রংপুরে হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মাহমুদুল হকের জামিন আবেদন করা হয়েছে। রোববার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রংপুর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-১ (হাজীরহাট আমলি আদালত)-এর বিচারক সোয়েবুর রহমানের আদালতে এ আবেদন দাখিল করেন তাঁর আইনজীবীরা।
আদালতে মাহমুদুল হকের পক্ষে আইনজীবী শামীম আল মামুন বলেন, মাহমুদুল হক নির্দোষ। যেই হত্যা মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, সেই ঘটনাটি বিতর্কিত। তিনি জুলাই মাসের গণ-অভ্যুত্থানে ছাত্রদের পক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন এবং আবু সাঈদ হত্যার ঘটনার পর প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। তাঁকে ষড়যন্ত্র করে মামলায় জড়ানো হয়েছে।
আইনজীবীদের বক্তব্য শোনার পর আদালত আগামী ২৪ জুন (মঙ্গলবার) জামিন শুনানির দিন ধার্য করেন।
শুনানি শেষে আদালত প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন মাহমুদুল হকের স্ত্রী মাসুদা হাসান। তিনি বলেন, “আমি ভেবেছিলাম, আজ তাঁকে সসম্মানে বাড়ি নিয়ে যাব। কিন্তু হলো না। আমরা আদালতের কাছে ন্যায্যবিচার চাই। বিচার না পেলে আমরা কোথায় যাব, কার কাছে যাব?”
জামিন শুনানির খবর জানতে পেরে রোববার সকাল ১০টা থেকে আদালত চত্বরে জড়ো হন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তাঁরা ‘জুলাই নিয়ে টালবাহানা চলবে না’, ‘মাহমুদুল হকের নিঃশর্ত মুক্তি চাই’, ‘জুলাই নিয়ে বাণিজ্য বন্ধ করো’ ইত্যাদি স্লোগান দেন। পরে জামিন শুনানির তারিখ ঘোষণার পর শিক্ষার্থীরা আদালত চত্বর ত্যাগ করেন।
গত বৃহস্পতিবার বিকেলে মাহমুদুল হককে রংপুর নগরের ধাপ ইঞ্জিনিয়ারপাড়া এলাকার বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে হাজীরহাট থানা পুলিশ। এরপর আদালতের নির্দেশে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়। তিনি রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক।
গত আগস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে স্বামী নিহত হওয়ার অভিযোগে রাধাকৃষ্ণপুর মৌলভীপাড়ার বাসিন্দা আমেনা বেগম গত ৩ জুন হাজীরহাট থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলায় ৫৪ জনকে আসামি করা হয়, যার মধ্যে মাহমুদুল হক ছিলেন ৫৪ নম্বর আসামি।
রোববার, ২২ জুন ২০২৫
রংপুরে হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মাহমুদুল হকের জামিন আবেদন করা হয়েছে। রোববার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রংপুর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-১ (হাজীরহাট আমলি আদালত)-এর বিচারক সোয়েবুর রহমানের আদালতে এ আবেদন দাখিল করেন তাঁর আইনজীবীরা।
আদালতে মাহমুদুল হকের পক্ষে আইনজীবী শামীম আল মামুন বলেন, মাহমুদুল হক নির্দোষ। যেই হত্যা মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, সেই ঘটনাটি বিতর্কিত। তিনি জুলাই মাসের গণ-অভ্যুত্থানে ছাত্রদের পক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন এবং আবু সাঈদ হত্যার ঘটনার পর প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। তাঁকে ষড়যন্ত্র করে মামলায় জড়ানো হয়েছে।
আইনজীবীদের বক্তব্য শোনার পর আদালত আগামী ২৪ জুন (মঙ্গলবার) জামিন শুনানির দিন ধার্য করেন।
শুনানি শেষে আদালত প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন মাহমুদুল হকের স্ত্রী মাসুদা হাসান। তিনি বলেন, “আমি ভেবেছিলাম, আজ তাঁকে সসম্মানে বাড়ি নিয়ে যাব। কিন্তু হলো না। আমরা আদালতের কাছে ন্যায্যবিচার চাই। বিচার না পেলে আমরা কোথায় যাব, কার কাছে যাব?”
জামিন শুনানির খবর জানতে পেরে রোববার সকাল ১০টা থেকে আদালত চত্বরে জড়ো হন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তাঁরা ‘জুলাই নিয়ে টালবাহানা চলবে না’, ‘মাহমুদুল হকের নিঃশর্ত মুক্তি চাই’, ‘জুলাই নিয়ে বাণিজ্য বন্ধ করো’ ইত্যাদি স্লোগান দেন। পরে জামিন শুনানির তারিখ ঘোষণার পর শিক্ষার্থীরা আদালত চত্বর ত্যাগ করেন।
গত বৃহস্পতিবার বিকেলে মাহমুদুল হককে রংপুর নগরের ধাপ ইঞ্জিনিয়ারপাড়া এলাকার বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে হাজীরহাট থানা পুলিশ। এরপর আদালতের নির্দেশে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়। তিনি রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক।
গত আগস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে স্বামী নিহত হওয়ার অভিযোগে রাধাকৃষ্ণপুর মৌলভীপাড়ার বাসিন্দা আমেনা বেগম গত ৩ জুন হাজীরহাট থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলায় ৫৪ জনকে আসামি করা হয়, যার মধ্যে মাহমুদুল হক ছিলেন ৫৪ নম্বর আসামি।