alt

সারাদেশ

মোরেলগঞ্জে আশ্রয়ণ প্রকল্পের জরাজীর্ণ ঘর দুর্বিষহ জীবন

প্রতিনিধি, মোরেলগঞ্জ (বাগেরহাট) : রোববার, ২২ জুন ২০২৫

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে কুঠিবাড়ী আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দাদের জরাজীর্ণ ঘরে দুর্বিষহ জীবন যাপন। সামান্য বৃষ্টি ও জোয়ারের হাটু পানিতে ৪০টি পরিবার ঝুঁকি নিয়ে বসবাস। যেকোনো সময় ঘটে যেতে পারে বড় দুর্ঘটনা। আশ্রয়ণ বাসিন্দাদের দাবি দুটি ব্যারাকে জরাজীর্ণ ২০টি ঘর সংস্কার করে বসবাসের উপযোগী করে দেয়ার।

সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, উপজেলার পৌর শহরের পানগুছি নদীর তীরবর্তী কুঠিবাড়ী আশ্রয়ন প্রকল্পের নামে ১৯৯৮ সালে সরকারিভাবে ৪ একর জমির ওপরে নির্মিত হয় আশ্রয়ণ প্রকল্পটি।

এ প্রকল্পে ৪টি ব্যারাকে ৪০টি পরিবারের এখানে বসবাস। ৭/৮টি মুক্তিযোদ্ধা পরিবারসহ ভূমিহীন প্রতিটি পরিবারের জন্য ২০০১ সালে ১০ শতক করে জমির দলিলমূলে মালিকানা হন তারা।

বর্তমানে এ আশ্রয়ন প্রকল্পে দু’টি ব্যারাকের ২০টি ঘর এখন জরাজীর্ণ। প্রতিটি ঘরের খুঁটি ভেঙে নড়বড়ে অবস্থায় পড়ে রয়েছে। ঘরের ছাউনির টিনগুলো অসংখ্য ছিদ্র হয়ে ঝাজড়া হয়ে গেছে। বেড়ার টিন খুলে পড়ছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই ঘরগুলো পানিতে তলিয়ে যায়, অতিরিক্ত জোয়ারে হাঁটু পানি সৃষ্টি হয়ে রান্না খাওয়া বন্ধ হয়ে যায়। অভুক্ত থাকতে হয় পরিবার পরিজন নিয়ে। প্রতিনিয়ত প্রাকৃতিক দুর্যোগ, ঝড়-বন্যা, জলোচ্ছাসের সময় ঘর ছেড়ে যেতে হয় অন্যত্র। স্যাঁতসেঁতে অবস্থা সর্বত্র, নেই কোনো স্যানিটেশন ব্যবস্থা, সুপেয় পানির রয়েছে অভাব। যে কারনে প্রতিটি ঘরে লেগে রয়েছে রোগ পিডা, অসুস্থ হয়ে বিছানা লগ্ন পড়ে রয়েছে অনেকেই। আশ্রয়ণের অফিস ঘরটিও জরাজীর্ণ ভাংঙ্গাচুরা অবস্থায়। সব মিলিয়ে এখন দুর্বিষহ ও ঝুঁকিপূর্ণ জীবন যাপন আশ্রয়ণ বাসিন্দাদের।

আশ্রয়ণের বাসিন্দা বৃদ্ধ নূরজাহান বেগম, সালেহা বেগম, লিজা আক্তার, শিল্পি বেগম, হাওয়া বিবি, কুলসুম বিবি, রুস্তুম কাজীসহ একাধিক আশ্রয়ণের বাসিন্দা বলেন, এভাবে কি ছেলে মেয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস করা যায়। ঝড় বৃষ্টি হলে আতংকে থাকি। একদিকে জোয়ারের পানি অন্যদিকে ঘরের টিনথেকে পানি পড়ে সবকিছু ভিজে যায়। অনেক রাত কাটতে হয় বসে থেকেই। ঝড় বন্যা এলে অসুস্থ স্বামীকে নিয়ে কিভাবে নিরাপত্তাস্থানে যাবো। আমাদের অসহায় গরিবের কথা কেউ ভাবে না। প্রধান উপদেষ্টার প্রতি দাবি এ আশ্রয়নের ২০ টি ঘর সংস্কার করে বসবাসের উপযোগী করে দেওয়ার।

