ধে লোকজন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন। এতে দুর্ভোগে শিকার ওই এলাকাবাসীসহ স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা। এছাড়াও হাতিখানা কবরস্থানে চলাচলকারী ও মসজিদের মুসল্লিরা পড়েছে চরম বিড়ম্বনায়।
সরজমিনে দেখা যায়, লায়ন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজের পেছনের রাস্তটির ওপর দিয়ে নোংরা ও ময়লাযুক্ত পানি বয়ে যাচ্ছে। এতে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে এলাকা জুড়ে। ওই সড়কের বাসিন্দা ফিরোজ আলম জানান, আমরা গত জানুয়ারি মাস থেকে এ ধরণের দুর্ভোগ পোহাচ্ছি। এ নিয়ে কয়েক দফা পৌরসভার সাথে এলাকাবাসী কথা বলেছেন এবং সমস্যা সমাধানে গণস্বাক্ষরযুক্ত আবেদন জমা দেয়া হয়েছে। কিন্তু কোনো প্রতিকার মেলেনি। পৌর কর্তৃপক্ষ গত ছয় মাসেও নর্দমা সংস্কারের কোনো উদ্যোগ নেয়নি। আমরা হতাশ হয়ে পড়েছি। এলাকার আরেক বাসিন্দা তপু রায়হান জানান, নোংরা পানি ডিঙ্গিয়ে আমাদের কাজে যেতে হয়। নোংরা পানির কারণে রোগ-বালাই ছড়িয়ে পড়ছে। সড়ক পানিতে ডুবে থাকায় রিকশা ও ভ্যান ভাড়ায় আসতে চায় না। সৈয়দপুর প্রথম শ্রেণীর পৌরসভা হলেও কোন নাগরিক পাচ্ছি না, তাগিদ দিয়েও কর্তৃপক্ষের টনক নড়ছে না। তিনি পানি নিষ্কাশনে দ্রুত ড্রেন সংস্কারের দাবি জানান।
এ ব্যাপারে সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌরসভার প্রশাসক নূর-ই আলম সিদ্দিকী বলেন, পৌরসভার রাস্তাঘাট নির্মাণসহ ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন ও সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। চলমান কাজের সঙ্গে বিভিন্ন উন্নয়ন কাজের টেন্ডার প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। আশা করি, এসব কাজ শেষ হলে পৌরবাসীর বিদ্যমান কোন সমস্যা থাকবে না।
সৈয়দপুর (নীলফামারী) : সৈয়দপুর শহরের হাতিখানা এলাকার জলাবদ্ধ বাফাজ উদ্দিন সড়ক -সংবাদ
রোববার, ২২ জুন ২০২৫
ড্রেন ভরাট হয়ে যাওয়ায় নীলফামারীর সৈয়দপুর শহরের হাতিখানা এলাকার একটি সড়ক ড্রেনে পরিণত হয়েছে। ড্রেন দিয়ে পানি নিষ্কাশন না হওয়ায় সড়কের ওপর হাঁটু পানি জমে আছে। ফলে ওই এলাকায় বসবাসকারী তিন শতাধিক পরিবারের যাতায়াতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
ড্রেনের নোংরা পানিতে বাড়িঘর তলিয়ে গিয়ে পরিবেশ দূষণ করছে। অপরদিকে নোংরা জলাবদ্ধ পানিতে মশা-মাছিসহ জীবাণু উৎপন্ন হয়ে রোগবালাই ছড়ানোর আশংকা করছেন ভূক্তভোগী বাসিন্দারা। এই জলাবদ্ধতা নিরসনে সৈয়দপুর পৌরসভা কর্তৃপক্ষের বরাবরে লিখিত অভিযোগ দিলেও তা আমলে নেয়া হচ্ছে না।
জানা যায়, সৈয়দপুর শহরের হাতিখানা এলাকার ৯নং ওয়ার্ডে রয়েছে বাফাজ উদ্দিন সড়ক। এই সড়কের বাসিন্দাদের পানি নিষ্কাশনের ড্রেন দীর্ঘদিন পরিস্কার ও সংস্কার না করায় ভরাট হয়ে গেছে। এ কারণে পানি সরছে না ড্রেন দিয়ে। ফলে ড্রেনের দূষিত পানি সড়কে উপচে পড়ে সড়কে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। পানির দুর্গন্ধে লোকজন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন। এতে দুর্ভোগে শিকার ওই এলাকাবাসীসহ স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা। এছাড়াও হাতিখানা কবরস্থানে চলাচলকারী ও মসজিদের মুসল্লিরা পড়েছে চরম বিড়ম্বনায়।
সরজমিনে দেখা যায়, লায়ন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজের পেছনের রাস্তটির ওপর দিয়ে নোংরা ও ময়লাযুক্ত পানি বয়ে যাচ্ছে। এতে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে এলাকা জুড়ে। ওই সড়কের বাসিন্দা ফিরোজ আলম জানান, আমরা গত জানুয়ারি মাস থেকে এ ধরণের দুর্ভোগ পোহাচ্ছি। এ নিয়ে কয়েক দফা পৌরসভার সাথে এলাকাবাসী কথা বলেছেন এবং সমস্যা সমাধানে গণস্বাক্ষরযুক্ত আবেদন জমা দেয়া হয়েছে। কিন্তু কোনো প্রতিকার মেলেনি। পৌর কর্তৃপক্ষ গত ছয় মাসেও নর্দমা সংস্কারের কোনো উদ্যোগ নেয়নি। আমরা হতাশ হয়ে পড়েছি। এলাকার আরেক বাসিন্দা তপু রায়হান জানান, নোংরা পানি ডিঙ্গিয়ে আমাদের কাজে যেতে হয়। নোংরা পানির কারণে রোগ-বালাই ছড়িয়ে পড়ছে। সড়ক পানিতে ডুবে থাকায় রিকশা ও ভ্যান ভাড়ায় আসতে চায় না। সৈয়দপুর প্রথম শ্রেণীর পৌরসভা হলেও কোন নাগরিক পাচ্ছি না, তাগিদ দিয়েও কর্তৃপক্ষের টনক নড়ছে না। তিনি পানি নিষ্কাশনে দ্রুত ড্রেন সংস্কারের দাবি জানান।
এ ব্যাপারে সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌরসভার প্রশাসক নূর-ই আলম সিদ্দিকী বলেন, পৌরসভার রাস্তাঘাট নির্মাণসহ ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন ও সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। চলমান কাজের সঙ্গে বিভিন্ন উন্নয়ন কাজের টেন্ডার প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। আশা করি, এসব কাজ শেষ হলে পৌরবাসীর বিদ্যমান কোন সমস্যা থাকবে না।