কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার পশ্চিম বড়ভেওলা ইউনিয়নের টেকছিরা রফিকুল কাদের কমিউনিটি ক্লিনিকে সিএইচসিপি পদে আফিফাহ খানম আকিলার নিয়োগ জালিয়াতির ঘটনা ফের ইউএনওর তদন্তের সত্যতা মিলেছে। চলতি ২০২৫ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের কার্যালয় স্থানীয় সরকার শাখা থেকে পাঠানো পরিপত্রের আলোকে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ আতিকুর রহমান দীর্ঘ তিন মাস তদন্ত করে গত ১৫ মে এই সংক্রান্ত তদন্ত রিপোর্ট কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে পাঠিয়েছেন।
তদন্ত রিপোর্টে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ আতিকুর রহমান লিখেছেন, ইউনিয়ন পরিষদের প্রাপ্তি ও প্রেরণ রেজিস্ট্রার পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, অভিযুক্ত সিএইচসিপি আফিফাহ খানম আকিলা চাকরির আবেদনপত্রে পশ্চিম বড়ভেওলা ইউনিয়নের ১ নম্বর পশ্চিম দরবেশকাটার বাসিন্দা পরিচয়ে জমা দেওয়া তিনটি প্রত্যয়নপত্র/সনদ একটিও ইউনিয়ন পরিষদের পত্র প্রেরণ রেজিস্ট্রারে লিপিবদ্ধ নেই।
তবে ইউনিয়ন পরিষদের দফাদার মোহাম্মদ শোয়াইব লিখিত বক্তব্যে জানিয়েছে, উল্লেখিত প্রত্যয়নপত্র তিনটি ইউনিয়ন পরিষদের রেজিস্ট্রারভুক্ত না করে সাবেক চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী তার বাড়ি থেকে স্বপ্রণোদিত হয়ে প্রদান করেছেন।
তদন্ত রিপোর্টে ইউএনও মতামত লিখেছেন, বিস্তারিত তদন্তে প্রমাণিত হয় যে, অভিযুক্ত আফিফাহ খানম আকিলা চকরিয়া উপজেলার ঢেমুশিয়া ইউনিয়ন পরিষদের বাসিন্দা।
জানা গেছে, ইউএনও কর্তৃক তদন্তের আগে নিয়োগে তথ্য জালিয়াতির ঘটনাটি কমিউনিটি হেলথ কেয়ার (সিবিএইচসি) কর্তৃপক্ষের অফিস আদেশের আলোকে কক্সবাজারের সিভিল সার্জন তদন্ত করে।
সে সময় কক্সবাজারের সিভিল সার্জন কর্তৃক গঠিত তদন্ত কমিটির কাছে প্রমাণিত হয়েছে। এরপর কক্সবাজারের সাবেক সিভিল সার্জন ডা. আসিফ আহমেদ হাওলাদার অভিযুক্ত সিএইচসিপি আফিফাহ খানম আকিলার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট তদন্ত প্রতিবেদনের আলোকে পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে ২০২৪ সালের ২৩ অক্টোবর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কমিউনিটি বেইজড হেলথ কেয়ারের (সিবিএইচ সিএইচসিপি) ঢাকাস্থ লাইন ডাইরেক্টর এর কার্যালয়ে পত্র প্রেরণ করেন সিভিল সার্জন।
তবে সিভিল সার্জনের ওই তদন্ত প্রতিবেদনের আলোকে অভিযুক্ত সিএইচসিপি আফিফাহ খানম আকিলার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো তাকে স্বপদে বহাল রাখতে সংশ্লিষ্ট বিভাগের একটি সুবিধাভোগীমহল পুনরায় অভিযোগটি তদন্তের জন্য কক্সবাজারের জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে পাঠান। এরপর জেলা প্রশাসকের অফিস আদেশের আলোকে চকরিয়া উপজেলার ইউএনও মোহাম্মদ আতিকুর রহমান সরেজমিনে বিষয়টি তদন্ত করে অভিযুক্ত আফিফাহ খানম আকিলা কর্তৃক তথ্য জালিয়াতির ঘটনাটি উঠে এসেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০২২ সালে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের এইচপিএনএসপির অধীনে সারাদেশে ইউনিয়নভিত্তিক কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি) পদে ৭৯৭ জন লোকবল নিয়োগ দিতে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। ওই সময় কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার পশ্চিম বড়ভেওলা ইউনিয়নের টেকছিরা রফিকুল কাদের কমিউনিটি ক্লিনিকে সিএইচসিপি পদে নিয়োগ পেতে আবেদন করেন আফিফাহ খানম আকিলা ও ছাদেকুর রহমান নামের দুজন।
তবে আবেদনকারী আফিফাহ খানম আকিলা চকরিয়া উপজেলার ঢেমুশিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা হলেও তিনি তথ্য জালিয়াতির মাধ্যমে ঠিকানা গোপন করে পশ্চিম বড়ভেওলা ইউনিয়নের বাসিন্দা হিসেবে আবেদনপত্র জমা দেন। আবেদনে আফিফাহ অনিয়মের আশ্রয় নিয়েছেন এমন অভিযোগ তুলে ওই সময় ছাদেকুর রহমান নামে একই পদের অপর আবেদনকারী কক্সবাজারের সিভিল সার্জনসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। এরপর শুরু হয় তথ্য জালিয়াতির তদন্ত কার্যক্রম।