কুঠিবাড়ি আশ্রয়ণ প্রকল্পের সভাপতি মো. সেকেন্দার আলী খান বলেন, ৪০ টি ঘর নির্মাণের পরে ২০১৬ সালে দুটি ব্যরাকের ২০ টি ঘর একবার সরকারি বরাদ্দে সংস্কার করা হয়েছিলো।

বাকি ২০ টি কখনও সংস্কার হয়নি। বর্তমানে এ ঘরগুলোতে বসবাস করা যাচ্ছে না। ব্যাঙ, সাপ কুইচের সাথে থাকতে হচ্ছে। নেই খাবার পানির ব্যবস্থা, সরকারিভাবে এতো পানির ট্যাংকি দেওয়া হয়েছে অথচ এ আশ্রয়নে বাসিন্দাদের জোটেনি একটিও ট্যাংকি। জেলা প্রশাসক ও সরকারের উর্দ্ধতন প্রশাসনের প্রতি দাবি ২০ টি ঘর দ্রুত সংস্কার করে দেওয়ার।

এ সম্পর্কে মোরেলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাবিবুল্লাহ বলেন, পৌর শহরের কুঠিবাড়ী আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দাদের জরাজীর্ণ ঘরগুলোর বিষয়ে খোঁজ খবর জেলা প্রশাসক মহোদয়কে অবহিত করা হবে। তবে, বরাদ্দ পেলে দ্রুত সংষ্কার করা হবে বলে আশ^াস দেন এ কর্মকর্তা।

ছবি

থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ও সেনাবাহিনী

ছবি

মানবিক বিবেচনায় জামিন পেলেন শিক্ষক মাহমুদুল, হাসপাতালে ভর্তি

ছবি

আধিপত্য ও মাদক ব্যবসা নিয়ে সংঘর্ষ, রক্তাক্ত নারায়ণগঞ্জের বন্দর

ছবি

দুই দিনে প্রাণ গেল ১৩ জনের, দায়ী বেপরোয়া গতি ও চালকের অদক্ষতা

ছবি

সুন্দরগঞ্জে যুগের পরিবর্তনে হস্তশিল্প বিলুপ্তির পথে

ছবি

বধ্যভূমির সাক্ষী মকবুল হোসেন : রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির অপেক্ষায় এক বিস্মৃত বীর

ফরিদপুরে স্ত্রীকে হত্যায় স্বামীর সাত বছরের কারাদণ্ড

ছবি

ইতিহাস, ঐতিহ্য ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর বিশ্বের বৃহত্তম গ্রাম বানিয়াচং

এপ্রিলের মধ্যে যশোর-ঢাকা রুটে আরেকটি ট্রেন চালুর প্রতিশ্রুতি রেলওয়ে ডিজির

মাছ রক্ষার বৈদ্যুতিক ফাঁদে স্পৃষ্ট হয়ে কৃষকের মৃত্যু

সাহস ইউনিয়নে কৃষকের আইডল শিমুল হুজুর

ছবি

নাইক্ষ্যংছড়ি-রামু সড়ক বেহাল ভোগান্তিতে ৪ লক্ষাধিক মানুষ

ছবি

রংপুরে হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার শিক্ষক মাহমুদুল হকের জামিন আবেদনের শুনানি ২৪ জুন

পটুয়াখালী-কুয়াকাটা মহাসড়কে বাস চাপায় নিহত ৪, আহত ৩

‘বাংলাদেশে ভারতের কোনো দালালকে সহ্য করা হবে না’

হাসপাতালের শৌচাগারে সন্তানের জন্ম ও প্রসূতির ‘রহস্যজনক আচরণ’

