নাইক্ষ্যংছড়ি (বান্দরবান) : বৃষ্টিতে চলচলের অযোগ্য নাইক্ষ্যংছড়ি-রামু সড়ক -সংবাদ
সামান্য বৃষ্টি হলেই চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে নাইক্ষ্যংছড়ি-রামু সড়কটি। টানা বর্ষণে ১২ কিলোমিটারের রাস্তার বেশিরভাগই খানা-খন্দে ভরে গেছে। ফলে এ সড়কটি চলাচলের প্রায় অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
গতকাল শনিবার সরেজমিনে দেখা যায়, ১২ কিলোমিটার রাস্তার বেশিরভাগই খানা-খন্দে ভরে গেছে। অনেক জায়গার পিচ উঠে মাটি ও বৃষ্টির পানির সংমিশ্রণে কাদার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। খানা-খন্দের মধ্যেই ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন।
জানা যায়, বান্দরবান সড়ক ও জনপদ (সওজ) বিভাগের অধীনে এ সড়কটি বর্তমানে ১২ ফুট প্রস্থ। দূরপাল্লার মালবাহী গাড়ির চওড়া সাড়ে ৮ ফুট। এমন দুইটি গাড়ি মুখোমুখি হলে যানজট ছুটে না দুই চার ঘণ্টায়ও। এ সময় মানুষের পায়ে হাটাও মুশকিল হয়ে পড়ে।
ট্রাক চালক আবদুল করিম ও হেলাল উদ্দিনসহ অনেক জানান, ঝুঁকি নিয়ে আমাদের গাড়ি চালাতে হচ্ছে। আর এ সড়কের দু’পাশে রয়েছে পাহাড়, সড়কটি সংস্কার এর পাশাপাশি সম্প্রসারণ করে প্রস্থ না করলে যে কোনো সময়ে দুর্ঘটনা আশঙ্কা রয়েছে।
এই সড়কে সড়ক ও জনপদ বিভাগ বিপদ সংকেত দেখিয়ে ৫ টনের অধিক ভারি কোন যানবাহন এ সড়কে চলাচল করতে পারবে না বলে সাইনবোর্ড টাঙ্গিয়ে দেন। এই সংকেত এখন কেউ মানছে না। প্রতিনিয়ত চলে ২০ টনের অধিক পণ্যবাহী ভারি যান বাহন। সচেতনমহল ও চালকরা পরিস্থিতির শিকার বলে দাবিও করেন। এ ছাড়াও এ সড়কের ওপর অতি ঝুঁকিতে রয়েছে বেশকিছু বেইলি ব্রিজ ও কালভার্ট। এসব ব্রিজ, কালভার্টগুলো সড়ক বিভাগ তড়িঘড়ি করে লোক দেখানো সংস্কার করায় এসব ব্রিজ-কালভার্ট সহনীয় হয় না।
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা বলেন, সড়কটি দূরত্ব মাত্র ১২ কিলোমিটার আর প্রস্থ ১২ ফুট তাই সংস্কারের পাশাপাশি প্রস্থ সম্প্রসারণ করা জরুরি। তারা আরও বলেন, স্বাধীনতার ৫৪ বছর পার হলেও এটি সম্প্রসারণ করা ফাইল বন্দি হয়ে আছে। সড়কটির প্রস্থ ছোট হওয়ায় গাড়ি চলাচলে নানা জটিলতা দীর্ঘদিনের। তাই দুর্ঘটনা এ সড়কের নিত্যসঙ্গী। কারণ সড়কের যাতায়াতকারী, রামু ও নাইক্ষ্যংছড়ি দুই উপজেলার চার লাখ মানুষের মালামাল নেওয়া-আনার সমস্যা।
সীমান্ত সুরক্ষায় নিয়োজিত বিজিবিকেও এ সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। বিশেষ করে এ সড়কের জারুলিয়াছড়ি ব্রিজসহ ৫টি বেইলি ব্রিজের অধিক ঝুঁকিপূর্ণ।