রোববার, ২২ জুন ২০২৫
কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার পশ্চিম বড়ভেওলা ইউনিয়নের টেকছিরা রফিকুল কাদের কমিউনিটি ক্লিনিকে সিএইচসিপি পদে আফিফাহ খানম আকিলার নিয়োগ জালিয়াতির ঘটনা ফের ইউএনওর তদন্তের সত্যতা মিলেছে। চলতি ২০২৫ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের কার্যালয় স্থানীয় সরকার শাখা থেকে পাঠানো পরিপত্রের আলোকে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ আতিকুর রহমান দীর্ঘ তিন মাস তদন্ত করে গত ১৫ মে এই সংক্রান্ত তদন্ত রিপোর্ট কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে পাঠিয়েছেন।
তদন্ত রিপোর্টে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ আতিকুর রহমান লিখেছেন, ইউনিয়ন পরিষদের প্রাপ্তি ও প্রেরণ রেজিস্ট্রার পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, অভিযুক্ত সিএইচসিপি আফিফাহ খানম আকিলা চাকরির আবেদনপত্রে পশ্চিম বড়ভেওলা ইউনিয়নের ১ নম্বর পশ্চিম দরবেশকাটার বাসিন্দা পরিচয়ে জমা দেওয়া তিনটি প্রত্যয়নপত্র/সনদ একটিও ইউনিয়ন পরিষদের পত্র প্রেরণ রেজিস্ট্রারে লিপিবদ্ধ নেই।
তবে ইউনিয়ন পরিষদের দফাদার মোহাম্মদ শোয়াইব লিখিত বক্তব্যে জানিয়েছে, উল্লেখিত প্রত্যয়নপত্র তিনটি ইউনিয়ন পরিষদের রেজিস্ট্রারভুক্ত না করে সাবেক চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী তার বাড়ি থেকে স্বপ্রণোদিত হয়ে প্রদান করেছেন।
তদন্ত রিপোর্টে ইউএনও মতামত লিখেছেন, বিস্তারিত তদন্তে প্রমাণিত হয় যে, অভিযুক্ত আফিফাহ খানম আকিলা চকরিয়া উপজেলার ঢেমুশিয়া ইউনিয়ন পরিষদের বাসিন্দা।
জানা গেছে, ইউএনও কর্তৃক তদন্তের আগে নিয়োগে তথ্য জালিয়াতির ঘটনাটি কমিউনিটি হেলথ কেয়ার (সিবিএইচসি) কর্তৃপক্ষের অফিস আদেশের আলোকে কক্সবাজারের সিভিল সার্জন তদন্ত করে।
সে সময় কক্সবাজারের সিভিল সার্জন কর্তৃক গঠিত তদন্ত কমিটির কাছে প্রমাণিত হয়েছে। এরপর কক্সবাজারের সাবেক সিভিল সার্জন ডা. আসিফ আহমেদ হাওলাদার অভিযুক্ত সিএইচসিপি আফিফাহ খানম আকিলার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট তদন্ত প্রতিবেদনের আলোকে পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে ২০২৪ সালের ২৩ অক্টোবর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কমিউনিটি বেইজড হেলথ কেয়ারের (সিবিএইচ সিএইচসিপি) ঢাকাস্থ লাইন ডাইরেক্টর এর কার্যালয়ে পত্র প্রেরণ করেন সিভিল সার্জন।
তবে সিভিল সার্জনের ওই তদন্ত প্রতিবেদনের আলোকে অভিযুক্ত সিএইচসিপি আফিফাহ খানম আকিলার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো তাকে স্বপদে বহাল রাখতে সংশ্লিষ্ট বিভাগের একটি সুবিধাভোগীমহল পুনরায় অভিযোগটি তদন্তের জন্য কক্সবাজারের জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে পাঠান। এরপর জেলা প্রশাসকের অফিস আদেশের আলোকে চকরিয়া উপজেলার ইউএনও মোহাম্মদ আতিকুর রহমান সরেজমিনে বিষয়টি তদন্ত করে অভিযুক্ত আফিফাহ খানম আকিলা কর্তৃক তথ্য জালিয়াতির ঘটনাটি উঠে এসেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০২২ সালে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের এইচপিএনএসপির অধীনে সারাদেশে ইউনিয়নভিত্তিক কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি) পদে ৭৯৭ জন লোকবল নিয়োগ দিতে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। ওই সময় কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার পশ্চিম বড়ভেওলা ইউনিয়নের টেকছিরা রফিকুল কাদের কমিউনিটি ক্লিনিকে সিএইচসিপি পদে নিয়োগ পেতে আবেদন করেন আফিফাহ খানম আকিলা ও ছাদেকুর রহমান নামের দুজন।
তবে আবেদনকারী আফিফাহ খানম আকিলা চকরিয়া উপজেলার ঢেমুশিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা হলেও তিনি তথ্য জালিয়াতির মাধ্যমে ঠিকানা গোপন করে পশ্চিম বড়ভেওলা ইউনিয়নের বাসিন্দা হিসেবে আবেদনপত্র জমা দেন। আবেদনে আফিফাহ অনিয়মের আশ্রয় নিয়েছেন এমন অভিযোগ তুলে ওই সময় ছাদেকুর রহমান নামে একই পদের অপর আবেদনকারী কক্সবাজারের সিভিল সার্জনসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। এরপর শুরু হয় তথ্য জালিয়াতির তদন্ত কার্যক্রম।