সন্ধান মেলেনি সোনাইছড়ি খালে ভেসে যাওয়া কৃষকের

ছবি

চকরিয়ায় ইউনিয়ন কমিউনিটি ক্লিনিকে নিয়োগের তথ্য জালিয়াতি

ছবি

বেদখল হয়ে যাওয়ার ৫০ বছর পর বসত ভিটার ৫শতাংশ ভুমি ফেরত পেল এক পরিবার

চাঁপাইনবাবগঞ্জে বোরো ধান ও সিদ্ধ চাল কেনা অব্যাহত

পাকুন্দিয়ায় করোনা ও ডেঙ্গু প্রতিরোধে সভা

বাগেরহাটে থামছে না ড্রেজারে বালু উত্তোলন

ছবি

নবীগঞ্জে দিনে-দুপুরে সরকারি গাছ কেটে আত্মসাৎ

রাকসুর তফসিল ঘোষণাসহ ২০ দাবিতে ১২৫ প্রস্তাব শিবিরের

আসামিকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ

ছবি

সৈয়দপুর পৌরসভা : ড্রেন ভরাট, সড়কে ময়লা পানি থাকায় জনদুর্ভোগে বাসিন্দারা

২৬ হাজার ইয়াবাসহ ট্রাকচালক আটক

দোহারে অস্ত্রসহ আটক ৩

তাহিরপুর সীমান্ত ভারতীয় পণ্য আটক

ছবি

জলবায়ু পরিবর্তনে জীবন-জীবিকার তাগিদে ছোট হয়েছে ‘খানা’

চলন্ত লরির পেছনে ড্রাম ট্রাকের ধাক্কা, চালক সহকারী নিহত

ছবি

বজ্রপাত ও পানিতে ডুবে শিশুমৃত্যু প্রতিরোধে চলন্ত পাঠাগারের সচেতনতা কার্যক্রম

মোটরসাইকেলের ধাক্কায় নারী পথচারী নিহত

সাদুল্লাপুরে বসতবাড়িতে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ

ছবি

আনোয়ারায় সামান্য বৃষ্টিতে সড়কে জলাবদ্ধতা

অস্ত্রসহ দুই সন্ত্রাসী গ্রেপ্তার

tab

সারাদেশ

মোরেলগঞ্জে আশ্রয়ণ প্রকল্পের জরাজীর্ণ ঘর দুর্বিষহ জীবন

প্রতিনিধি, মোরেলগঞ্জ (বাগেরহাট)

রোববার, ২২ জুন ২০২৫

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে কুঠিবাড়ী আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দাদের জরাজীর্ণ ঘরে দুর্বিষহ জীবন যাপন। সামান্য বৃষ্টি ও জোয়ারের হাটু পানিতে ৪০টি পরিবার ঝুঁকি নিয়ে বসবাস। যেকোনো সময় ঘটে যেতে পারে বড় দুর্ঘটনা। আশ্রয়ণ বাসিন্দাদের দাবি দুটি ব্যারাকে জরাজীর্ণ ২০টি ঘর সংস্কার করে বসবাসের উপযোগী করে দেয়ার।

সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, উপজেলার পৌর শহরের পানগুছি নদীর তীরবর্তী কুঠিবাড়ী আশ্রয়ন প্রকল্পের নামে ১৯৯৮ সালে সরকারিভাবে ৪ একর জমির ওপরে নির্মিত হয় আশ্রয়ণ প্রকল্পটি।

এ প্রকল্পে ৪টি ব্যারাকে ৪০টি পরিবারের এখানে বসবাস। ৭/৮টি মুক্তিযোদ্ধা পরিবারসহ ভূমিহীন প্রতিটি পরিবারের জন্য ২০০১ সালে ১০ শতক করে জমির দলিলমূলে মালিকানা হন তারা।