উল্লেখ্য, এই সড়ক দিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করছে রামু উপজেলার কচ্ছপিয়া, গর্জনিয়া ও নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা সদর, দোছড়ি, বাইশারী ও সোনাইছড়িসহ ৭ ইউনিয়নের মানুষ। এই এলাকায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে ৩ শতাধিক। এতে শিক্ষক শিক্ষার্থী আছে ৪০ হাজারের বেশি। বিশেষ করে রামু খাদ্য-শস্য ভাণ্ডার খ্যাত কচ্ছপিয়া ও গর্জনিয়া ইউনিয়নসহ সীমান্তের ৭টি ইউনিয়নের, উৎপাদিত পণ্য বেচাকেনার হাট গর্জনিয়া বাজারের পণ্য আমদানি-রপ্তানিতে ব্যাবহার হচ্ছে নাইক্ষ্যংছড়ি-রামু সড়ক দিয়ে সচেতনমহলের মতে সড়কটি, সম্প্রসারণ খুবই দরকার। জনসাধারণের কষ্ট লাগবে দ্রুত সড়কটি প্রস্থসহ সংস্কার এখন গণমানুষের দাবিতে পরিণত হয়েছে। নাইক্ষ্যংছড়িস্থ ১১ বিজিবি অধিনায়ক ও জোন কমান্ডার লে. কর্নেল কপিল উদ্দিন কায়েস বলেন, বিজিবি জোয়ানরা বিভিন্ন অপারেশন তাদের গাড়ি চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে তাই তিনিও বিভিন্ন দপ্তরের সুপারিশ করার কথা বলেন। তিনি সড়কটির প্রস্ত ছোট হওয়ায় দুটি গাড়ি পরস্পরকে সাইড দিতেও অনেক সময় লাগে এবং সীমান্ত নিরাপত্তা ও জননিরাপত্তার জন্যে এ সড়কের সম্প্রসারণ প্রয়োজন আছে।
বান্দরবান সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শাখাওয়াত হোসেন এই প্রতিবেদক মুঠোফোনে জানান, সড়কটি দ্রুত মেরামতের কাজ চলমান রয়েছে দ্রুত সময়ের মধ্যে পুরো কাজ শুরু করা হবে।
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মুহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম চৌধুরী জানান, এই ব্যাপারে তিনি জেলা আইনশৃঙ্খলা সভায় অবহিত করা হয়েছে খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে কাজ শুরু হতে পারে বলে জানান।
নাইক্ষ্যংছড়ি (বান্দরবান) : বৃষ্টিতে চলচলের অযোগ্য নাইক্ষ্যংছড়ি-রামু সড়ক -সংবাদ
রোববার, ২২ জুন ২০২৫
সামান্য বৃষ্টি হলেই চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে নাইক্ষ্যংছড়ি-রামু সড়কটি। টানা বর্ষণে ১২ কিলোমিটারের রাস্তার বেশিরভাগই খানা-খন্দে ভরে গেছে। ফলে এ সড়কটি চলাচলের প্রায় অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
গতকাল শনিবার সরেজমিনে দেখা যায়, ১২ কিলোমিটার রাস্তার বেশিরভাগই খানা-খন্দে ভরে গেছে। অনেক জায়গার পিচ উঠে মাটি ও বৃষ্টির পানির সংমিশ্রণে কাদার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। খানা-খন্দের মধ্যেই ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন।
জানা যায়, বান্দরবান সড়ক ও জনপদ (সওজ) বিভাগের অধীনে এ সড়কটি বর্তমানে ১২ ফুট প্রস্থ। দূরপাল্লার মালবাহী গাড়ির চওড়া সাড়ে ৮ ফুট। এমন দুইটি গাড়ি মুখোমুখি হলে যানজট ছুটে না দুই চার ঘণ্টায়ও। এ সময় মানুষের পায়ে হাটাও মুশকিল হয়ে পড়ে।
ট্রাক চালক আবদুল করিম ও হেলাল উদ্দিনসহ অনেক জানান, ঝুঁকি নিয়ে আমাদের গাড়ি চালাতে হচ্ছে। আর এ সড়কের দু’পাশে রয়েছে পাহাড়, সড়কটি সংস্কার এর পাশাপাশি সম্প্রসারণ করে প্রস্থ না করলে যে কোনো সময়ে দুর্ঘটনা আশঙ্কা রয়েছে।
এই সড়কে সড়ক ও জনপদ বিভাগ বিপদ সংকেত দেখিয়ে ৫ টনের অধিক ভারি কোন যানবাহন এ সড়কে চলাচল করতে পারবে না বলে সাইনবোর্ড টাঙ্গিয়ে দেন। এই সংকেত এখন কেউ মানছে না। প্রতিনিয়ত চলে ২০ টনের অধিক পণ্যবাহী ভারি যান বাহন। সচেতনমহল ও চালকরা পরিস্থিতির শিকার বলে দাবিও করেন। এ ছাড়াও এ সড়কের ওপর অতি ঝুঁকিতে রয়েছে বেশকিছু বেইলি ব্রিজ ও কালভার্ট। এসব ব্রিজ, কালভার্টগুলো সড়ক বিভাগ তড়িঘড়ি করে লোক দেখানো সংস্কার করায় এসব ব্রিজ-কালভার্ট সহনীয় হয় না।
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা বলেন, সড়কটি দূরত্ব মাত্র ১২ কিলোমিটার আর প্রস্থ ১২ ফুট তাই সংস্কারের পাশাপাশি প্রস্থ সম্প্রসারণ করা জরুরি। তারা আরও বলেন, স্বাধীনতার ৫৪ বছর পার হলেও এটি সম্প্রসারণ করা ফাইল বন্দি হয়ে আছে। সড়কটির প্রস্থ ছোট হওয়ায় গাড়ি চলাচলে নানা জটিলতা দীর্ঘদিনের। তাই দুর্ঘটনা এ সড়কের নিত্যসঙ্গী। কারণ সড়কের যাতায়াতকারী, রামু ও নাইক্ষ্যংছড়ি দুই উপজেলার চার লাখ মানুষের মালামাল নেওয়া-আনার সমস্যা।
সীমান্ত সুরক্ষায় নিয়োজিত বিজিবিকেও এ সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। বিশেষ করে এ সড়কের জারুলিয়াছড়ি ব্রিজসহ ৫টি বেইলি ব্রিজের অধিক ঝুঁকিপূর্ণ।
উল্লেখ্য, এই সড়ক দিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করছে রামু উপজেলার কচ্ছপিয়া, গর্জনিয়া ও নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা সদর, দোছড়ি, বাইশারী ও সোনাইছড়িসহ ৭ ইউনিয়নের মানুষ। এই এলাকায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে ৩ শতাধিক। এতে শিক্ষক শিক্ষার্থী আছে ৪০ হাজারের বেশি। বিশেষ করে রামু খাদ্য-শস্য ভাণ্ডার খ্যাত কচ্ছপিয়া ও গর্জনিয়া ইউনিয়নসহ সীমান্তের ৭টি ইউনিয়নের, উৎপাদিত পণ্য বেচাকেনার হাট গর্জনিয়া বাজারের পণ্য আমদানি-রপ্তানিতে ব্যাবহার হচ্ছে নাইক্ষ্যংছড়ি-রামু সড়ক দিয়ে সচেতনমহলের মতে সড়কটি, সম্প্রসারণ খুবই দরকার। জনসাধারণের কষ্ট লাগবে দ্রুত সড়কটি প্রস্থসহ সংস্কার এখন গণমানুষের দাবিতে পরিণত হয়েছে। নাইক্ষ্যংছড়িস্থ ১১ বিজিবি অধিনায়ক ও জোন কমান্ডার লে. কর্নেল কপিল উদ্দিন কায়েস বলেন, বিজিবি জোয়ানরা বিভিন্ন অপারেশন তাদের গাড়ি চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে তাই তিনিও বিভিন্ন দপ্তরের সুপারিশ করার কথা বলেন। তিনি সড়কটির প্রস্ত ছোট হওয়ায় দুটি গাড়ি পরস্পরকে সাইড দিতেও অনেক সময় লাগে এবং সীমান্ত নিরাপত্তা ও জননিরাপত্তার জন্যে এ সড়কের সম্প্রসারণ প্রয়োজন আছে।
বান্দরবান সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শাখাওয়াত হোসেন এই প্রতিবেদক মুঠোফোনে জানান, সড়কটি দ্রুত মেরামতের কাজ চলমান রয়েছে দ্রুত সময়ের মধ্যে পুরো কাজ শুরু করা হবে।
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মুহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম চৌধুরী জানান, এই ব্যাপারে তিনি জেলা আইনশৃঙ্খলা সভায় অবহিত করা হয়েছে খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে কাজ শুরু হতে পারে বলে জানান।