বর্তমানে এ আশ্রয়ন প্রকল্পে দু’টি ব্যারাকের ২০টি ঘর এখন জরাজীর্ণ। প্রতিটি ঘরের খুঁটি ভেঙে নড়বড়ে অবস্থায় পড়ে রয়েছে। ঘরের ছাউনির টিনগুলো অসংখ্য ছিদ্র হয়ে ঝাজড়া হয়ে গেছে। বেড়ার টিন খুলে পড়ছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই ঘরগুলো পানিতে তলিয়ে যায়, অতিরিক্ত জোয়ারে হাঁটু পানি সৃষ্টি হয়ে রান্না খাওয়া বন্ধ হয়ে যায়। অভুক্ত থাকতে হয় পরিবার পরিজন নিয়ে। প্রতিনিয়ত প্রাকৃতিক দুর্যোগ, ঝড়-বন্যা, জলোচ্ছাসের সময় ঘর ছেড়ে যেতে হয় অন্যত্র। স্যাঁতসেঁতে অবস্থা সর্বত্র, নেই কোনো স্যানিটেশন ব্যবস্থা, সুপেয় পানির রয়েছে অভাব। যে কারনে প্রতিটি ঘরে লেগে রয়েছে রোগ পিডা, অসুস্থ হয়ে বিছানা লগ্ন পড়ে রয়েছে অনেকেই। আশ্রয়ণের অফিস ঘরটিও জরাজীর্ণ ভাংঙ্গাচুরা অবস্থায়। সব মিলিয়ে এখন দুর্বিষহ ও ঝুঁকিপূর্ণ জীবন যাপন আশ্রয়ণ বাসিন্দাদের।

আশ্রয়ণের বাসিন্দা বৃদ্ধ নূরজাহান বেগম, সালেহা বেগম, লিজা আক্তার, শিল্পি বেগম, হাওয়া বিবি, কুলসুম বিবি, রুস্তুম কাজীসহ একাধিক আশ্রয়ণের বাসিন্দা বলেন, এভাবে কি ছেলে মেয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস করা যায়। ঝড় বৃষ্টি হলে আতংকে থাকি। একদিকে জোয়ারের পানি অন্যদিকে ঘরের টিনথেকে পানি পড়ে সবকিছু ভিজে যায়। অনেক রাত কাটতে হয় বসে থেকেই। ঝড় বন্যা এলে অসুস্থ স্বামীকে নিয়ে কিভাবে নিরাপত্তাস্থানে যাবো। আমাদের অসহায় গরিবের কথা কেউ ভাবে না। প্রধান উপদেষ্টার প্রতি দাবি এ আশ্রয়নের ২০ টি ঘর সংস্কার করে বসবাসের উপযোগী করে দেওয়ার।

কুঠিবাড়ি আশ্রয়ণ প্রকল্পের সভাপতি মো. সেকেন্দার আলী খান বলেন, ৪০ টি ঘর নির্মাণের পরে ২০১৬ সালে দুটি ব্যরাকের ২০ টি ঘর একবার সরকারি বরাদ্দে সংস্কার করা হয়েছিলো।

বাকি ২০ টি কখনও সংস্কার হয়নি। বর্তমানে এ ঘরগুলোতে বসবাস করা যাচ্ছে না। ব্যাঙ, সাপ কুইচের সাথে থাকতে হচ্ছে। নেই খাবার পানির ব্যবস্থা, সরকারিভাবে এতো পানির ট্যাংকি দেওয়া হয়েছে অথচ এ আশ্রয়নে বাসিন্দাদের জোটেনি একটিও ট্যাংকি। জেলা প্রশাসক ও সরকারের উর্দ্ধতন প্রশাসনের প্রতি দাবি ২০ টি ঘর দ্রুত সংস্কার করে দেওয়ার।

এ সম্পর্কে মোরেলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাবিবুল্লাহ বলেন, পৌর শহরের কুঠিবাড়ী আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দাদের জরাজীর্ণ ঘরগুলোর বিষয়ে খোঁজ খবর জেলা প্রশাসক মহোদয়কে অবহিত করা হবে। তবে, বরাদ্দ পেলে দ্রুত সংষ্কার করা হবে বলে আশ^াস দেন এ কর্মকর্তা।

back to top